দ্রুত ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস ও চিকিৎসার গুরুত্ব
আর্লি ডায়াগ্নোসিসের গুরুত্ব অনেক বেশি।এমন কি মুরগি সুস্থ হবে কিনা তা আর্লি ডায়াগ্নসিসের উপর নির্ভর করে।
খামারীরা অল্প সমস্যা হলে বা মারা গেলে ডাক্তারকে ডাকে না।
দ্রুত ডায়াগ্নোসিসের উপর ফার্মের লস ও মর্টালিটি নির্ভর করে।শুধু একটা ফার্ম না পাশাপাশি অন্যান্য ফার্মের ভাগ্য ও অনেক সময় নির্ভর করে।
১।রানিক্ষেত
ভেলোজেনিক/ভি ভি এন ডি যদি ১-২দিনের মধ্যে ডায়াগ্নোসিস করা যায় তাহলে ভাল হবে তানাহলে সব মারা যেতে পারে।
ডায়াগ্নোসিস করার পর আর ডি ভি /মেসোজেনিক ভ্যাক্সিন দিতে হবে।এতে সুস্থ হয়ে যাবে।।
লেন্টোজেনি/মেসোজেনিক হলে লেন্টোজেনিক/অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
২।কলেরা
যত তাড়াতাড়ি ডায়াগ্নোসিস হবে তত কম মারা যাবে এবং সুস্থ হবে।প্রডাকশন ভাল থাকবে।
৩।টাইফয়েড
এটাতে হাজারে ১টা,পরের দিন বা ২-৩দিন পর ২টা বা ১টা পরে ২টা,৩-৪দিন পর ৩টা এভাবে ধারাবাহিক ভাবে মারা যায়।
প্রথামিক স্টেজে ডায়াগ্নোসিস না করলে পরে মরটালিটি ও প্রডাকশন কমে যায়।অনেকে এটাকে গুরুত্ব দিতে চায় না।
৪।মেরেক্স/লিউকোসিস
এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসা করে টাকা খরচ করে লাভ নাই
৫।এইচ ৫/এইচ৭
এসব ক্ষেত্রে পি এম করে বা টেস্ট করে যদি জানা যায় তাহলে খাচার কয়েকটি ইউনিটের মুরগি বিক্রি করে দিলেই ভাল হবার সুযোগ থাকে।
৬।করাইজা,আই বি,এইচ ৯,পক্স
এসব ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে লাভ নাই ভাল হতে অনেক সময় লাগবে
৭।মাইকোপ্লাজম্মোসিস
মাইকোপ্পলাজমোসিস দ্রুত ডা্যাগ্নোসিস করে ভাল করতে পারলে অন্য রেস্পিরেটরী ডিজিজ কম হয় ।
৮।কক্সিডীওসিস
এই কক্সি যদি থাকে তাহলে গাম্বোরু,ইকলাই,সাল্মোনেলা,এন্টারাইটিস,রানিক্ষেত আসতে পারে তাই আগে জেনে কক্সির লোড কমাতে হবে।
##যেসব ডিজিজ দ্রুত জেনেও লাভ নাই
যেমন মেরেক্স,লিউকোসিস,আই বি ডি
###আক্রান্ত হবার পর ও ভ্যাক্সিন দেয়া যায়/উচিত যেসব ডিজিজে
আই বি
রানিক্ষেত
আই এল টি
পক্স
নোটঃ
কিছু মর্টালিটি/মর্বিডিটি/পি এম আছেযা দেখে সব সময় ডায়াগ্নোসিস সহজ হয় না তবে অপেক্ষা না করে চিকিৎসা,ব্যবস্থা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
খুব বেশি এক্সপার্ট না হলে এই অবস্থায় ডায়াগ্নোসিস করা যায় না।