টক দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো হচ্ছে :
✔
এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে
টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে
এতে lactic acid থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন cancer এর রোগীদের জন্য উপকারী
দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ bowel র ও জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে|
এতে প্রচুর calcium, riboflavin, vitamin B6,B5 ও vitamin B12 থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার|
এতে প্রচুর calcium ও vitamin D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে
তাই Osteoporosis, Arthritis এর রোগী রা নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পান
কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়|
যাদের দুধ সহ্য হয় না বা lactose intolerance আছে, তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন| কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া lactose কে ভেঙ্গে lactic acid তৈরী করে|
এর আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়| তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন
টক দই রক্ত শোধন করে
উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন
ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন
নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সরবরাহ করে |
কম ফ্যাট যুক্ত টক দই একটি ভালো স্ন্যাকস, কারণ এটি খেলে পেট ভরা বোধ হয় | তাই পুষ্টিহীন খাবার বা বেশি ক্যালরি যুক্ত junk food না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে|
কারণ এতে আমিষ থাকে, যেহেতু আমিষ হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায় | অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না|
এর পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়
এটা ব্রেইনকে tyrosine সরবরাহ করে, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|
এতে প্রচুর calcium থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে| কারণ সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে, শরীর যখন প্রচুর calcium পায়, তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে| আর যখন calcium পায় না, তখন শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে|
টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে | তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো|
টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয় | তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ বা অকাল বার্ধক্য করে| শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়
একবারে কত দুকু টক দই খাবেন?
একবারে এক কাপ টক দই খেতে পারেন| এটি হচ্ছে এক পরিবেশন বা one portion size.
টক দই একটি পুষ্টিকর, তৃপ্তিকর, সর্বজন সমাদৃত ও সহজ লভ্য খাবার| ডেসার্ট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার হিসাবে এটি খেতে পারেন| ওজন কমাতে কম ফ্যাট যুক্ত ও চিনি ছাড়া টক দই খাবেন| টক দইয়ের এত গুনাগুন জানলেন এখন এটিকে কি বলবেন ? সুপার খাবার? আমিও তাই বলব | পুষ্টিবিদের কাছ থেকে balance ডায়েট চার্ট নেবার পর থেকে এটি আমার প্রিয় ও নিত্য দিনের খাবার | প্রতিটি মানুষেরই উচিত নিয়মিত টক দই খাওয়া | বিশেষ করে মহিলারা বেশি calcium এর অভাবে ভোগেন এবং নানান রকম রোগ যেমন: arthritis এ ভোগেন, তাই টক দই নিয়মিত খাওয়া উচিত | টক দইয়ের এত পুষ্টি উপাদানের জন্য শিশুরাও এটি খেতে পারে|এছাড়া টক দই ত্বকে ও চুলে মাখলেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়|
ছাত্র, নতুন ভেট ,শিক্ষক,প্যাক্টিশনার্স ্সবার জন্য এ টু জেট
১।ভেটদের কি কি চাকরি আছে এবং কোন টায় কি কি সুবিধা ও অসুবিধা
বেসরকারী চাকরিঃ
ফিড কোম্পানীঃ টেকনিকেল এবং মার্কেটিং ২ ধরণের চাকরি আছে।কোম্পানীর সংখ্যা প্রায় ১৫০টি।
সবচেয়ে বেশি চাকরি ফিড কোম্পানীতে হয়ে থাকে।টেকনিকেলদের উপরে উঠার সুযোগ তেমন নাই।সিনিয়র এক্সোকিউটিভ বা টেকনিকেল ম্যানেজার পর্যন্ত।তাদের সংখ্যা খুব কম।যখন কেউ উপরের লেভেলে যায় তখন কোম্পানী তাকে রাখে না।
যারা মার্কেটিং এ আছে তাদের আবার উপর লেভেবে যাবার সুযোগ আছে যেমন ডিজিএম বা সিনিয়র ডিজিম।
এখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নিয়ম নীতি তবে মোটামুটি কাছাকাছি।
চাকরি বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে যেমন বড় ভাই এর রেফারেন্স,সার্কোলার এর মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে,নিজের ক্লাসমেট এর মাধ্যমে ।
যারা মার্কেটিং এ আছে তাদের টার্গেট থাকে ,মার্কেট ভাল থাকলে মূল্যায়ণ করে আর না থাকলে মেরুদন্ড টা বাকা করে চলতে হয়।
এখানে ডাক্তারদের মনিটরিং করে জেনারেলরা বা কোম্পানীতে হেড অফিসে বসে থাকে ডিগ্রি বা অনার্স পাশ লোক।
মনে রাখা ভাল মালিক কিন্তু আমাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত না(ভাগ্যের কারণ কেউ মালিক আবার কেউ শালিক)
ভেট কোথায় গেল,না গেল,খামারীরা ডাক্তারের উপর খুশি কিনা ,ঠিক মত স্বামীর(জেনারেল বস ) আদেশ পালন করে কিনা , শশুর শাশুড়ীর (খামারী ও ডিলার)দেখাশুনা করে কিনা তা দেখভাল করে জেরারেলস বস বা হেড অফিসের ডিগ্রি বা অনার্স পাশ সাধারণ লোক।
মাঝে মাঝে ডিগ্রি পাশরা খামারীদের কাছ থেকে রিপোট নেয় ডাক্তার ঠিক মত সেবা দিচ্ছে কিনা যদি না দেয় তাহলে জবাবদিহিতা করতে হবে।
খামারী ও ডিলার যখন ইচ্ছা তখন কল দিবে ,যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে বলবে ডাক্তারকে তাই করতে হবে।
সকাল ৯টায় বের হতে হবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডিউটি,বাসায় যেতে যেতে ৬-৭টা বেজে যাবে প্রায় ই।
শুক্রবার ছাড়া এবং ঈদ ছাড়া তেমন ছূটি নাই, ছূটি চাইলে পাওয়া যায় তবে বেশিদিন না ,নিজের মত করে বাসায় শান্তি করে থাকার সুযোগ কম।
যদি ৪-৫টা খামারী এক সাথে কল দেয় তখন একজন কে বাদ দিয়ে অন্য জনের কাছে যাবেন বা আজকে এক থাকায় সিডিউল রাখছেন,অন্য থানা থেকে কল দিয়েছে, এতে ডাক্তারকে সব জায়গায় এক সাথে যাওয়া সম্বম না কিন্তু এই সব খামারী ও ডিলার মিলে বস ও হেড অফিসে অভিযোগ করবে।অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানী ব্যবস্থা নিবে ডাক্তারের কথা শুনার সময় নাই কারণ সেল হয় খামারী আর ডিলারের মাধ্যমে।
খামারী আর ডিলারকে কোম্পানী যত মূল্যায়ণ করে তার অর্ধেকও ডাক্তারকে করে না।ডাক্তার গেলে ডাক্তার আসবে কিন্তু ডিলার গেলে ডিলার আসবে এটা বলা কঠিন তাই ডিলার ই ভাল।
প্রতি মাসে বিভিন্ন রিপোট দিতে হয়,রিপোটে ভুল হলে ডিগ্রী পাশ ডাক্তারকে দেয় বাশ।
নাইট হোল্ড করলে হোটেলের বিল দেখাতে হবে,কোন কারণে বিল হারিয়ে গেছে , হোটেল বিল কেটে দিবে।যদি ও মোবাইল ট্রাকিং করে জানা গেছে ডাক্তার হোটেলে ছিল এমন কি ডাক্তারের বস হোটেলের পাশের রোমে ছিল,সব জানে তবু হবে না।
টি এ ডি এ বিল দিছেন সেখানে কাটাকাটি করবে ,কেন করবে? কারণ হেড অফিস আপনার উপর খুশি না।
ফিডমিল ঃ এখানে চাকরি আছে তবে কাজ তেমন নাই আবার ভবিষ্যত ও তেমন নাই।এখানে থেকে পড়াশুনা করা যায় যদি বি সি এস দেয়ার ইচ্ছা থাকে।
ফিডমিলে হাজব্রেন্ড্রারীরা কন্সাট্যান্সি করে এবং নিউট্রনিস্ট হিসেবে কাজ করে আর আমরা বড় বড় কথা বলি।
অনেক কোম্পানী বিদেশীদের নিয়ে আসে কন্স্যাল্ট্যান্সি করার জন্য।
দেশীয় আহাওয়া এবং লোকাল ম্যানেজম্যান্ট ও খাদ্য উপাদান সম্পর্কে যে ধারণা তাতে অভিজ্ঞ ভেটদের এখানে চাকরির সুযোগ আছে।
মেডিসিনঃ
মেডিসিন কোম্পানীর সংখ্যা প্রায় ৩০০।
এখানে ফিডের থেকে বেশি চাপ ,বেশি খামার ও ডিলারের কাছে যেতে হয়,সবার মন রক্ষা করে চলতে হয়।
রিপোটের কাছ ত আছেই।
সারাদিন ডিলার টু ডিলার এবং ফার্ম টু ফার্মে কাজ করতে হয়।
এখানে ও টেকনিকেল এবং মার্কেটিং ২ ভাবেই চাকরি করা যায়।
টেকনিকেল হলে শুধু কোম্পানীর টেক কেয়ার করবেন আর ফল ধরলে আটি চুষতে দিবে।
এখানে বিভিন্ন কোম্পানীর সুবিধার মধ্যে ভেরিয়েশন বেশি ।একেক কোম্পানীর একেক রকম সুবিধা , অসুবিধা
শেষের কথা হলো এত কিছুর পর ও বলা যায় এই সব কোম্পানীর মাধ্যমে আমাদের চাকরি করার সুযোগ হচ্ছে।
তবে বিকল্প হিসেবে আমাদের প্যাক্টিস এর উপর বেশি জোর দেয়া উচিত ছিল ।কোম্পানী মনে করে এত ভেট যাবে কোথায় নিজেরা ত কিছু করবে না, তাই এখানেই আসবে। আসলে গাধার মত খাটাবো।
হ্যাচারীঃ
এখানে কাজ তেমন নাই,শুধু একটু মনিটরিং করা আর বেশি বেশি গোসল দেয়া মানে গোসল দিয়ে বায়োসিকিউরিটি মেনে চলতে হয়।
ব্রিডার ফার্ম এবং বিভিন্ন কমার্শিয়াল পোল্ট্রি ফার্ম
এখানে বেতন বেশি ৩০০০০ -১৫০০০০ টাকা।এখানে বিদেশীরা কন্সাল্ট্যান্সি করে কারণ দেশীরা ব্রিডার সম্পর্কে এক্সপার্ট না।এই ক্ষেত্রে হাজব্রেড্রারীরা অনেক আগাইয়া।ভাল পজিশনে আছে।
টাকা বেশি কিন্তু জেলখানার মত বন্ধী জীবন।যারা চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে এবং বি সি এসের ধান্ধা আছে তাদের জন্য এই চাকরি ভাল ।
এখানেও ছুটি নিয়ে ঝামেলা,১ম দিতে হবে ছোট বস কে,ছোট বস বলবে বড় বস কে কল দেন,বড় বস বলবে ম্যাডাম কে দেন ,ম্যাডাম বলবে এম ডি জানিয়ে যান।
ছুটি হবে বছরে ২-৩ বার ২ ঈদে,আর দোয়া করতে থাকবেন কেউ যাতে মারা যায় কারণ মারা গেলে ছুটি পাবেন।
তবে জিপি বা পি এস হলে ঈদ ১টা বাড়িতে করতে হবে আর একটা মুরগির সাথে ফার্মে।
ব্রিডারে ও আছে গোসলের ছড়াছড়ি ১টা ফার্মে ঢুকলে ৩টা গোসল করতে হয়।
আ্মার ৪টি সেডে ঢুকতে ১দিনে ১১টি গোসল করতে হতো।যখন রংপুর ব্রিডার ফার্মে ছিলাম
ফার্মের পোলা পান গোসলের ভয়ে ড্রেস লূকায়ে রাখতো বা লিটারের নিচে ফেলে দিতো।আর বলতো স্যার ড্রেস নাই কিভাবে গোসল দিবো।
ল্যাবঃ
এখানে ও কাজ সহজ কিন্তু ভবি্য্য তেমন নাই।তবে মেয়েদের জন্য চাকরিটা ভাল।
সব কোম্পানির মিলে প্রায় ৩০টি ল্যাব আছে।তবে ৫০% ল্যাবে ডাক্তার নেই।
প্রাইভেট ল্যাব আছে প্রায় ১৫টি।
বিদেশ পাড়ীঃ।
কেউ কেউ স্কালারশিপ নিয়ে বিদেশ যাচ্ছে,বিদেশে ভেটদের মূল্যায়ণ বেশি এবং বেতন ও বেশি।তবে সবাই সুযোগ পায় না বা অনেকের ইচ্ছা ও হয় না বিদেশ যাবার।
অনেকে কয়েক বছর থেকে আবার নিজের দেশে ফিরে আসিতেছে।
২। প্রাইভেট প্যাক্টিসঃ
যারা প্রাইভেট প্যাক্টিস করে তাদের সংখ্যা খুব কম প্রায় ৩০-৫০ জন হবে ।
এদের মধ্যে অনেকের ল্যাব আছে।
একটা দেশকে এগিয়ে নিতে চাকরীর চেয়ে আত্মকর্মশীলতা বেশি প্রয়োজন।যেটা উন্নত সব দেশে হচ্ছে।আমরা অন্য দেশের খারাপ টা শিখি ভাল টা শিখি না।
আমাদের দেশের উন্নতির আরেকটি বড় বাধা আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা।এত শিক্ষিত হবার দরকার ছিল না।এস এস সি বা ইন্টার পাশ করার পর টেকিনিক্যাল কিছু করলেই ভাল হত।উচ্চ শিক্ষা মানে ডিগ্রি বা মাস্টার পাস বা ভার্সিটি থেকে বের হবার পর কেউ আর ছোট বা মাঝারী ধরণের কোন কাজ ভাল লাগেনা বা সমাজ এটাকে মেনে নেয় না ফলে সে বেকার থেকে যায়।
সমাজে আশে পাশে খেয়াল করলে দেখা যায় অল্প শিক্ষিত কিন্তু টেকনিকেল যেমন হেড রাজ মিস্রি,ইলিক্ট্রিশিয়ান,ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার,বিভিন্ন ডিলার(ফিড ,মেডিসিন ,কীটনাশক),বিলাস বহুল গাড়ির ড্রাইভা্র অথবা নিজের প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যবসা,এই রকম আরো অনেককে পাবেন যারা অনেক দিক দিয়ে ভাল ইনকাম করে এবং ভাল বাড়ি গাড়ি করে ফেলছে।
আমাদের দেশকে টেকনিকেল বিষয়ের উপর জোর দেয়া উচিত ছিল।
ভেটদের জন্য প্রাইভেট প্যাক্টিস সবচেয়ে ভাল কিন্তু এতেও সমস্যা আছে যেমন এখানে ভাল করতে হলে টেকনিকেলি দক্ষ হতে হবে কিন্তু এই দক্ষতা না থাকায় কেউ সাহস পায় না।তাছাড়া সে যা শিখেছিল তা ত প্যাক্টিস না করায় সব ভুলে গেছে।
৩।বি বি এস পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় ভুল বা সিস্টেমের কারণে যে সমস্যা হচ্ছে ঃ বি সি এস পরীক্ষায় ভেট রিলেটেড প্রশ্ন থাকার দরকার ছিল ৮০% বাকি ২০% অন্যান্য বিষয়। (শুধু রিটেন পরীক্ষায় বা এম সি কিউ ও রিটেন উভয় পরীক্ষায় ৮০% ভেট রিলেটেভ বিশেষ করে ফিল্ডে যা দরকার সে রকম বিষয়)
এতে কেউ যদি বি বি এস ক্যাডার হতো তাহলে ভাল প্যাক্টিশনাস হতে পারতো এবং ভাল সেবা দিতে পারতো।আর কেউ যদি বি সি এস ক্যাডার নাও হয় তবু সে ভাল প্যাক্টিস করতে পারতো এবং দেশের অনেক উন্নতি হতো পাশাপাশি কোয়াক কমে যেত।
এখন যা হচ্ছে তাতে বি বি এস হলে ভাল আর না হলে ফিল্ডে গিয়ে ভাল করতে পারে না কারণ যা শিখেছিল তা সব ভুলে গেছে বি সি এস পড়ে পড়ে ।
প্রাইভেট প্যাক্টিসের সাথে যদি ছোট একটা ল্যাব থাকে তাহলে ডায়াগ্নোসিস সঠিক হবে ,ভাল চিকিৎসা হবে।
আমার ব্যক্তিগত ল্যাবের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ল্যাবে লাভ তেমন নেই,সুবিধা হলো ডায়াগ্নোসিস সঠিক হয় ,খামারীর লাভ হয়।
ল্যাবের আরেকটি সমস্যা হলো ল্যাবের টেস্টের ভিত্তিতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হয় তা অনেক ডাক্তার ই জানে না তাই যারা টেস্টে রোগী পাঠায় তাদেরকে আগে জানতে হবে কি কি টাইটার হয়,কোন কোন টাইটারে মর্টালিটি কেমন হয়,কোন টাইটারে কোন টিকা দিতে হয়।
ল্যাব দিতে গেলে সবাই নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করবে এবং নিরুসাহিত করার যত ব্যবস্থা সব করবে।
তবু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ,মনে হয় এটাই জীবন।
অন্য কেউ হেল্প করুক আর না করুক নিজে নিজে ল্যাব চালিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বা ইচ্ছা থাকতে হবে।প্রয়োজনে নিজেই টেস্ট করতে হবে ,এতে কোন খরচ হবে না মানে লসের কোন সম্বাবনা থাকবে না।
প্রাইভেট প্যাক্টিসের সুবিধাঃ
স্বাধীন ,নিজেই নিজের মালিক
নিজে সৎ থাকার ইচ্ছা থাকলে অসৎ ইনকামের সুযোগ নাই।
এতে নিজের স্বাধীনতা থাকে এবং আল্লাহ এবং নিজের প্রচেস্টায় অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে যা সরকারী চাকরীজীবীর থাকে না।
অসুবিধাঃ
আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের ফিল্ডের সাথে মিল নাই যেমন ফিল্ডে কি কি রোগ হচ্ছে এবং সেগুলোর ভ্যাক্সিনেশন সিডিউল কেমন হবে এবং ভ্যাক্সিন সিডিউল কিভাবে করতে হয় তা শিক্ষাচ্ছে না।
এন্টিবায়োটিকের মোড অফ একশন।আমার ব্লগে যেভাবে সব মেডিসিনের মোড অফ একশন দেয়া আছে যা ভেটের লাইফে কোন দিন দেখি নাই এবং কোথাও নাই।
পোল্ট্রির উপর যেভাবে জোর দেয়ার দরকার ছিল সে রকম দেয়া হয় নাই লার্জ এনিম্যালের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অথচ ফিল্ডে পোল্ট্রির উপর চাকরি ই বেশি।
পোল্ট্রি জিজিজের উপর প্যাক্টিকেল ধরণের পড়াশুনা নাই,প্রাচীন কালে কি কি রোগ হত কেমন লক্ষণ ও পোস্ট তা ই পড়ানো হচ্ছে।
ইনশাল্লাহ আমি যদি কাউকে ১ মাস ট্রেনিং করায় তাহলে পোল্ট্রির প্যাক্টিস নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আমাদের সমাজে চাকরি টাকে বড় মনে করে কারণ আমরা অনেক বছর অন্য দেশের অধীনে থেকে মন মানসিকতাই এমন হয়ে গেছে।
কেউ প্রাইভেট প্যাক্টিস করতে গেলে সহযোগিতা না করে নিরুসাহিত করা হয়।
তাছাড়া প্যাক্টিস করে নিজের মাঠ তৈরি করতে অনেক সময় লাগে এবং এই সময়ে পরিবারের দেখাশুনা করার আর্থিক সাপোট অনেকের থাকে না।
চাকরি করলে মাসে মাসে টাকা চলে আসে,কোন চিন্তা থাকে না।
নিজেকে প্যাক্টিকেলি দক্ষতার তেমন প্রয়োজন লাগে না,ফিল্ডে গিয়ে কাজ করে এবং খামারী ডিলারের কথা শুনে যা শিখা হয় তা দিয়ে চালিয়ে নেয়ার চেস্টা করে।
ভেটরা জেনারেলদের আন্ডারে টেকিনিকেল চাকরী করে পায় কলার খাল আর জেনারেলরা খায় কলা।জেরারেলরা রাজা আর ভেটরা প্রজা।
উদ্যোক্তাঃ
এদের সংখ্যা প্রায় ৩০-৫০ জন হবে।
এদের মধ্যে বেশির ভাগের অবস্থাই ভাল। আমাদের উচিত যেসব ভেট উদ্যোক্তা হয়েছে তাদেরকে যতটুকু পারা হেল্প করা এবং ভেটদেরকে তাদের হেল্প করা উচিত।
সরকারী চাকরী
সরকারী চাকরী হলো পরাধীনতা,অন্যের মত কে নিজের মত মনে করা।
নিজেকে বন্ধক দেয়ার মত।
চাকর থেকে চাকরী এসেছে এবং বৃটিশরা আমাদের কে চাকরী দিয়ে চাকর বানিয়ে নিজেরা মালিক হয়েছিল।
এখানে প্রডাক্টিভ কাজ খুব কম, নন প্রডাক্টিভ কাজ বেশি।
দূর্নীতির আকড়া,ঘুষ,সজনপ্রীতি।
সরকারী চাকরি কি কি ভাবে হতে পারে
ভাগ্য
মেধা
সজন প্রীতি
রাজনীতি
ঘুষ
নকল
এগুলোর একক বা কম্বিনেশনে হয় সরকারী চাকরি ।যদি কারো অবৈধ ভাবে চাকরি হয় আর সেটার ইনকাম আজীবন সংসার চলে তাহলে এর পরিণতি পরকালে কি হবে তা চিন্তা করা উচিত।জীবন কোন না কোন ভাবে চলে যায়।তাই এত চিন্তা না করে যা পুঁজি ৫ বছর পড়ে অর্জন করেছি তাই দিয়ে চেস্টা করা উচিত নয় কী?
বি সি এসঃ
সামাজিক ভাবে বি সি এস টাকে বেশি মূল্যায়ণ করা হয় বাংলাদেশে যদি ও এটাকে এত মূল্যায়ণ করা উচিত না।এটাকে ভিত্তি করে দেশের লাখ লাখ ছাত্রের জীবন নস্ট হয়ে যাচ্ছে সোনার হরিণের পিছনে ছুটতে ছুটতে ।
এর পিছনে যদি না ছুটতো তাহলে সে অনেক কিছু করতে পারতো।
বি বি এস পিছনে ছুটতে ছটতে যখন চাকরির বয়স শেষ হয় তখন জীবন যোবন সব শেষ।
ব্যাংকঃ
অনেকেই এখন ব্যাংকে চাকরি করতেছে।যদি ব্যাংকে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে ডি ভি এম ডিগ্রি নিয়ে দেশের এত টাকা খরচ করা উচিত হয় নি।তবে দু একজনের হতে পারে গণ হারে যেভাবে ব্যাংকে চাকরি করতে এটা ঠিক না।
শুনেছি খুব বিপদে না পড়লে ব্যাংকে চাকরি করা ঠিক না।
নন ক্যাডারঃ
এখানে গেলে আর প্যাক্টিস করার তেমন সুযোগ থাকে না।নন ক্যাডারে বিভিন্ন ধরণের চাকরি আছে।
পুলিশ এবং আর্মি
অনেকে পুলিশের এস আই পদে
গবেষণা
বি এল আর আই
এল আর আই
এন এ টি পি সহ বিভিন্ন প্রজেক্ট
এন জিওঃ এখানে আগে অনেকে চাকরি করতে এখন অনেক এন জিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাই এখানে তেমন ভবিয্যত নাই
টিচারঃ
যারা ভাল রেজাল্ট করে এবং লম্বা হাত আছে তারা ভার্সিটির টিচার হয়।
প্রাইমারী বা হাই স্কুল ঃ
কেউ কেউ এখানে ও চাকরি করতে চায়।
৪।ভেটদের তাহলে কি কি করতে হবে
বি সি এসের পরীক্ষা পদ্ধতি ঠিক করতে হবে তবে তা সম্বব বলে মনে হয় না।
ক্যাম্পাসে পোল্ট্রি,পেট ও ডেইরীর উপর প্যাক্টিকেল দক্ষতা বাড়াতে হবে।
আগেই ঠিক করতে হবে কি ধরণের চাকরি করবে সে অনুযায়ী পড়াশুনা করতে হবে।
মনে রাখতে হবে চাকরির জন্য চেস্টা করতে করতে যদি বয়স চলে যায় তাহলে বন্ধুর অধীনে কাজ করতে হতে পারে এতে মনে হতাশা এবং নিজেকে ছোট মনে হবে।
একুল ওকূল ২কূল ই যাবে।
৫।ভেটরা কেন ভিন্ন পেশায় যায়
পেশাটাকে মনে প্রাণে ভাল না বাসা
দক্ষতার অভাব
সামাজিকতা
সমাজের বাহিরে গিয়ে কিছু করার অক্ষমতা
প্যাক্টিস করতে গিয়ে খামারী ও ডিলারের কাছে লজ্জিত হবার পর প্যাক্টিসে অনিহা চলে আসা
ভেট প্যাক্টিস আসলেই কঠিন তবে এটাকে সহজ করা যায় যেমন কেউ যদি শুধু একটি স্পিসিস নিয়ে প্যাক্টিস করে (পেট,ডেইরী,পোল্ট্রি)
পরিশ্রম,সময় ও ধৈয্য সহকারে শিখার ইচ্ছা না থাকা
৬।ক্যাম্পাসে কেমন পড়াশুনা হওয়া উচিতঃ তা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
ফিল্ডে এসে শিক্ষার যে প্রবণতা তা খামারীদের মাঝে আমাদের দূর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে তাই ইন্টার্ণিতে শিখে আসতে হবে।
৭।কোথায় থেকে আমরা শিখতে পারি
ক্যাম্পাস ঃ এটাই মূল জায়গা
গ্রোপঃ
গ্রোপের কিছু সীমাবব্ধতা আছে যেমন যারা পোস্ট দেয় তাদের ৯০% সঠিক হিস্ট্রি ,পোস্ট মর্টেম এবং অন্যান্য বর্ণনা দিতে পারে না।
আর কেউ যদি এসবের বর্ণনা দিতে পারে তাহলে সে অবশ্যই সে রোগ ডায়াগ্নোসিস করতে পারবে।
তবে তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন জরিপ ও অন্যান্য অনেক কিছু গ্রোপে ভাল হয়।
আমাদের দক্ষ ডাক্তার হতে হলে রোগের বিস্তারিত জানতে হবে।
কাট পেস্ট এবং অংশ বিশেষ জেনে শিক্ষিত কোয়াক হবার সম্বাবনা বেশি হচ্ছে।তবে মন্দের ভাল।
কমেন্ট করে মনের ভাব প্রকাশ করা ও বুঝা কঠিন বড় জোর ৫০% হবে।
সবচেয়ে ভাল সিস্টেম হলো কথা বলা ,কথায় সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেয়া যায় যা অন্য কোন ভাবে হয় না।অনেক সময় কমেন্টের মাধ্যমে ভুল বুঝা বুঝি হয়।
ইন্টার্নিঃএখানে কেউ ভাল লোকেশনে খেয়াল করে শিখতে চাইলে শিখতে পারবে।
বড় ভাই,বন্ধু বান্ধবঃ
সবার সাথে মুখোমুখি আলাপ আলোচনা করে অনেক কিছু শেখা যায়।
মোবাইলেঃদূরে থেকে মোবাইলে কথা বলে অনেক কিছু শেখা যায়।
হিস্ট্রি,পোস্ট মর্টেম এবং নরমাল ফিজিওলোজি পোল্ট্রি প্যাক্টিশনারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সাথে যদি ল্যাব হয় তাহলে ত আরো সহজ।
ডায়াগ্নোসিসে ৮০% করা যায় হিস্ট্রি জেনে তবে এখানে ডিজিজের আদ্য প্রান্ত জানা থাকতে হবে।
পড়াশুনা করে কিন্তু শুধু পড়াশুনা করলে কাজ হবে না পাশাপাসি প্যাক্টিস করতে হবে।
দক্ষ একজন ভেট যদি চায় কাউকে শিখাবে তাহলে ১০ বছরে যা শিখেছে তা ১মাসে শিখাতে পারবে।
৮।প্রেস্ক্রিপশন করতে গেলে যে জিনিস গুলো মনে রাখা উচিত
১।এন্টিবায়োটিকঃ ( Antibiotic)
#কোইনোলনঃসিপ্রো,এনরো,নর,লেভো.
#পেনিসিলিনঃএমোক্সিসিলিন,এম্পিসিলিন
#টেট্রাসাইক্লিনঃডক্সি,অক্সি,সিটিসি
#এমাইনোগ্লাইকোসাইডঃজেন্টা,এমিকাসিন
#ম্যাক্রোলয়েডঃটাইলোসিন,টিয়ামূলিন,টিল্মাইসিন,টিল্ভেলেসিন,এজিথ্রোমাইসিন,ইরাইথ্রোমাইসিন
#সালফারঃসালফাডায়াজিন ও ট্রাইমিথোপ্রিম কম্বিনেশন বা সালফাডায়াজিন,ট্রাইমিথোপ্রিম ও ইরাইথ্রোমাইসিন কম্বিনেশন
#ফ্লরফেনিকল
#কলিস্টিন
২।টক্সিন বাইন্ডার
৩।ইমোনিটি বিল্ডার
৪।ভিটামিন মিনারেল
৫।কফ নিঃসারক
৬।এন্টি ডায়রিয়াল
৭।টিকা
৮।ব্যবস্থাপনা
৯।ইনজেকশন(সিপ্রো,জেন্টা,স্টেপ্টোপেন,(ট্রাইজন)সেফালোস্পোরিন,রেনামাইসিন এল এ,জি এস টি, কে সি এন ডি,জেন্টা ও সালফারের কম্বিনেশন)
জেন্টা (১০০ এম এল ) (ডোজ .25-.3 ml i/M)
স্টেপ্টোপেন ২.৫গ্রাম সাথে ১০ এম এল পানি ভেট(৬৭) (ডোজ গ্রোয়িং পিরিয়ডে .২-.৩এম এল করে)
সেফটিরেন ১ গ্রাম (৪৮০) ৪০০ কেজির জন্য প্রডাকশনের ২০০ মুরগির জন্য ১গ্রাম ৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে . ০.২৫ এম এল করে মাংসে
সেফট্রন ২গ্রাম ভায়াল(২৭০) ২০ এম এল ডিস্টিল ওয়াটারের সাথে মিলিয়ে মাংসে .২৫ এম এল
কে সি এন ডি, জি ৫০ টি এস ,রেনামাইসিন এল এ ,জি এস টি .৫ এম এল করে মাংসে
১০।কৃমিনাশক
১১।এন্টিভাইরাল
১২।স্প্রে
১৩।স্যালাইন
১৪।লিভারটনিক
১৫।কিডনিটনিক
১৬।এঞ্জাইম
১৭।প্রবায়োটিক
১৮।হিট স্টকের জন্য বিটেইন,ক্রোমিয়াম,মেন্থল,সি,
১৯।প্যারাসিটামল,স্যালিসাইটিক এসিড,এস্পিরিন
২০ । স্পেশাল প্রডাক্টস যদি থাকে ( সি এন ডি প্লাস,এন ডি ভেট)
৮।একজন ডাক্তারকে যে যে বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকা ভাল
১।।ফার্মে চিকিৎসা করার পর ফলো আপ করে কিনা মানে চিকিৎসার ফলাফল কি তা জানার চেষ্টা করে কিনা।
২। যত জায়গায় কাজ করবে অভিজ্ঞতা তত বাড়বে(ব্রিডার ফার্ম,ল্যাব,মেডিসিন,টেকনিকেল ফিড বা মেডিসিন,মারকেটিং,হ্যাচারী)
৩।নিজের ফার্মের এর অভিজ্ঞতা।
৪।জানার আগ্রহ।
৫।যত বেশি সময় ধরে প্যাক্টিস করবে তত দক্ষতা বাড়বে
৬।রোগ,এন্টিবায়োটিক,টিকা,ব্রিডার ফার্ম,ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা উচিত।
৭।পোল্ট্রি সম্পর্কে সব বিষয়ে নলেজকে হাল নাগাত করতে হবে।
৮।নীতিবোধ।
৯।লিটারেচার,বই,ফেইবুক,ইন্টারনেট এ খোজ খবর রাখা,পোল্ট্রি সেমিনার,মেলা,ট্রেইনিং এ অংশ গ্রহণ করা।
১০।পোল্ট্রি বিষয়ে লেখালেখির সাথে জড়িত থাকা ভাল।
১১।মুরগির পাশাপাশি টার্কি,কোয়েল ,হাস ,কবুতরের ব্যাপারে দক্ষতা
৯।নিছের অংশটুকু লিখেছেন ডা আর্জু আক্তার(Arju akter)
ডি.ভি.এম. মেয়েদের জন্য আশীর্বাদ; না অভিশাপ?
ডিভিএম পাস করেছেন ৬ বছর হল । বিডিজবস, চাকুরি ডট কম এইসব সাইটে নিয়মিত ঘুরেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ টির বেশি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য আবেদন করেছেন । ২-১ টা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠানই উনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকে নি । বিসিএসে কয়েকবার চেষ্টা করেছেন। শেষে এখন নিজ এলাকা চট্টগ্রামে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত ।
অারেক জন ডিভিএম পাস করে মাস্টার্স করার ফাঁকে শুরু করেন IELTS এর কোচিং, দেশে পড়া শেষ করে পিএইচডি করতে চলে যান দক্ষিন কোরিয়াতে । দেশে যেন ফিরে আসা না লাগে সেই চেষ্ঠাই করছেন তিনি ।
ডিভিএম পাস করার আগেই নাকি চাকুরি আপনাকে খুঁজবে এমন একটা ধারনা ডিভিএম পড়ুয়ারা প্রায়ই শুনে থাকেন, বাস্তবেও তাই। কিন্তু এটা সম্ভবত মেয়েদের বেলায় প্রযোজ্য নয় । এই মুহুর্তে বিডিজবসে ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট দের জন্য প্রায় ২২ টি কোম্পানির সার্কুলার আছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রায় সবগুলা সার্কুলারের Job Requirements এ দেওয়া আছে “Only males are allowed to apply” । এর কারন অবশ্য আছে, চাকুরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলা মনে করেন যে খামারে খামারে ঘোরাঘুরির কাজে মেয়েরা হয়ত খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না । কিন্তু ব্রিডার ফার্ম, হ্যাচারী কিংবা ল্যাবের কাজগুলাতেও তো মেয়েদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে , এর ব্যাখ্যা হয়ত কারো কাছেই নেই । মজার ব্যাপার হচ্ছে ডিভিএম পাস করা গ্রাজুয়েটদের মাঝে মেয়েদের রেজাল্ট কিন্তু তুলনামূলকভাবে ভালো কিন্তু বেসরকারি চাকুরীতে রেজাল্ট কোন কিছুরই মাপকাঠি নয় ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় একজন স্যার প্রায়ই বলতেন ডিভিএম ডিগ্রী নেওয়াটা অনেকটাই সাধনার এবং ভাগ্যেরও ব্যাপার । আসলেও তাই কিন্তু এত কষ্ট করে নেওয়া ডিগ্রীটা যদি বেসরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে তাহলে আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না ।
ডিভিএম পাস করা সেই বান্ধবী যার মাস্টার্সে ৩.৯৬ ছিল সে কিন্তু অনেকটা হতাশার কন্ঠেই বলছিল যে এত ভালো রেজাল্ট করে কি করলাম, প্রাইভেট কোন কোম্পানীতে এপ্লাই করলে তো ডাকেই না; তাই চেষ্টায় আছি বাইরে চলে যাবার ।
আবার যারা প্রাইভেট চাকুরী করছে এমন কয়েকজনের সাথে কথা হলে প্রায়ই শুনি -আমার অন্য কোম্পানির চাকরির দরকার , এখানে স্যালারি কম, ইনক্রিমেন্টও খুব কম, অন্য কোথাও পেলে চলে যাব ।
সমস্যা আছে অন্য একটা জায়গাতেও । কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান মেয়ে নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে ইচ্ছে করেই, পাস করে বের হয়ে চাকুরী তে ঢুকল, কয়েক মাস পরে বিয়ে হল, পরিবার থেকে চাকুরী করতে দিবে না তাই মেয়েটি চাকুরী ছেড়ে দিল, সেই কোম্পানীও তখন একটা সমস্যায় পড়ে যায়, সেই পোষ্টে কোন মেয়েকে নিতে পরবর্তীতে ঝুকি অনুভব করে ।
দেশে ১৩০ টি পোল্ট্রি ফিড কোম্পানী আছে, ঔষুধ কোম্পানীর সংখ্যা ৩০০ এর উপরে, ব্রিডার ফার্ম-হ্যাচারী আছে ৭৫ টি, এই সেক্টর নিয়ে কাজ করা এনজিও আছে অনেকগুলা এবং আরো আছে কিছু প্রতিষ্ঠান; সব মিলিয়ে সংখ্যা টা ৬০০ এর কম হবে না কিন্তু খোঁজ করলে ডিভিএম পাস করা ৬০ জন মেয়ে বেসরকারি সেক্টরে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ ।
প্রতিটি ফিড কোম্পানীতে একটি করে ল্যাব থাকার কথা, অনেকেরই আছে । এই ল্যাবগুলাতে মেয়েদের নিয়োগ, ব্রিডার ফার্ম-হ্যাচারীতে নিয়োগ, ঔষুধ কোম্পানীর কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইউনিটে নিয়োগই হয়ত পারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিভিএম পাস করা মেয়েদের জন্য চাকুরীর ক্ষেত্র প্রসারিত করতে ।
অভিশাপ নয়; প্রতিদিন ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস করে ৫ বছরে কষ্ট করে অর্জন করা আকাঙ্ক্ষিত এই ডিগ্রীটা আশির্বাদ হয়ে আসুক ছেলে-মেয়ে সকল শিক্ষার্থীর জন্যে
উপস ংহারঃ এবার নিজেই ঠিক করুন কার কখন,কোথায়,কিভাবে ,কার জন্য ,কোন টা ভাল,কত সময়ে কি করবেন