Breaking News
ভোদড়
ভোদড়

ভোঁদড় (Otter) পরিচিতি

ভোঁদড় (Otter)

আঞ্চলিক নাম ঃ উদবিড়াল, ধাইরা এবং বাদার ধাইরা (নখহীন ভোঁদড়)

প্রধাণত মৎস্যভূক স্তন্যপায়ী প্রাণী।
ভোঁদড় সাধারণত লিপ্তপদী, মানে হাঁসের পায়ের মতো আঙ্গুলগুলো পাতলা পর্দা দিয়ে জোড়া লাগানো থাকে।

এদের লেজ মোটা আকারের এবং শরীর লম্বাটে গড়নের। বেশিরভাগেরই পায়ে ধারালো নখযুক্ত থাবা আছে। সাঁতার কাটার সময়ে ভোঁদড়ের নাক ও কানের ফুটো বন্ধ থাকে। এদের নাকের ডগায় লম্বা গোঁফের মতো খাড়া লোম থাকে। এই গোঁফ সংবেদনশীল বলে পানির নিচে শিকার ধরতে ভোঁদড়কে সহায়তা করে।এদের গোঁফ যেহেতু খাড়া, তাই জলে ভিজে গায়ে লেপ্টে যায় না, ঘোলা জলে এই স্পর্শকাতর গোঁফ শিকারের উপস্থিতি জানান দেয়। নোখহীন ভোঁদড়ের হাত-পায়ের পাতাও খুব স্পর্শকাতর। ফলে কাদায় লুকানো ঝিনুক, শামুক, চিংড়ি, কাঁকড়া এদের হাত থেকে রক্ষা পায় না।
এদের শক্তিশালী ছুঁচালো দাঁত আর মাড়ি পিচ্ছিল শিকার ধরতে বা মাছের মুড়ো চিবোতে অত্যন্ত কার্যকর।

ভোঁদড়ের দেহে দুই স্তর লোম রয়েছে।
প্রথম স্তর আকারে ছোট, কোমল এবং তাপরোধী। এই অন্তঃলোম বাতাস ধরে রেখে পানির নিচে এদের দেহ উষ্ণ ও শুকনো রাখে। এই লোমগুলো পানিরোধী।

দ্বিতীয় স্তরের লোম লম্বা। এই লোমই আমাদের চোখে পড়ে, এগুলো জলে ভিজে ওঠে।

ভোঁদড় লিপ্তপদী বলে পানির নিচে খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে এবং পানির উপরে মাথা না তুলে একবারে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতে পারে।

ভোঁদড় সমাজবদ্ধ জীব। এরা বেশ ক্রীড়াপ্রবণও। বুদ্ধিমান এই প্রাণীগুলো বেশ বন্ধুবৎসল এবং সহজেই পোষ মানে। অনেক স্থানে, বিশেষত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও সুন্দরবন এলাকায় পোষা ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করত।

 

Sabbir Shuvo

তিনডোরা নোঙর বা ছোট-দাঁত ভোঁদর বা ক্ষুদ্রদন্তী গন্ধগোকুল(ইংরেজি: Small-toothed Palm Civet) (বৈজ্ঞানিক নাম:Arctogalidia trivirgata) হচ্ছে ভিভেরিডি পরিবারের Arctogalidia গণের আকারে সবচেয়ে ছোট গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণী।

তিনডোরা নোঙর আকারে আকারে সবচেয়ে ছোট গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণী। এদের দেহে দাগ থাকলেও খুব কমসংখ্যক দাগ স্পষ্ট। মাথাসহ দেহের তুলনায় লেজ বেশ দীর্ঘ। এই প্রজাতির গন্ধগোকুলের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৫৩ সেমি, লেজ ৬৬ সেমি। এদের ওজনে তারতম্য থাকে এবং ওজন প্রায় ২-২.৭ কেজি হয়ে থাকে।

ডা তারেক মহিউদ্দিন

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বিলুপ্তপ্রায় পাঁচটি প্রাণী- রাজশকুন, ঘড়িয়াল, মিঠাপানির কুমির, নীলগাই এবং শুশুক

বর্তমান সময়ে জীববৈচিত্র্য পড়েছে মহা সংকটে। ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে তালিকাভুক্ত অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »