নোট-২ঃ
***তথ্যসূত্র-ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন স্যার***
উপপরিচালক, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস, চট্টগ্রাম।
যে সব খামারে দুধ ১০/২০ লিটারে চলে গেছে, সেইসব খামারের ঘরটা অবশ্যই আধুনিকায়ন করতে হবে।ফ্লোর থেকে ছাদের টপ হবে ১২ ফুট।খাদ্যপাত্র বাইরে থাকলে ভেজার সম্ভাবনা থাকে সানশেড টা অন্তত ৬ ফুট নামাতে হবে।তা নাহলে বৃষ্টির পানি একটু হলেই ভিতরে চলে আসবে।ছাদ হিসেবে টিন ব্যবহার করলে তার নিচে ককশিট দিয়ে ফলস ছাদ দিলে ঘর ঠান্ডা হবে।সিমেন্ট শীট ব্যবহার করে কিন্তু এগুলো গরমে ধীরে উত্তপ্ত হয়, বিকালের দিকে ঘর অনেক গরম হয়ে যায় কারণ ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে।আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হল জায়গার অপ্রতুলতা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ঢাকা এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে জায়গার দাম বেশি হওয়ায় খামারী অল্প জায়গায় অবমুক্তভাবে গাভী পালনের কন্সেপ্টে অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিমত পোষণ করে।তবে, খামারীদের কথা না বুঝে আমরা যতই ভাল ডাঃ হই না কেন লাভ হবেনা।তাই, সীমীত সম্পদের মধ্যেই জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।বর্তমানে বাংলাদেশে ভাল মানের খামারগুলিতে দাড়ানোর স্থানের পিছনে excercise করার জায়গা রাখা হয়।মূল শেডের বাইরেও অনেক ক্ষেত্রে Resting Shed থাকে।এই সব শেডে পানির পাত্র দেওয়া থাকে।কিন্তু, ফার্ম বড় হওয়ার সাথে মা গাভী সহ বাচ্চার সংকুলান করতে গিয়ে বেশি খালিস্থান থাকেনা।যদি আমার গরুর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং আমার space না থাকে তখন কি হবে।খোলা জায়গায় তো সবসময়ি রাখা যাবেনা।Boundary wall দিতেও অনেক খরচ আছে।প্রতিটা গাভীর জন্যে লম্বায় ৬ ফুট আর পাশে ৪৫”-৪৬” (৪ ফুট) জায়গায় যথেষ্ঠ। এর বেশি জায়গা দিলে গাভীগুলি একটার উপরে আরেকটা উঠে যায়।এতে একটার গোবর অন্যটার পড়ে।৪৫”-৪৬” থাকলে গাভীগুলি পাশাপাশি লেগে থাকে।ড্রেইন ১ ফুট দৈর্ঘ্য, ২” ডিপ, উপরে গ্রিল দেওয়া যায়।এটি ১/২” ঢালু হবে।Rough Concrete ঢালাই পাট্টাটিতে লম্বালম্বি টেনে দিলে গাভী স্লিপ কাটবেনা। তাছাড়া, হ্যারিং বোন প্যাটার্ন করা যায়।নেট ফিনিশিং করা যাবেনা।থাকার জায়গায় বালি দিতেও দেখা যায় অনেক ফার্মে।খাবারের পাত্র বলে কিছু থাকবেনা।ফ্লোরে খাবার দেওয়া হবে, গরু ন্যাচারালি জমিতে যেভাবে খায়।গরুর সামনে একটি ইটের বিট করে দিয়ে ২” মোটা জি আই পাইপ লম্বালম্বি সোজা বেধে দিতে হবে।দুইটি গরুর দাড়ানোর জায়গার মাঝখানে বিটের পেছনে একটা ২.৫ বর্গফুটের কমন পানির পাত্র দেওয়া যায়।এতে করে বাকি জায়গায় খাবার দেওয়া যাবে। গরুকে excercise করালে তার mastitis, Laminitis এই রোগগুলি কমে আসে।মূলশেডের ২/৩ গুণ জায়গায় Paddock করে resting এর ব্যবস্থা করা যাবে।ঘরটাকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য সপ্তাহে একদিন হলেও ব্লিচিং পাউডার/হারপিক দিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে দিতে হবে ফ্লোর।১৫ মিনিট পর ফ্লোর ধুয়ে দিতে হবে নাহলে গরুর skin corrosion হবে।ভুট্টার সাইলেজ বানানোর জন্য ৮৫/৯০ দিনের মিল্কিং স্টেইজ ভুট্টা গাছ(ভুট্টা দানার নিচের দিকে সাদা এবং সাইলেজের আদ্রতা ৬০-৭০%)কাটতে হবে।ভুট্টা নিজেই মিষ্টি হওয়ায় অতিরিক্ত মোলাসেস লাগেনা।কিন্তু, নেপিয়ার বা জার্মান ঘাস হলে মোলাসেস যোগ করতে হবে।ভুট্টার সাইলেজের জন্য ৬ ফুট উচু দেওয়াল তুলে ট্রাক্টর(√) বা পায়ে মাড়িয়ে প্যাক্ট করে পলিথিনের মধ্যে air tight করে seal করতে হবে।অবশ্যই, ভিতরের অবস্থা anaerobic হবে।বৃষ্টির পানি যাতে না ঢুকে ফ্লোর ৬” ইঞ্চি উচু করে দিতে হবে।কোন গাভী যদি কন্সিভ না করে প্রথম কাজ হল তার বডি কন্ডিশন স্কোর ঠিক করা।একটি গাভীর BCS ৩-৩.৫ এর মধ্যে আনতে হবে।জানতে হবে কৃমির ঔষধ দেওয়া হয়েছে কিনা, শেষ কবে বাচ্চা দিয়েছে, নাকি নতুন বকনা।প্রথমত, তাকে কৃমি ঔষধ দিতে হবে, সাথে ভিটামিন এডিই৩ ইঞ্জেকশন, মাল্টিভিটামিন আর মিনারেলস দিলে ৮০% গাভীর সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।এরপরেও,যদি কোন বকনা কন্সিভ না করে তবে GnRH inj. করতে হবে এক বা দুইবার।বীজ দেওয়ার ১/২ বা, ১ ঘন্টা আগে GnRH দিলে ফার্টিলিটি বাড়ে কারণ এটা ফলিকলের ম্যাচুরিটিতে সহায়তা করে।Rectal Palpation করা বুঝা দক্ষতার ব্যাপার।RP করলে ovary শিমের বীচি/বাদামের মত, round and elongated, non functioning-ভুট্টা দানা/কয়েনের মত চ্যাপ্টা।hypertrophy-Cyst, cyst-fluctuating, follicle-smooth, bulging, soft, functioning. Follicle estrous period এ তিন দিন পর্যন্ত feel করা যায়।তিন দিনের পর palpate করা যায়না।কিন্তু, সিস্ট ৩ দিন পরেও palpate করা যায়।corpus luteum – একটা সাইডে bulging, surface rough and firm, Prostaglandin/PG দিলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে হিটে আসবে।আর, নাহলে সর্বশেষ estrous synchronization করতে হবে।0 day- GnRH, 7th day-PG, 9th day-GnRH and 10-12 hours later AI, 10 th Day- 2nd AI(if needed).
Repeat Breeding শর্ত কি কি?
১.১০ বছরের কম বয়স হতে হবে।
২.কমপক্ষে, ১ টা বাচ্চা দিছে।
৩.দক্ষ AI Technician
৪.পরীক্ষীত সিমেন দ্বারা দুই বা তথোধিক বার প্রজনন fail করেছে।এর পিছনে কারণ হল যদি সঠিকসময়ে প্রজনন না হয়, Subclinical mastitis, LH এর ঘাটতি।যদি anatomical defect থাকে।
সঠিক সময়ে হিট ডিটেকশন করতে হবে।খামারীরা silent heat বুঝতে পারেনা।
silent heat-mounting, eating less feed, ভালভা ফোলা, ফ্লোরে মিউকাস, ঘন ঘন প্রস্রাব।
৩০০ কেজির গাভীর ২০ লিটার দুধ, থাম্ব রুল রেশন।
১০০ কেজির জন্য ১ কেজি, ৩০০ কেজির জন্য ৩ কেজি maintenance ration, প্রথম ৩ লিটার দুধের জন্য প্রোডাকশান রেশন দরকার নাই।এরপরে, প্রতি ৩ লিটার দুধের জন্য ১কেজি দানাদার খাদ্য।২০-৩=১৭/৩=৬।মোট=৩+৬=৯,( তবে আমি মনে করি যেহেতু হাই ইয়েল্ডিং কাউ, তাই দুধের লিকুইড % বেশি, তাই প্রতি ৪/৫লিটারে ১ কেজি দিলেও হতে পারে)।তবে, গাভীর দানাদার খাদ্য কোনক্রমেই ১০ কেজির উপরে যাবে না যত বড় গাভী আর যত লিটার দুধই হোক।দানাদার খাদ্যের ৩ গুণ কাচাঘাস(২৭ কেজি), কাচাঘাসের ১/৩ গুণ খড় (৯ কেজি)।