ডেইরী টিপস

ডেইরী টিপস

১.আর্লি ল্যাক্টেশনে(১০০দিনে)

গাভী টোটাল দুধের ৫০% দুধ দিয়ে থাকে।

২.গর্ভাবস্থার শেষ ১৫দিন এবং আর্লি ল্যাক্টেশনে গাভীর খাবারের রুচি কম থাকে।

৩.আর্লি ল্যাক্টেশনে গাভী মেইনলি বডি রিজার্ভ থেকে পুস্টি নিয়ে প্রোডাকশন দিয়ে থাকে।এই সময় পর্যাপ্ত পুস্টি না দিলে ফ্যাট ভেংলে চাহিদা পূরণ করার চেস্টা করে ফলে ওজন কমে যায়।

নোটঃ শিক্ষাঃ

গাভীকে বাচ্চা অবস্থা থেকেই স্ট্যান্ডার্ড সাইজে নিয়ে আসতে হবে। প্রসবের পর খাবার দিলেই দুধ বাড়বে না।আগের জমানো পুস্টিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৪.গর্ভবতী গাভীকে পুস্টিকর খাবার কম দিলে দুধ কম দিবে,দ্রুত দুধ কমে যাবে,হিটে আসবে না,দূর্বল ও ছোট বাচ্চা দিবে।এই বাচ্চা বড় হলেও ভাল দুধ দিবে না।অসুস্থ বেশি হবে মানে লাভজনক হবে না।

৫.গাভীকে বেশি খাবার দিলেও সমস্যা যেমন

চর্বি জমা হবে,প্রেগন্যানসি কিটোসিস হবে,ফ্যাটি লিভার সিন্ড্রম হবে। বাচ্চা কে বেশি খাবার দিলেও ক্ষতিকরঃফ্যাটি বকনা হবে,অডারে ফ্যাট জমা হবে।দুধ কম দিবে যদিও ওলান বড় থাকে।অনেকে এই ওলান থেকে গাভী কিনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

৬.ড্রাই পিরিয়ড ৪০-৬৫দিন।

মেইনলি ৪৫-৬০দিন।

ড্রাই পিরিয়ডের ১ম ৪৫দিন দানাদার কম দেয়া ভাল তবে বডি কন্ডিশন খারাপ হবে দেয়া যাবে তবে বেশি যাতে না হয়।ড্রাই পিরিয়ডের শেষের ১৫দিন দানাদার খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে।

৭. গর্ভের শেষের ৬ সপ্তাহে বাচ্চার ওজন ৬০% বাড়ে।এই সময় দানাদার বাড়িয়ে দিতে হবে।সঠিক ভাবে ড্রাই না করলে পরের বিয়ানে ৩০% কম দুধ দিবে।তাই অল্প লোভ সামলাতে না পারলে ক্ষতিই বেশি হবে।

৮.প্রোটিন এবং কিছু মিনারেলস খাবারের রুচি বাড়ায়.

৯.পুস্টিমান ভাল দিলে নরমাল গাভী থেকেও ২-৩লিটার দুধ বেশি পাওয়া যাবে।আর যদি হাইকোয়ালিটির গাভী হয় তাহলে ২-৮লিটার দুধ বেশি পাওয়া যাবে। আর্লি ল্যাক্টেশনে সুষম ও ভাল মানের ফিড ফর্মুলেশন না হলে বডি কন্ডিশন খারাপ হয়,কিটোসিস হয়,দেরীতে হিটে আসবে,এমন কি হিটে নাও আসতে পারে,দুধ কম দিবে।

১০.মিড ল্যাক্টেশনে এনার্জি কম লাগে।এনার্জি বেশি দিলে ফ্যাটি হবে,রিটেইন প্লাসেন্টা হবে,ডিস্টোকিয়া হবে,মিল্কফিভার,কিটোসিস এবং এবোমাসাল ডিসপ্লেসমেন্ট হবে।

১১.গাভী নরমালী প্রোটিন জমা করেনা।প্রোটিন বেশি দিলে রুমেনের মাইক্রো অর্গানিজম প্রোটিন কে ভেংগে বের করে দেয়। এতে গাভীর এনার্জি লস হয়।

১২.প্রসবের আগে এবং প্রসবের পরের আর্লি ল্যাক্টেশনে প্রোটিন ১৪% দিলেই হবে তবে মিড ল্যাকশুনে ১৬% করা উচিত।

১৩.যে কোন খাবার পরিবর্তনই ধীরে ধীরে করতে হবে।হঠাত করলে সমস্যা হবে।

১৪.আমাদের দেশে প্রায় ৬০-৭০% ক্যাটলে সঠিকভাবে ফিড ফর্মুলেশন অনুযায়ী খাবার দেয়া হয় না

যার কারণে আমরা ১/৩ ওজন ও দুধ কম পাই।

১৫. আমাদের দেশে অনেক গরুই ফ্যাটি যার কারণে হিটে আসে না এবং প্রসব জনিত জটিলতা দেখা দেয়।

১৬.শুধু চিকিৎসা দিয়ে ক্যাটল সেক্টরে উন্নতি করা যাবেনা এবং টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না।

১৭.ক্যাটল(ডেইরী এবং মোটাতাজাকরণ) সেক্টরে যত সমস্যা হয় তার প্রায়৬০% সমস্যা ব্যবস্থাপনা দিয়েই সমাধান করা সম্ভব।

১৮.পোল্ট্রির মত ডেইরীতেও ৮০% ব্যবস্তাপনা বাকি ২০% চিকিৎসা কিন্তু হচ্ছে উল্টাটা।এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।ক্যাটল সেক্টরে ব্যবস্থাপনার উপর কাজ খুব কম হচ্ছে।২০% হচ্ছে আরো ৮০% কাজ করলে অনেক পরিবর্তন আসবে উতপাদনও সেই অনুযায়ী বাড়বে।সমান সংখ্যক ক্যাটল পপুলেশন দিয়েই।

১৯.এ আই টেকনিশিয়ানের দায়িত্বশীলতা ছাড়া ডেইরী সেক্টরে ভাল করা কঠিন।এখানে ভেটদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।নীতি নৈতিকতার ব্যাপারটা এখানে মূখ্য বিষয়।সঠিক জায়গায় সঠিক সিমেন,সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সিমেন দেয়া,গাইনোলজিকেল সমস্যার সমাধান দিতে না পারলে অনেক গাভী নস্ট হয়ে যাবে।রেকর্ড কিপিং রাখা,লোভে পড়ে বা খামারীর ইচ্ছায় ১০০% সিমেন দেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।এ আই ম্যান ফার্মে চলে আসার পর দেখলো হিটে আসার সময় হয় নি তবুও কেউ কেউ এ আই করে।তাছাড়া অতিরিক্ত টাকার লোভে ২বার এ আই করে।কাজেই এখানে সততার ব্যাপারটা একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২০.খাবারের মায়া দেখাতে গিয়ে গরু মারা যায়।অনেকের বাড়িতে খাবার বেশি হলে সেটা ফেলে দিতে চায় না।সব টুকু গরুকে দেয়।ফলে এসিডোসিস হয়ে মারা যায়.

ক্যাটিল সেক্টরের সমস্যা নিন্মরুপ।একটু কম বেশি হতে পারে।

১.খাবার রিলেটেড, পুস্টি,ফিড ফর্মুলেশন ৩০%

২.গাইনোলজিকেল ১০%

৩.ডিজিজ ২০%

৪.এ আই ১০%.

৫.ব্রিড ১০%

৬.খামারীদের অজ্ঞতা এবং ট্রেনিং এর অভাব ১০%

৭.জমি এবং ভাল ঘাসের অভাব ১০%

নোটঃ প্রতিটাতে আবার ইন্ট্রার রিলেশন আছে।ফিক্সড না।আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি চিকিৎসায়।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

ইঞ্জেকশন সাইট এবং নার্ভ ব্লকিং সাইট

ইঞ্জেকশন সাইট এবং নার্ভ ব্লকিং সাইট Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »