টার্কির কৃমিঃ
টার্কি গোল কৃমি,পাতা কৃমি ও ফিতা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।তবে সবচেয়ে বেশি যে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে এস্কারেডিয়া গ্যালি ও হেটারেকিস গ্যালিরেনাম
টার্কি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে
টার্কির দৈহিক ওজন হ্রাস পায়,রক্তে প্রোটিন কমে যায়।রক্তে সুগার হ্রাস পাবে ও মূত্রে ইউরেটস বেড়ে যাবে,তীব্রভাবে আক্রান্ত হলে ক্ষুদ্রান্ত্রের লুমেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এনিমিয়া হয়।ওজন কমে যাবে.ডিমের উৎপাদন কমে যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এমন কি মারা যেতে পারে।টার্কি কৃমি( Ascaredia galli) দ্বারা আক্রান্তের পর লাইফ সাইকেল শেষ করতে ২৮ – ৩০ দিন লাগে।কৃমি দ্বারা আক্রান্তের প্রথম ৯তম দিনে প্রোভেন্ট্রিকোলাস এ ও ডিউডেনামে অবস্থান করে।১৭ম ও ১৮তম দিনে ডিয়োডেনামের লুমেনে অবস্থান করে ।এভাবে ডিয়োডেনামে অবস্থান করে ২৮ – ৩০তম দিনে ভ্রূণযুক্ত ডিম সক্ষম হয়। যা পরবর্তীতে ইনফেকশনের জন্য তৈরি হয়।
গ্যালিনেরাম দিয়ে আক্রান্ত হলে সিকামের প্রাচীর পুরু হবে ও ব্যথার সৃষ্টি হবে।টার্কি তীব্রভাবে আক্রান্ত হলে সিকামের মিউকাস ও সাবমিউকাস লেয়ারে গুটি সৃষ্টি হবে।এ জাতীয় কৃমিতে আক্রান্ত হলে টার্কি হিস্টোমোনিয়াসিস নামক প্রোটোজোয়াল রোগে আক্রান্ত হবে যার নাম ‘ ব্ল্যাক হেড ডিজিজ ‘ ।
এ প্রোটোজোয়ার নাম হিস্টোমোনাস মেলিয়াগ্রেডিস।
হেটারেকিস গ্যালিনেরাম কৃমির ডিম আক্রান্ত টার্কির বিষ্ঠার মাধ্যমে বের হওয়ার পর উপযুক্ত পরিবেশ,তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পেলে প্রায় ১৪দিনে অথবা তার চেয়ে কম সময়ে সংক্রামক অবস্থায় পৌছায়।যখন টার্কি তা খায় তখন হেটারেকিস গ্যালিনেরাম নামক কৃমির ডিম ক্ষুদ্রান্ত্রের লুমেনে ভ্রূণে পরিণত হয়।২৪ ঘন্টা পর সিকামে পৌছে লার্ভায় পরিণত হয়। এভাবে সিকামের ভিতর ১২ দিন থাকার পর ,পরের ৩ দিনে পূর্ণতা লাভ করে পূণরায় ইনফেকশনের যোগ্যতা অর্জন করে।
চিকিৎসাঃ
হেটারেকিস গ্যালিনেরামের জন্য পাইপেরাজিন ২০০ এম জি/টার্কি তবে ভাল কাজ করে না।ফেনোথায়াজিন ১গ্রাম/টার্কি ১দিন।