Breaking News

গরু কালিং/বাতিল করব এবং বাতিলের সুবিধা

গরু  কালিং

কালিং এর অপর নাম হচ্ছে বিদায়।এখন কথা হচ্ছে কালিং এর গুতুত্ব কোন পশুর উপর ফরজ।

১| বার বার বীজ দেওয়ার পরেও বীজ কন্সেফ না করা।

২| খামারের ব্যয় খরচের সাথে উৎপাদন সঠিক সারর্কেল না পাওয়া গাভী বা বকনা।

৩| ম্যাস্টাইন্টিস রোগে বার বার হওয়া।

৪| প্রতি বছর বাচ্চা না দেওয়া গাভী।

৫| রোগে বালাই লেগে থাকা গাভী বা বকনা।

১ নং বিষয়ের আলোচনাঃ দেখতে সুন্দর ও নাদুস নুদুস কিন্তু কাজের বেলায় ঠন্ডনাঠন।
এমন গাভী বা বকনাকে বুঝানো হয়েছে।
অনেক খামারী আছে এই গরু গুলোর প্রেমে পরে তাদেরকে খামার থেকে বিদায় করতে চায় না। এই বার বুঝি বীজ কন্সেফ করলো বলে।একটা সমিকরন করি আসুন।

ভালো বীজের বিকল্প নাই, ৮০০ টাকা হাড়ে হিসাব করি।প্রতিবার যদি ৮০০ টাকা করে বীজ এর পিছনে ব্যয় করেন তাহলে ৫ বার এর হিসাব করি।

৫ বার বীজ খরচ ৪ হাজার,এর মাঝে ডাক্তার বাবুকে দিয়ে হরমোনাল ট্রিটমেন্ট খরচ ২ হাজার টাকা। যদি ২১ দিন পর পর গাভীটি হিটে আসে এই হিসাবে ১২০ দিন সময় নিবে ৫ বার হিটে আসতে। কম বেশি হতেও পারে। এই ১২০ দিনের গাভীর খরচ। আবার প্রশ্ন আসবে গাভী তো দুধ দিবে। ধরলাম গাভীর দুধের টাকা দিয়ে ১২০ দিন সকল খরচ চালিয়ে আপনার হাতে অবশিষ্ট্য টাকা দিয়ে আপনি চিকিৎসা খরচ চালালেন। কিন্তু আপনি যে এই ১২০ দিন পিছিয়ে পরবেন সেই হিসাব আছে…???

২ নংবিষয়ের আলোচনাঃশখ হোক আর কপাল গুণেই হোক আপনার খামারে ৭/৮ লিঃ দুধের গাভী আছে। এই উৎপাদন দিয়ে কি বর্তমান সময়ে ডেইরী বিজনেস করা যায় কি না.??

৮ লিটার দুধের গাভীকে সর্বোনিম্ন ৪ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে। ৪ কেজি দানা খাদ্যের দাম যদি ১২০ টাকা ধরি কাঁচা ঘাস,খড়,লেবার, বিদ্যু বিল সহ প্রতিদিন ২০০ টাকা সর্বোনিম্ন খরচ। কম বেশি হতেও পারে।

৮ কেজি দুধের দাম ৫০ টাকা করে হিসাব করলে ৪০০ টাকা হয় প্রতিদিন। প্রফিট ২০০ টাকা খুশিতো। কিন্তু এই ৮ কেজি দুধ সর্বোচ্চ আপনি ৯০ দিন পাবেন। পরবর্তী সময় ধীরে ধীরে দুধ কমবে। বছর শেষে বাচ্চা বিক্রয় করে আপনার লাভ কত থাকে ক্যালকুটারে হিসাব করে মিলিয়ে নিন চিকিৎসা খরচ সহ।

৩ নং বিষয়ের আলোচনাঃ ম্যাস্টাইন্টিস হচ্ছে একটি জীবাণু বাহি রোগ। এটা কম বেশি সকল দুগ্ধদান কারি গাভীর হয়। তবে অধিক দুগ্ধদান কারি গাভী ক্ষেত্রে ম্যাস্টাইন্টিস হওয়ার সম্ভবনা ৮০% বেশি। যদি খামারীটি হয় অপরিস্কার।
বিশেষ করে একটি গাভী এই রোগে আক্রান্ত্র হলে তার ঐ লেক্টশনে দুধের পরিমানে অনেক ব্যাগাত ঘটে।আর এই রোগটি একবার হলে পরবর্তী সময়ে হওয়ার সম্ভবনা থাকে। চিকিৎসা খরচ সহ একজন খামারীকে বহু ঝামেলা পোহাতে হয়। আর ওলান নস্ট হওয়ার ঝুকি তো আছেই।

৪ নং বিষয়ের আলোচনাঃ ডেইরীতে প্রতি বছর বাচ্ছা না দেওয়া গাভী বিস্ফোরন এর সমান।একজন খামারী যদি সারা বছর উৎপাদিত পন্য দিয়ে টেনে হিচরে খামার পরিচালনা করতে পারলেও বছর শেষে বাচ্চাটি লাভের খাতায় এসে দাড়ায়। তাই প্রতি বছর গাভী থেকে বাচ্চা পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যদি প্রতি বছর বাচ্চা না পান তখন কি করবেন.??

৫ নং বিষয়ের আলোচনাঃ একটি সমিকরনে দেখা গেছে যে খামার রোগ বালাই এর পিছনে বছরে ৩০% এর বেশি টাকা ব্যয় হয় সেই খামার রশাতলে যেতে সময় লাগে না। আর রোগ বালাই যদি বার বার একটি গাভীর লেগে থাকে খামারী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে।

এই বিষয় গুলো বিবেচনা করে খামার পরিচালনা করতে হবে। যদি একটা খামার কালিং এর সংখ্যা ২০/২৫% গাভী বা বকনা থাকে তাহলে কোন দিনও খামারী লাভের মুখ দেখবেনা। তাই কালিং এর বিষয়টা সকল খামারীকে মাথায় রাখতে হবে। হাবি ঝাবি ২০ টা গাভীর দরকার নাই। মান সম্মত উৎপাদনশীল ৫/৭ টা গাভী থাকলেই লক্ষে পৌছাতে সময় লাগবে না ইনশাল্লাহ্।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি (এম এ ইসলাম)

টিকা ও ওষুধের ব্যবহার পদ্ধতি  টিকা ও ওষুধের সঠিক ব্যবহার রোগপ্রতিরোধ ও নিরাময় নিশ্চিত করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »