Breaking News

গাভী পালনের সংক্ষিপ্ত তথ্য☼

গাভী পালনের সংক্ষিপ্ত তথ্য☼
—————————————-
প্রতি গাভীর জন্য গড়ে ৩৫-৪০ বর্গ ফুট (৮*৫) জায়গার প্রয়োজন হবে। ঘরের মেঝে থেকে চালার উচ্চতা কম পক্ষে ১০ ফুট হতে হবে। খাদ্য পাত্র ও পানির পাত্রের জন্য ২ ফুট এবং নালার জন্য ১ ফুট জায়গা রাখতে হবে। গাভী ডাকে আসার ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন করা উত্তম, এতে সফলতার হার বেশী। কৃত্রিম প্রজননে সফলতার হার ৫৫% অর্থাৎ ১০০ গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করানো হলে ৫৫টি গাভী গর্ভবতী হয় এবং বাচ্চা উৎপাদন হয়। অতএব যেসকল গাভী বাচ্চা ধারণ করেনি সেগুলোকে ২০-২১ পর আবার ডাকে আসলে পুণরায় প্রজনন করাতে হবে। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে সংকরায়ন এর মাধ্যমে গাভীর উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। গরুকেনার পর কৃমি ও পরজীবি মুক্ত করুন। প্রথম দুই সপ্তাহে দুই ডোজ এবং পরবর্তী প্রতি ২০-৩০ দিনে একডোজ ভিটামিন বি ৫০ ভেট ইনজেকশান দিবেন। প্রতি মাসে একবার ম্যাক্রো মিনারেল দানাদার খাবারের সাথে দিবেন। প্রতিদিন একই ব্যক্তি দ্বারা একই নিয়মে একই সময়ে দোহন করতে হবে। জটিলতা এড়ানোর জন্য সম্ভাব্য প্রসব তারিখের অন্তত ৩ মাস পূর্ব থেকেই গাভীকে সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হয়, ফলে গাভী সবল থাকে। তবে গরুকে বাচ্চা প্রসবের অন্তত দুই মাস পূর্বে দুধ দোয়ানো বন্ধ করা উত্তম। দুধ দোয়ানো বন্ধ করতে বলা হয় যাতে ওলান Regeneration এর সুযোগ পায়। কপার, জিংক ও Vitamin-A ওলান Regeneration এ সাহায্য করে সাথে প্রসব পর্যন্ত Availa-4 দিতে পারেন।
* কৃমিনাশক ওষুধঃ-
গবাদি পশুর বয়স ২ মাস হতে শুরু করে বছরে ২-৩ বার সঠিক মাত্রায় ক্রিমি নাশক খাওয়াতে হবে। গরুর কৃমির ঔষধের নাম হল- Endex. গরুর প্রতি ৭৫ কেজি ওজনের জন্য একটা (১ টা) “Endex.” ট্যাবলেট গরুকে খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ গরুর ওজন ১৫০ কেজি হলে দুই টা (২ টা) “Endex.” ট্যাবলেট গরুকে খাওয়াতে হবে। অথবা ÒAntiworm bolusÓ গরুকে খাওয়াতে পারেন। এটি ৪১-৭৬ কেজি গরুর দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি বোলাস খাওয়াতে হবে।
* ক্যালসিয়ামঃ-
গাভীর শরীর ভেংগে যায় ক্যালসিয়ামের অভাবে। একটি গাভীকে দৈনিক ৪০ – ৫০ গ্রাম ক্যালসিয়াম Pow: DCP plus প্রসবের এক মাস আগে থেকে, প্রসবের ৩ – ৪ মাস পর পর্যন্ত খাওয়ানো ভাল। দানাদার খাবারের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। দুগ্ধবতী গাভীর দুধের সাথে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান বেরিয়ে যায়, ফলে গাভীর শরীরে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি দেখা দেয়, দুগ্ধকালে গাভীর কিছুটা স্বাস্থ্য হানি ঘটে, অতিরিক্ত ঘাটতি হলে মিল্কফিভার দেখা দেয়। তাই এই সময় ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সরবরাহ করা উত্তম। মিল্কফিভার হলে গাভী শুয়ে পড়তে পারে, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, শরীরে কাপুনি দেখা যায়। গাভীর গর্ভাবস্থায় তার স্বাবাভিক খাবারের দেড়গুন খাবার দিতে হয়, এবং আটমাস সময় থেকে খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম খাওয়ান। ২ চা চামচ করে ড্রাই ক্যালসিয়াম ফসফেট (DCP) পাউডার দৈনিক একবার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। সাথে একবার ভিটামিন ইনঃ এডিই৩ পুস করেদিলে গাভীর আরামদায়ক প্রসব হবে । দুধের মান ও উৎপাদন বৃদ্ধিপাবে ,গাভীর স্বাস্থ্য ভাঙবেনা। ভিটামিন ডি পাকান্ত্রের ক্যালসিয়াম শোষণ এবং অস্থি থেকে রক্তে ক্যালসিয়াম প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন ডি প্রয়োগের মাধ্যমে মিল্ক ফিভার রোগ প্রতিরোধ করা যায়। শুষ্ক পিরিয়ডে প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে ৪২ গ্রাম। পান্তরে দুগ্ধবতী গাভীতে প্রতিদিন এর পরিমাণ থাকাতে হয় ৮২ গ্রাম। শুধু তাই নয় dry pregnant cow এ ক্যালসিয়াম শোষণের হার ৩৩% হলেও দুগ্ধজ্বর প্রতিরোধের জন্য দুগ্ধবতী গাভীতে এটি ৫২% থাকতে হবে।
প্রসবের পর গরুকে দুই ডোজ বি ৫০ ভেট দেওয়া উত্তম। তাছাড়া ভিটামিন ADE গরুর গ্রোথ, রোগ প্রতিরোধ মতা, প্রজনেনর সাথে সরাসরি জড়িত। তাই গরুকে প্রয়োজন মত ভিটামিন ADE দিতে হবে। ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্যালসিয়াম শোষনে সমস্যা দেখা দিবে। ক্যালসিয়াম শোষন সমস্যা হলে ফসফরাস শোষন সমস্যা দেখা দিবে এবং মেটাবলিক ডিজঅর্ডার দেখা দিবে।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের স্বাভাবিক হার ২.৩:১। রেশনে ৩৫-৪০% গমের ভূষি বা অন্য কোন ভূষি থাকলে তা থেকেই ফসফরাসের সকল ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব ।
– এছাড়া Calplex একটা ভাল ক্যালসিয়াম। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভাল মানের ক্যালসিয়াম হচ্ছে কোরিয়ান কোপা ক্যালসিয়াম। যাহা দুগ্ধবতী গাভি ও দূর্বল গাভীকে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা গাড়ের রগে পুশ করতে হয়। কোপা France এর Advance কোম্পানীর। দুগ্ধবতী গাভীর ক্যালসিয়াম কমে যাওয়ার কারনে সবচেয়ে উত্তম ছয়মাস পর পর গাভীকে রগে কোপা ক্যালসিয়াম দেওয়া ।
* গাভী গরম না হলে- হরমোনের অভাবঃ-
১. Tab- Anox-D. ( ভিটামিন এ, ডি৩, সি, ই). দৈনিক চারটি করে ১৬ দিন খাওয়াবেন।
২. Tab- Phoscal DB bolus (ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি৩, বি১২) দৈনিক ২ টি করে ট্যাবলেট খাওয়াবেন। ১ পট খাওয়ালেই যথেষ্ট। (Opsonin agrovet Division). product গুলো ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যান্সার্স টেইন ইউনিভার্সিটির রিসার্চ product. Tab, Anox-D. এটা এমন একটা product, হিটে আসার জন্য তো কাজ করেই, তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় বার বার বীজ দেওয়া হচ্ছে কিন্তু গাভী concept করছেনা, ২০ থেকে ২৫ দিন পর গাভী আবার হিটে চলে আসে, এটার কারণ হলো ভিটামিন এ এবং সি এর অভাবে বীজ দেওয়ার পর স্টিমুলেটিং হরমোন নিঃসরন বন্ধ করতে পারেনা যার ফলে গাভীটা আবার হিটে চলে আসে তাই বীজ দেওয়ার সাথে সাথেই আরো একপট Anox-D, ৪ করে ট্যাবলেট খাওয়াবেন ও একপট খাওয়ালেই হবে। Phoscal DB ২ টি করে খাওয়াবেন, ২৫ দিন। ১ পটে ৫০ টি ট্যাবলেট থাকে ।
যদি বকনা বা গাভি কন্সিভ করে তাহলে ২১ দিন পর তা আর গরম হবেনা। এরপর সম্ভাব্য প্রসবের সময় বের করে নিতে হবে(২৭০+-১০ দিন)। বাচ্চা হওয়ার আগে মল ভাঙ্গা, মিউকাস সমৃদ্ধ হাল্কা রক্ত যাওয়া, গর্ভথলি বিদীর্ন হয়ে ফুইড বের হতে দেখ যাবে। এজনয রাতে খেয়াল রাখতে হবে খামারিকে যেন বাচ্চা জন্মালে সাপোর্ট দিতে পারে। প্লাসেন্তা বা গর্ভফুল পরে গেলে নিয়ে পুতে ফেলতে হবে যাতে কিছুতেই গাভী এটা খেতে না পারে কারণ খেলে গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যাবে। আরও নানা রোগ হতে পারে। প্লাসেন্টা ৬ ঘন্টার মধ্যেই পরে যাবে তারপরো UToklin 450 ml ৫-৬ ঘন্টা পর দুইবার খাওয়ালে প্লাসেন্টা পরে যাবে, আর যদি তাও না হয়, অক্সিন (oxytocin) 5 cc মাংসে বা চামড়ার নিচে দিতে হবে, আরো জটিল কিছু হলে বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে। এসময় মার শরীরে ক্যালসিয়ামের খুব ঘাটতি হয়, তাই বাজারে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম প্রিপারেশন যেমন ক্যাল পি, স্যাঙ্কাল খাওয়ালে দুধ জ্বরে সম্ভাবনা থাকেনা। ২০০ এম এল করে ১০-১২ দিন খাওয়ানো উচিত। বাচ্চা এর বয়স ১৫-২০ দিন হলে Albendazole (Almex vet) 1 bolus/­50kg ও প্রসবের পর গাভীকে Renadex (triclabendazo­le+levamisole) 1 bolus /50 kg খাওয়াতে হবে। গাভী এর পরবর্তী ৪০-৪৫ দিনে তার প্রজনন তন্ত্রকে সাভাবিক হওয়ার সময় দিতে হবে অর্থাৎ ২ টা হিট মিস করাতে হবে। প্রসবের ৬৩-৬৫ দিন পর গরম হলে তখন থেকে বীজ দেওয়া যাবে। এভাবে পুরা সাইকেল রিপিট হবে।
* গাভীর খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ-
গরুর সুষম খাদ্য তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ হলো; খড়, সবুজ ঘাস, দানাদার খাদ্য এবং পানি। ১০০ কেজি দৈহিক ওজন বিশিষ্ট একটি গাভীর জন্য সাধারণত ১-২ কেজি খড়, ৫-৬ কেজি সবুজ ঘাস এবং ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হয়। দানাদার খাদ্য মিশ্রনে গমের ভূষি ৫০%, চাউলের কুঁড়া ২০%, খেসারি ভাঙ্গা ১৮%, খৈল ১০% খনিজ মিশ্রণ ১% এবং আয়োডিন লবন ১% থাকা প্রয়োজন। দুগ্ধবতী গাভীর ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি হারে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হয়। ( দানাদার খাদ্যে- আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহ বা চর্বি, খনিজ লবন/ আয়োডিন যুক্ত লবন, ভিটামিন বা খাদ্য প্রান, পানি)
গ্রোয়িং গরুর (১০০-২৫০/৩০০ কেজি) জন্য প্রোটিন প্রয়োজন ২০% এবং ফিনিশিং (২৫০/৩০০ কেজির ওপরে) পর্যায় ক্রমে ১৪-১৫% পর্যন্ত কমানো যায়। রেশনের ৫-৭% এর বেশি তুষ দেওয়া যাবে না। দানাদার খাবারের ২৫% এর বেশি ধান দেওয়া যাবে না। ধান দিলে কোন মতেই কুড়া দেওয়া যাবে না। শুধু কুড়া দিলে ১০% এর বেশি কোন মতেই দেওয়া যাবে না। রেশনে অবশ্যই ৩০-৪০% গম/ডালের ভূষি দিবেন। ভূট্টা, গম, খুদ, ধান সবগুলো মিলিয়ে ৫০% এর বেশি দিবেন না। রেশনের ১৫-২৫% খৈল ব্যবহার করবেন। রেশনের ২.৫-৩% লাইমস্টোন/ ঝিনুক গুড়া দিবেন। রেশন হিসাব করে ডিসিপি ব্যবহার করতে হবে। পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস/ সাইলেজ দিবেন। নিয়মিত পরিমাণ মত ভিটামিন ADE দিবেন।
দুধের গরুকে খড় দিবেন, কিন্তু অবশ্যই শুকনো না, ভিজা। একদিন আগে ভিজিয়ে রাখতে বলা হয় কিন্তু ২/৩ ঘন্টা হলেও চলবে। শুকনো খড় দুধ কমায়।
* গরুর ওজন ও দুধ উৎপাদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও খাদ্যের পরিমাণঃ-
ধরুন আপনার গরুর ওজন ৩৫০ কেজি, দৈনিক দুধ দেয় ১২ কেজি, দুধে ফ্যাটের পরিমাণ ৩.৭% ও প্রোটিন ৩.৬%। যদিও আমাদের দেশে দুধে প্রোটিনেরর পরিমাণ হিসাব করা হয় না।
তাহলে হিসাবটি হবেঃ
১। গরুর মেইনটেইনেন্স শক্তি = ((গরুর ওজন*১০)/১০০)+১০ মেগাজুল
= ((৩৫০*১০)/১০০)+১০
= (৩৫০০/১০০)+১০
= ৩৫+১০
= ৪৫ মেগাজুল
২। দুধ উৎপাদন শক্তি = (দুধের পরিমাণ * প্রতি কেজি দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি)
= (১২*৫.৩) মেগাজুল { ফ্যাট ৩.৭% ও প্রোটিন ৩.৬% সমৃদ্ধ
প্রতি কেজি দুধ উৎপাদনের জন্য শক্তি প্রয়োজন ৫.৩ মেগাজুল। তবে দুধের ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চাইলে আরো বেশি শক্তির প্রয়োজন জবে।}
= ৬৩.৬ মেগাজুল
সর্বমোট শক্তি প্রয়োজন = (৪৫+৬৩.৬) মেগাজুল
= ১০৮.৬ বা ১০৯ মেগাজুল।
৩। প্রোটিনঃ ১৬-১৭%
৪। গরুর বয়স ও ওজন ভেদে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অনেক কম বেশি হয়ে থাকে। তবে রেশনে ক্যালসিয়াম ০.৪-০.৬% এবং ফসফরাস ০.৩-০.৩৫% থাকা জরুরী।
তবে উল্লেখ্য যে ভাল মানের খাবার ব্যবহার না করলে উক্ত হিসাব মতে ফলাফল পাওয়া যাবে না।
* খাদ্য উপকরণ ও পুষ্টি উপাদানঃ-
১. সবুজ ঘাস * নেপিয়ার – শুষ্ক পদার্থ ১৭%, ক্রুড প্রোটিন ১২.৮৩%, ক্রুড ফাইবার ২২.৭৫%, ক্রুড ফ্যাট ১.৪৪%, এ্যাশ ১১.৬৩%, ক্যালসিয়াম ০.৪৬%, ফসফরাস ০.৩৭%।
২. লালীগুড়/চিটাগুড়
৩. তিলের খৈল
৪. সরিষার খৈল
৫. চালের কুঁড়া
৬. ধানের কুড়াঁ
৭. গমের ভূষি – গমঃ শক্তি- ১৩.৩ মেগাজুল, প্রোটিন- ১৪%, আঁশ- ৩.৭%
৮. ডালের ভূষি
০৯. ভূট্টাঃ শক্তি- ১৩.২ মেগাজুল, প্রোটিন-৯%, আঁশ- ২.৩%
১০. চালের ক্ষুদ
১১. খড়ঃ শক্তি ৬ মেগাজুল, প্রোটিন ৪%, আঁশ- ৪০%
১২. ধানঃ শক্তি- ১০.১ মেগাজুল, প্রোটিন- ৮.৩%, আঁশ- ১১.১%
১৩. চিড়ার কুড়া- শক্তি- ৭ মেগাজুল, প্রোটিন- ৭%, আঁশ- ৩২%
* খৈল সমূহ সমগোত্রীয়, খড় ও ধানের কুড়া সমগোত্রীয়, চালের কুড়া ও কটন সীড সমগোত্রীয়; ভূট্টা, গম ও খুদ সমগোত্রীয় কিন্তু প্রোটিনের অনেক পার্থক্য; সকল ভূষি সমগোত্রীয়, সকল ডাল বা ডালের কুনি সমগোত্রীয়।
* গবাদি পশুর রোগ ব্যবস্থাপনা ও রোগ নিয়ন্ত্রনঃ-
সুস্থ্য পশুকে সংক্রামক রোগ সমূহের প্রতিরোধে টিকা প্রদান করতে হবে।
ক্ষুরারোগ- পটাসিয়াম পার মাঙ্গানেট ১ গ্রাম / ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে তস্থান দৈনিক ২-৩ বার পরিস্কার করতে হবে । আক্রান্তের পরিমাণ বেশি হলে সেলিডোন ইনজেকশন স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে দিতে হবে। প্রথম ৬ মাস বয়সে পশুকে টিকা দিতে হবে।
তড়কা/ এনথ্রাক্স – প্রথম ৬ মাস বয়সে পশুকে টিকা দিতে হবে। পরে প্রতি বছরে একবার করে টিকা দিতে হবে।
 গলাফুলা – প্রথম ৬ মাস বয়সে পশুকে টিকা দিতে হবে। এর পর ৬ মাস পর পর টিকা দিতে হয়।
 বাদলা- এ রোগেরও টিকা প্রয়োগ করতে হয়।
ওলান ফোলা/প্রদাহ রোগ- (ওলান পাকা, ঠুনকো ইত্যাদি): চিকিৎসা : আক্রান্ত পশুকে জেনাসিনভেট/ এমপিসিন ভেট/ কোফেনাক ভেট/ এন্টিহিস্টাভেট ইনজেকশন দিতে হবে। সরিষার তেল ও কর্পূর তেল মিশিয়ে ওলানে মালিশ করা যেতে পারে।
ডায়রিয়া/পাতলা পায়খানা/উদরাময় রোগ: স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সালফা প্লাস / সালফাডিন এস ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

MD Rezaul karim

##@প্রতিদিন আপনার গাভীর কতটুকু শক্তির প্রয়োজন হয়?
উদ্দেশ্যঃ কম খরচে সুষম খাদ্য তৈরি,গাভীর উৎপাদন ক্ষমতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
★যদি না জেনে থাকেন আসুন জেনে নেই-
একটি গাভীর প্রতিদিন কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তা মূলত গাভির ওজন, গর্ভাবস্তা
দুধ উৎপাদন এবং গাভীর বডি কন্ডিশন স্কোর অর্জন করতে চাচ্ছি তার উপর নির্ভর করে।

তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম সকল গাভীর প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ সমান হবে না।আমরা সহজ একটি গাণিতিক সমাধানের মাধ্যমে এই শক্তির পরিমাণ বের করব যদিও অনেক ইকুয়েশন এই কাজে ব্যবহার করা হয়।
হিসাবের সুবিধার্তে কি পরিমাণ শক্তি লাগবে সেটিকে আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করব- মেইনট্যানেন্স শক্তি,গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি,দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি।

★মেইনট্যানেন্স শক্তিঃ
এই শক্তির পরিমাণ হলো কোন গাভীর মোট ওজনের ১০% এর সাথে ১০যোগ করলে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে সেটি হলো মেইনট্যানেন্স শক্তি।
★গর্ভাধারনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিঃ
গাভীর মোট মেইনট্যানেন্স শক্তির ৪০% হলো গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি।
★দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিঃ
সাধারণত ১কেজি দুধ উৎপাদনের জন্য ৫.2মেগা জুল শক্তির দরকার হয়।
সুতরাং মোট শক্তির পরিমাণ হলো= মেইনট্যানেন্স শক্তি+ গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি+ দুধ উওৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি
আসুন একটা উদাহরণের সাহায্যে সহজে বুঝে নেই
একটি প্রেগনেন্ট গাভীর ওজন ৩০০কেজি সেটি ১০কেজি দুধ উৎপাদন করলে প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ কত হবে?
মেইনট্যানেন্স শক্তি= (৩০০*১০)/১০০+১০=৪০ মেগাজুল
গর্ভধারণের জন্য শক্তি=(৪০*৪০)/১০০=১৬ মেগাজুল

দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি=১০*৫.২=৫২ মেগাজুল

মোট প্রয়োজনীয় শক্তি=৪০+১৬+৫২=১০৮ মেগাজুল

★উল্লেখ্য গাভীর সঞ্চিত রিজার্ভ গাভীর প্রয়োজনীয় শক্তি এবং গাভীর খাদ্যের মাধ্যমে দেওয়া শক্তির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। আমরা যখন প্রয়োজনীর তুলনায় কম শক্তি দেয় তখন বডিতে সঞ্চিত ফ্যাট ভেঙে শক্তি সরবারহ করে আর বেশি দিলে ফ্যাট হিসেবে জমা থাকে।দেখা গেছে যে ১কেজি ওজন বৃদ্ধির জন্য ৩২ মেগাজুল শক্তির দরকার হয় এবং ১কেজি ওজন হ্রাসের মাধ্যমে ২৮মেগাজুল শক্তি উৎপন্ন হয়।
সোর্সঃ ফিডিং অফ ডেয়রি ক্যাটল

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় :

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় : স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর জন্মপ্রক্রিয়া প্রায় একই হলেও কিছু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »