Breaking News

কুকুর নিয়ে কথা ঃ

কুকুর নিয়ে কথা ঃ

কুকুর নিয়ে কার না কত কৌতুহল, কুকুর কেন এত প্রভুভক্ত,?? এত ঘ্রান শক্তি কেন? কিভাবে ট্রেনিং গ্রহন করে,?? কুকুর পালা যাবে কিনা?? আরো কত কি?? সব তো আমি একসাথে বলা যাবে না,,
একটু করেই শিখি আমরা!!

কুকুরের খ্যাতি মানুষের কাছে প্রধানত দুটো কারণে। অটল প্রভুভক্তি যদি প্রথম কারণ হয়, তবে দ্বিতীয় কারণটি তার অলৌকিক ঘ্রাণ শক্তি।কিন্তু কুকুরের ঘ্রাণ শক্তির পেছনে কি এমন শারীরবৃত্তীয় কারণ রয়েছে যা তাদের গন্ধ শুঁকেই পৃথিবী চিনতে সাহায্য করে আজ সেটাই আমরা জানবো।

কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি ঠিক কতটা প্রবল হয় সে সম্পর্কে আমাদের অর্থাৎ প্রকৃতি মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যে কোন নুন্যতম ধারণাই নেই সেটা হলফ করে বলতে পারি। পাড়ার যে নেড়িগুলোকে দেখে আমরা তাড়িয়ে দিই ঢিল ছুঁড়ে ওদের ঘ্রাণ ক্ষমতাই স্রেফ মানুষের থেকে দশহাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হয়।আর বিদেশি প্রজাতির কুকুরদের বিশেষ করে প্রশিক্ষিত পুলিশ কুকুরদের এই ক্ষমতা এক লক্ষ গুণ পর্যন্ত বেশি হয় মানুষের থেকে।জেমস ওয়াকার, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্সর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক তার সহকর্মীদের নিয়ে একটি গবেষণায় যে তথ্য পেয়েছেন সেটা শুনলে হয়ত একটু আধটু ধারণা হতে পারে আমাদের এই সারমেয় বন্ধুটির ঘ্রাণ ক্ষমতা সম্পর্কে।কুকুরের ঘ্রাণ ক্ষমতাকে যদি দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে তুলনা করি তাহলে মানুষের দৃষ্টিশক্তি যেখানে এক মাইলের তিনভাগের এক ভাগ দূরত্বের বেশি প্রসারিত হয় না সেখানে কুকুরের দৃষ্টিশক্তি তিন হাজার মাইলের বেশি দূরত্ব দেখতে সক্ষম।

কিন্তু কুকুরের এই অসাধারন ঘ্রাণশক্তির রহস্যটা কি? আমাদের মস্তিষ্কের তুলনায় প্রায় চল্লিশ গুণ বেশী অংশ কুকুরের মস্তিষ্কে ঘ্রাণ সংক্রান্ত কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ। মানুষের নাকে যেখানে ষাট লক্ষ ঘ্রাণ রিসেপ্টর রয়েছে, কুকুরের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা তিরিশ কোটি। এখানে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে কুকুরের যা তাকে অন্য সব প্রাণীর থেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে ঘ্রাণ ক্ষমতার বিষয়ে সেটা তার ঘ্রাণ নেওয়ার পদ্ধতি।আমাদের শ্বাস গ্রহণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হল আমাদের নাকে শ্বাসবায়ু আর ঘ্রাণ গ্রহণের পথ একটাই। ফলে আমরা যখন শ্বাস ছাড়ি, তার সাথে সাথে গ্রহণ করা ঘ্রাণ অণুগুলোও বেড়িয়ে যায় এবং আমরাও কোন ঘ্রাণ অণু সঞ্চয় করে রাখতে পারি না।কুকুরের শ্বাস গ্রহণ আর ঘ্রাণ নেওয়ার এই পরিকাঠামোটাই আলাদা আলাদা ভাবে গঠিত। কুকুর যখন শ্বাস গ্রহণ করে সেই গৃহীত শ্বাস বায়ুর বারো শতাংশ চলে যায় নাকের পেছনে অবস্থিত ঘ্রাণ প্রকোষ্ঠে,আর অবশিষ্ট বায়ু প্রবেশ করে ফুসফুসে।এবার কুকুর যখন শ্বাস ত্যাগ করে ত্যাগ করা বায়ু আমাদের মত প্রবেশ পথ দিয়েই বেরিয়ে না গিয়ে নাসারন্ধ্রের দুপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় আর মধ্যিখান দিয়ে শ্বাসবায়ু নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করতে থাকে।

ফলতঃ ঘ্রাণ গ্রহণ অবিরাম চলতেই থাকে।এটা ছাড়াও কুকুরের নাক আরও একভাবে তাকে ঘ্রাণ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অবিসংবাদী নায়ক করে তুলেছে।কুকুরের নাকের ডগা সর্বদা ভেজা থাকে। ক্রমাগত মিউকাস নিঃসরণের ফলে নাকের ডগা ভিজে থাকে আর এই ভিজে থাকার একটা দারুণ সুবিধাও আছে।ভেজা নাকে ঘ্রাণ অণুগুলোও আটকে থাকে যা গন্ধ শুঁকে চিনতে সাহায্য করে।

 

১। মানুষ প্রায় ৩০ হাজার বছর পূর্বে পোষাপ্রাণি হিসেবে কুকুরকে নিজেদের সাথে রাখতে শুরু করে।

২। ধারণা করা হয় কুকুর নেকড়ের পূর্বপুরুষ ছিল। এর কারণ আজ পর্যন্ত কুকুর ও নেকড়ে প্রজাতির ডিএনএ তে ৯৯.৯% মিল পাওয়া যায়।

৩। বিশ্বের সবথেকে বয়স্ক কুকুরের নাম ছিল ম্যাগি, যা ৩০ বছর বয়সে মারা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া ম্যাগি ১৪ এপ্রিল, ২০১৬ সালে মারা যায়।

৪। কুকুরের রক্ত ১৩ প্রকার হয়ে থাকে যেখানে মানুষের রক্ত মাত্র চার প্রকার (O, A, B, AB) ।

৫। গড়ে ২ বছর বয়সের একটি কুকুরের বাচ্চা যে পরিমাণ বুদ্ধিমান হয় তাতে তা মাত্র ১৫০ টি শব্দ বুঝতে পারে।

৬। মহাকাশে গমনকারী প্রথম জীব ছিল একটা কুকুর। লাইকা নামের একটি কুকুরকে ৩ নভেম্বর, ১৯৫৭ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে পাঠিয়ে দেয়। অত্যধিক চাপ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাইকা মারা গিয়েছিল।

৭। কুকুরের শুধুমাত্র নাক ও থাবা দিয়ে ঘাম বের হয়।

৮। ১০ বছর অতিবাহিত হওয়া শতকরা ৫০ ভাগ কুকুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

কুকুর কি নিকৃষ্ট প্রানী?

পবিত্র কোরআন ও হাদিসেও কুকুর সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। কোরআনের কিছু কিছু স্থানে| আল্লাহ পাক কিছু মানুষ সর্ম্পকে কুরআনে বলেছেন “এরা হলো চস্তুপদ জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট” আবার কুরআনে বর্ণিত আসহাবে কাহাফের ঘটনাতে দেখা কাফের দাকিয়ানুস বাদশাহর সময় যায় আল্লাহ কিছু প্রিয় বান্দাদের একটি কুকুর সাহায্য করেছিলেন।
আর হাদিসে বলা আছে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে শিকার করা জায়েজ। বিনা অপরাধে কুকুর কে হত্যা অথবা প্রহার করা যাবে না । কারণ রাসুল(সাঃ) বলেছেন সকল প্রাণী/সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে |

কুকুরেরা কেন পা তুলে মূত্র বিসর্জন দেয়। কী কারণে তাদের এই অদ্ভুত ত্যাগাভ্যাস…?
viva que ১০২ তে আমাকে এই প্রশ্ন ধরেছিলো।
.
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এভাবে মূত্র বিসর্জন করা হয় একটা বিশেষ মতলবে।
কুকুরের ক্ষেত্রে মূত্র বিসর্জনের প্রধান উদ্দেশ্য শুধু তরল বর্জ্য বের করা নয়, বরং এটা অন্যান্য কুকুরের জন্য একটা বার্তা হিসেবেও কাজ করে। বার্তাটা এরকম,
“ঐ দূরে থাক। এইডা আমার এলাকা।” মানে তার teritory select করা।
যেখানে যেখানে তার মূত্র, সেখানে সেখানেই তার জায়গা- এটাই সূত্র।
.
কিন্তু প্রশ্ন হল, ‘মুতলেই তো হয়, পা তুলতে হবে কেন?’
এ ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ, লেখক মার্টি বেকার এর মত, “পা তুললে কুকুর তার মূত্র আরো উঁচুতে ছুঁড়ে দিতে পারে, যাতে অন্য কুকুরে আরো সহজে টের পায় আর গন্ধটাও যাতে বাতাসের সাথে আরো দ্রুত, আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ে।”
.
এছাড়াও কারো কারো মতে, আরো বেশী উঁচুতে গন্ধ ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে আরেকটা দারুন কারণ কাজ করে। কুকুরেরা উঁচুতে প্রস্রাব ছড়িয়ে নিজেদের আরো বড়,বিশাল হিসেবে দেখাতে চায়।
.
আর উঁচু বা খাড়া দাঁড়িয়ে থাকা কোন কিছুর উপরেই মূলতঃ কুকুরেরা মূত্র বিসর্জন করে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, হরিজন্টাল সার্ফেস থেকে ভার্টিকাল সার্ফেসে যেকোন গন্ধ বেশী সময় ধরে টিকে থাকে। একই সাথে অন্য কুকুরদেরও এই চিহ্ন খুঁজে পেতে সহজ হয়, কারণ এটা তাদের নাকের কাছেই থাকে।
.

কুকুর হত্যায় সর্বোচ্চ প্রথম শাস্তি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দুটি মা কুকুরকে পিটিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ও ১৪টি দুধের বাচ্চাকে জীবিত পুঁতে ফেলার মামলায় রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তা কর্মী ছিদ্দিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদ-ের পাশাপাশি ছিদ্দিককে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদ- দেয়া হয়েছে। প্রাণী হত্যার দায়ে বাংলাদেশে এটাই সর্বোচ্চ সাজার রায়।

জানতে চাইলে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মিনু রানী রায় বলেন, প্রাণী হত্যার দায়ে বাংলাদেশে এটাই সর্বোচ্চ সাজার রায়। এর আগে দু’একটি মামলায় ৫০/১০০ টাকা জারিমানা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক আসামিরা ওই জারিমানা দিয়ে আদালত থেকে রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু এ মামলায় আইন অনুসারে সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। এ রায়টি বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্তর হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষার আইনটি অনেক পুরনো। এ আইনের সংস্কার প্রয়োজন। প্রাণী হত্যাকারীদের কঠোর বিচার হলে অপরাধীরা নিরুৎসাহীত হবেন।

আদালত সূত্র জানায়, রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তা কর্মী ছিদ্দিক ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টা হতে ১১টার মধ্যে রামপুরা থানাধীন বাগিচারটেক ৩৫/২ নম্বর বাড়ির পাশের খালি প্লটে থাকা দুইটি মা কুকুর ওই ২টি কুকুরের ১৪টি বাচ্চাকে লোহার রড দিয়ে পেটায়। মা কুকুর দুটিকে অর্ধমৃত অবস্থায় পা বেঁধে এবং ১৪ কুকুরের বাচ্চাকে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়।

ওই ঘটনায় ১ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানায় পিপল ফর এ্যানিমেল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে গত ৩০ নভেম্বর রামপুরা থানার এসআই নাছির উদ্দিন আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

আরো একটি ঘটনা জেনে থাকবেন আপনারা, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় একটি কুকুর একজনকে হত্যার দায়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে।। Md. Shahadat Hossain Suvo ভাই বলবেন ঘটনাটি।।

কি কারণে কুকুর পা তুলে উঁচু জায়গাতে প্রস্রাব করে?

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: আপনারা নিশ্চয় বলিউডের সোলজার সিনেমাটি দেখেছেন। সেখানে ববি দেওয়ালের ইশারাতে একটি কুকুর জোজোর মুখে গিয়ে প্রস্রাব করে দেয়। তাছাড়াও আপনারা রাস্তা ঘাটে অনেক কুকুরকে ঘুরতে দেখেছেন। আপনারা নিশ্চয় এও দেখেছেন কুকুরকে উঁচু জায়গাতে প্রস্রাব করতে। কিন্তু জানেনে কি? কুকুরের এমন কেন করে? যদি না জেনে থাকেন, তবে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কুকুর উঁচু জায়গাতে কেন প্রস্রাব করে!

এই পৃথিবীতে অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকে। কিন্তু কখনও কুকুর নিচু জায়গাতে প্রস্রাব করে না। পুলিশ সব সময় কুকুরকে ব্যবহার করে থাকে অপরাধীকে চিহ্নিত করার জন্যে। দেখেছেন সেইসব কুকুর কিভাবে একজন অপরাধীকে তার ঘ্রাণ শক্তি দিয়ে বুঝে ফেলে, পুলিশের কাজকে আরও সহজ করে দেয়। কুকুর না থাকলে হয়তো বা আমাদের পুলিশ প্রশাসন অনেক অপরাধীকে চিহ্নিতই করতে পারতো না এত সহজে।

কুকুর সাধারণত গাছ, পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ার বা এমন কিছু উঁচু জায়গা খুঁজে খুঁজে বের করে প্রস্রাব করার জন্যে। কুকুরের এমন অভ্যাসের কারণ, অন্য এলাকার কুকুরদের মেসেজ দেওয়া। অন্য এলাকার কুকুর নিজেদের ঘ্রাণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রস্রাবের গন্ধ শুকে সহজেই বুঝে যায় যে এলাকাটি কার দখলে। ফলে ঝামেলা না বাড়িয়ে সেই এলাকা থেকে সরে যায় অন্য এলাকার কুকুররা। আবার যদি প্রস্রাবের গন্ধ শুকে মনে হয়, এটি একটি দুর্বল কোনো কুকুরের ঘাঁটি- তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তখন ওই এলাকাতে প্রবেশ করে খাবার-দাবার সব লুটপাট করে বেশ আরাম করেই।


৬-১২ মাস বয়সেই নাকি কুকুরেরা এটা রপ্ত করে ফেলে।

ডা মহিউদ্দিন তারেক

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বিড়াল পর্ব ঃ

বিড়াল পর্ব ঃ১ আজকে আলোচনা করবো ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় নিয়ে,,, বিড়াল কবে থেকে পোষ মানে?? …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »