Breaking News

ফার্মে খামারী,ডিলার এবং এম আরদের ভুমিকা এবং ফলাফল

ফার্মে খামারী ,ডিলার এবং এম আরদের ভুমিকা এবং ফলাফল

১।মুরগির কিছু হলেই তাকে সালমোনেলা বা পেঠ খারাপ  বা ঠান্ডা লাগা মনে করা।

৯৮% এটাই বলে থাকে,যদি এই ৩-৪টি রোগ ই  থাকতো এবং সব গুলো যদি একই হতো তাহলে ৫ বছর পড়াশুনার দরকার ছল না।এর বাহরে যে প্রায় ৫০টির বেশি রোগ আছে তা জানে না বলেই এই সমস্যা।

সালমোনেলা আছে কয়েক ধরনের।(পলোরাম এবং টাইফয়েড)

সবগুলোকে আলাদাভাবে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

কোনটায় মরটালিটি হয় আবার কোনটায় মরটালিটি হয় না।

তাই ডাক্তার ছাড়া বুঝা সম্বম না কোন ধরণের সালমোনেলা এবং কি করতে হবে।

ঠান্ডা লাগতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন

মাইকোপ্লাজমা,রানিক্ষেত, টাইটার কমে গেলে, করাইজা,এ আই,আই বি,আই এল টি, এমোনিয়া ,এস্পারজিলোসিস এমন কি পক্সের জন্য ও হতে পারে।

২।পেঠ খারাপ বা ডায়রিয়া  বা পাতলা পায়খানা হতে পারে বিভিন্ন কারণে

ই কলাই,গরম,বেশি প্রডাকশন,আই বি ডি,কলেরা,রানিক্ষেত,খাবা্র ,খাবার পরিবরতন, আমাশয়,মাইকোটক্সিন।

৩।ডিমে সমস্যা হলেই তাকে সালমোনেলা বা মাইকোপ্লজমা মনে করা।

সমস্যা  বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন

আই বি,রানিক্ষেত,করাইজা,এ আই,ই ডি এস,সালমোনেলা,মাইকোপ্লজমা,কৃমি,কলেরা,আবহাওয়া,ধকল।

৪।চোখ ফোললেই তাকে করাইজা মনে করা

বিভিন্ন কারণে চোখ ফোলতে পারে

করাইজা,রানিক্ষেত,এ আই,এমোনিয়া গ্যাস,ই কলা্ই, ভিটামিন এ এর অভাব

সঠিক ডায়াগ্নোসিস করতে ল্যাবের বিকল্প নাই।

৫।এক খামারী এই মেডিসিন খাওয়াইয়া ছিল ফলে মুরগি ভাল হয়ে গিয়েছিল বা এক ডাক্তার এই মেডিসিন দিয়েছিল ফলে মুরগি ভাল হয়ে গিয়েছিল।

অন্য খামারী  বা ডাক্তার কি দিয়েছিল তা ছিল ওই সময়কার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে।

যা অন্য সময় দেয়া ঠিক না।দিতে হবে এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী।কাজেই আগের চিকিৎসা সব ক্ষেত্রে চালানো ঠিক না।

খামারীর কাছে সব এক রকম মনে হলেও তা এক রকম না।

৬।আগের বার ৩ দিন বা ৫দিন বা ৭দিন পর ভাল হয়ে গিয়েছিল,এখন ভাল হচ্ছেনা।

প্রতিটার রোগের  ভাল হওয়ার নির্দিষ্ট সময়সূচি আছে  তাছাড়া অন্যান্য রোগের উপস্থিতি রোগের তীব্রতাকে বা সুস্থ হবার সময়কে বাড়িয়ে দিতে পারে।কবে ভাল হবে তা ডাক্তার ই বলতে পারবে।

৬।খামারী কোন দিন মুরগি সম্পর্কে ২০% এর বেশি শিখতে পারবেনা।এটা বিশ্বাস করতে হবে।

তাই কেউ যদি মনে করে সে সব শিখে ফেলেছে,ডাক্তার দরকার হবেনা তাহলে সে ৫টা ব্যাচের মধ্যে ২-৩টি ব্যাচে লস খাবার সম্বাবনা খুব বেশি

যা প্রতি নিয়ত হচ্ছে কিন্তু তা কেউ খেয়াল করতেছেনা।

আর যদি আল্লাহ কাউকে ভাল রাখতে চায় এটা ভিন্ন কথা।

৭।কেউ কেউ ২-৩টি এন্টিবায়োটিক এক সাথে দিয়ে দেয় বা এক মেডিসিনের সাথে আরেক মেডিসিন দিয়ে দেয় যা দিলে কোন কাজ হবেনা এমন কি ক্ষতি হতে পারে।

এন্টাগনিজম,সিনারজেস্টিক,এডিটিভ ,নিউট্রালাইজেশন   বলে বিভিন্ন বিষয় আছে যা খামারী বুঝে না।

যেমন ১টা উদাহরণ দেই টাইলোসিনের সাথে পি এইচ দিলে কাজ হবে না কারণ পি এইচ আসিড আর টাইলোসিন ক্ষার মানে নিঊট্রালাইজেশন(O) হবে|

৮।মেডিসিনের ডোজ ও সময় ঠিক না করে মেডিসিন দেয়া।

এন্টিবায়োটিক,১ বেলা বা ২ বেলা,এমন কি ২ দিন বা ৩দিন দিয়ে থাকে যা কোন কাজে আসে না এমনি এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে যায় ফলে পরে আর এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা।দোষ দেয় ডাক্তার এবং মেডিসিনের।

৯।একজন ৭ বছর খামার করে আরেক জন নতুন খামারী;

পুরান খামারী হয়ত ভাববে আমি ৭ বছর ধরে  ফার্ম করতেছি আমার মুরগি ভাল হবে,এটা ভুল কারণ তার ফার্মে জীবাণূর লোড বেশি,তাছাড়া সে ত ডাক্তারের তুলনায় তেমন কিছু জানেনা।মনে করে   অনেক কিছু জানে।

নতুন খামারীর প্রডাকশন ভাল হবে কারণ সে জানেনা বলে ডাক্তারের কাছে যাবে।

১০।২টি খামারী   একই সমস্যায় ১ খামারী ১ মাসে ২০০০০টাকার মেডিসিন খাওয়ালো আরেক জন ৫০০০টাকার মেডিসিন খাওয়ালো।

উভয়ের  প্রডাকশন ও মরটালিটি সমান

কারণ কি?

কারণ একজন বুঝে খাওয়াইছে আরেক জন না বুঝে খাওয়াইছে।

১১।প্রেসক্রিপশনের একটা মেডিসিনের নাম ঃসময়।

ধৈর্য ধরে মেডিসিন খাওয়াতে হবে,যদি ধৈর্য না থাকে  বার বার ওষধ বদলানো হয় তাহলে মুরগি সুস্থ হবেনা এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে।

কারণ মেডিসিন যেমন কাজ করে তেমনি সময় ও কাজ করে।

যেমন মানুষের যদি যক্ষ্মা হয় তাহলে ৬ মাস ওষধ খেতে হয়,এখানে সময় গুরুত্বপূর্ণ

মুরগির ক্ষেত্রে আই বি ও মেরেক্স  এর ক্ষেত্রে ধৈয্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়।।

১২।নতুন প্রযুক্তিকে কেউ সহজে নিতে চায়না।

বলে আমরা ত আগে এভাবেই পালতাম।

এখন এভাবে পাললে হবেনা কারণ জীবানূর লোড বেড়ে গেছে এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে।

অনেকে লেয়ারে ১ মাস পর পর টিকা দেয় কেউ আবার ২ মাস পর টিকা দেয়, দুটি ই ভুল পদ্ধতি।আগে জানতে হবে তার টিকার দরকার আছে কিনা মানে টেস্ট করে আগে জানতে হবে টাইটার কত।তারপর টিকা দিতে হবে।

দেশে এমন  হাজার হাজার খামারী আছে যারা ধরি ১০ টি ব্যাচ এর মধ্যে ৭টি ব্যাচে যে পরিমাণ লাভ করেছে ,পরের ৩টিতে  সে পরিমাণ লস করেছে ।এই রকম আছে ৫০%।লাভে আছে ২৫%,লসে আছে ২৫% খামারী।

১৩।খামারী না জেনে  ভুল ভাবে সেড করে যা পরে ঠিক করা যায়না ,ফলে গরমকালে বেশি গরমের কারণে স্টোক করে আবার শীতের সময় বেশি শীত পড়ে।নিয়ম হলো সেড করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলা।

১৪।খামারীকে ডাক্তারের কাছে নিজেকে আত্তসমর্পণ করতে হবে।

যে  আপনার কথা চিন্তা করে ও সঠিক রোগ নির্ণয় করে মেডিসিন দিবে।

১৫।আমার সব শেষ হয়ে যাবে তাতে ডাক্তারের কি?

এই কথা খামারী মুখে বলেনা কিন্তু  অনেক খামারীর কাজ কর্মে তাই প্রমাণ করে।

মানে হলো খামারী নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছে।

১৬।কোন সমস্যা হলে বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করে কাউকে ভরসা পায়না।

এদের প্রজেক্ট লাভজনক হয় না।সব সময় সমস্যা লেগেই থাকে।

১৭।ঠান্ডা লাগলে টিকা দেয়া যাবেনা।

এটা ভুল ধারনা,আগে দেখতে হবে এটা কিসের ঠান্ডা তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

টেস্ট করে   ডাক্তার ই  বলতে পারবে কি সমস্যা এবং কি করতে হবে।।

১৮।ডাক্তার ফার্ম এ গিয়ে দেখে কোটি কোটি জীবাণু আর খামারী দেখে শুধু ডিম আর মুরগি

কাজেই ডাক্তার আর অন্য কারো দেখা আকাশ পাতাল তফাত।

তবে কিছু কিছু জিনিস খামারী অনেক দিন মুরগি পালন করার কারণে শিখে থাকে তা সত্যি।

নিচে ২টা ফার্মের চিকিৎসার উদাহণ দেয়া হলো

১৯।২টা লেয়ার ফার্মে ৪০০০ করে মুরগি আছে,২টিতে ২জন চিকিৎসা করে ১জন ১টায় ৪০০০টাকার মেডিসিন দেয় আরেক জন  অন্য টায়১২০০০টাকার মেডিসিন দেয় ,২টি ফার্মেই মরটালিটি হয়েছিল মাত্র ৫ করে।

সমস্যা একই ছিল কিন্তু একজন ৮০০০টাকার মেডিসিন বেশি দিয়েছে কারণ কি?

একজন জানত এতে মরটালিটি তেমন হবে না,এমনি ভাল হয়ে যাবে।

আরেকজন বুঝতে পারেনি তাই অন্ধভাবে চিকিৎসা দিয়েছে,বেশি মেডিসিন দিয়েছে  যদি কোন টায় কাজ হয়।

২০।একটা  ফার্মে ৩০০০ লেয়ার ,গড় গড় শব্দ,নাক দিয়ে পানি পড়ে,পায়খানা সবুজ,মুরগি ১০টা মারা গেছে,মেডিসিন দিয়েছে ২০০০০টাকার।খামারী খুব খুশি কারণ মাত্র ১০টা মুরগি মারা গেছে।

এখানে এত খুশি হবার কারণ ছিল না কারণ   ফার্মে যে   সমস্যা হয়েছিল তাতে ৫০০০টাকার মেডিসিনি যথেষ্ট ছিল।মেডিসিন বেশি দেয়ার কারণে খরচ বেশি হয়েছে,ইমোনিটি কমে গেছে,ভাল জীবাণূ কমে গেছে,প্রডাকশন কিছুটা কমে গেছে।

কাজেই ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করার দরকার ছিল।

২১।একটা ফার্মে সমস্যা (রোগ) হবার পিছনে যে  কারণ গুল থাকতে পারে।

খাবার

বাচ্চা

রোগ

ব্যবস্থাপনা

খামারী , ডিলার,এম আর

ল্যাবে টেস্ট না করা।

সবাই শুধু রোগের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত কিভাবে রোগ হলো,কি করলে রোগ কম হবে বা হবে না সেটা নিয়ে কেউ চিন্তা করে না।

২২।খামারী ১-২টা ব্যাচ ভাল ভাবে পালতে পারলে মনে করে সব শিখে গেছে,ফলে পরবর্তিতে ডাক্তারের হেল্প নিতে চায় না।ফলে পরের ১-২ টি সেডে ধরা খেয়ে আগে যা লাভ করেছিল তার সমান হয়ে যায় ।

এমন এক সময় ছিল রোগ ব্যাধি কম হতো,মুরগি কম ছিল।সবাই লাভবান হতো।এই অবস্থাই খামারীরা মনে করে খুব দক্ষ হয়ে গেছি আসলে মুরগি এমনি সুস্থ ছিল কোন কেরামতি ছিল না।

নতুন এলাকা হলে রোগ ব্যাধি কম হয় তবে পুরান এলাকায় মুরগি পালন করতে হলে টেস্টের বিকল্প নাই।

২৩। যদি টেস্ট করে টিকা দেয় বা চিকিৎসা করা হয় তাহলে ৫০% রিস্ক এবং লস কমানো যাবে।আমরা কথাই কথাই খামারীদের সচেতন হবার কথা বলি কিন্তু ডাক্তার  হিসেবে ল্যাবের ব্যাপারে   আমরা কি  সবাই  সচেতন ।

২৪।খামারী  ও ডিলারদের মাঝে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হলো তারা নিজেদের ভুল কখনো ধরতে পারে না।

মনে করে ঠিক পথে আছে।

২৫।৮০% খামারী ফার্মের ব্যাপারে কিছু ই জানে না এমন কি নিজের সার্থ ও বুঝে না।

২৬। কোন রোগের  মর্টালিটি  যদি না কমে তাহলে যে  রোগ হয়েছে সেটাকে  টাকে বিশ্বাস করবে না এবং অন্য একটা রোগ হয়েছে বলে ভাববে।তাছাড়া ডাক্তার পরিবর্তন করবে।

নিচে  আমার  কিছু অভজারবেশন দেয়া  হলো

আমার ব্যক্তিগত অভিমত কারোর সাথে মিলতে পারে আবার নাও মিলতে পারে।

৪০% খামারী সঠিক চিকিৎসা পায়না।ল্যাবের সুবিধা না থাকায়।

১০% মুরগি  বিক্রি হয়ে যায় যা সঠিক চিকিৎসা দিলে ভাল হতো।

১৫% চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তার পরিবরতন হয়।

৫% খামারী চিকিৎসা করে না।

৪০%  রোগের সঠিক  ডায়াগনোসিস  হয় না।ল্যাবের সুবিধা না থাকায়।

৪০% সঠিক চিকিৎসা হয়।

২০% অপ্রয়োজনীয় মেডিসিন চলে(এটা হয় সঠিক রোগ নির্ণয়ের অভাবে)

২০% ওষধ চলে ঃঃঃ…।

২০% রোগ আছে যা অল্প মেডিসিনে বা মেডিসিন না দিলেও ভাল হয়।কিন্তু মেডিসিন ব্যবহার হচ্ছে সঠিক  ধারণার অভাবে।

মূল কথা হলো বুঝতে হবে ও নীতিবান হতে হবে।

৫% মেডিসিন অপচয় হয় সঠিক ডোজ না দেয়ার কারণে।

খামারী কতটুকু মেডিসিন কিনবে এবং দিনে  বা দিনে ও রাতে কতটুকু খাওয়াবে,কতদিন চলবে তা প্রেস্ক্রিপশনে উল্লেখ করলে ভাল হয়।

১গ্রাম ১লিটারে এটা সঠিক পদ্ধতি না তবে সহজ পদ্ধতি।

গরমে পানি বেশি খায় আবার শীতে ও অসুস্থ মুরগি পানি কম খায় তাই ১এম এল ১লিটারে দিলে মেডিসিন কম পড়ে।আবার গরমের সময় বেশি পড়ে।

১০০০ লেয়ার প্রডাকশনের সময় ২৫০ লিটার পানি হলো স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু গরমে খায় ৪০০ লিটার আর শীতে খায় ১৫০লিটার,অসুস্থ হলে খাবে ১০০লিটার তাই ডোজ কম বেশি হয়ে যায়  যদি পানির হিসাবে  দেয়া হয়।

১০% চিকিৎসায় মুরগি সুস্থ হয়না সঠিক ডোজ না দেয়ার কারণে।

টোটাল কতটুকু মেডিসিন লাগবে ও কিনবে তা উল্লেখ করে না দেয়ার কারণে ৫-১০% মেডিসিন অপচয় হয়।

ধরি ২০০০ লেয়ার মুরগির জন্য

ডাক্তার লিখে দিলো টক্সিনিল বা লিভারটনিক বা ভিটামিন বা এন্টিবায়টিক ১লিটারে ১মিলি ৫দিন।

খামারী ও ডিলার হিসেব করে কিনলো দেড় লিটার

৫দিন পর দেখা গেল ৫০০ এম এল বাকি আছে ,এটা ফার্মে পরে পড়ে থাকে এবং নস্ট হয়ে যায়।

প্রতিটি ফার্মে গেলে এমন অনেক মেডিসিন পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ডিলার ও খামারী অনুমান করে মেডিসিন কিনে এবং পানি হিসেব করে ওষধ দেয়।

ওষধ দিতে হবে বডি ওয়েট বা স্ট্যান্ডাট পানি হিসেব করে।

সকাল,দুপুর ও রাতে কতটুকু ওষধ দিবে তা উল্লেখ করে দিলে সবচেয়ে ভাল।

বাচ্চা মুরগির জন্য ১ এম এল লিটার দেয়া যায় তাতে সমস্যা নাই

৪০% মুরগির চিকিৎসা ডাক্তার করে

৪০% করে ডিলার

২০% করে এম আর ও খামারী ।

৬০% রোগের সঠিক ডায়াগ্নোসিস হয়

৪০% রোগের সঠিক ডায়াগ্নোসিস হয় না।

৯০% খামারী রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভাবে, ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবে না ।

১০% খামারী ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবে।

১০% মেডিসিন খামারীর  ভুল চিকিৎসায়  অপচয় হয়।

খামারীরা যদি সচেতন হয় তাহলে অনেক পরিবরতন আসবে এবং খামারী ভাল থাকবে।

তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে খামারীরা এত সচেতন না তাই তাদের মাঝে অনেক ভুল ধারণা আছে

যেমন খামারী মনে করে সরকারী ডাক্তার বেশি জানে ,তারা পাশ করে বি সি এস ক্যাডার হয়েছে।

তাদের ধারণা ১০০% ভুল ডাক্তারের দক্ষতার সাথে বি সি এসের কোন সম্পর্ক নাই।

কারণ বি সি এস পাশ করতে চিকিৎসা ও রোগ নিয়ে  স্পেশাল কোন পরীক্ষা হয় না।

আরেকটা ভুল ধারনা আছে সেটা হল অনেকদিন চিকিৎসার সাথে জড়িত থাকলেই তাকে একমাত্র বড় ডাক্তার মনে করে।

বাংগালী হুজুগে বিশ্বাসী।

নোটঃখামারী বা ডিলার কে যদি সঠিক, নতু্‌ন , বিজ্ঞান সম্মত ,লাভজনক  এবং ভাল সাজেশন দিতে গেলে তাদের বুঝে আসে না ।ভুল ,তথাগতিত,প্রচলিত যা দিবেন তাই নিবে ,ফার্মের লাভ লস কিভাবে হয় তা জানার ইচ্ছা এবং মনমানসিকতা ৮০% খামারীর নাই।

চুলকাতে ভাল লাগলেও চুলকানি কিন্তু ভাল না তাই সব ভাল লাগা ভাল না।

ডাক্তারদের কাছে খামারীর চাওয়া পাওয়া

কি চায়ঃডাক্তার এসে মুরগি সুস্থ করে দিবে,এটা ১০০% ভুল।

ডাক্তারের ভুমিকাঃরোগ নির্ণয়,চিকিৎসা দেয়া ও প্রোগ্নোসিস (মানে সুস্থ হতে কতদিন লাগবে,কতগুলি মারা যাবে,কতদিন চিকিৎসা দিতে হবে,চিকিৎসা খরচ কত হতে পারে,কত পারসেন্ট ডিম কমবে বা কত %ডিম বাড়বে,রাখলে লাভজনক হবে কিনা,এর উপর একটা আনুমানিক ধারণা)

সবচেয়ে ভাল সিস্টেম হলো খামারী সব সময় ডাক্তারের আন্ডারে থাকবে,ডাক্তার সব কিছু নির্দেশনা দিবে যাতে অসুখ কম হয় এবং মুরগি ভাল থাকে।

অধিকাংশ খামারী ডাক্তারকে অনারিয়া্ম(ভিজিট) দেয়না,বা দিলেও অল্প দেয়।কোম্পানী ডাক্তারের বেলায় ত ফি চিকিৎসা।

কোম্পানী ডাক্তার হলেও মিনিমাম একটা ফি থাকা উচিত ছিল।৫০ বা ১০০।এতে ডাক্তারকে মূল্যায়ণ করবে,প্রেশক্রিপশন ডিজ অনার হবে না।

ফি হবার কারণে অনেক  খামারী প্রেস্কিপশন ডিজঅনার করে।ডাক্তারকে মূল্যায়ণ করেনা।

যদি ডাক্তারকে কম ভিজিট দেয়া হয় তাহলে ডাক্তার বিকল্প  যে কোন ভাবে প্রফিট করে নিবে,এতে খামারীর লস।

যারা প্রাইভেট প্যাক্টিস করে   সেসব ডাক্তারের  ভিজিট  ৫০০টাকা হওয়া উচিত,ল্যাবে আসলে ২০০-৩০০টাকা ,অল্প টাকা ভিজিট দিলে  মনোযোগ দিয়ে রোগ নির্ণয় করা হয় না ফলে ভাল  চিকিৎসা  হয় না।

 

প্রাইভেট ডাক্তার ছাড়া অধিকাংশ ডাক্তার ফি চিকিৎসা করে ।

খামারীদের খেয়াল রাখতে হবে কেউ তাকে ঠকাচ্ছে না ত।

খামারী যদি ভাল কিছু বুঝতো তাহলে খামারী ও ডাক্তার সবার জন্য ভাল হতো।

দেশে প্রায় ৭০০০ রেজিস্টাড ডাক্তার আছে।

খামারীর কিছু ভুল বিশ্বাস ঃ

১।গরমে ক্যালসিয়াম,এডিই,ভিটামিন দেয়া যাবে না।

গরমে খাবার কম খায় তাতে ক্যালসিয়াম ও কম পায়, তাছাড়া মুরগি হাপানোর কারণে পি এইচ বেড়ে যায় ফলে ক্যাসিয়ামের শোষণ কম হয় তাই ক্যালসিয়াম বেশি দিতে হবে।

খাবার কম খেলে সব ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি হয় তাই এডি৩ই,মাল্টিভিটামিন-মিনারেল দেয়া উচিত।তাছাড়াক স্টেস দূর করে

২।শীতে সি দেয়া যাবে না

ফাইটোজেনিক সি মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দিয়ে তাপ তৈরি করে তাই সি দেয়া উচিত।

৩।ডিম দেখা যাবার পর ই ডি এস ভ্যাক্সিন দিবে।যা ঠিক না ,দিতে হবে প্রডাকশনের ১ মাস আগে।

৪। জেন্টামাইসিন এন্টিবায়োটিক দিলে প্রডাকশন কমে যা্য এবং ডিম বাড়ে না।

সালফার এবং জেন্টামাইসিন এন্টিবায়োটিকের জন্য ডিম বড় জোর ২-৫% কমতে পারে কিন্তু  রোগের কারণে প্রডাকশন ১০-৪০% কমে যায় কিন্তু খামারী এন্টিবায়োটিক কেই দায়ী করে,রোগের কথা ভুলে যায়।

৫।ইঞ্জেকশন দিলে মুরগি রাখা যায় না এবং প্রডাকশন বাড়ে না।

মুরগি রাখা না রাখা এবং প্রডাকশন  এটা ডিজিজের উপর নির্ভর করে ,ইনজেকশনের উপর না । যদি কিছুটা কমে ও থাকে তা ২-৫ % বেশি না।

সিনেমাতে যেমন দেখা যায় গুন্ডা কাউকে ছুড়ি দিয়ে মেরে ফেললো ,তারপর কোন এক পথচারী  ছুড়িটাকে সরাতে যায় এমনি কেউ দেখে ফেলে দোষ হয় যে লোক বাচাতে গিয়েছিল তার।গুন্ডা বেচে যায়।আমাদের খামারীর অবস্থা ঠিক তেমনি।

৬। ফার্মে যদি কোন  নতুন  রোগ বা সমস্যা হয়  আর তা যদি খামারীকে বলা হয়  তা  মান্নেতে চাইবে এবং মনে ধরে না।

প্রচলিত কোন একটা রোগ বা সমস্যা না বললে খামারী তৃপ্তি পায় না।ভুল বলেলেও তাতেই খুশি।

৭।সঠিক ভ্যকাসিন সিডিউল মানে প্রয়োজনের বাহিরে ভ্যাক্সিন না দিলে ডাক্তারের দোষ হয়।

যে ভ্যাক্সিন গুলো দরকার নাই ,যে ভ্যাক্সিন গুলো না দিলে ফার্মে  সমস্যা হবে না তা না দিলে পরে যে কোন সমস্যার জন্য খামারী মনে করে ঐ ভ্যাক্সিন না দেয়ার জন্য  এই রোগ হয়েছে।

৮।খামারী নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর বলে তারপর বলবে স্যার এটা দিবো ,ডাক্তার যদি প্রয়োজন নাই মনে করে বাদ দেয় তাহলে পরে যে কোন সমস্যাই হোক না কেন বলবে স্যার আপনার কথায় না দিয়ে আমার মুরগির এই সমস্যা হয়েছে।

৯।স্যার  রানিক্ষেত যাতে না হয় সেই জন্য ভ্যাক্সিন  ১মাস মাস পর পর দেই।

সব কিছু বেশি বেশি ভাল না,আগে জানতে হবে টাইটার কেমন সে অনুযায়ী ভ্যাক্সিন দিতে হবে,তানাহলে লস প্রজেক্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

হিউম্যান ডাক্তারের ব্যাপারে বিভিন্ন রিপোট নিন্মরুপ

ডাক্তারের কাছে মানুষ  অসহায়,ডাক্তার মানুষ্ কে জিম্মি করে রাখে; মহামান্য  রাস্টপতি

অপ্রয়োজনীয় সিজার হচ্ছে ৯৫%।বিবিসির রিপোট

ডাক্তার অধিকাংশ অপ্রয়োজনীয় মেডিসিন লিখে

দরকার না হলেও ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দেয়।

ডাক্তার মানুষের জীবন নিয়ে খেলে ঃদুদক চেয়ার ম্যান

পশুপাখি কথা বলতে পারেনা তাই এদের ব্যাপারে কি হচ্ছে তা অনুমান করে নেয়াই ভাল।তাই ল্যাবের বিকল্প নাই।

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই ঠিক করে শুরু করতে হবে।

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই করা উচিত।। ক।ফার্মের যে সমস্যা যা কোন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »