Breaking News

চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রাইভেট প্যাক্টিসঃ কেমন আছি( পোল্ট্রি কন্সালট্যান্ট ডাঃ মো সোহরাব হুসাইন)

অনেকেই জানতে চেয়েছেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে বা চাকরি না করে প্রাইভেট  প্র্যাক্টিস কেমন হয়,আমি কেমন আছি ইত্যাদি।

আমরা নতুনরা যদি প্র্যাক্টিস করি কিভাবে করবো,কেমন হবে,সুবিধা,অসুবিধা  জানতে চেয়েছে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দেশের সার্বিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে আলোচনা করেছি।

আগ্রহীদের জন্য আমার এই লেখা।তাছাড়া যারা্ প্র্যাক্টিস করবে তাদের জন্য কিছু প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্য লিখলাম,এতে নতুনদের জন্য সহজ হবে।

কেন চাকরি ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস শুরু করলাম এবং করা উচিত।

১।অন্যের অধীনে কাজ করা ভাল দেখায় না যদি নিজের কিছু করার সুযোগ  এবং যোগ্যতা থাকে।হোক সেটা সরকারী বা বেসরকারী।

একেক জন একেক চাকরি করবে সেটাই স্বাভাবিক ,সবাই প্রাইভেট প্যাক্টিস করবে সেটাও হবে না,কিন্তু আমাদের দেশে ৯৯.৯৯%  ভেটেরই ইচ্ছা অন্যের অধীনে কাজ করা,এটাই সমস্যা।

২।একজন ডাক্তার হিসেবে যে পরিবেশ এবং ধরণের কাজ করতে হবে সে রকম পরিবেশ এবং কাজ নাই।

৪।প্রায় সময়ই কোম্পানী কাজের মূল্যায়ণ  সঠিক ভাবে করে না।

৫।ডাক্তার হিসেবে মেইন কাজ হলো ডাক্তারী করা  কিন্তু  চাকরিতে সেই  সুযোগ কম।

৬।নিজের অধীনে কাজের যে শান্তি তা আর কোথাও নাই।

৭।নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগানো যায়।

৮।দেশের মা্নুষের বেশি  উপকার করা যায়।

৯। নিজ নিজ এলাকায় প্যাক্টিসের ফলে ভেটদের সম বন্টন নিশ্চিত হয়।

১০।প্রাইভেট প্যাক্টিস করলে  ভাল থাকার পরিবেশ আছে যদি ইচ্ছে থাকে।কিন্তু অন্যের অধীনে কাজ করলে সে সুযোগ কম ।

গত বছরের (২০১৯) ডিসেম্বর মাসে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি এবং সে সময় থেকেই প্রাইভেট প্যাক্টিস শুরু করি।

প্রথমে কয়েক টি জায়গায় চেম্বার করে শুরু করেছিলাম।তারপর কিছু দিনের মধ্যে ল্যাবের কাজ শুরু করি এবং জানুয়ারীর ৫ তারিখ ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।তখন থেকে এবং কিছু কারণে ডিলারের চেম্বারে না বসে নিজের ল্যাবে সময় দেই।

কি কি বিষয়ের উপর প্যাক্টিস করা যায়ঃ

পোল্ট্রি (লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালী,হাস,কবুতর,কোয়েল,টার্কি)

ব্রিডার ফার্ম এবং ফিডমিল

পেট এনিম্যাল

লার্জ এবং স্মল এনিম্যাল(গরু ,ছাগল,মহিষ)

যে যেটাতে ভাল তার সেটা করা উচিত ।সব করতে গেলে কোনটাই ভাল হবে না এবং হবার সুযোগও নাই।

তবে পোল্ট্রির সাথে গরু -ছাগলের প্যাক্টিস টা রাখা ভাল।এর চেয়ে বেশি না করাই ভাল।

আমি পোল্ট্রি প্যাক্টিস করি।তবে লেখা লেখির সাথে জড়িত আছি।

প্রাইভেট প্যাক্টিসে  কি কি সমস্যা দেখা দেয়

প্রাইভেট  প্যাক্টিসকে  কেউ সাপোট করে না।

নিজের ইচ্ছা আর সাহসেই শুরু করি প্যাক্টিস।

তাছাড়া আল্লাহর উপর বিশ্বাস ছিল যে রিজিকের মালিক আল্লাহ তাই ভয় পাই নি।

বাংগালীদের একটা সমস্যা/মুদ্রাদোষ আছে সেটা হলো বাড়ির গরু বাড়ির ঘাস খেতে  চায়না তবে  খাওয়া শিখাতে হয়।তাই প্যাক্টিস যদি নিজ জেলার বাহরে হয় তাহলে কিছুটা সহজ।আর যদি নিজ জেলায় হয় তাহলে কিছুটা সমস্যা হয়।আবার খরচের কথা চিন্তা করলে বাড়িতে থেকেত্থেকেই ভাল।

মানে সুবিধা -অসুবিধা ২টাই আছে।অথচ এমন টা হওয়া উচিত না।সবাই নিজ এলাকার ডাক্তারকে অর্গাধিকার দেয়া উচিত।

কি কি বিষয় সাথে থাকলে প্যাক্টিস সহজ হয়ঃ

যদি ল্যাব থাকে অথবা লার্জ এনিম্যালের প্যাক্টিস করা যায়।

আমি ল্যাব দিয়েছি কিন্তু লার্জ এনিম্যালের প্যাক্টিস কম করি।

কি কি বাধা আসবে

সমাজের লোকজন  ভাল চোখে দেখবে না।

সমগোত্রীয়  লোকেরা  ভাল চোখে দেখবে না,যদিও সবাই এক রকম না।আর কেউ এসে উদ্ধার করে দিবে এই আশা করা ঠিক না।তবে সাহায্যকারী হলে ভাল।এটাই উচিত।কিন্তু আশা করে যদি পাওয়া না যায় তাহলে কস্ট বাড়ে।তাই নিরাশ হয়ে যদি কিছু পাওয়া যায় সেটাই আনন্দের।

ল্যাব করতে গেলে সবাই বিরোধিতা করবে।মুখে বলবে খুব ভাল কাজ কিন্তু মনের ভিতর থাকবে মুনাফেকি।ল্যাবে পাঠাতে নিষেধ করবে তবে সবাই না।তাই এসব ভেবেই কাজ শুরু করতে হবে।আল্লাহর চেয়ে বড় শক্তিশালী কেউ না,কারো কথায় কিছু হবে না।

তবে ল্যাবটা যদি পারসোনাল হয় তাহলে ঝামেলা থাকে না,কারণ একজন ভেটের একটা ল্যাব থাকতেই পারে তার নিজের প্রয়োজনে।

আর যদি ল্যাবের সব কাজ নিজে করা যায় তাহলে সোনায় সোহাগা।মানে রিক্স আর  খরচ কমে যায়।

টেস্টের  দক্ষতা বাড়ে এবং পোল্ট্রি ডিজিজের সার্বিক বিষয় বুঝা সহজ হয়,কারণ সব কিছুর সাথেই লিংক থাকে।

আমি এখন নিজে ল্যাবের  সব টেস্ট করি।

আমি এখন কেমন আছি এবং কি করছিঃ

১।সারা দেশে প্যাক্টিস করার পরিবেশ এবং বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।তবে নরসিংদী আমার মেইন প্যাক্টিসের জায়গা , আগে অন্য জেলায় সময় দিতাম.২০২০ সালের পর বাসায় বসে প্যাক্টিস করি মানে খামারী বাসায় চলে আসে।ল্যাব ও বাসায়।

২।কোন ডিলারের দোকানের বসা ছাড়াই নিজের মত চলার এবং বসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ডিলারকে পাত্তা না দেয়ায় কেউ কেউ হিংসায় জ্বলে পুড়ে আবোল তাবোল বলে বেড়াবে।কিন্তু  কিন্তু  সব সময়  ডিলার বা অন্য কারো উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।তবে ১ম দিকে সবার সাথে মিলে কাজ করতে হবে।

ডিলারের সাথে সম্পর্ক রেখে চললে ডাক্তারের সব দিক থেকে  লাভ কিন্তু খামারীর লস তবে সব ডিলার না ,আমি আবার বলছি সব ডিলার না কেউ কেউ ।আমি সব সময় খামারীর পক্ষে তবে যেসব খামারী অরিজিনাল , যোগ্য,ভাল মন্দ বুঝে তাদের পক্ষে এবং আমার নীতিতে আমি অটল।

৩ঃপ্রতিদিন প্রায়  ৫০০০-১০০০০ মুরগির চিকিৎসা করি( ৪-৭টা খামারী।

তাছাড়া ল্যাবে গড়ে ৪-৫টা টেস্ট হয়।

আমার সিস্টেমে এবং  আমার নিয়মে চললেই কেবল খামারির ফার্ম এ চিকিৎসা করি।কিছু শর্তের নীতিমালা লিটারেচার আকারে আছে।

সব খামারীর চিকিৎসা করলে প্রতিদিন আরো প্রায় ৩-৫টা ফার্মের চিকিৎসা দিতে পারতাম( প্রায় ৯০০০ লেয়ার) কিন্তু আমি তা করি না।

তাছাড়া বিভিন্ন জেলার খামারীদের মোবাইলে অনলাইনে চিকিৎসা করি এপসের মাধ্যমে।

৪।প্রতিনিয়ত আল্লাহর ইচ্ছায়  খামারী বাড়তেছে।

৫।ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫টা টেস্ট হয়।সঠিক রোগ নির্ণয় করতে টেস্টের বিকল্প নাই,এই ধারণা দেয়ার জন্য কাজ করছি।

৬।বিভিন্ন জেলার খামারীদের টেস্ট এই ল্যাবে করা হচ্ছে।

৭।চাকরী থেকে প্রাইভেট প্যাক্টিস অনেক শান্তি,রিলাক্স।

৮।চাকরীতে বেতন এবং সুযোগ সুবিধা নির্দিস্ট কিন্তু প্রাইভেট প্যাক্টিসে কোন সীমারেখা নাই।

৯।যেখানেই থাকা হোক না কেন লোভ যদি থাকে তাহলে অভাব দূর হবে না এবং শান্তি আসবে না।তাছাড়া আল্লাহর বরকত থাকে না।মাসে ২ লাখ টাকা ইনকাম করলেও  কোন কারনে ১০ লাখ টাকা চলে যাবে।তাই লোভ কম করে অল্পতে খুশি থাকার চেস্টা করি।

যে ইনকাম হয় চাকরির চেয়ে কম না।বেশি লোভ করি না তাই ভাল আছি।

যেদিন চাকরি ছেড়েছিলাম সেদিন যে শান্তি পেয়েছিলাম তা বলে বুঝাতে পারবোনা।

৯।আয়ের উৎস ঃ  খামারির কাছ থেকে ভিজিট ,এ জন্য আমার  ভিজিট একটু বেশি ,কন্টাকে মেডিসিন লিখি না।

১০। ল্যাবের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ডাক্তার  হেল্প করেছে ।বিরোধিকতাও করেছে  কেউ কেউ।নিরব ভূমিকা পালন করছে ৭০%।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো টেস্টের রিপোট এবং এই রিপোটের প্রেক্ষিতে কি করতে হবে তার সম্পর্কে অনেকের  ক্লিয়ার ধারণা  নাই ।

যদিও সবার  জানার সুযোগও নাই।তাই রিপোট পেলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা অনেকেই নিতে পারেনা ।

১১।সব কিছু অতিক্রম করে ল্যাব এবং আমি এগিয়ে চলেছি সামনের দিকে।

১২।নরসিংদী বাংলাদেশের ৪টি বড় পোল্ট্রি  মার্কেটের মধ্যে ১টি যেখানে নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজের পরিবেশ তৈরি করে নিয়েছি।

যা ছিল কঠিন,অনেকেই নিরুসাহিত করেছিল এবং অসম্বব বলেছিল।

১৩।সবচেয়ে বেশি ভিজিট নিয়ে প্যাক্টিস করার পরিবেশ তৈরি করেছি,ডাক্তার দেখালে টাকা দিতে হবে ,এই রকম ধারণা খামারীদের মাঝে দিয়েছি।

ডাক্তার দেখালে নগদ টাকা দিতে হবে,বাকীতে কোন ডাক্তারী করি না।এই সিস্টেমে কাজ করি।যদিও কেউ কেউ বাকীতে প্যাক্টিস করে ,মাস শেষে ফি নেয়।যা ঠিক না।এটা পরিহার করা উচিত।কোন কিছুই বাকিতে ভাল না।

১৪।আশা করতেছি ভবিষ্যতে বলতে পারবো টেস্ট ছাড়া চিকিৎসা করবো না ।সেই রকম পরিবেশ তৈরি হবে।তবে টেস্ট করলে ডাক্তারের তুলনামূলকভাবে লস কিন্তু খামারীর লাভ। যেমন ফার্মে গেলে ৫০০ টাকা বা বেশি ভিজিট দেয় কোন খরচ নাই অথচ টেস্ট করলে ডাক্তার প্লাস ল্যাবের খরচ বাদ নিয়ে ৫০০ টাকা লাভ করা  কঠিন।

টেস্টে  রোগ নির্ণয় হয়ে যায়,সঠিক চিকিৎসা পায়।মেডিসিনের খরচ কমে যায়।

বেশিরভাগ  খামারী তার লাভই বুঝে না।তবে  অনলাইনে বিভিন্ন লেখা পড়ে অনেকে সচেতন হচ্ছে তা কিন্তু বুঝা যাচ্ছে।

কি পরিমাণ পোল্ট্রির  প্যাক্টিস করেছি,করছি ঃ

প্রতিদিন  গড়ে  ৫টি ফার্মের চিকিৎসা করে করলে বছরে ১৫০০ফার্মের চিকিৎসা করেছি,এক ফার্মে গড়ে ৩০০০ মুরগি থাকলে ৫টি ফার্মে ১৫০০০ মুরগি।

তাহলে বছরে মুরগি প্রায় ৪৫লাখ তাহলে ৭ বছরে(কোম্পানীতে ৬ বছর আর প্রাইভেট ১বছর)   ১০৫০০ টি ফার্ম আর মুরগি প্রায় ৪কোটি।(তবে এখানে এক ফার্মে কয়েক বার ধরা হয়েছে)

আর বিক্রি করে দিবে  এমন  মুরগির চিকিৎসা করেছি ১%  ধরে ৫লাখ মুরগি।

চিকিৎসার সফলতার হার ১০০%।

মনে রাখা উচিত  অসুস্থ মুরগি ১০০% ভাল হয়ে যাবে ,এটার সাথে ডাক্তারের কোন সম্পর্ক নাই।ডাক্তারের সফলতা বলতে সঠিক রোগ নির্ণয়,ভাল চিকিৎসা ,রোগের ভবিষ্যৎ বলা ।

কি কি পয়েন্ট থাকলে প্যাক্টিস সহজ হয়

১।যদি কোন দক্ষ ভেটের কাছ থেকে ১ -২মাসের ট্রেনিং করা যায়।আমি যদি কাউকে ১৫-৩০দিন পোল্ট্রির উপর ট্রেনিং দেয় তার আর কোন সমস্যা থাকবে না যদি  মনে রাখতে পারে।।

.২।এলাকার উপজেলার সমগোত্তের লোক  যদি বিরোধিতা না করে আর  যদি হেল্প করে তাহলে আরো ভাল,এটা ভাগ্যের ব্যাপার।যদিও বিরোধিতা করে তেমন কিছু করতে পারবে না। আমার তেমন সমস্যা হয় নি।তবে কারো কথায় কান দেয়া যাবে না।নিজের গতিতে এগিয়ে যেতে হবে।

৩।যে এলাকায় যে প্রাণি বেশি সেখানে সে প্রাণীর চিকিৎসা করলে।

৪।যদি ল্যাব থাকে।ল্যাবের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোন ডাক্তার রোগী পাঠাবে না।এটা ধরে নিয়েই ল্যাব করতে হবে নিজের খামারীদের জন্য।যদি কেউ পাঠায় সেটা বোনাস মনে করতে হবে।এমন কি বিরোধীতাও করতে পারে ।

৫।শ্রম দিতে হবে,আন্তরিকতা থাকতে হবে,আল্লার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

৬।ল্যাবের উপর ফেসবুকে  একটা পেজ  থাকলে ভাল

৭।কিছু ডিলারের দোকানে বসে সময় দিতে হবে এবং  সবার সাথে  পরিচিতি বাড়াতে হবে।

৮।নিজের যদি একটা ফার্ম থাকে(লেয়ার এবং ব্রয়লার/সোনালী) এতে অভিজ্ঞতা বাড়ে।

৯।প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে,আর এখন ত পড়াশুনা অতি সহজ প্রতিদিন ই প্র্য়োজনীয় লেখা চলে আসছে নিজেদের মোবাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে যা আমি শেয়ার দিচ্ছি।

আমরা সিনিয়ররা এই সুযোগ পাই নি।Poultry Doctors BD তে পোল্ট্রি এবং ডেইরীর সব আছে।কস্ট করা লাগেনা।

পরিবর্তনঃ

খামারী কথা শুনে না,ডিলার নিজের মত চিকিৎসা দেয়,আমি এসবের পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করছি এবং সফলকাম হচ্ছি।

ল্যাবের গুরুত্ব এবং টেস্ট করলে কি কি সুবিধা তা খামারিদের বুঝাইতেছি এবং তার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

অযথা  মেডিসিনের খরচ কমিয়ে ডাক্তারের ভিজিট বাড়িয়ে দেয়া উচিত।আমি সেভাবেই কাজ করি।

খামারীদের পক্ষে কাজ করি।

১০০০ টাকা খরচ করে কিভাবে ১লাখ টাকা লাভ করা যায় সেসব পরামর্শ দেই।

কিভাবে খামারীর লাভ এবং কিসে লস তা বুঝানোর চেস্টা করি।

আমার কথা অনুযায়ী কাজ করতে হবে , করলে কি সুবিধা এবং না করলে কি সমস্যা তা বুঝানোর চেস্টা করি।

১০ লাখ টাকার চেয়ে ১০০০ টাকা কম এটা সবাই বুঝে কিন্তু খামারী বুঝে না ,খামারী ১০০০ টাকা বাচানোর জন্য ১০লাখ টাকা লস দেয়।

অনেকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমার একটা  প্রস্তাব নিচে দেয়া হলোঃ

অল্প কয়েকজন কে আলাদা করে সময় দেয়া  আমার জন্য কঠিন হবে। আগ্রহী্রা যদি   কয়েকদিনের জন্য কোন নির্দিস্ট জায়গায় টেকিনিকেল বিষয় নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করে আমি সেখানে সময় দিতে রাজি আছি।

ইন্টার্নির সুযোগ আছে

বিকল্প হিসেবে ব্লগ ত আছেই ।

মোবাইলঃ   ০১৭১৭৩০০৭০৬

শিক্ষার প্রধান উপায়/সিস্টেম

১।সরাসরি কোন প্রোগ্রামে  আলোচনা/ইন্টার্নি

২।মোবাইলে কল দিয়ে আলোচনা করা

৩।অনলাইনে বা অফলাইনে পড়াশুনা( পোল্ট্রি ও ডেইরীর জন্য Poultry Doctors BD বেস্ট)

৪।গ্রুপে আলোচনা

নোটঃ১

কেউ কোন দিন বলতে পারবে না আমি ভেটদের জন্য কিছু করি না,আমি  কোন দিন কারো কাছ থেকে শিখার সুযোগ পায় নি বা দেয় নি,তবে কয়েকজন ভেটের কাছ থেকে কিছু শিখেছি  ডা মো কামরুজ্জামন,বায়োল্যাব,ডা সোহেল, ডা সুমাইয়া,ডা শাহানুর সব কিছুই ল্যাব রিলেটেড।

আমেরিকান ভেট ডা  রেড্রী এর কাছ থেকে খুটি নাটি কিছু বিষয় জেনেছিলাম.

২০১৮ সালের  সিভেট থেকে ও কয়েক টি তথ্য জেনেছিলাম।

নোটঃ২

ফার্মে চিকিৎসা দেয়ার পর ভাবতে হবে আমি কি রোগ নির্ণয় করতে পারছি নাকি অনুমানে চিকিৎসা দিয়েছি?

দরকারী মেডিসিন লিখেছি নাকি টার্গেট পূরণ করেছি।

চিকিৎসা কি মুরগির দিকে তাকিয়ে দিয়েছি নাকি নিজের দিকে তাকিয়ে দিয়েছি।

ভ্যাক্সিন সিডিউলে কি অপ্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিন দিয়েছি ,উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া নতুন  ভ্যাক্সিন এড করা যাবে না।নরসিংদীতে লেয়ারে  রিও ভ্যাক্সিন  দেয়া হচ্ছে সেটাও ভেবে দেখে উচিত।

লাখ লাখ মুরগির চিকিৎসা করছি ,মুরগি কথা বলতে পারেনা তাই যা মন চায় দিয়ে দিলাম,ভুল শুদ্ধ সব সমান।ভুলে গেলে হবে না আল্লাহ সব দেখতেছে।হিসাব একদিন দিতে হবে।

খামারি তাদের নিজের লাভ লস ,ভাল মন্দ বুঝে না,সেই সুযোগে  ক্ষমতার অপব্যবহার করলাম কিনা ভেবে দেখা দরকার।

খামারীদেরকে ও খেয়াল রাখতে হবে তাদেরকে কেউ গিনিপিগ বানাচ্ছে না তো।

নোট ঃ২ এর লেখা যদি মিথ্যা হয় তাহলেই দেশের জন্য মংগল।

 

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত না এবং কিছু আলোচনা।

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত নাএবং কিছু আলোচনা। খামারীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে যাতে সেটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »