Progeny Test :

সহজ কথায় একটি ষাড় কতটা ভাল তার বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষআর সূচকই প্রজেনী টেস্ট
যেমন বুলের কন্যাদের দুধ উৎপাদন
স্বাস্থ্য ও প্রজনন ক্ষমতা ,সর্বোচ্চ গড় দুধ, দুধে ফ্যাটের পরিমাণ ,দুধে প্রোটিনের পরিমাণ ,দুধে সোমাটিক সেল কাউন্ট হার,দীর্ঘদিন উৎপাদনশীলতার হার ,কন্যার গর্ভধারণের হার,বকনার গর্ভসঞ্চারের হার গাভীর গর্ভসঞ্চারের হার ,দুধে ছানা বা চীজ উতপাদন হার,গাভীর খাদ্য শরীরের কাজে লাগানোর ক্ষমতা ,বাচ্চা প্রসব সহজ ও জটিলতাবিহীনের হার, বাচ্চা মৃত্যুর হার ,ওলান প্রদাহের হার ,বাট লম্বা ও সুবিন্যস্ত, দৈহিক গঠন আকার আকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে বুলের যোগ্যতার কিছু সূক্ষ্ণ হিসাব নিকাশ

ব্রিডিং ভ্যালু (Breeding value) হচ্ছে পিতামাতার দুধ দেয়ার ক্ষমতা সন্তানের কাছে কতটুকু পৌছে তার একটা হিসাব.

Proven Bull:

Proven Bull বা প্রমাণিত ষাড় হচ্ছে এমন একটা ষাঁড় যার সিমেন বা বীজের গুনাগুন ফিল্ডে টেস্ট করা এবং যার প্রোডাকশন পারফর্মেন্স টা প্রমাণিত বা প্রুভেন!

একটা ষাড়ের সিমেন ভাল না খারাপ তা আমরা বের করতে পারি নিন্মোউক্ত উপায়ে

১) ষাঁড় টার বাহ্যিক আকার আকৃতি বা এপিয়ারেন্স দেখে অর্থাৎ ষাঁড় যেহেতু দেখতে হৃষ্টপুষ্ট, আশা করা যায় এর বাচ্চা বা প্রজেনীটাও ভাল এবং প্রজেনীর দুধ প্রোডাকশন ভাল হবার সম্ভাবসভাবনা থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় একে Individual Selection বলে
(যদি ও এটি শতভাগ কার্যকরি নয়)

২) ষাড় এর বাবা মার পারফরমেন্স দেখে!
বাবা মা ভাল দুধ দিলে ছেলের বিজে ভাল বক্না ও মেয়ের কাছ থেকে ভাল দুধ পাওয়ার আশা করা যায় বিজ্ঞানের ভাষায় Pedigree Selection বলে

৩) ষাঁড়ের বিজে জন্মানো বাচ্চার আগামীতে দুধসহ সকল পারফঅরমেন্স দেখে ষাড় সিলেক্ট করা কারন প্রজেনী বা বাচ্চার রেজাল্ট যেহেতু ভাল বাবার সিমেনের গুনটাও নিশ্চিত ভাবে ভাল হবে

উপরোক্ত পদ্ধতির মধ্যে বিশ্বে প্রজেনী টেস্টিং পদ্ধতিটা বিশ্ব স্বীকৃত কারন এর মাধ্যমে সবচেয়ে কার্যকরভাবে কোন ষাড়ের সিমেনের গুনাগুন বুজা যায়

তবে শুধুই দুধ বেশি দিলে সেই ষাড়কে ভাল বলা যাবেনা কারন দুধ দানের total সময়কাল, বাচুরের
মৃতু্হার সফল বাচ্ছা প্রসবহার ইত্যাদি অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করবে ষাড়টি কেমন

Pedigree: এক কথায় গাভী বা বুলের বংশগত পরিচয়কে তার পেডিগ্রী বুঝাই
তার মা বাবা ,দাদা দাদী,নানা,নানী ,পর দাদা পর দাদী ,পর নানা পর নানী সবার পরিচয় এর সুসংবদ্ধ ইতিহাস যা নিরভুলভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে

Inbreeding: মুলত নিজ রক্তের সাথে রক্তের মিশ্রণ কে ইনব্রিডিং বা আন্তঃপ্রজনন বলে আরেক্টু সহজভাবে বল্লে নিকট আত্মীয়তাসূত্রে আবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন হচ্ছে inBreeding.

যেমন গাভীতে উতপাদিত ষাড়ের সাথে আবার সেই গাভীর সাথে প্রজনন,বা সেই গাভীর বক্নার সাথে ঐ ষাড়ের প্রজনন, বা বক্নার বাবার সিমেন আবার তাকে দেওয়া ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে ইনব্রিডিং হয়ে থাকে . ইনব্রীডিং এ জন্মনেওয়া পশু অনেক ধরেন সমস্যায় ভুগে এবং এদের প্যারফমেন্স ভাল হয়না ডেইরি সেক্টরে এক্টি অভিশাপ সরুপ

পেডিগ্রি রাখা ও জানা:
উপরের আলোচনা থেকে হয়ত বুজছেন কেনো পেডিগ্রী জরুরী! পেডিগ্রি না থাকলে ইনব্রিডিং এর চান্স থাকে!
জাত উন্নয়নের জন্য গাভিতে ভাল বিজ দিয়ে 9মাস অয়েট করলেন অই গাভির ধরলাম বক্না হল
তার সাথে যোগ করেন আরো 18(heat)+9 মাস মোট 36/37 মাস পর বুঝতে পারলেন আপনি যা আশা করলেন তা আপনি পেলেন্না ৩টা বছর বরবাদ গেল আপ্নি একটা জেনারেশন পিছাই পরলেন!

দুঃখের বিষয় আমাদের সরকারি বুলের প্রপার পেডিগ্রি বা প্রজেনি নাই থাক্লেও গুটি কয়েক আর তা যথেষ্ট তথ্যসম্বলিত না আর চাহিদার তুলনায় কম সং্খক বুল থাকাই আমরা ইনব্রীডিং এর ভাল ঝুকির মধে্য রয়েছি
আর সরকার থেকে আমাদের পেডিগ্রী রক্ষায় বা জাত উন্নয়নে বিশেষ কোন তাগদা দেওয়া নাই
যে যেভাবে পারছে একটা আইডিয়ার উপর অমুক গাভিতে তুমুক ষাড়ের সিমেন দিয়ে দিচ্ছে.

সরকারে দিকে হা করে না তাকাই থেকে
আমাদের উচিত গাভী কেনা বা ষাড়ের সিমেন ইউজের সময় তার বংশ এবং প্রজেনি সম্পরকে যতটুকু সম্ভব জানা এবং ব্যবহার করা সিমেন ও সেই গাভীর সব ধরনের জাবতীয় তথ্য record keeping a লিপিবদ্ধ রাখা এর ফলে উক্ত বক্না বা ষাড় বিক্রির সময় ক্রেতা কে উপহার স্রুপ পেডিগ্রি ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আগামী দিনের পথচলায় সাহায্য করা
আমাদেরকেই শুরু করতে হবে আমরা আগালে আগাবে দেশ ও দেশের কৃষিখাত

লেখক: Saeed agro

খামার এবং বাসা বাড়িতে প্রাকৃতিক ভাবে মাছি তাড়ানোর উপায়

ভিনেগার:

ঘরে বেশি মাছি হলে সারা ঘরে ভিনেগার স্প্রে করে দিন। অথবা একটি রুমাল ভিনেগার দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে, রুমালটা সারা বাড়ি নেড়ে নেড়ে ঘুরিয়ে আনুন। দেখবেন মাছি গায়েব।

শসা:

শসা মাছি তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকরী। কয়েক টুকরো শসা রান্নাঘরের জানলায় বা খাবার ঘরের জানলার পাশে রেখে দিন। দেখবেন মাছি আপানর ঘরে আর আসছে না।

কর্পূর:

কর্পূর মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী। কিছুতে ধোঁয়া তৈরি করে তাতে কর্পূর ছিটিয়ে দিন। কর্পূরের ধোঁয়া ঘরে কিছুক্ষণ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আর আসছে না।

পুদিনা পাতা:

বাগানে পুদিনা পাতার গাছ লাগান দেখেবন মাছি আপনার বাগান থেকে দূরে আছে। ঘরের টবে পুদিনা পাতার গাছ লাগান এবং সেটি খাবার ঘরে রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না।

এসেন্সিয়াল অয়েল:

এসেন্সিয়াল অয়েল ঘরকে শুধু সুভাষিত করে না। এটি ঘর থেকে মাছি তাড়াতেও সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডার, লেবু, ইউক্যালিপ্টাসের এসেন্সিয়াল অয়েল স্প্রে করে দিন খাবার ঘরে। আপনি চাইলে রান্নাঘরেও স্প্রে করতে পারেন। মাছি আপনার বাসা থেকে দূরে থাকবে।

আপেল এবং লবঙ্গ:

একটি ঝুড়িতে বা বাটিতে আপেলের সাথে কয়েক টুকরা লবঙ্গ দিয়ে রান্নাঘরের জানলায় বা খাওয়ার ঘরের জানালার পাশে রেখে দিন। আপনি চাইলে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন পরিষ্কার করার কাজে। মাছি লবঙ্গের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরে মাছি ঢুকলেও খুভ দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লবঙ্গ তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

গোলমরিচ:

একটি স্প্রে বোতলে কিছু গোলমরিচের গুঁড়া আর পানি নিন। খুব ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে সারা বাড়ি স্প্রে করে ফেলুন। দেখবেন আপনার বাসায় আর মাছি আসছে না।

দারুচিনি:

দারুচিনির গন্ধ মাছি পছন্দ করে না। দারুচিনির এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। দেখবেন মাছি ঘর থেকে দূর হয়ে যাচ্ছে।

লেমন গ্রাস:

একটি স্প্রে বোতলে লেমন গ্রাস অয়েল এবং গরম পানি নিন। এবার ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন লেমন গ্রাস অয়েল ও গরম পানি। এবার দরজা জানলার কাছে ভালো করে স্প্রে করে দিন।

কমলার খোসার ব্যবহার:

শুকানো কমলার খোসা রেখে দিন খাবারের আশেপাশে। মাছি সেই খাবার থেকে দূরে থাকবে।

,,,Md.Mamun

Write a comment…