ক্যালসিয়ামের অপব্যবহার ইপিডেমিক আকার ধারন করেছে।
২ দিন আগে ঢাকা মিরপুরের একটা পরামর্শ দিলাম।গাভীটার ২৫–৩০ লিটার দুধ হওয়ার কথা, হচ্ছে ৫ লিটার সম্ভবত।শুধু কাচা ঘাস খায়,দানাদার খাদ্য খায় না।তাও খেতনা একজন ডাঃ গরু খাচ্ছিল না চলতে উঠতে কষ্ট হয়,দেখে বেশ কিছু ক্যালসিয়াম দিয়েছে। আর ক্যালসিয়ামের ভিতর ডেক্সট্রোজ আছে বিধায় গরুর কিটোসিস ছিল তাতে কাজে লেগেছে।তাই ঘাসটা খাচ্ছে,দানাদার খাচ্ছে না।কেসটা চিকিৎসার পর সংশ্লিস্ট চিকিৎসককে সবার অবগতির জন্য একচা ষ্ট্যাটাস দিতে বলবো আশা করি।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে পরামর্শগুলো চাই,তার অধিকাংশই হাইপারক্যালসেমিয়া।
আজ সকালে আমার ব্যক্তিগত ভ্যাসপা নিয়ে যশোর থেকে আমার গ্রামের বাড়ী জহুর পুর যাচ্ছিলাম,উদ্দেশ্য আমার গোস্টির এক চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুজনিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়া।খাজুরা বাসষ্টান্ডে পৌছলে আমার এক আত্বীয় রিপ্রেজেনটেটিভ আমাকে একটা ফোন ধরায়ে দিল।আমার এক শিষ্য আমারজন্য ব্যাস্ত হয়ে গেছে,কিন্তু আমার ফোনে পাচ্ছেনা। আমার তাকে একটু সময় না দিলে উপায় নেই।অবশেষে বিনা পয়সার রোগী দেখতে রাজী হলাম।একটা গাড়ী আনলো ড্রাইভার ভাতিজাকে নিয়ে ৩জন রওনা হলাম।শালিখা উপজেলার সর্সিনা গ্রামে। গরুটা অত্যন্ত ক্ষীনকায় ৫ লিটার দুধ হচ্ছে।হওয়ার কথা ২৫–৩০ লিটার খাওয়ার চাহিদা একটু হয়েছে,কিন্তু পর্যাপ্ত না মালিকের অভিযোগ পায়ে ব্যাথা হাটতে পারে না। দেখলাম ব্যাথার ইনজেকশন জমা রয়েছে,চলেছে আরো চলবে।আমার ৩ জন শিষ্য ছিলো একজন কানে কানে বলল ছার ক্যালসিয়াম বেশী হয়ে গেছে না।আমি সম্মতি দিলাম।ইতিহাস পেলাম গাভীটার দাম হয়েছিল ৩ লক্ষ তিন মাস পুর্বে মুখ বাকা একটা বাছুর হয়েছে।ভাল বাচ্চা পাবার আসায় ২ লিটার ক্যালসিয়াম মুখে খাওয়ায়েছে।বাচ্চা দেবার পর গাভী তার নিজের ৮ লিটার দুধ খেয়ে ফেলে। পরের দিন আর উঠতে পারছিল না।ডাঃ সাহেব ৬০০ মিলি ক্যালসিয়াম শিরায় দেছে,পরে উঠেছে, কিন্তু গরুর চামড়া শক্ত হয়ে গিছলো পিঠ উঠের মত বাকা হয়ে গেছে, উঠতে চলতে কস্ট,খাওয়া কম,দুধ কম,অতপর আরো ৫ লিটার ক্যালসিয়ামের ৩ লিটার মুখে খাওয়ায়েছে।আমার এক ছাত্র ৩ গ্রাম মত ম্যাগ সালফ ইনজেকশন দিয়েছে।পিট বাকা কিছুটা উন্নতি,অবশেষে রুচি পাউ ডার খাও য়ায়ে এখন খাওয়া ভাল কিন্তু পায়ে ব্যাথা হাটতে পারে না, ব্যাথার সমস্যাটা মালিকের কাছে বড় সমস্যা,আর দুধ কম।
আমার পর্যবেক্ষন গর্ভবতী অবস্হায় ক্যালসিয়ামের তেমন প্রয়োজন নেই।মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম হয়েছে। তা তার গাভীর শরীর শক্ত করেছে কিন্তু শক্তিশালী বড় গাভী তাই অনুমিত হয়নি, কিন্তু ভাত বা দুধ বেশী খাওয়ালে একদিকে পাতলা পায়খানা অন্যদিকে তা পেটে পচে এ্যালকোহল হয়।ফলে একদিকে পাতলা পায়খানার কারনে গাভী দুর্বল,এ্যালকোহলের নেশায় গায়ে বল পড়ে গেছে।আর ক্যালসিয়ামে পেশীর ষ্টীফনেস তখন ধরে বসেছে।ফলে গরু আর উঠতে পারছেনা।তখন ক্যালসিয়ামের অভাব মনে করে ডাঃ দেছে একবারে ৬০০মিলি ক্যালসিয়াম।এবার ক্যালসিয়াম আরও জেকে ধরেছে।এখন গাভীর পিঠটা উঠের মত গায়ে মাংশ নেই।পেশী গুলো শক্ত। এটাকে তারা মনে করছে পায় ব্যাথা।
চিকিৎসা দিলাম একবারে ১০ গ্রাম ম্যাগ সালফ চামড়ার নীচে।ডেক্সাভেট ইনজেকশন ভাল কাজ করতো,ডাইইউরেটিক্স ভাল কাজ করতো দুধ কমে যাবে তাই করলাম না।ডেক্সট্রোজ ১০% ভাল কাজ করতো দেয়া ঝামেলা তাই দিলাম না। একটা ওরাল মিনারেল( এ্যালকালাইন ইন নেচার) সাথে ডেক্সট্রোজ পাউডার ওরাল, আর দুধের জন্য একটা প্রিমিক্স পাউডার দিলাম।এগুলো আমার পরিক্ষীত এতে ভাল হবে।
মুল চিকিৎসা বলেছি,যেমন ডেক্সট্রোজ আই/ ভি,( কয়েকবার) ফ্রুসিড,ডেক্সাভেট।
ডা এস কে ফিরোজ আলম