ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় দুধ উৎপাদনে এছাড়া হাড় উৎপাদন ছাড়া সামান্য ব্যবহার হয়।
ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত ” মিল্ক ফিভার ” রোগটি দেখা যায় শুধুমাত্র বাচ্চা দেবার সামান্য পুর্বে অথবা সামান্য পরে।
মিল্ক ফিভার হলে গরু কিছুই খায়না,এছাড়া কিছু লক্ষন আছে যাহা আমরা জানি,শরীর খাবার থেকে যে ক্যালসিয়াম সিনথেসিস করে তা শরীরে শোষনের জন্য ভিটামিন- ডি প্রয়োজন,এই জন্য সার্বক্ষনিক ছায়াযুক্ত স্হানে অবস্হান কারী গাভীতে খুব বেশী মিল্ক ফেবার দেখা যায়।(এজন্য গাভীকে বা গবাদিপশু কে বাহিরের রোদে একটু হাটানো গেলে এই সম্যসা একটু কম হবে)
অবশ্য কখনও কখনো অল্প দুধের দেশী গরুর যার অনেকগুলো বাচ্চা হয়ছে তারো মিল্ক ফেবার দেখা যায়।
লেখার উদ্দেশ্য ইদানিং গাভীর দুধ বাড়ানোর জন্য খামারী ভাইয়েরা লিকুইড ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়ায় সব গাভীর সমস্যা না হলেও আপনি খামারে যেয়ে দাড়ানো অবস্হায় গাভী দেখলে বলতে পারবেন কোন গাভীকে মুখে ক্যালসিয়াম খাওয়ানো হয়।
তাদের পিঠ ধনুকের মত বাকা হয়,এবং মাংস পেশী কোন কোন গাভীর এত শক্ত হয় যে ২ ইন্চির বেশী পা বাড়াতে পারেনা,
কারনঃ থিওরিটিক্যাল যেমন রক্তে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অনুপাত ১২ঃ৬ এবং ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর অনুপাত ২ঃ১। যেহেতু ক্যালসিয়াম বেশী খাওয়ানো হয়ছে,তাই অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পেশী ম্যাগনেসিয়াম টেনে নিয়ে ব্লাডে কনজুগেশন করেছে ফলে মাংসপেশীতে ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি হয়ে হাইপোম্যাগনেসেমিক টিটেনি করেছে ফলে পায়ের মাংস পেশী শক্ত হয়ে গাভী হাটতে পারছেনা।
গর্ভবতী গাভীকে যখন লিকুইড ক্যালসিয়াম খাওয়ালে তার মাংশ পেশী ফুসফুস শক্ত হয় ফলে গাভীর উঠতে কষ্ট হয়,গ্রাম্য চিকিৎসক রা তখন ঘাটতি মনে করে আরো ক্যালসিয়াম ইনজেকশন করে ফলে উঠাতো দুরে থাক গাভী শক্ত হয়ে যাওয়ায় এক পাশে কাত হয়ে পড়ে যায় একেই বলে হাইপারক্যালসেমিয়া। প্রায়ই এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
কালেক্টেড