আমরা এখন ও গুটি কয়েক রোগ নিয়ে পড়ে আছি।
পোল্ট্রি সেক্টরের শুরু ১৯৯০ সালের দিকে,অল্প কোম্পানী, অল্প ফার্ম , অল্প খামারী – ডিলার,অল্প রোগ।
এর পর থেকে পোল্ট্রিতে এসেছে অনেক চড়াই উত্রাই,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগ ব্যাধি এসে ধবংস করে দিয়ে গেছে অনেক খামারী।
আবার গুড়ে দাড়িয়েছে আবার ধস নেমেছে আবার উঠে দাড়িয়েছে।
এখন প্রায় ৬০ লাখ লোক এই সেক্টরে জড়িত, প্রায় ৩০হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।
শত শত ফিড ,মেডিসিন ও হ্যাচারী কোম্পানী এই ব্যবসায় জড়িত।
ফার্ম এত অপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে যে এখানে মুরগি কিভাবে টিকে আছে তা নিয়ে গবেষণা করার মত।
মুরগি দেখা বা কাটার পর বলা হচ্ছে সালমোনেলা বা ঠান্ডা ,৮০% রোগ এই ২ নামেই চলেতেছে।
আরো আছে গাম্বোরু,রানিক্ষেত,মাইকোপ্লাজমা,এক্টু বাড়িয়ে যদি বলি তাহলে কলেরা ,করাইজা।
আমাদের কাছে মনে হয় রোগ ব্যাধি ( ৬টা)আপাতত এখানে ই শেষ কিন্তু ১৯৯০- ২০১৯ সাল প্রায় ২০ বছর।
এই সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে বিভিন্ন টিকা ,বাচ্চা ও ব্রিডার আনা হয়েছে সাথে রোগ জীবাণূ ফ্রি ।আবার ব্রডার ক্রস করে কোন কোন সময় এসেছে কমার্শিয়াল লেয়ার বাচ্চা, টার্কি ।কেউ কেউ বলে ডিম ও নাকি আসে।
পোষা প্রাণী এবং পোষা পাখীও আসে বিদেশ থেকে।
এভাবে নতুন রোগ আমদানি হয়েছে দেশে।
তাছাড়া এই দীর্ঘ সময়ে অগোছালো ফার্মে নতুন রোগ বেড়ে গেছে যেখানে বায়োসিকিউরিটি শূন্যের কোটায়।
কি কি রোগ ফিল্ডে আগে ছিল,এখন কি কি নতুন রোগ ফিল্ডে দেখা যাচ্ছে তা যাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল বা নেয়ার দরকার আছে।
বিশেষ করে রোগের বিপরীতে টিকার ব্যবস্থা করা দরকার বা বিকল্প কি করা যেতে পারে তা আলোচনা করা।
আমাদের দেশের প্রতিবেশী দেশ গুলোতে কি কি ডিজিজ আছে এবং তারা কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা ভেবে দেখা দরকার।
আগে যে জীবাণূ ছিল এখন তা মিউটেশন হয়ে নতুন রুপে দেখা যাচ্ছে বা নতুন স্টেইনে রুপ নিচ্ছে।
আমার কাছে যে রোগ গুলি ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে যা পোল্ট্রি শিল্পের জন্য হুমকি স্বরূপ ঃ
আই বি এইচ
রিও
এস্টু ভাইরাস
এভিয়ান নেফ্রাইটিস ভাইরাস
হাইলি প্যাথোজেনিক ই কলাই
কলেরার নতুন কোন স্টেইন
এ আই এর বিভিন্ন স্টেইন
মেরেক্সের স্টেইন।
রানিক্ষেতের নতুন কোন স্টেইন
#চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া নিয়েও ভাবার দরকার।
আমি আই বি এইচ ও রিও নিয়ে লেখালেখির কারণে অনলাইন থেকে অনেকেরই এই ২টি রোগ সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়েছে কিন্তু যারা অনলাইনে নাই তারা এখনো গাম্বোরু ও শুকরা রোগে পড়ে আছে।
ডাক্তারী পেশা এমন একটি পেশা যেখানে পড়াশুনা করতে হয় আজীবন কারণ নতুন নতুন রোগ জীবাণু তৈরি হয় বা মিউটেশন হয় বা আমদানী হয়।
কোম্পানী হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে অথচ সেক্টরকে টিকিয়ে রাখার জন্য কোন প্রচেস্টা চোখে পড়ে না।
সব কোম্পানী ও সরকার মিলে যৌথ ভাবে কাজ করতে পারে।
মরটালিটি ৫-১০ হলেই রানিক্ষেত বা কলেরা বলা হচ্ছে
এখন ত কিছু ই লাগে না সব ৯ বা ৫,এটার উপর দিয়েই চালিয়ে দেয়া যায়।যত দোষ নন্দ ঘোষ।
চিকিৎসা ও অনেক সহজ মরটালিটি বেশি হলে কন্টোলে না আসলে মারো এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন।(এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেয়া যাবে তবে কারণ আগে জানতে হবে )
আসলে আমাদের যদি টেস্ট করার সুযোগ থাকে তাহলে টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা উচিত।
##চোখ ফুলে গেলে বা শ্বাস কষ্ট হলে হতে পারে
নিউমো ভাইরাস
অরনিথ্রোরাইনোট্রাইকিয়াইটিস
মাইকোপ্লাজমা
রানিক্ষেত
এ আই
আবার কলেরা ,এ আই ও রানিক্ষেতের লেশন ও লক্ষণ প্রায় কাছাকাছি
তাই টেস্টের কোন বিকল্প নাই
##মুরগি শুকিয়ে যায় ও প্যারালাইসিস হয় কিসের জন্য নিচে তা দেয়া হলো
মেরেক্স
স্টেফাইলোকক্কোসিস
লিউকোসিস
কলেরা
রানিক্ষেত
ধকলের কারণে ,ফ্যাটি লিভাবের কারণে বা মাইকোটক্সিনের কারণে বা স্পোরাডিক মরটালিটির কারণে ও আমরা অনেক সময় এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেয় যা ঠিক না।
খামারী ,ডিলার বা ডাক্তারদের কে জেনে শুনে বুঝে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
মরটালিটি বা রোগে ব্যাধির সাথে টাইটার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যা আমরা জানার চেস্টা করি না।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ছাড়া বা সময় দিয়েও মরটালিটি দূর করা যায় এবং কিছু কিছু মরটালিটি মেনে দেয়া ফার্মের জন্য লাভজনক ।
প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
নিচে বিভিন্ন রোগের নাম দেয়া হলো যে গুলো রোগ নির্ণয়ের সময় মাথায় রাখা উচিতঃ
১।ভাইরাল ডিজিজঃ
রানিক্ষেত
এ আই
গাম্বোরু
আই এল টি
আই বি
আই বি এইচ
রিও
ই ডি এস
মেরেক্স
লিউকোসিস
এভিয়ান এন্সেফালাইটিস
পক্স
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া
নিউমো ভাইরাস.
২।ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ
ই কলাই
কলেরা
পলোরাম
টাইফয়েড
করাইজা
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
স্টে্ফাইলোকক্কোসিস
স্টেপ্টোকক্কোসিস
অরনিথ্রোরাইনোট্রাকিয়াইটিস (ও আর)
অম্ফালাইটিস
৩।ফাংগাল ডিজিজ
নিউমোনিয়া
মাইকোটক্সিন
৪।প্যারাসাইটিক ডিজিজ
এন্ডো প্যারাসাইটিস
কক্সিডিওসিস
ব্ল্যাক হেড
৫।মেটাবলিক ডিজিজ
ফ্যাট লিভার সিন্ড্রম
গাউট
৬।ডেফিসিয়েন্সি ডিজি্ল)
৭।হিট স্টোক
৮।ক্যানাবলিজম
৯।স্টেস (ধকল)
১০। ব্যবস্থাপনা ত্রুটির জন্য এসাইটিস
Poultry diseases:Morbidity(%)&Mortality(%)
Disease Morbidity% Mortality
Nd 0-100 0-100
IBD 80-100 5-70
IB 10-50
ILT 5-70
Marek’s 5-50 50
Leucosis 5+
Pox 1-2(40)
EDS Negligible
AI 50-90 5-100
Choleara 60-70 40-50
Salmonella 10-90
E.Coli Variable variable
Mycoplasma 90-100 1-10
Coryza 50-100 Negligible
N.E 6- 30
Coccidiosis 40-80 50
Pneumonia 5-50
Fatty liver S 5
Encephalitis 75
CAV Below 30
Malabsorption S 4
IBH 25
Omphalitis. 15%
asities. 1-5 1-25
SDS. 5%