গরু ও বাছুরের রক্ত আমাশয় (Coccidiosis) :-
————————-
প্রচলিত নামঃ ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয়।
সাধারণত ৩ মাস থেকে ৬ মাস বয়সী বাছুরে কক্সিডিওসিস রোগ দেখা দেয়। তবে কখনও কখনও প্রাপ্ত বয়স্ক পশুতেও এ রোগ দেখা যায়।
তীব্র প্রকৃতির রোগে ডায়রিয়া, রক্তযুক্ত আমাশয়, রক্তশূন্যতা ও দীর্ঘমেয়াদী রোগের ক্ষেত্রে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যহত হওয়া ও উৎপাদন হ্রাস এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
রোগের কারণঃ
আইমেরিয়া গনভূক্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রোটোজোয়া গরু মহিষসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশুর রক্ত আমাশয় রোগের জন্য দায়ী।
রোগের লক্ষণঃ
1. প্রাথমিক অবস্থায় দুর্গন্ধযুক্ত ও মিউকাস মিশ্রিত ডায়রিয়া হয়। ফলশ্রুতিতে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এ সময় মৃদুজ্বর হয় ও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়। কয়েকদিন পর পায়খানার সাথে রক্তের ছিটা ও আম যায়। রোগ পুরাতন হলে পায়খানায় রক্ত ও আম বাড়তে থাকে।
2. লেজের গোড়ায় রক্ত মিশ্রিত মল লেগে থাকে।
3. তীব্র কোৎ দেয়ার ফলে অন্ত্র বেরিয়ে আসে এবং অনেক সময় বৃহাদান্ত্র শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
4. তীব্র রোগে পেশীর কম্পন ও খিঁচুনি হয়।
5. পশুর মল অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করলে আইমেরিয়ার উসিস্ট পাওয়া যায়।
প্রতিরোধঃ
1. স্বাস্থ্যসম্মত বিধি ব্যবস্থা পালন করতে হবে।
2. বাচ্চা প্রসব ও লালন-পালনের স্থান শুষ্ক ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
3. বাচ্চা পালনের ঘরে যথাযথ স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করতে হবে।
4. পশুর খাদ্য ও পানীয় মলের সাথে লেগে যেন কোন ভাবেই দূষিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
5. ঠাসাঠাসিভাবে পালন পরিহার করা উচিত।
চিকিৎসাঃ
ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শে তীব্র প্রকৃতির রোগে উপসর্গ অনুযায়ী নীচের যে কোন ১টি দ্বারা চিকিৎসা করা যায়-
1. Sulphadiazin & Trimethoprim
অথবা Triplesulpha & Stroptomycin
অথবা coprofloxacin এর সাথে Metronidazole ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ফেসবুক থেকে নেয়া