ঘাস গরুর প্রধান খাবার এবং পুষ্টির প্রধান উৎস। ঘাস একমাত্র খাবার যেখানে তৃণভোজী প্রাণীর শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান রয়েছে। দুধ যেমন মানুষের সকল খাদ্য উপাদানের চাহিদা পূরণ করে, তেমনি ভাবে তৃণভোজী প্রাণীর জন্য ঘাস। আল্লাহ গরু সৃষ্টি করেছেন মানুষের মাংস এবং দুধের চাহিদা পূরণের জন্য, তেমনি ভাবে গরুর জন্য সৃষ্টি করেছেন ঘাস। তাই ঘাস ছাড়া গরু পালন কোনোভাবেই সম্ভব না। কাজেই গরু পালন করতে হলে ঘাসের প্রয়োজনীয়তা এবং বিভিন্ন জাতের ঘাসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানাও জরুরি। আমাদের এই ধারাবাহিকে শুধুমাত্র ঘাস নিয়েই আলোচনা হবে।
গবাদিপশুর জন্য কাঁচা ঘাসের প্রয়োজনীয়তা, এর সুফল এবং লাভজনক দিকঃ
• অধিক দুধ পাওয়া যায়।
• খাদ্য খরচ কম হয়।
• সুস্থ্য-সবল বাছুর জন্ম দেয়।
• কৃত্রিম প্রজননের সফলতা পাওয়া যায়।
• সঠিক বয়সে যৌন পরিপক্কতা আসে।
• জন্মের সময় বাচ্চার মৃত্যু হার খুবই কম হয়।
• দানাদার খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা কম হয় ফলে উৎপাদন ব্যয় কমে যায়।
• কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে যে বাছুর জন্ম নেয় তার দৈহিক ওজন কাংখিত মাত্রায় পাওয়া যায়।
• লাভ বেশী হয় ফলে কৃষক গাভী পালনে উৎসাহিত হয়।
• উন্নত জাতের একটি গাভী পালন করে ছোট একটি সংসার চালনো যায় ফলে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হয়।
• রোগ-ব্যাধি কম হয় ফলে চিকিৎসা খরচ খুবই কম হয়।
• ঔষধ খরচ কম হয়।
• গাভীর মৃত্যু হার খুবই কম হওয়াতে আর্থিক ক্ষতি হয় না।
• দুধ উৎপাদন বেশী হলে গরিব কৃষক দুধ বিক্রয়ের পাশাপাশি নিজেরাও দুধ খেয়ে থাকে ফলে তাদেরও স্বাস্থ্য সুস্থ্য থাকে।
• এক একর জমিতে ধান চাষ করে যে লাভ পাওয়া যায় ঘাস চাষ করলে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশী লাভ পাওয়া যায়।
জাহিদুল ইসলাম(পি ডি এফ)