Breaking News
এভিয়ান এন্সেফালোমাইলাইটিস
এভিয়ান এন্সেফালোমাইলাইটিস

এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসঃবিস্তারিত।

এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিসঃবিস্তারিত।

এই রোগটি আমাদের দেশে হচ্ছে কিন্তু ডায়াগ্নোসিস হচ্ছে না তাই অন্যান্য রোগের মত তত আলোচিত না।

এপিডিমিওলোজিঃ

এজেন্টঃ

এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিস ভাইরাস দিয়ে হয়।এটা এন্টারোভাইরাস ভাইরাস নামে পরিচিত।Viral Diseases of chicks characterized by muscular incoordination and rapid tremors especialy head and neck।একে এপিডার্মিক ট্রিমোর ও স্টার গেজিং সিন্ড্রম নামে ডাকা হয়।এটি আর এন এ ভাইরাস যা পিকোরনা ভিরিডি ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত।

১৯৩০ সালে ২ সপ্তাহ বয়সী মুরগিতে ১ম দেখা যায়।১৯৬০ সালের আগে যখন টিকা আবিস্কার হয়্ নি তখন অনেক মর্টালিটি হয়েছে.সারা পৃথিবীতে রোগ টি দেখা যায়।ব্রিডার ভ্যাক্সিন দেয়া না থাকলে ১০০% মুরগি আক্রান্ত হতে পারে।এই ভাইরাসের কয়েকটি ফিল্ড স্টেইন আছে যাদের এন্টিজেনিক ভেরিয়েশন নাই তবে রোগ হবার সক্ষমতার দিকে দিয়ে তফাত আছে।

হোস্টঃ

মুরগিতে বেশি হয়।কোয়েল,তিতির,কবুতরে হতে পারে  তবে টার্কিতে কম হয়।এটি ভার্টিকেল এবং হরিজোন্টাল দুই ভাবে বিস্তার লাভ করে.ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৫-১৪ দিন।আক্রান্ত পাখি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ ভাইরাস ছড়ায়।এটি পরিবেশের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট এবং অনেক দিন ধরে ঠিকে থাকে.মারা যাবার হার ১০-২০%।সিভিয়ার হলে মর্বিডিটি  ১০০% ও মর্টালিটি ৭০% হতে পারে.৪ সপ্তাহের পর পাখি রোগের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়।৭-১০ দিনের  মধ্যে সাইন গুলো বেশি দেখা যায়.ব্যতিক্রম ভাবে লেয়ারে  হয় এবং তা ১৪ দিনের মত প্রডাকশন ১০% কম থাকে তারপর ডিম বেড়ে যায়।এই সময় হ্যাচাবিলিটি ৫% কমে যায় কারণ লেট এম্বায়োনিক ডেথ হয়।ব্রীডার আক্রান্ত হলে ২ সপ্তাহ ডিম হ্যাচিং না করা ভাল,ইমোনিটি তৈরি হবার পর হ্যাচ করা উচিত।

কিভাবে ছড়ায়ঃ

ভার্টিকেল টান্সমিশন ( ডিমের মাধ্যমে।)খাদ্য ও পানির সাথে পেঠে যায়,সেখান থেকে ইনটেস্ট্রাইনে বৃদ্ধি পায়,ফলে মলের সাথে বাহিরে বের হয়ে আসে,এভাবে খাদ্য,পানি ও ফার্মের জিনিস পত্র দূষিত হয়।আক্রান্ত মুরগি বা ভাইরাস বহন করে এমন জিনিস পত্রের মাধ্যমে ছড়ায়।ইনকিউবেটর থেকেও হতে পারে।সুস্থ হওয়ার পর  ইমোনিটি তৈরি হয় ফলে ২য় বার হয় না।

প্যাথোজেনেসিস ঃ

এই রোগের জীবাণূ মাতৃদেহ থেকে ভ্রূণে এবং খাদ্য ও পানি দিয়ে মুখে যায়।অল্প বয়স্ক মুরগিতে জীবানূ  প্রথমে মুখ দিয়ে অন্ত্রে যায় রক্তের সাথে মিশে ভাইরেমিয়া হয়ে মস্তিষ্ক আক্রমণ করে।এর ফলে রোগ টি বিভিন্ন অংগে ছড়িয়ে যায়  এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সীমাবদ্ধ থাকে।যে ভাইরাস অন্ত্রে থাকে সেগুলো পায়খানা দিয়ে বের হয়ে যায় এবং খাদ্য ও পানি দিয়ে অন্য মুরগিতে প্রবেশ করে।ডিমের মাধ্যমে রোগ সংক্রমণ হবার পর ইনকিউবেটরে যে বাচ্চা ডিম থেকে বের হয় তার মাধ্যমে অন্যান্য বাচ্চাও আক্তান্ত হয়।বয়স্ক মুরগিতে এই ভাইরাস এর বিস্তার সীমিত থাকে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয় না  তাই  বড় মুরগি প্যারালাইসি হয় না।এটি এন্টারো্ট্রপিক (ইনটেস্টাইনে বৃদ্ধি পায়।)আক্রান্ত মুরগির ডিমে জীবানূ থাকে এবং সেখান থেকে বাচ্চাতে চলে আসে।

লক্ষণঃ

main clinical signs are ataxia and leg weakness that varies from sitting on hocks to paresis that progresses to paralysis and recumbency.Fine tremors of the head and neck are evident in some birds and are characteristic of the diseases.They are responsible for common name,epidemic tremors.১-২ সপ্তাহে প্রধানত দেখা যায়।হরিজোন্টালি ভাবে যারা আক্রান্ত হয় তারা ২-৪ সপ্তাহে লক্ষণ প্রকাশ পায়।আক্রান্ত বাচ্চা রোগা মনে হবে,পালক উস্কোখুস্কো হবে এবং সহজে হাটা চলা করেনা।মাথা ও ঘাড় বাকা হয়ে থাকতে পারে এবং ঠিক মত হাটতে পারেনা।খাবার খাবেনা ও শুকিয়ে যাবে।

যে কোন বয়সে হতে পারে।এক সংগে অনেক বাচ্চা আক্তান্ত হয়।এ সময় মাথা ও ঘাড় কাঁপে,হাটার সময় পায়ের ও দেহের সংগতি  বজায় রেখে চলতে পারেনা।পা অবশ হয়ে যায়,পরে বাচ্চা কাত হয়ে মাটিতে শুয়ে  থাকে।অনেক সময় কোন লক্ষণ থাকে না,স্বাভাবিক চলাচল করে যদি হঠাত শব্দ করা হয় তাহলে বাচ্চা চমকে উঠে,কাপতে থাকে,পায়ে অবশতা দেখা দেয়,অনেকে একে প্যাথোগ্নেমিক মনে করে।সুস্থ হবার পর চোখে ছানি পড়ে এবং অন্ধ হয়ে যায়।

ডিম কমে যাবে ও ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার হার কমে  যাবে।চোখে ছানি পড়তে পারে এবং অন্ধ হয়ে যেতে পারে।ইলেক্টোলাইট অনেক বেশি খেলে এমন লক্ষণ হতে পারেরানিক্ষেত,মেরেক্স,ভিটামিনের (এ,ই,বি১) এর ঘাটতি হলে এমন  লক্ষণ দেখা যায়

পোস্ট মর্টেমঃ

গ্রে থেকে সাদা ফোকাই  দেখা যায় গিজার্ডের মাংস কাটার পর কারণ প্রচুর পরিমাণে লিম্ফোসাইট জমা হয়।হার্টের দেয়ালে লিম্ফোসাইট জমা হবার কারণে  ওয়াল সাদা হয়।চোখের লেন্স অসচ্ছ হয়ে যায়।ব্রেইন এবং স্পাইনাল কডে নডিউল দেখা যায়।

রোগ নির্ণয় পদ্ধতিঃ

ক্লিনিকেল উপসর্গ,পোস্ট মর্টেম,মস্তিষ্কের হিস্টোপ্যাথোলজি,

আগার জেল টেস্ট,এলাইজা,পি সি আর,ভাইরাস নিউট্রালিয়াজেশন টেস্ট

ডিফারেনশিয়াল ডায়াগ্নোসিসঃ

রানিক্ষেত।রিকেটস।মেরেক্স

রিবোফ্লেভিন এর ঘাটতি হলে কার্ল টো প্যারালাইসিস হয়।এর ঘাটতি হলে হ্যাচারোতে বাচ্চার এম্বায়োনিক ডেথ হয়.১৪-২০তপম দিনে।হাস ও রাজ হাসের বাচ্চায় ডিস কন্ডোপ্লাসিয়া হয়,ওজন কম হয়,পা বেকে যায়,ডায়রিয়া হয়।ব্রিডারে হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।ভিটামিন ই,এ এর ঘাটতি

ভিটামিন ই (এনসেফালোম্যালাসিয়া) হলে এত মর্টালিটি এবং মর্বিডিটি  হবে না,তাছাড়া পা প্যারালাইসিস হবে না ।ই এর ঘাটতি ১৫-৩০দিনে হয়।ম্যালাসিয়া হলে পোস্ট মর্টেম করলে সেরেব্রেলামে হেমোরেজ পাওয়া যাবে।

থায়ামিন এর ঘাটতি হলে স্টার গেজিং পজিশন হয় যা ২ সপ্তাহের আগে হয়।এতে ঘাড়ের এন্টেরিয়র মাসল প্যারালাইসিস হয়।

চিকিৎসাঃ

চিকিৎসায় তেমন রিজাল্ট পাওয়া যায় না।অন্যান্য ভাইরাল ডিজিজের মতই ব্যবস্থাপনা এবং মেডিসিন

প্রতিরোধঃ

রোগাক্রান্ত বাচ্চায় ২ সপ্তাহের পর ইমোনিটি তৈরি হয়।রিডারে ভ্যাক্সিন দেয়া থাকলে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রোগে আক্রান্ত করে না।এর একটি সেরোটাইপ থাকায় ভ্যাক্সিন ভাল কাজ করে।

টিকাঃ

লাইভ ও কিল্ড টিকা

আমাদের দেশে পক্সের সাথে ডানায় দেয়া হয়।অনেক দেশে লাইভ ও এটিনুয়েটেড ভ্যাক্সিন পানি বা চোখে ড্রপ দেয়া হয়।৮-১৬ সপ্তাহে ব্রিডার ফার্মে লাইভ টিকা দিতে হবে।যেমন nobilis AE+pox,Provac AE+pox,Cevac poximune

বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

মেজর ভুল ডায়াগ্নোসিস গুলো কি কি

১.৬-৭দিনের বাচ্চার ক্ষেত্রে কোন মর্টালিটি হলে সাল্মোনেলা বলা হয় যা ৯৯%ই ভুল। কারণ বাচ্চার লিভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »