মেরেক্স(Neuromatosis) লিম্ফোপলিফারেটিভ (Lymphopoliferative) হারপিস ভাইরাসঘটিত রোগ,একে ফাউল প্যারালাইসিস বলা হয়।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি আমাদের দেশেও ব্যাপক হারে দেখা যায়।১৯০৭ সালে জোসেপ মেরেক নামক হাংগেরিয়ান ভেটেরিনারিয়ান ১ম মেরেক্স নিয়ে কাজ করেন।চারসিল এবং বিগ প্রমান করে মেরেক্স হারপিস ভাইরাস দ্বারা হয়।
It is economically important diseases,highly contagious Diseases..ভ্যাক্সিন দেয়ার পর ও মুরগিতে মেরেক্স হতে দেখা যাচ্ছে।বাচ্চা মুরগি স্টেস কন্ডিশনে থাকলে মেরেক্স হবার সম্বাবনা অনেক বেড়ে যায়।মেরেক্স হলে শ্বাসনালী ও কক্সি/পরিপাক নালীর ডিজিজ বেশি হয়।১৯৬০ সালে এটি পোল্ট্রি শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল।যদিও টিকা আবিষ্কারের পর রোগ টা দমন করা গেছে।তবু এটি পোল্ট্রি শিল্পের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে আছে।এটি খামারির জন্য চিন্তার বিষয় কারণ ১০-২০ সপ্তাহে বেশি দেখা যায়,যখন খামারির সব বিনিয়োগ শেষ।তাছাড়া অনেক সময় সেড বাতিল করতে হয়,বাতিল না করলেও ১-৫০% মারা যায় এমন কি ১০০% মারা যেতে পারে যদি অন্য জীবানূ(রানিক্ষেত/এ আই) আক্রমন করে।
টাইপঃ
মেরেক্স ডিজিজ ভাইরাস ভাইরাস,ডি এন এ ভাইরাস(হার্পেস বি ভাইরাস)
সেরোটাইপ ১ঃ হাইপ্যাথোজেনিক,(Very virulant to avirulant) মুরগিতে পাওয়া যায়.(রিস্পেন্স ১ বা HPRS 16)
হাই ভিরুলেন্ট স্ট্রেইন হল HPRS-16,18,19,20,JM-GA.।লো ভিরুলেন্ট স্ট্রেইন HPRS -B 14,B-17
সেরোটাইপ ২ঃ চিকেনে পাওয়া যায়,নন অঙ্কোজেনিক.(SB1)
সেরোটাইপ ৩ঃটার্কিতে পাওয়া যায়,নন অনকোজেনিক (HVT)
হোস্ট এবং সময়ঃ
চিকেন ন্যাসারাল হোস্ট।বাচ্চা বেশী সংবেদনশীল,বয়স বাড়ার সাথে সাথে রিক্স কমতে থাকে।মোরগ থেকে মুরগিতে বেশি হয় তবে বিদেশী মুরগিতে বেশি হয়।দেশি মুরগিতে তেমন হয় না।সাদা মুরগির থেকে লাল মুরগিতে বেশি হয়।
এটি ৪ -৫০ সপ্তাহ পর্যন্ত হয়।২-৫ মাসে বেশি হয় মুরগি ছাড়াও টার্কি,কবুতর,ফিজান্ট ও কোয়েলে হতে পারে কিন্তু খুব কম হয় এবং মর্টালিটি তেমন হয় না।।১বছরের বেশি বয়সের মুরগিতে মেরেক্স হয় না।টিকা দেয়ার পরও হতে পারে কারণ ইমোনিটি তৈরি হওয়ার আগে যদি জীবানূ আক্রমণ করে,ইমোনিটি তৈরি হতে ২ সপ্তাহ লাগে।৩০ সপ্তাহে পর কম মারা যায়।ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৩-৪ সপ্তাহ কোন কোন সময় কয়েক মাস হয়।বর্তমানে লেয়ারকে জেনেটিকেলি মোডিফাইড করা হচ্ছে যাতে মেরেক্স না হয় বা কম হয়।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুই ভাবেই ছড়াতে পারে।বাতাস এবং ধুলোবালির মাধ্যমে(লিটার মেইন সোর্স)।রোগাক্রান্ত মুরগির ঘরের ধুলায় এ জীবানূ কয়েক সপ্তাহ বেচে থাক।বিষ্টা ও লিটারে এ জীবানূ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কয়েক(১২ মাস) মাস বেচে থাকে।কীট পতংগের মাধ্যমে ছড়ায়।Darking Beetles আক্রান্ত মুরগিকে কামড়ানোর পর সুস্থ মুরগিকে কামড়িয়ে আক্রান্ত করে।
cells from feather follicles are main source of infection.inhalation through respiratory tract is most important.birds may infected early in life and remain infected until death
টিকা দিলে শুধু টিউমার আটকাতে পারে মেরেক্স ভাইরাস ত্থেকে আটকাতে পারেনা।রোগের তীব্রতা যে বিষয়গুলির উপর নির্ভর করেঃ
ভাইরাসের প্যাথোজেনিসিটি ও মাত্রার উপর নির্ভর করে,প্রবেশ পথঃভাইরাস যদি নাক দিয়ে ঢুকে তাহলে রোগ হবার সম্বাবনা বেশি থাকে।মুরগির বংশগতি(হাইসেক্স ব্রিডে বেশি হয়।)।বয়স(১৭-২০ সপ্তাহে বেশি দেখা যায়) অল্প বয়স্ক মুরগির নার্ভ আক্রান্ত হয় আর বড় মুরগির অর্গান আক্রান্ত বেশি।
লিংগ(মুরগিতে হয়,মুরগাতে হয়না।)।ম্যাটারনাল এন্টিবডি।অন্য জীবানূর আক্রমন
ধকল,কক্সিডিয়া,কৃমি,ব্যবস্থাপনা এসবের উপর নির্ভর করে।
পানি,আলো।বাতাস চলাচল যদি কম হয় এবং শীতকালে ঘরে পর্দা দিলে নিশ্বাসের সাথে বাচ্চা বেশি পরিমানে জীবানূ টেনে নেয়।তবে ডিমের মাধ্যমে ছড়ায় না
ফর্ম ও মেরেক্সস
ক্লাসিকেল একোট এমডি ট্রাঞ্জিয়েন্ট প্যারালাইসিস
স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয় ফলে প্যারালাইসিস হয়, হঠাত লক্ষন ছাড়াই মারা যায় এটি আনকমন,কম হয়,৫-১৬ সপ্তহে হয়
মর্টালিটি পরিবর্তনশীল,১০-১৫% প্রধানত ১০-৩০% মারা যায়,৮০% হতে পারে অল্প মারা যায়
ভেগাস এবং ইন্টারকস্টাল স্নায়ু আক্রান্ত হলে ক্রপ ফুলে যায়। প্যারালাইসিস হয় হঠাত করে প্যারালাইসি হয়
ব্রাকিয়াল এবং স্কায়াটিক স্নায়ু বেশি আক্রান্ত হয় কোন সময় মারা যাবার আগে ডিপ্রেস হয় ১-২ দিনে মুরগি ভাল হয়ে যায়
স্নায়ু আক্রান্ত হয় লিভার,কিডনি,স্প্লিন,ফুসফুস,প্রভেন্টিকোলাস,চামড়া,ডিম্বাশয় বাচ্চা সুস্থ হয়ে যায়
কম হয় বেশি হয় বিরল
ক্লাসিকেল(ক্রনিক) এমডিঃ
১৬-২৪ সপ্তাহে বেশি হয় তবে ৮-১২ মাস পর্যন্ত হয়।Cervical nerve আক্রান্ত হলে Torticolis হয়।মাথা ঘুরায়।এবডোমিনাল নার্ভ এবং intercostal nerve আক্রান্ত হলে ক্রপ এবং গিজার্ড প্যারালাইসিহ হয়,ক্রপ ফোলে যায় ।গ্যাস্পিং হয়।ব্রাকিয়াল এবং সায়াটিক নার্ভ আক্রান্ত হলে পাখা এবং পা প্যারালাইসি হয়।
ক্লাসিকেল( একিউট) এমডিঃ
৬-২০ সপ্তাহে বেশি হয়।অর্গান বড় হবার পাশাপাশি মাঝে মাঝে প্যারালাইসিস হয়।
নিওপ্লাস্টিক ফর্মঃস্কিন,চোখে এবং ইন্টার্নাল অর্গানে টিউমার হয়
প্যাথোজেনেসিসঃ
শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে(ধূলা বালি দিয়ে) জীবানূ রেস্পিরেটরী সিস্টেমের ফুসফুসে যায়,সেখান থেকে লিম্ফ্যয়েড সিস্টেমে সাইটোলাইটিক ইনফেকশন হয়,তারপর প্রাইমারী টার্গেট সেল বি সেল আক্রমন করে লিম্পোসাইটের ক্ষতি করে ফলে ইমোনোসাপ্রেশন হয়।লিম্পোসাইটের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরেমিয়া হয়।২সপ্তাহ পর এটি ফেদার ফলিকলকে আক্রমন করে,সেখানে অবস্থান করে ভাইরাস ছড়াতে থাকে।কিছু টি সেল আবার স্নায়ু্তন্ত্র এবং ভিসেরাল অংগকে আক্রমন করে প্যারালাইসিস ও টিউমার তৈরি করে।
ক্লাসিকেল এমডি হলে পা,পাখা,ক্রপ,গিজার্ড,ঘাড়,আইরিশ প্যারালাইসিস হয়।একিউট এমডি হলে লিভার,কিডনি,স্প্লিন,ফুসফুস,প্রভেন্টিকোলাস,চামড়া,ডিম্বাশয় বড় হয়ে যায় পাশাপাশি মাঝে মাঝে স্নায়ু আক্রান্ত হয় ।মেরেক্স ভাইরাস ১দিনের বাচ্চাকেও আক্রমণ করতে পারে এবং ব্লাড লেভেলে অবস্থান করে.৭দিনের মধ্যে শ্বেত কণিকাকে আক্রান্ত করে কিন্তু বি লিম্ফোসাইটকে মেরে ফেলে।এই শ্বেত কণিকা এন্টিবডি তৈরি করে।
বি সেলের পাশাপাশা টি সেল কেও আক্রান্ত করে কিন্তু টি সেল কে মারতে পারেনা।টি সেল ডরমেন্ট অবস্থায় থাকে এবং যখন ১০ সপ্তাহ হয় তখন টি সেল মডিফাইড হয় এবং মাল্টিপাই হয়ে বিভিন্ন অর্গানে টিউনার তৈরি করে(কিডনি,লিভার,স্পিলন)।ফাদার ফলিকলে টিউমার হয় যদি মিট টাইপ মুরগি হয়।
লক্ষনঃ
ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর আক্রান্ত বাচ্চার রোগ লক্ষণ পেতে ৩ মাস সময় লাগে।আক্রান্ত মুরগির জাত,বয়স ও ভাইরাসের স্ট্রেইনের উপর রোগের লক্ষণ নির্ভর করে।আক্রান্ত বাচ্চার লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৩ সপ্তাহ লাগে।এক সাথে অনেকগুলি মুরগি আক্রান্ত হয়।কিছু কিছু মুরগি লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই মারা যায়।অনেক দিন ধরে মরতে থাকে এবং ওজন কমতে থাকে।ক্রপ ফোলে যায়।প্যারালাইসিস হয়( ডানা,পা,চোখ,ঘাড়)
১পা প্যারালাইসিস হলে খুড়িয়ে হাটে।২য়পা প্যারালাইসিস হলে শুয়ে থাকে।পাখা প্যারালাইসিস হলে পাখা ঝুলে পড়ে।ঘাড় আক্রান্ত হলে মাথা এক দিকে বাঁকা হয়ে যায়।মস্তিষ্ক আক্রান্ত হলে দেহে খিঁচুনি দেখা দেয়।চোখ আক্রান্ত হলে আইরিসের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্ধ হয়ে যায়।দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে মুরগি ফ্যাকাশে হয়ে যায়,ক্ষুদামান্দ্য দেখা দেয়,সাথে ডায়রিয়া দেখা যায় ফলে শুকিয়ে যায়।খাবার কম খায় এবং ওজন কমে যায় ও পানিশূন্যতায় মুরগি মারা যায়।
পোস্ট মর্টেমঃ
ভিতরের অর্গানে টিউমার হয়(স্নায়ুতন্ত্র,লিভার,কিডনি,স্প্লিন,ফুসফুস,প্রভেন্টিকুলাস,হার্ট,মাংস,থাইমাস,ডিম্বাশয়,ক্ষুদ্রান্র) এমন কি চামড়ায় ও টিউমার দেখা যায়।গিজার্ড স্নায়ু আক্রান্ত হলে গি্জার্ড এবং ইন্টেস্টাইন ছোট হয়ে যায় এবং মুরগি শুকাতে থাকে।কম বয়সে হলে লিভার খুব বড় হয়ন কিন্তু বয়স্ক মুরগিতের লিভার অনেক বড় হয়(2-3 times)।
white or yellowish spot of cancerous tissue on their surface.enlargement of proventriculus and internal wall is thickened,irregular.blotchy haemorrhage.skin Leulosis,ocular lymphomatosis
তবে হার্ট,ফসফুস,মাসল,চামড়া এবং নার্ভে টিউমার দেখে মেরক্স শিউর হওয়া যায় ।সায়াটিক ও ব্রাকিয়াল নার্ভ ২-৪গুন বড় হয়ে যায় কিন্তু এই ফর্মের মেরেক্স আমাদের দেশে পাওয়া যায় না।
ডিফারেনশিয়াল ডায়াগ্নোসিস
লিভার,স্প্লিন,কিডনিতে মাইকোটক্সিন,সালমোনেলা,ক্লোস্টিডিয়াম,স্টেফাইলোকক্কাস ও কলেরার জন্য বড় হতে পারে।কিন্তু হার্ট,ফসফুস,মাসল,চামড়া এবং নার্ভে টিউমার শুধু মেরেক্সের জন্য হয়।রানিক্ষেত,কলেরা
রোগ নির্ণয় পদ্ধতি
হিস্ট্রি
লক্ষণ দেখে
পোস্ট মর্টেম
আগারজেল প্রিসিপ্রিটেশন টেস্ট
হিস্টোপ্যাথোলজি
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসার উদ্দেশ্য অসুস্থ মুরগিকে সুস্থ করা নয় তবে মাইল্ড মেরেক্স হলে বা মাইকোপ্লাজমা বা সেকেন্ডারী ইনফেকশনের জন্য চিকিৎসা করা হয়।(মেরেক্সের কোন চিকিৎসা নাই তবে স্টেইনের তীব্রতার উপর মর্টালিটি নির্ভর করে এবং কিছু চিকিৎসা দেয়া হয়)সব কিছু বিবেচনা করে ডাক্তার ঠিক করবে কি দেয়া উচিত তবে নিচে একটা ধারণা দেয়া হলো
ইমোনোস্টিমোলেটর(বিটামিউন,নিউট্রিল্যাক)
রিফেন্স বা এলিকম
রেভিট ই এস বা রেনাসেল ই ৭দিন
লিভারটনিক,(রেস্টোলিভ)
কিডনি আক্রান্ত হলে কিডনি টনিক(নেফ্রোফ্লাশ)
ইমোনিটি কমে গেলে মাইকোপ্লাজমা আসে তাই ৫দিন এন্টিমাইকোপ্লাজমাল ড্রাগ (গ্রিন্ট্রিল) দেয়া যায়
প্রতিরোধঃ
খামারের পরিবেশ পরিস্কার রাখতে হবে যাতে ধুলাবালি না থাকে।মাইকোপ্লাজমা,আমাশয়,মাইকোটক্সিন,গাম্বোরো এবং এনিমিয়া যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ এগুলো মেরেক্সকে আমন্ত্রন জানায়।আক্রান্ত মুরগিকে সুস্থ মুরগি থেকে আলাদা রাখতে হবে।বয়স্ক মুরগি থেকে বাচ্চা মুরগি ৩মাস আলাদা পালতে হবে।পরিস্কার পানি দিতে হবে কারন পানিতে আমাশয়ের জীবানূ্র সাথে মেরেক্সের জীবানূ আসতে পারে,দুটিই খারাপ।জীবনিরাপত্তা মেনে চলতে হবে।ভাইরুস্নিপ(জীবানূনাশক) দিয়ে ৩ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।যন্ত্রপাতি এবং পালকের মাধ্যমে যাতে ছড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
টিকাঃ
সব সেল এসোসিয়েটেড ভ্যাক্সিন।
হ্যাচারীতে জিরো দিনের বাচ্চাকে দিলে আজীবন ইমোনিটি থাকে যদি সব ঠিক মত করা হয়।
বাইব্যালেন্ট।
টাইপ ১(HPRS 16)) টাইপ ৩(HVT) কম্বিনেশন
আবার টাইপ ২(SB1) টাইপ ৩( HVT) কম্বিনেশন
১। গতানুগতিক সেরোটাইপ ১ (রিসপেন্স),২ (এস বি ১),৩(এইচ বি টি)
২।ভাইরাস ভেক্টর রিকম্বিনেট এইচ বি টি( আই বি ডি,এন ডি,আই এল টি,এ আই)( যেখানে অন্য ভাইরাসের জিন ঢুকানো থাকে)
এইচ বি টি সেরোটাইপ ১,২ বা উভয়ের সাথে সমন্বয় করে ব্যবহার করা যায় যাতে ফ্লকে বেশি প্রতিরক্ষা দেয়া যায়।
তবে এইচ বি টির সাথে রিস্পেন্স ১ করে যে টিকা তৈরি করা হয়েছে সেটা বেশি ভাল কাজ করে যেখানে মেরেক্স বেশি হয়।
rHVT ভ্যক্সিনের সাথে গতানুগতিক ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে না এমন কি এন্টিবায়োটিক ও দেয়া যাবে না।
ভ্যাক্সিন প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
হ্যাচারীতে ১৮দিনে (In Ovu Route) বেশি রিক্স এলাকায় হ্যাচিং এর পর ২য় ডোজ দিলে প্যাথোজেনিক স্টেইনের বিরুদ্ধে কাজ করে।মেশানোর পর ভ্যাক্সিন গুলো শীতল রাখতে হবে এবং ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে দিতে হবে।মেরেক্স ভ্যক্সিন হলো কোষের unstable suspension তাই ভাল ভাবে মেশালে এবং ঝাঁকালে তলানী পড়ে না,একই মাত্রা সব নিশ্চিত হয়।।
মেরেক্স রোগ বেশি হবার কারণঃ
টিকা দেয়ার ৪-৫দিন পর টিকার ভাইরাস বাচ্চার শরীরে সংখ্যা বৃদ্ধি করে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে।কিছু কিছু ঝুঁকি থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে যেমন বিভিন্ন বয়সের বাচ্চা এবং মুরগি এক সাথে বা এক ফার্মে বা কাছাকাছি রাখা হয়।নতুন লিটার ব্যবহার করা বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা তানাহলে ফিল্ড মেরেক্স ভাইরাস ও অন্যান্য ইমোনোসাপ্রেসিভ রোগ দ্বারা বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে।এম ডি ভ্যক্সিনের সঠিক নির্বাচন ও প্রয়োগের মাধ্যমে মেরেক্স নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যেসব ফ্যাক্টরের কারণে মেরেক্স হয়ে যায়
এই ভ্যাস্কিন খুব সেন্সেটিভ,সামান্য তাপমাত্রা এবং সময়ের পরিবর্তন হলে ভ্যাক্সিন কাজ করে না।আমাদের দেশে ভ্যাক্সিন কাজ না করার মেইন কারণ ঠিক মত ভ্যাক্সিন না দেয়া এবং ভুল পদ্ধতি এবং স্ট্রেইন।তাছাড়া হ্যাচারীতে ১৮ দিন বয়সে ডিমের মধ্যে ভ্যাক্সিন দেয়া হয় না যার ফলে ভাইরাস বাচ্চার শরীরে সহজে ঢুকে যাচ্ছে এবং মেরেক্স হচ্ছে।
১।ভূল পদ্ধতিতে টিকা সংরক্ষণ,স্থানান্তর ,প্রস্তুতি ও প্রয়োগ
২।ডোজ কম বা ডাইলুশন ভূল করা
৩।অন্য টিকার দ্বারা মেরেক্সের টিকার কার্যকারিতা কমে যায় বা নস্ট হয়।
৪।এন্টিবায়োটিক
৫।অধিক আক্রমনাত্মক স্ট্রেইন দ্বারা বাচ্চা বয়সে আক্রান্ত হওয়া।
৬।ইমোনোসাপ্রেশনঃ
৭। মেরেক্স টিকা ১ঘন্টার মধ্যে দিতে হয় কিন্তু অনেকেই তা মেনে চলে না বা জানে না।
৮।আই বি ডি,চিকেন ইনফেশাস এনিমিয়া
৯।পরিবহ্নের সময় তাপমাত্রা বেশি বা কম
১০।ভ্যান্টিলেশন ভাল না হওয়া
১১বেশি গরম বা ঠান্ডা
১২।বেশি ঘন
১৩।খাবারের মান ভাল না হলে,মাইকোটক্সিন,এমানো এসিডের ঘাটতি।
মেরেক্স এবং লিউকোসিসের পার্থক্যঃ
পয়েন্ট মেরেক্স লিউকোসিস
বয়স ৬ সপ্তাহের বেশি ১৬ সপ্তাহে বেশি
প্যারালাইসিস হয় হয় না
মরটালিটি ৫%-৫০%এর বেশি ৫% ,কোন কোন সময় ২৯%
লক্ষন স্পেসিফিক নন স্পেসিফিক
লিভার ওস্প্লীন পেরিভাস্কোলার ও ডিফিউজ ফোকাল মানে ছোট বা বড় পয়েন্টেড
লিম্ফয়েড সেল টি সেল (লিম্ফোব্লাস্ট ও সাইট) বি সেল(শুধু লি্মফোব্লাস্ট)
চামড়া আক্রান্ত হয় হয় না
চোখ আক্রান্ত হয় হয় না
ভাইরাস ডি এন এ আর এন এ
কিভাবে ছড়ায় সংস্পশে ডিম ও সংস্পশে