1.আমার খামারীর কিছু বৈশিস্ট্যঃ(প্রতিটি ডাক্তারের আন্ডারে যে খামারী থাকবে তাদেরকে ও এমন হতে হবে।)
১।ডা সব বুঝে এমন বিশ্বাস করতে হবে , কোন সন্দেহ রাখা যাবে না।
২।ডা যা লিখবে তা দিতে হবে।পরিবর্তন করতে হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।
৩।মুরগির পালন করলে ধৈয্য ধরে চিকিৎসা দিতে হবে। অধৈর্য্য খামারীর ফার্ম না করা উচিত এবং রিক্স নিয়ে ফার্মে নামতে হবে।ফার্ম না থাকলে যাতে বিকল্প কিছু থাকে সে ব্যবস্থা থাকা ভাল।
৪।এতদিন খামারী যা করেছে তার সাথে অনেক কিছু মিলবে না তবু এটাই করতে হবে কারণ এতদিন যা করেছিল তা হয়ত ঠিক করেনি।
৫.১০০০ টাকা থেকে ৫লাখ টাকা বেশি এটা দিনে ৫বার বলতে হবে।কারণ খামারীরা ১০০০ টাকা বাচাতে গিয়ে প্রায় ই ৫ লাখ টাকা হারিয়ে ফেলে।
৬।আগে এমন করেছি,এমন লোক তেমন করেছিল,এটা দিয়ে ছিলাম।অনেকদিন ধরে মুরগি পালি এসব কথা বলা যাবেনা এবং আগের অনেক কিছু ভুলে যেতে হবে।
৭ আগে যা করেছেন তার ৫০% ভুল ছিল তাও মানতে হবে।
৮।যতক্ষন না আমি না বলবো ততক্ষণ মেডিসিন চালাতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে।
৯।প্রয়োজন অনুযায়ী মেডিসিন পরিবর্তন হতে পারে এটাই নিয়ম তা মানতে হবে।
১০।আজকে যে রোগ হলো কালকে তার সাথে নতুন রোগ যোগ হতে পারে , প্রয়োজনে ২য় বার পোস্ট মর্টেম করতে হতে পারে এটা স্বাভাবিক তা বুঝতে হবে।
১১।প্রয়োজন অনুযায়ী টেস্ট করতে হবে
১২।রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে।আন্দাজে চিকিৎসা হবে না।
১৩।চিকিৎসা দেয়ার ১-৩ দিন পর কল দিয়ে বলা যাবে না স্যার মুরগি ভাল হয় নাই।প্রতিটা রোগ ভাল হতে একটা নির্দিস্ট সময় লাগে সে সময় দিতে হবে।
রোগ নির্ণয় করতে কত সময় লাগে
৫মিনিট থেকে ১ মাস লাগতে পারে রোগের উপর নির্ভর করে তবে ৮০% রোগ নির্ণয় করতে ১ম বার পোস্ট মর্টেম ও হিস্ট্রিই যথেস্ট।
১৫% রোগ ২য় বার দেখতে হয় বাকি ৫% রোগ ১মাস এর মত লাগতে পারে যেমন মেরেক্স,লিউকোসিস,আই বি , ই ডি এস ( নোট ঃকোন কোন সময় সব সময় না )
###খামারীর চাওয়া পাওয়া###
#খামারীর চাওয়া:ডাক্তার মুরগি সুস্থ করে দিবে।এটা ভুল।
ডাক্তারের ভুমিকা:
রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, প্রোগ্নোসিস মানে কতগুলো মুরগি মারা যেতে পারে,প্রডাকশন কত কমতে পারে,সুস্থ হবার পর ডিম কত বাড়তে পারে,সুস্থ হতে কতদিন লাগবে,চিকিৎসার খরচ কি রকম হবে,রাখলে লাভজনক হবে কিনা এসব বিষয়ে ধারণা দেয়া।
#ডাক্তার ও খামারীর সম্পর্ক
প্রচলিত:মুরগি অসুস্থ হলে ডাক্তারের ইনকাম বাড়ে (ক্ষণস্থায়ী)।এটা বলতে ভাল শুনা যায়না,কিন্তু এটিই সত্যি।
বিকল্প:ডাক্তার ফার্মের জন্য নিয়োজিত থাকবে,সব কিছু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হবে।
খামারী ডাক্তারকে নির্দিষ্ট ফি দিবে।
ফলাফল:এতে খরচ কম হবে,লাভ বেশি হবে।ডাক্তার ফার্ম কে নিজের মনে করে সব কিছু করবে।
2.কোন রোগ ভাল হতে কত দিন লাগে(মিক্স ইনফেকশন হলে কিছু কম বেশি হবে)
১। এ ই(এনসেফালাইটিস) লেয়ারে হলে ১৪দিনের মধ্যে প্রডাকশন ঠিক হয়ে যায়.
২। আই বি ১ -২মাস
৩। মেরেক্স ১-৬ মাস
৪।করাইজা ১-৩ সপ্তাহ
৫।এ আই ১-২ সপ্তাহ
৬।নেক্রোটিক এন্টারাইটিস ৫-১০দিন
৭।ই ডি এস ১ -২মাস
৮।পক্স ২-৪ সপ্তাহ
৯। আই বি এইচ ৭-১০দিন
১০।গাম্বোরো ৪-৫ দিন
১১। আই এল টি ১-২ সপ্তাহ কোন কোন সময় ৪ সপ্তাহ
১২।স্টাফাইলোকক্কাস ১-২ মাস
১৩।আমাশয় ৫-৭দিন
১৪ । লিউকোসিস ১-৪ মাস
১৫।রানিক্ষেত ৭-১০দিন কোন কোন সময় বেশি লাগতে পারে।
১৬।রিও ২-৩ সপ্তাহ
১৭।পেঠে পানি জমা ১-৪ সপ্তাহ ব্রয়লারে হয়
১৮ টাইটার উঠতে লাগে ৭-১০দিন
3।কোন রোগ এক মুরগি থেকে আরেক মুরগিতে ছড়ায় না
নিউমোনিয়া
4.কোন রোগের চিকিৎসা কমার্শিয়াল মুরগিকে না করে মুরগির বাবা মাকে করা উচিত।
রিও
আই বি এইচ
এন্সেফালাইটিস
5. সব ফার্মে পাওয়া যায় কোন রোগ
সালমোনেলোসিস
মাইকোপ্লাজমোসিস
আমাশয়
মাইকোটক্সিকোসিস
ই কিলাই
6.্কোন রোগ রিপিড হয়
কলেরা
করাইজা
7 কোন রোগ রিপিড হয় না
পক্স
এন্সেফালাইটিস
8.কোন রোগ একবার হলে ফার্ম থেকে সহজে দূর করা যায় না
পক্স
মেরেক্স
গাম্বোরো
কলেরা
আমাশয়
এ আই
এন ডি
9.কোন রোগে ওজন কমে যায়
স্টেফাইলোক্কোসিস
রিও
আমাশয়
মেরেক্স
10.কোন রোগকে সবাই ভয় পায় এবং মর্টালিটি ০-১০০% হতে পারে
এ আই
রানিক্ষেত
১১।কোন রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ব্রিডারে করা উচিত
সালমোনেলা,মাইকোপ্লাজমা,মেরেক্স,লিউকোসিস