Breaking News

ওলান ফোলা vs ওলান প্রদাহ(ম্যাস্টাইটিস) এবং বাটে রক্ত আসা, বাটের ছিদ্র বন্ধ হওয়াঃবিস্তারিত

 পাঠ ঃ ১

ওলান ফোলা vs ওলান প্রদাহ এবং আমা‌দের ভাবনা।

দু‌টি সমস্যাকে আমরা প্রায়সই গু‌লি‌য়ে ফে‌লি। কারন আপাত চো‌খে দু‌টি দেখ‌তে এ‌কি রকম ম‌নে হয়।

আর এখা‌নেই আমরা ভুল‌টি ক‌রে থা‌কি। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ন উ‌ল্টো।
এক‌দি‌কে ওলান ফুলা বা ওলা‌নে পা‌নি আসা আদ‌তে কোন অসুখ নয় বরং এ‌টি এক‌টি আপাত নিরীহ টাইপ সমস্যা।

ই‌চ্ছে কর‌লে আপ‌নি তা‌কে সমস্যা নাও বল‌তে পা‌রেন।

আপ‌নি কোন কেয়ার না নি‌লেও তা ৮০% ক্ষে‌ত্রে ভা‌লো হ‌য়ে যায়; আর বা‌কি ২০% এর জন্য আমা‌দের কিছু ম্যা‌নেজ‌মেন্ট কর‌তে হ‌বে।

য‌দিও দেখ‌তে অ‌নেকটা  ম্যাস্টাই‌টি‌সের ম‌তো ম‌নে হওয়া‌তে অ‌নে‌কেই দু‌শ্চিন্তাগ্রস্ত থা‌কি।

কার হয়?
সাধারনত বকনা; প্রথম বাছুর দেবার  প‌নের দিন আ‌গে হ‌তে বাছুর দেবার মাস খা‌নে‌কের ম‌ধ্যে সীমাবদ্ধ থা‌কে।

ত‌বে কিছু ব্য‌তিক্রমও আ‌ছে। বকনা বাচ্চা দেবার কিছু‌দিন আ‌গে তার ওলা‌নের Massive change হয় কিন্তু সেরকমভাবে রক্তনালীগু‌লো প‌রিনত না হওয়ায় এবং জ‌টিল এক‌টি শরীরবৃ‌ত্তিয় প্র‌ক্রিয়ায় এ‌টি ঘ‌টে থা‌কে।

কথা তা নয়; কথা হ‌লো আ‌রো ক‌য়েক‌টি কার‌নে তা হ‌তে পা‌রে

যেমন ড্রাই পি‌রিয়‌ডে হাই এনা‌র্জি খাবার খাওয়া‌লে;

লবন বি‌শেষ ক‌রে সো‌ডিয়াম ও পটা‌সিয়াম বে‌শি হ‌লে (ড্রাই পি‌রিয়‌ডে খাবার লবন 50গ্রা‌মের বে‌শি নয়);

এবং খা‌দ্যে শষ্যদানা বে‌শি হ‌লে।

তাছাড়া ভিটা‌মিন ই ও জিন্ক এর অভাব হ‌লেও হ‌তে পা‌রে।
সাধারনত যারা খু‌দের ঝাউ/রাইস প‌লিস বে‌শি খাওয়ান তা‌দের বেলায় তা হ‌তে পা‌রে

কারন রাইস প‌লিস হাই এনা‌র্জি ডা‌য়েট তৈ‌রি‌তে সরাস‌রি জ‌ড়িত।

‌দেখ‌তে কেমন হয়?
ছ‌বি দেখুন; এ‌টি এক‌টি আদর্শ ওলা‌নে পা‌নি আসা কেস। ওলা‌নের পা‌নি ম‌নে হ‌চ্ছে সাম‌নের দু‌ধের শিরা পর্যন্ত ভ‌রে আ‌ছে। কিন্তু আপ‌নি জে‌নে আশ্চর্য হ‌বেন যে তা আদ‌তে শিরায় নয় বরং দুগ্ধ শিরার বাই‌রে অবস্থান কর‌ছে।

দেখ‌তে অ‌নেকটা মি‌হি; মোলা‌য়েম একটু থলথ‌লে টাইপ। কখনও কখনও লাল‌চে ব‌র্নেরও হ‌তে পা‌রে।

কিন্তু ম্যাস্টাই‌টি‌সের ম‌তো এ‌ক্ষে‌ত্রে শরী‌রের তাপমাত্রা বে‌শি হ‌বেনা কিংবা ম্যাস্টাই‌টিস আক্রান্ত ওলা‌নের ম‌তো এ‌তো শক্ত হ‌বেনা কিংবা দু‌ধের কোন প‌রিবর্তন হ‌বেনা মা‌নে কালার; সাধ; কোয়া‌লি‌টি‌তে কোন হ্যাম্পার কর‌বেনা।

প্রতিকার: 
প্রচ‌লিত প্র্যাক‌টিস হ‌চ্ছে কেউ কেউ এ‌ন্টি‌হিস্টা ব্যবহার ক‌রেন; কেউবা ডাইইউ‌রে‌টিকস।

তাছাড়া খু‌দের ঝাউ বন্ধ কর‌তে ব‌লেন; কেউবা আবার স‌রিষার খৈল বাড়া‌তে ব‌লেন কেউবা আবার একটু হাটাহা‌টি করা‌তে ব‌লেন।

৮০% ক্ষে‌ত্রে উপ‌রের যে‌কোন এক‌টি কর‌লেই ভা‌লো হ‌য়ে যা‌বে।
~ স‌ঠিক পদ্ধ‌তি হ‌লো গরম সেক দেয়া; এ‌তে ক‌রে ব্লাড ফ্লো বৃ‌দ্ধি পায় এবং অ‌তি‌রিক্ত তরলগু‌লো remove হ‌তে সহায়তা ক‌রে।
~ ডাই ইউ‌রে‌টিক ব্যবহার করা যা‌বে।
~ যথাযথভা‌বে সম্পূর্ন দুধ দোহন কর‌তে হ‌বে। সম্ভব হ‌লে দি‌নে তিনবার।
~ সামান্য হাটাহা‌টি কর‌া‌তে হ‌বে।
~ ফাইবার বাড়া‌তে হ‌বে কাচা ঘাস কমা‌তে হ‌বে।
~ উচ্চমাত্রার ME যুক্ত খাবার ও রেশ‌নে গম, ভুট্টা; ছনা ভাঙ্গা কমা‌তে হ‌বে।

এর মা‌ঝে কোন না কোন ভা‌বে সুস্থ হ‌য়ে যা‌বে। যেগু‌লো হ‌বেনা তা‌দের জন্য আপ‌নি অ‌লিভ ও‌য়েল; সামান্য মিন্ট যুক্ত ক‌রে ওলা‌নের মাঝ বরাবর নিচ থে‌কে উপ‌রের দি‌কে প্রশ্রা‌বের রাস্তার একটু নী‌চে পর্যন্ত বারবার ঘ‌ষে দি‌বেন অন্তত মি‌নিট দ‌শেক। তারপর দুধ দোহন করুন।

আ‌স্তে আ‌স্তে ক‌মে যা‌বে। য‌দি দুধ প্রডাকশন ঠিক থা‌কে এবং দু‌ধের কোয়া‌লি‌টি বাধাগ্রস্ত না হয় তাহ‌লে আপনার দু‌শ্চিন্তার কোন কারন নেই।

ম্যাস্টাই‌টিস/ওলান প্রদাহ‌তে কি হয়:
‌ডেইরী সেক্ট‌রের সব‌চে‌য়ে ক্ষ‌তিকর ও অর্থ‌নৈতিক গুরুত্ব বহনকারী রোগ।

শুধুই লস; শুধুই লস। যখন দেখা দি‌বে হঠাৎ ক‌রে দুধ প্রডাকশন ক‌মে যা‌বে; ট্রিট‌মেন্ট যে‌হেতু সময় সা‌পেক্ষ এবং দীর্ঘ‌মেয়াদী ও অ‌নি‌শ্চিত তাই অ‌নেকগু‌লো নগদ নারায়ন প‌কেট কে‌টে বে‌রি‌য়ে যা‌বে।

এবং যে‌হেতু অ‌নেকগু‌লো জীবানু দ্বারা তা হ‌তে পা‌রে সুতরাং প্রপার ডায়াগ‌নো‌সিস না হ‌লে অ‌নেকসময় এ‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক ফেল কর‌তে পা‌রে।

পার এ‌কিউট কে‌সে গা‌ভি শয্যাশায়ী হ‌তে পা‌রে এবং মারা যেতে পারে।

সুতরাং ম্যাস্টাই‌টি‌সের ক্ষে‌ত্রে কোন ধানাই পানাই হ‌বে না; সোজা ভেট‌কে কল করুন।

ম্যাস্টাইটিস এর প্রথম দি‌কে লাল‌চে শক্ত হ‌লে ঠান্ডা পা‌নি প্রেশার ক‌রে পাইপ দি‌য়ে দি‌তে পা‌রেন কিংবা বরফ সেক ;

এ‌তে ক‌রে প্রদাহ কম‌বে এবং গা‌ভি আরাম পা‌বে।

কিভা‌বে বুঝ‌বেন?
~ দুধ প্রডাকশন হঠাৎ ক‌রে ক‌মে যা‌বে।
~ গা‌য়ের তাপমাত্রা বে‌ড়ে যা‌বে।
~ ওলান ফু‌লে শক্ত হ‌য়ে যা‌বে; ব্যাথা অনুভব কর‌বে।
~ দু‌ধের রং; স্বাদ; ও গুনগত মান প‌রিবর্তন হ‌বে; কখনও বা দই এর ম‌তো; কিংবা পা‌নির ম‌তো কিংবা পুজ মি‌শ্রিত রক্ত আস‌তে পা‌রে।
~ গা‌ভি শু‌য়ে পর‌তে পা‌রে এবং এ স্টেজ থে‌কে রিকভা‌রির হার শু‌ন্যের কাছাকা‌ছি। এ অবস্থায় কা‌লিং করা ছাড়া কোন উপায় নেই।

অ‌ভি‌যোগ: অ‌নেকেই ব‌লেন যে এসময় এ‌ন্টিবা‌য়ো‌টিক দি‌লে দুধ ক‌মে যায়!!

আলবৎ ম্যাস্টাই‌টি‌সে দুধ কম‌বে তা যতটা এ‌ন্টিবা‌য়ো‌টি‌কের জো‌রে তার‌চে‌য়ে বে‌শি ম্যাস্টাই‌টি‌সের খারাপ প্রভা‌বের ফ‌লে। আর ট্রিট‌মেন্ট না করা‌লে দশ দি‌নের ম‌ধ্যে তা‌কে কসাই বা‌ড়ি‌তে পাঠা‌নোর প্রস্তু‌তি নি‌তে পারুন।

OTC কিছুটা দুধ কমায়; এ ল্যা‌ক্টেশ‌নে দুধ কম‌লেও প‌রের ল্যা‌ক্টেশ‌নে ঠিক হ‌য়ে যা‌বে এবং যে‌হেতু এ‌টি ওলান প্রদাহ তাই ওলা‌নের কিছু না কিছু ক্ষ‌তি‌তো হ‌য়ে‌ছে সুতরাং দুধ প্রডাকশন কম‌তে বাধ্য।

পরামর্শ:
উপ‌রের লক্ষন দেখামাত্র নিকটস্থ ভেট কে স্মরন করুন।

কারন ম্যাস্টাই‌টিস অ‌নেক ধর‌নের হ‌তে পা‌রে এবং এ‌কেক‌টির ট্রিট‌মেন্ট এ‌কেক ধর‌নের হয়।

সুতরাং আমার খামা‌রে এরকম হ‌য়ে‌ছি‌লো এরকম ড্রাগ দি‌য়ে‌ছি সুতরাং তোমার খামা‌রে তা দি‌য়ে দেখ‌তে পা‌রো টাইপ ট্রিট‌মেন্ট এ‌ক্ষে‌ত্রে এ‌ড়ি‌য়ে চলুন।

দশ দি‌নের ম‌ধ্যে উন্ন‌তি না হ‌লে কা‌লিং এর চিন্তা করুন No way man !!

‌লেখক:
ডাঃ মোঃ জোনা‌য়েদ কবীর
‌ভে‌টে‌রিনা‌রি সার্জন ও ভারপ্রাপ্ত ULO
উপজেলা প্রাণি সম্পদদপ্তর আলীকদম; বান্দরবান।
এবং
এড‌মিন সদস্য
আমরা ডেইরী ফার্মারস গ্রুপ।

পাঠঃ২

গাভীর ওলান প্রদাহ, বাটে রক্ত আসা, বাটের ছিদ্র বন্ধ হওয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত

গাভীর ওলান প্রদাহ (Mastitis).
বাটে রক্ত আসা (Bleeding from teat).
বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকা (Teat block).

গাভীর ওলান প্রদাহ (Mastitis).
“`
গাভীর ওলানের টিস্যুর প্রদাহকে ওলান প্রদাহ (Mastitis) রোগ বলে।

ম্যাসটাইটিস সাধারনতঃ ২ প্রকার, যথাঃ (Necrotic এবং HEMORRHAGIC)। এ রোগের কারনে গাভীর দুধ কমে যাওয়া থেকে শুরু করে চিরতরে ওলান/ বাট নষ্ট/বন্ধ হয়ে যায় এমন কি গাভী মারাও যেতে পারে।

প্রধানত ২২ থেকে ৫৬ প্রকার ব্যাকটেরিয়া, কয়েক প্রকার ছত্রাক ও মাইকোপ্লাজমা দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।

বিশেষ করে অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভী এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
বিভিন্ন ধরণের ম্যাস্টাইটিস


Strepto/Staphy– হলে প্রদাহ হবে।
Gangrenous —  ঠান্ডা,নীল এবং মাছি বসবে।
Leptospiral —  রক্ত/স্লিমি বা পানির মত দুধ আসবে।
Listerial — রক্ত/স্লিমি বা পানির মত দুধ আসবে।েকপাশে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হবে।
Tuberculus….টিটে টিউমার থাকবে।
Viral… এল এস ডি বা এফ এম ডি
Mycoplasmal… দুধের কাস্লার হলুদ হবে এবং দ্রুত দুধ কমে যাবে।
Fungal…চিকিতসায় রিজাল্ট পাওয়া যাবেনা।
Mecahnical…নতুন কেউ দুধ দোহন করলে

ম্যাস্টাইটিসের মত কিন্তু ম্যাস্ট্যাইটিস না।

আডার ইডিমা

বাচ্চা জন্মের পর হয়,জ্বর থাকেনা,ওলান নরম থাকে

2. Bovine ulcerative mammilitis :

Ulcerated area or erotive area

3. Udder impetigo :
Small small impetigo in teat and uder

Mastitis এর কারন….
> প্রথমত স্ট্রেপটোকক্কাই ও স্টেফাইলোকক্কাই গ্রাম পজেটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া ওলানে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। পরবর্তিতে আঘাত জনিত কারনে (বাছুরের দাতের মাধ্যমে, এুটিপুর্ন দহন ইত্যাদি) ক্ষতের সৃষ্টি হলে ওলানে কতিপয় এই জীবানুর বংশ বিস্তার ঘটে।
> ওলানের বাট সরাসরি নোংরা থেকে, অথবা দোহন কারীর হাত হতে এ রোগ হতে পারে।
> ওলানের ছিদ্র দিয়ে জীবানু প্রবেশ করলে এবং হঠাৎ দুধ দহন বন্ধ করলে এ রোগ হয়।
> অধিক দুধের চাপের কারনে দুধ জমাট বেধে এ রোগের সৃষ্টি হয়।

ম্যাস্টাইটিস  কি কি জাবাণূ দিয়ে হয়

1.In general contagious organisms, such as staphylococcus aureus, staphylococcus agalactia and Mycoplasma bovis tend to cause Mastitis.
2.In general the environmental organism causes clinical Mastitis (Abnormal Milk/ swelling of udder) 
3.streptococcus group of organism cause clinical Mastitis 50% of the time,and the colifroms organisms (Echericia coli,Klebsiella,enterobacter sp.etc causes Clinical mastitis 90% of the time.

কোন organism দিয়ে Mastitis হয়েছে, তা কিভাবে বুঝা যায়

A. secretions that smell foul and have a necrotic odor are usually caused by Arcanobacterium pyogenes or some anaerobe.

B.Secretions that are very watery accompanied by a swollen udder are generally caused by Coli from organisms.

C.Secretions that are watery,but red accompanied by a sick cow are generally caused by Staphylococcus aureus and carry a poor prognosis for recovery.

পাঠ ঃ৩

Mastitis এর লক্ষন…
> প্রধান লক্ষন হলো ওলান ফুলে যাওয়া।
> ওলানে ব্যাথা হয় এবং গরম হয়ে থাকে।
> বাছুরকে দুধ খেতে বাধা দেয়।
> আক্রান্ত বাট দিয়ে ঘোলাটে দুধ, ছানা, পুজ, পচা রক্ত ও পানি বের হয়।
> ওলানের আক্রান্ত দিক শক্ত হয় ও হাত দিতে দেয় না।
> ওলানের অংশ বিশেষ একদিকে বাকা হয়ে যায়।
> নাভীর নিচে পানি জমা হয়ে ইডিমা তৈরি হয়।

রোগ নির্নয়ঃ-
> দুধের বর্ণ, গন্ধ, ও ঘনত্ব, ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ নির্নয় করা যায়।
> স্ট্রিপ কাপ পদ্ধতিতেও এ রোগ নির্নয় করা যায়।

চিকিৎসার শতভাগ সফলতার শর্তঃ-
“””””””””
*** Mastitis রোগের চিকিৎসার সফলতা নির্ভর করে রোগ সৃষ্টিকারী জীবানুর প্রকারভেদ, আক্রান্তের তীব্রতা ও উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচনের উপর।
*** মনে রাখবেন এ রোগের চিকিৎসা যত দ্রুত হবে চিকিৎসার ফলাফলও তত সুফল হবে।
*** দেরিতে চিকিৎসা শুরু করলে ওলানের মারাত্নক ক্ষতিসহ একেবারে বাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
*** অতপরঃ এই রোগের লক্ষন দেখার সংগে সংগে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন ( আবারো বলছি দ্রুত চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই)

চিকিৎসা………..
* inj: HICOMOX 1gm. (1gm/100kg body অনুযায়ী) ২৪ ঘন্টা পরপর ৩ দিন মাংশে দিতে হবে।
* Pow: MASTICARE PLUS. দিনে ২ বার ৫/৭ দিন খাওয়ান। (প্রথম দিন ৫০ মিঃগ্রাঃ করে ২ বারে ১০০ মিঃগ্রাঃ এবং পরের দিন থেকে ২৫ মিঃগ্রাঃ ২ বারে ৫০ মিঃগ্রাঃ খাবে।)
> দিনে ৪/৫ বার ওলানে ঠান্ডা পানি কমপক্ষে ১০/১৫ মিনিট করে দিন।
> প্রয়োজনে বরফ ব্যবহার করুন।
> প্রত্যেক বার পানি দেয়ার পর আক্রান্ত বাট ম্যাসেজ করুন এবং দুধ বের করে ফেলুন।
> ব্যাথা থাকলে ব্যাথানাশক ইনজেকশন kitoflam ব্যবহার করুন।

প্রতিরোধঃ-
> যতদুর সম্ভব গাভীর ঘড়ের মেঝে শুকনো, পরিষ্কার ও পরিছন্ন রাখুন।
> কমপক্ষে সপ্তাহে ২ বার (Isan, or Timsen, or Dettol,  অথবা পটাশ) দিয়ে মেঝে ব্রাশ করে ধুয়ে ফেলুন।
> বাচ্ছা দেওয়ার ৫ দিন আগে থেকে শুরু করে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত Sub Clinical Mastitis ক্ষেত্রে Pow: Masticare Plus ২০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে ২ বার খাওয়ানো।
> ওলানে যাতে আঘাত না পায় সেদিকে নজর রাখুন।
> আক্রান্ত গাভীকে ঝাড়-ফুঁক না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
> একই খামারের আক্রান্ত গাভীকে সবার শেষে দহন করা।
> দহন কারির হাত দুধ দহনের পুর্বে জীবানু নাশক লিকুইড দিয়ে ধুয়ে নেওয়া।
> বাচ্ছা প্রসবের ৩/৪ দিন বার বার দুধ দহন করা এবং দানাদার খাদ্য কম দেয়া, যাতে দুধের চাপ বেশি না থাকে।
> গর্ভাবস্থায় Antimastitis ঔষধ বাটে প্রয়োগ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায় (চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী)।
> প্রতিদিন একই সময়ে দুধ দহন করা।
> দুধ দহনের ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত বাটের মুখ খোলা থাকে, যাতে এই সময়ের মধ্যে গাভী শুয়ে না পরে, এজন্য দহন শেষে দানাদার খাদ্য দেয়া।
——————-

পাঠঃ ৪

বাটে রক্ত আসা (Bleeding from teat).

সাধারনত দুধ দহনের শেষে রক্ত অথবা গোলাপী রং এর দুধ আসলে বুঝতে হবে বাটে রক্ত আসা ( Bleeding from teat) রোগ হয়েছে। এ রোগ তুলনামুলক শাহীওয়াল গাভীতেই বেশি দেখা যায়।

কারন…….
= গাভীর শরীরের রক্তে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে বাট দিয়ে রক্ত আসতে পারে।
= জীবানু ঘটিত কারনে এ রোগ হয়ে থাকে।

লক্ষন……..
= দুধ দহন কালে দুধের রং হালকা গোলাপী অথবা ফ্যাকাসে লাল দেখা যাবে।
= মাঝে মাঝে ভালো দুধ ও মাঝে মাঝে রক্ত মিশ্রিত দুধ আসতে পারে।
= ওলানে সামান্য ব্যাথা ও বাটের ভিতর কিছুটা শক্ত ভাব অনুভব হবে।
= আক্রান্ত বাটের টিস্যু বৃদ্ধি পাবে ও দুধ আসা বন্ধ হতে পারে।

রোগ নির্নয়……..
= ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করে বাটে রক্ত আসা (Bleeding from teat) রোগ নির্নয় করা যায়।

চিকিৎসা……….
= অ্যান্টিহিস্টামিনিকস ইনজেকশন ASTAVET দিয়ে (10% Dextrose saline সহযোগে Cofa-Calcium 250) ধীরে ধীরে রক্ত শিরায় দিতে হবে।
= inj: Dimidin প্রথম দিন ৪০সিঃসিঃ পরের ২ দিন ৩০সিঃসিঃ করে মাংশে অথবা শিরায় দিতে হবে।
= Pow: Rena-k দৈনিক ১০ গ্রাম করে ৫ দিন খাওয়াতে হবে।

প্রতিরোধ………
= গাভীকে ক্যালসিয়াম সমুদ্ধ খাবার দিলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
= দুধ দহন খুব জোরে না করে ধীরে ধীরে করতে হবে। যাতে করে ওলানে আঘাত না পায়।
= ওলানে যাতে কোন প্রকার সংক্রমন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
——————-

পাঠ ঃ৫

বাটের ছিদ্র বন্ধ থাকা (Teat block).
““““““““““““““““““““““““
অনেক সময় গাভী বাচ্চা দেয়ার পর বা দুধ প্রদানকালে বাটের ছিদ্র বিভিন্ন রোগের কারনে বন্ধ হয়ে যায়।

বিশেষ করে Mastitis, Bleeding from Teat, রোগের কারনে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

আমাদের দেশে শংকর জাতের গাভীর চেয়ে শাহীওয়াল গাভীতেই এ রোগ বেশি হয়ে থাকে।

কারন………
= ওলানে Fibrous growth, টিউমার, Cowpox, বাটে ক্ষত হলে।
= বাটে রক্ত আসা (Bleeding from teat) রোগ হলে।

লক্ষন………
= দহনের জন্য টানলে দুধ বের না হয়ে ড্রপ করে দুধ উপড়ে উঠে যাবে।
= বাটের ছিদ্র ধীরে ধীরে চিকন হতে দেখা যাবে।
= দুধ দহনের সময় গাভী ব্যাথা অনুভব করবে।
= বাটের মাঝখানে টিউমার বা গিরা এর অস্তিত্ব পাওয়া যাবে।
= দহনের পরও দুর থেকে দেখে মনে হবে ওলানে দুধ টন টন করছে।

চিকিৎসা……..
* গাভীকে শুয়ে Teat syphon ঢুকিয়ে বাটের ছিদ্রপথ ক্লিয়ার করে দিতে হবে।
* ব্যাথা নাশক inj: kitoflam মাত্রাঅনুযায়ী ৫/৭ দিন মাংশে দিন।
* inj: Gentasone-5 দৈনিক ২৫ সিঃসিঃ করে ৭ দিন মাংশে দিতে হবে।

প্রতিরোধ……….
= গাভীকে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে লালন পালন ও বাটে রক্ত আসা মাত্রই তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে।
= নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে এ রোগ হয় না।

শাম ডেইরী ফার্ম
মোঃ রুহুল আমিন রাসেল।

পাঠ ঃ৬

বাঁট বন্ধ হওয়া
Teat block

দুগ্ধবতী গাভীর ওলান সংক্রান্ত যতগুলো রোগ রয়েছে তার মধ্যে বাটের ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে যাওয়া Teat block এটি একটি জঠিল সমস্যা।

যার বেশির ভাগই লক্ষন প্রকাশ পায় বাচ্চা দেওয়ার পর। অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভীর Dry period এর সময় সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক নিয়মে দুধ দহন বন্ধ না করলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এ সমস্যা হতে পারে।

বিশেষ করে Mastitis, ওলানে Fibrous growth, টিউমার, Cowpox, বাটে ক্ষত হলে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

এছাড়াও পুর্ববতী ল্যাকটেশনে দুধ দোহনের সময় বাটে ফ্রেশ রক্ত (Bleeding from Teat) আসলে সময় মত যদি চিকিৎসা না দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তী ল্যাকটেশনে যে কোন বাটের ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আমাদের দেশে শংকর জাতের গাভীর চেয়ে শাহীওয়াল গাভীতেই এ রোগ বেশি হয়ে থাকে।

লক্ষন
১. বাটের মাঝখানে বা গোড়ায় টিউমার বা গিরার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে এবং উক্ত বাট দিয়ে দুধ আসা সম্পুর্ন বন্ধ থাকবে।

সেক্ষেত্রে Teat syphon দিয়ে দুধ নামাতে হয়।

২. বাটের মাঝখানে টিউমার বা গিরা হলে দহনের সময় টানলে দুধ বের না হয়ে ড্রপ করে দুধ উপড়ে উঠে যাবে।

৩. দুধ দহনের সময় গাভী ব্যাথা অনুভব করবে এবং দহনের পরও দুর থেকে দেখে মনে হবে ওলানে দুধ টন টন করছে।

৪. দুধ দোহন কালে এ রোগে আক্রান্ত হলে বাটের ছিদ্র ধীরে ধীরে চিকন হতে দেখা যাবে।

চিকিৎসা
একটি গাভীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ওলান। এই ওলানে যে কোন রোগ দেখা দিলে যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ ভেটেরিনারি সার্জন, টিএলও, ডিভিএম দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিন্মলিখিত ঔষধ দ্বারা Teat block রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

® প্রথমে গাভীকে শুয়ে অথবা বেধে অথবা যে কোন ভাবে নিয়ন্ত্রন করে Teat syphon ঢুকিয়ে বাটের ছিদ্রপথ ক্লিয়ার করে দিতে হবে। এতে দুধ না আসলে বা আসলেও পরবর্তিতে আবার দুধ আসা বন্ধ হলে Teat Stieter দ্বারা বাটের ভিতর মাংশ পিন্ড/গিরা/টিউমার কেটে দিয়ে ছিদ্রপথ ক্লিয়ার করতে হবে।
এ সময় যে কোনো ধরনের একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

তবে পেনিসিলিন এবং জেন্টামাইসিন গ্রুপের ঔষধ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে।

® পেনিসিলিন জাতীয় ঔষধ যেমন inj: Combicillin L.A 50ml (komipharma, korea) 100kg b.wt/5ml মাংশে ৪৮-৭২ ঘন্টা পরপর ৩-৫ ডোজ দিতে হবে।
অথবা
® জেন্টামাইসিন গ্রুপের inj: Genasyn-vet 10 (Square) 1ml/25kg b. wt হিসাবে মাংশে অথবা শিরায় দিনে একবার করে ৩-৫ দিন দিতে হবে।
জেন্টামাইসিন গ্রুপের ঔষধ ব্যবহারে গাভীর দুধের উৎপাদন সাময়িক কমে যাবে।
As advised by the registered veterinary doctors.

® প্রতিবার এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের সময় এন্টিহিস্টামিন inj: Antihista-vet 100ml (Square) 100kg b wt/5-10 ml মাংশে দিতে হবে।

® ব্যাথা থাকলে কিটোপ্রোফেন গ্রুপের inj: Renafen vet 10ml (Renata) 100kg b.wt/2-3ml ব্যাথার স্থায়ীত্বের উপর ভিত্তি করে ৩-৫ দিন মাংশে দিতে হবে।

® আক্রান্ত বাট প্রতিবার দোহনের সময় হাত দিয়ে ম্যাসেজ করে নিতে হবে এবং গিরা/টিউমার/মাংশ পিন্ডের উপড়ে চেপে দুধ নামাতে হবে। এভাবে আস্তে আস্তে বাট স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

® টিউব Dilloxa (komipharma, korea) ১ টি করে দিনে ২ বার আক্রান্ত বাটে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রতিরোধ
গাভীকে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে লালন পালন করতে হবে এবং Dry period এর সময় ওলানে বিশেষ খেয়াল/নজরদারী রাখতে হবে।
ল্যাকটেশনের সময় বাটে রক্ত আসা মাত্রই তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে। তা নাহলে পরবর্তী ল্যাকটেশনে এ সমস্যা হতে পারে।
নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে এ রোগ তুলনামুলক কম হয়ে থাকে।

পাঠ ৭।

ওলানে রস জমা
Udder Edema

অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভীতে বাছুর প্রসবের আগে ও পরে ওলানে রস (পানি) জমা হয়ে অতিরিক্ত ফুলে যাওয়াকে ওলানে রস জমা বা শোথ বলা হয়।

ওলানে রস জমা হলে অনেক সময় গর্ভবতী গাভীর সমস্ত তলপেট, বুক এমনকি যোনীদ্বার পর্যন্ত ফুলে যেতে পারে।

এ কারনে ওলানে ব্যাথা, অস্বস্থিবোধ ও ওলানের ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়া, বাট ছোট হওয়া, দুধ দোহন অসুবিধা, বাচ্চা পর্যাপ্ত শাল দুধ না পাওয়া, গাভীর হাটা চলাফেরা সাময়িক অসুবিধাসহ নানান সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

শংকর জাতের গাভীর প্রধান কয়েকটি সমস্যার মধ্যে এটি একটি অন্যতম রোগ। তবে এই রোগটিকে মারাত্নক সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। বয়স্ক গাভীর চেয়ে ১ম বিয়ানের বকনা গরুতে এ রোগের প্রভাব বেশি দেখা দেয়।

রোগ নির্নয়

ওলানে রস জমা Udder Edema রোগের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি রোগের বাহ্যিক মিল রয়েছে। যেমন- প্রি পিউবিক টেনডন, আমবিলিকাল হারনিয়া, হেমাটোমা, ফোঁরা হওয়া উল্লেখ্যযোগ্য।

যেহেতু ওলানে রস জমা রোগটির সাথে উক্ত রোগ গুলোর মিল রয়েছে তাই ওলানে রস জমা রোগটি নির্নয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
Finger print test এর মাধ্যমে ওলানে রস জমা রোগটি খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়।

ওলানের ফোলা স্থানে আলতো ভাবে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে আঙ্গুল সরিয়ে নিতে হবে।

দি আঙ্গুলের ছাপ বসে যায় তাহলে বুঝতে হবে ওলানে রস জমা রোগ হয়েছে। আবার যদি ওলানের ফোলা স্থান শক্ত ও গরম এবং দুধের পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে তা Mastitis রোগ হিসাবে বিবেচিত হবে।

কারন

১) গর্ভবতী গাভী অপুষ্টিতে ভুগলে এবং Dry period এর সময় উচ্চ মাত্রায় লবন খাওয়ালে এ রোগ হয়ে থাকে।

লবন শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। একটি গর্ভবতী গাভীকে দৈনিক ৩০ গ্রামের বেশি লবন খাওয়ানো উচিত নয়। অন্যান্য লবনযুক্ত খাদ্য যেমন সয়াকেক (৮-১০% লবন বিদ্যমান) খাওয়ালে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) Dry period এর সময় গর্ভবতী গাভীকে রেডি ফিড খাওয়ালে ওলানে রস জমা রোগ হতে পারে।

কারন দুগ্ধবতী গাভীর জন্য রেডি ফিডে স্টোরয়েড হরমোন সহ Buffering agent হিসাবে সোডিয়াম-বাই কার্বোনেট সংমিশ্রিত থাকে। যা ওলানে রস জমাতে সাহায্য করে।
৩) Dry period এর সময় গাভীকে ৩০-৫০% এর বেশি সিমজাতীয় (Legume forage) ঘাস যেমন খেসারী মুশুর ইত্যাদি খাওয়ালে ওলানে রস জমা রোগ হতে পারে। সিম জাতীয় (Legume forage) ঘাসে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও আমিষ বিদ্যমান থাকে।
৪) উপকুলীয় এলাকায় গর্ভবতী গাভীর ওলানে খুব সহজেই রস জমা রোগ হয়ে থাকে।

উপকুলীয় এলাকার পানিতে সোডিয়ামের মাত্রা খুব বেশি। পানীয় জলে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হলে এ রোগ হয়।
৫) অধিকাংশ গর্ভবতী গাভীর প্রসবের পুর্বে হরমোন ও শারীরিক পরিবর্তনের কারনেও ওলানে রস জমা রোগ হতে পারে অথবা বংশগত কারনেও হতে পারে।
৬) মাইকোটক্সিন দ্বারা বিষক্রিয়া (Zearalenone) হলে এবং Bovine Somatotrophine Hormon/BSH ব্যবহার করলে। কারন Peptide Hormone ওলানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে।
৭) গর্ভকালের শেষ পর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওলানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। কারন গর্ভস্থ বাছুর বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্ত নালীর উপর চাপের সৃষ্টি হতে থাকে, যার ফলে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। রক্ত প্রবাহ বাধার সৃষ্টি হলে ওলানে রস জমা হয়ে এ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
৮) প্রসবের পুর্বে গর্ভবতী গাভীকে নিয়মিত ব্যায়াম না করালে অর্থাৎ হাটা চলা না করালে এ রোগ হতে পারে এবং Dry period এর সময় মাত্রাতিরিক্ত দানাদার খাবার খাওয়ালে।
9) গর্ভকালের শেষ মুহুর্তে ওলানের শাল দুধে প্রচুর পরিমানে Immunoglobulis Gamaglobuins-Antybody থাকে যা রক্তে আমিষ থেকে রুপান্তরিত হয়ে থাকে। কোন কারনে যদি রক্তে আমিষের মাত্রা কমে যায় তাহলে ওলানে রস জমা রোগ হতে পারে।
১০) গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন জিংক ৪০ মিগ্রা/কেজি এবং ভিটামিন-ই ১২০০ আইইউ/কেজি সমৃদ্ধ থাকতে হবে। জিংক ও ভিটামিন-ই উপাদান দুটি ওলানের Oxidative Stress কমাতে সাহায্য করে। জিংক ও ভিটামিন-ই এর ঘাটতি হলে ওলানে রস জমা রোগ হতে পারে।

সম্ভাব্য পদক্ষেপ

ওলানে রস জমা (Udder Edema) রোগটি যদিও মারাত্নক সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হয় না তবুও সম্পুর্ন ভাল হতে ৮-১০ দিন সময় লাগতে পারে।

মারাত্নক আকার ধারন না করলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক পর্যায়ে শরিষার তেল দিয়ে দিনে ২ বার ৫-৭ মিনিট করে উর্ধ্বমুখী মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

এতে কাজ না হলে শরিষার তেল ও কপ্পুর মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার ওলানে লাগাতে হবে।
অথবা
Ointment: Bendil 30mg (Alco pharma) দিনে ২ বার ওলানে লাগাতে হবে পরপর ৫-৭ দিন।

বাচ্চা প্রসবের পর দিনে ৪-৫ বার দুধ দহন করা, কাচা ঘাসের পরিমান সাময়িক কমিয়ে দেয়া এবং লবন খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হবে।
® Vitamin-C হিসাবে pow: REVIT-C 100mg (OPSONIN) 20mg করে পরপর ৫ দিন খাওয়াতে পারেন।
অথবা
Tab: Ceevit (Square pharma) ১০ টি করে দিনে ১ বার পরপর ৫ দিন খাওয়াতে হবে।

® inj: TOCOVITA AD3E 100ml (komipharma, korea) মাঝারি ও বড় গরুর জন্য ১০ সিসি করে ৭ দিন পরপর মাংশে দিতে হবে।

ওলানে রস জমা (Udder Edema) তীব্র আকার ধারন করলে মুত্রবর্ধক ঔষধ Lasix বা Frucid ব্যবহার করা যাবে।
সতর্কতাঃ
বাচ্চা প্রসবের আগে মুত্রবর্ধক ঔষধ ব্যবহার করা বিপজ্জনক।

পাশাপাশি দিতে পারেন…..
® Vitamin B Complex + Amino Acid গ্রুপের যেমন inj: AMINOVITAL-HI 100ml. (Komipharma, Korea) 10cc/100 kg body weight হিসাবে ৪৮ ঘন্টা পরপর শিরায়/মাংশে/চামরার নিচে দিতে হবে।
® Tonophosphan + Cyanocobalamin গ্রুপের যেমন inj: New-decaphosphan 50ml (komipharma, korea) 1cc/15kg body weight হিসাবে ৯৬ ঘন্টা পরপর মাংশে/শিরায়/চামড়ার নিচে দিতে হবে।

প্রতিরোধ
গর্ভাবস্থায় আয়রন, এডি৩ই, ডিসিপি, ব্যায়াম এর বিকপ্ল নেই। মাত্রাতিরিক্ত লবন খাওয়ানো যাবে না।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বাছুরের ডায়রিয়ার কারণ

Couses of diarrhea in neonatal rumenants ?Bacterial: ?Escherichia coli ?Salmonella spp. ?Campylobacter fecalis ?Campylobacter coli …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »