১ম সপ্তাহে চিকস মরটালিটির কারণ ও প্রতিকারঃ এবং কোন বয়সে কি কি রোগ হয়।
১. জেনেটিক কারণ
২. ম্যানেজমেন্টাল কারণ
৩।হ্যাচারী ব্যবস্থাপনা
৪. নিউট্রিশনাল কারণ
৫. রোগের কারণে।
(১)#জেনেটিক
————
জেনেটিক কারণ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পোল্ট্রিতে ২১ প্রকার লিথাল মিউটেশন জীন আছে।এই লিথাল জীনগুলো সাধারনত ইনকিউবেশনের ৩য় সপ্তাহে সুস্পষ্ট হয়।লিথাল জীন এর কারণে মারা গেলে হ্যাচিং এর আগেই অনেক চিকস মারা যাবে।যেগুলো স্টিকি ভ্রন সেগুলো শেষ ৪ দিনের ইনকিউবেশনে মারা যাবে আর বাকিগুলো হ্যাচিং এর ২-৩ দিন পর মারা যাবে।কনজেনিটাল লোকো নামে যে লিথাল জীন আছে এর কারণে কনজেনিটাল ট্রিমার হয়ে ৯০% ই মারা যাবে এক মাসে।তবে এ সমস্যাগুলো আমাদের দেশে নাই বললেই চলে।কিছু বাচ্ছা জেনেটিক কারণে লস হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ডে।ফিল্ডের খামারিদের এ ব্যাপারে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
(২)#ম্যানেজমেন্টাল
—————
ম্যানেজমেন্ট এর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেক খামারিকে দিতে হয় বড় প্রতিদান। এইগুলো হচ্ছে-
১. হাই ব্রুডিং টেম্পারেচার : হাই ব্রডিং টেম্পারেচার যে সমস্যাগুলো করে-
#ডিহাইড্রেশন:চিকসের বডির ৭০%ই পানি।যখন তাপমাত্রা বেশি থাকে তখন অনেক বেশি পানি খায় এবং বডি থেকে পানি অনেক লস হয় এবং ১০% পানি লস হলে বাচ্চা ডিহাইড্রেশন এ মারা যায়।এই সময় পায়খানা পেছনে লেগে থাকে এবং ভেন্ট পেস্টিং হয়ে অনেক বাচ্চা মারা যায় কারণ ফিসিস বের করতে পারেনা।খাবার কম খায় ফলে ওজন কমে মারা যায়।
★লো ব্রডিং টেম্পারেচার : এর সমস্যাগুলো অনেক ব্যাপক মরটালিটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়–
অনেকদিন ঠান্ডায় ইমোনিটি কমে রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।
#চিলিং– এই সমস্যা হলে নিউমোনিয়া হবে এবং ফুসফুস নীলাভ আকার ধারন করবে।প্রচুর বাচ্চা ৭ দিনেই মারা যাবে।
#স্মোদারিং– তাপমাত্রা কম হলে সব বাচ্চা একসাথে জড়ো হবে এবং শ্বাসরোধ হয়ে অনেক বাচ্চা মারা যাবে।
#বিষক্রিয়া -বিষক্রিয়া হলেও প্রথম সপ্তাহে অনেক বাচ্চা মারা যায়।সাধারনত ফিড পয়সনিংহার্বিসাইড,ইন্সেক্টিসাইড,জীবাণুনাশক, সল্ট পয়সনিং,গ্যাস পয়সনিং যেমন-এমোনিয়া, কার্বোন মনো-অক্সাইড,কার্বোন-ডাই-অক্সাইড,টেনিন বা লিটার পয়সনিং।
#লিটার কন্টামিনেশন টেনিন পয়সনিং টা সাধারনত কাঠের গুড়া খেলে হয় এবং অনেক মরটালিটি হয়।বাচ্চা ভুলে খাবা্রের পরিবর্তে কাঠের গুড়া খেয়ে ফলে ক্ষুদ্রান্ত্রে ইম্প্যাকশন হয়ে মারা যায়।
#স্টারভেশন– বাচ্চা যদি ঠিক ভাবে খাবার না পায় তবে প্রথমে বডি ফ্যাট এনার্জি হিসেবে কাজ করবে।এভাবে চলতে থাকলে ৭ দিনেই ৫০-১০০ % বাচ্চা মারা যেতে পারে।বাচ্চাতে ফ্যাট জমা না থাকায় স্টারবেশনে মারা যায়।
অপর্যাপ্ত খাবার ও পানির পাত্রঃপানিরপাত্র,খাবারপাত্র যদি পর্যাপ্ত না হয় এবং উচ্চতা যদি ঠিক না থাকে তাহলে কম খাবে তাছাড়া পানি পড়ে লিটার ভিজে জীবাণুর জন্য পরিবেশ তৈরি হবে।
#হিউমিডিটি– হিউমিডিটি বেশি হলে লিটার ভিজে যাবে এতে জীবাণুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হবে এবং বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে মরটালিটি হতে পারে।
# শিকারীঃইদুর,বিড়াল ওকুকুরের আক্রমনে বাচ্চা মারা যেতে পারে তাই কন্সটাকশন ভাল হতে হবে
#ইনজুরি ঃভ্যাক্সিন,ঠোটছেকা ওট্রান্সপোটের সময় যাতে বাচ্চা অসুস্থ না হয় খেয়াল্রাখতে হবে।
(৩) #নিউট্রিশনাল
————–
#পানি– পানি বাচ্চার স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পানি ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম হিসেবে পুষ্টি ও মেটাবলিক প্রোডাক্ট দেহের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছায় দেয়। এটা বডি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক হিসেবেও কাজ করে।বাচ্চা পানি না পাইলে মেটাবলিক ইমব্যালেন্স বা সোডিয়াম-পটাসিয়াম ,ক্যালসিয়াম পাম্প ভারসাম্যহীন হয়ে অনেক বাচ্চা মারা যায়।
তাছাড়া ভ্যাট সলুয়েবল ভিটামিন যেমন-এ, ডি, ই ও কে এর অভাবে বাচ্চা মারা যেতে পারে।তাছারা ওজন কমে যায়চোখ দিয়ে পানি পড়ে,রিকেটস,রাফেল ফেদার,এক্সুডেটিভ ডায়াথেসিস,এনিমিয়া হয়ে থাকে।
ওয়াটার সলুয়েবল ভিটামিন যেমন-বি কমপ্লেক্স ও সি এর অভাব হলেও মরটালিটি হবে।তাছারা এসবের অভাবে পুর ফেদারিং,বৃদ্ধি কম হয়,ওজন কমে যায়,ডার্মাটাইটিস,নার্ভাস সাইন,এনিমিয়া হয়।
মেটাবলিজম,রিপ্রডাকশন,গ্রোথ এবং বাচ্চার ডেবেলপমেন্ট এর এর জন্য দরকার।
৪।হ্যাচারী ব্যবস্থাপনা
বেশি বা কম তাপমাত্রা,কম বা বেশি আর্দ্রতা
ব্রিডারে যদি সালমোনেলা,এনসেফালোমাইলাইটিস ও মাইকোপ্লাজমা থাকে সেগুলো বাচ্চাতে চলে আসে,
হ্যাচারী থেকে এস্পারজিলোসিস ও অম্ফালাইটিস এর জীবাণু চলে আসে যদি হ্যাচারীর ব্যবস্থাপনা ভাল না থাকে,
হ্যাচারী থেকে বাচ্চা দেরীতে সাপ্লাই দিলে।
(৫)
১ম ৬ সপ্তাহ ইমোনিটির অভাবে বাচ্চা বিভিন্ন রোগের প্রতি খুব বেশি সংবেদনশীল থাকে।
এই সময় বায়োসিকিউরিটি ভাল না হলে রোগের প্রদুর্ভাব বেড়ে যায়।
প্রথম সপ্তাহে যে রোগগুলোর কারণে বাচ্চা বেশি মারা যায় হলো-
#অম্ফেলাইটিস– যেটা সবার কাছে নাভিকাচা রোগ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।এই রোগে-
-নাভি নরম ও পেট বড় হয়ে যাবে।
-পচা গন্ধ ও ভেন্ট পেস্টিং হবে।
-ইয়ক আনএবসরভ থাকবে।
#পুলোরাম-পুলোরাম হলে –
-বাচ্চার ফেদার উস্কো খুস্কো থাকবে।
-সাদা ডায়রিয়া হবে(চুন বা চকের মত)।
-শ্বাসের সমস্যা হবে ও বাচ্চা কিচির মিচির শব্দ করবে।
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়াঃএটি একিউট ভাইরাল ডিজিজ যারা পৃতঘিবীতে দেখা যায়।সব বয়সেই হয় তবে মেইনলি বাচ্চাতে বেশি হয়।
থাইমাস নস্ট হয়ে বডির ইমোনিটি কমে যায় ফলে সেকেন্ডারী ইনফেকশন হয়ে মারা যায়।
#সালমোনেলোসিস-একিউট হয়।
এই রোগ হলে-
-বডি তাপমাত্রা বাড়বে।
-রক্তে টক্সিন পাওয়া যাবে এবং কালো হয়ে যাবে।
নাভিকাচা হবে
-হেপাটাইটিস হবে।
-স্প্লিন বড় হয়ে যাবে।
-জয়েন্টে ব্যথা হবে।
মারা যাবে।
#কলিবেসিলসিস–
কলিবেসিলসিস সাধারনত ই -কলাই ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে।এটা বাচ্চা অবস্থায় হলে বডির সকল সিস্টেম এফেক্টেট হয়।
আমাদের দেশে রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ার ম্যানেজমেন্ট বা বায়োসিকিউরিটি বাড়ানো ছাড়া ফার্ম করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না।
#নিউমোনিয়া
#হ্যাচারী দায়ী
# খামারীর ব্যবস্থাপনা
প্রতিরোধঃ
#ভাল কোম্পানির ভাল নিতে হবে
# বাচ্চা চেক করে নিতে হবে
#ব্রুডিং এ সঠিক তাপমাত্রা দিতে হবে
#শীতে ঠান্ডা থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করতে হবে
#পাত্র পরিস্কার রাখতে হবে
# শীতে বাচ্চা জমা হয়ে যাতে মারা না যায়
#ইনফেকশন ও ডিজিজ থেকে মুক্ত রাখতে হবে
# মাইকোটক্সিন মুক্ত খাবার দিতে হবে
#আগে পানি আরহপরে খাবার দিতে হবে।পানি আস্তে আস্তে খায়।আগে খাবার দিলে খাবার খাওয়ার জন্য জমা জয়ে পানির পাত্র পড়ে লিটার ভিজে যাবে।আগে পানি দিলে কিছু বাচ্চা পানি খাবে ফলে ভিড় কমে যাবে।
#শিকারীর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে
#পর্যাপ্ত খাবার দিতে হবে
#মেডিকেশন ও ভ্যাক্সিন সিডিউল মেনে চলতে হবে
ডাক্তার দিয়ে মনটরিং করতে হবে।
বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন রোগঃ
১ম সপ্তাহ
অম্ফালাইটিস
নিউমোনিয়া
ই কলাই
পুলোরাম
১ম সপ্তাহে হ্যাচারী এবং ফার্ম ব্যবস্থাপনার জন্য বেশি বাচ্চা মারা যায়।যেমন আর্দ্রতা,তাপমাত্রা ঠিক না হলে এবং ভিটামিনের ঘাটতির জন্য।
২য় সপ্তাহে
ব্যবস্থাপনা ভাল না হলে
সালমোনেলোসিস
এভিয়ান এনসেফালোমাইলাটিস
কলিব্যাসিলোসিস
বি১ এর ঘাটতি(স্টার গ্রেজিং)
বি২ এর ঘাটতি কার্ল্ড টো প্যারালাইসিস
ভিটামিন এ এর ঘাটতি এক্সুডেটিভ ডায়াথেসিস ও মাস্কুলার ডিস্টফি
এনসেফালোম্যা্লাসিয়া(ভিটামিন ই এর ঘাটতি)
রিও ও এন্টারো ভাইরাস
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া
৩-৪ সপ্তাহের রোগ
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া
আই বি এইচ
আই বি ডি
এসাইটিস
সাডেব ডেথ সিন্ড্রম
রান্টিংস্টাংন্টিং সিন্ড্রম
আমাশয়
গাউট
রিও ও এন্টারো ভাইরাস
সালমোনেলোসিস
এডেনো ভাইরাস
আই বি
ফেমোরাল হেড নেক্রোসিস/জিডি/স্টেফাইলোকক্কোসিস
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
৪র্থ -৫ম সপ্তাহে রোগ
এন ডি
ফেমোরাল হেড নেক্রোসিস/জিডি/স্টেফাইলোকক্কোসিস
আই বি ডি
রিও ও এন্টারো ভাইরাস
এসাইটিস
সালমোনেলোসিস
কলিব্যাসিলোসিস
ক্লস্টিডিয়াল ইনফেকশন
মাইকোপ্লাজমা
কক্সিডিওসিস
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
মাইকোটক্সিকোসিস।
ক্যানাবলিজম
পক্স
আই বি ডি
আই এল টি
৬-১৫ সপ্তাহ
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস ৪-১৫ সপ্তাহে বেশি হয়
স্টেফাইলোকক্কাস ৪-১৫ সপ্তাহে বেশি হয়
আই এল টি
পক্স
১৬ সপ্তাহ থেকে বিক্রি
লিউকোসিস ১৬ সপ্তাহের পর হয়
ই ডি এস
মেরেক্স ১২-২২ সপ্তাহে বেশি হয় তবে ৮ সপ্তাহের আগে খুব কম হয় কিন্তু সোনালীতে যে কোন সময় হতে পারে।
প্যারাটাইফয়েড
আই এল টি
পক্স
হিট স্টোক
ক্যানাবলিজম
ফাটিলিভার
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
এগ বাউন্ড ,এগ পেরিটোনাইটিস
যে কোন সময় হতে পারে
মাইকোপ্লাজমোসিস
আই বি
রানিক্ষেত
সালমোনেলোসিস
পক্স
ই কলাই
এ আই
মাইকোটক্সিকোসিস
কোন রোগ গ্রোয়িং পিরিয়ডে বেশি হয়।
আমাশয়
ই কলাই
এন্টারাইটিস
রানিক্ষেত
গাম্বোরু
কৃমি
আই বি এইচ
চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া
গাউট
কোন রোগ পিক প্রডাকশনের সময় বেশি হয়
টাইফয়েড
কলেরা
হিট স্টোক
করাইজা
এইচ ৫ এন ১/এইচ ৯ এন ২
ই ডি এস
লিউকোসিস
আই বি
বয়স্ক/৫০ সপ্তাহের পর বেশি হয়
ফ্যাটি লিভার
কেইজ লেয়ার ফ্যাটিগ
এগ বাইন্ড
এগ পেরিটোনাইটিস
নোটঃ রোগ একটু আগে পরে হতে পারে তবে উল্লেখিত সময়টাতে বেশি হয়।
ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান
এবং
ডা মোঃ সোহরাব হুসাইন
ব্রুডিং পিরিয়ডে চিকস্ মর্টালিটির বেশ কয়টি কারণের মাঝে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা অন্যতম একটি কারণ। ব্রুডিং পিরিয়ডে ডিহাইড্রেশনের কারনে সবচেয়ে বেশী সোনালীর বাচ্চা মারা যায়। ডিহাইড্রেশনের কারনে ৫-১০% পর্যন্ত মর্টালিটি হতে পারে। সাধারনত অবহাওয়াগত কারণ ও খামারীদের নিজস্ব কিছু অসর্তকতার কারণে ব্রুডিং পিরিয়ডে অনেক সংখ্যক বাচ্চা মারা যেতে পারে।
#কারণ
১. সাধারনত শীতকালে পানির তাপমাত্রা কমে যাবার কারনে বা পানি অনেক বেশী ঠান্ডা হয়ে যাবার কারণে বাচ্চা মুরগী পানি কম খায়। পানি কম খাওয়ার কারণে বাচ্চাতে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।
২. তাছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক পানির পাত্র প্রদান করলে বাচ্চাগুলো ঠিক মত পানি পান করতে পারে না। ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। অনেকে ব্রুডিং এ ১২০-১৩০ টি সোনালীর বাচ্চার জন্য একটি ছোট পানির পাত্র দেয়।
৩. ব্রুডারে পরিমানের চেয়ে বেশী বাচ্চা দিয়ে ব্রুডিং করলেও অধিক ঘনত্বের কারনে সব বাচ্চা ঠিকমত পানি পান করতে পারে না। ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় এবং বাচ্চা মারা যেতে পারে।
বাচ্চা পরিমানের চেয়ে কম পানি পান করলে বডির নরমাল ফিজিওলজী ব্যাহত হয়। ভাইটাল অর্গান স্পেশালী কিডনী ফেইলরের কারণে বাচ্চা মারা যেতে পারে। এই মর্টালিটি ৫-১০% পর্যন্ত হতে পারে।
১. অল্প সংখ্যক (৩০০-৫০০) বাচ্চা দিয়ে ব্রডিং করুন। অধিক ঘনত্ব পরিহার করুন।
২. পর্যাপ্ত পরিমান পানির পাত্র দিন। ১০০ বাচ্চার জন্য ২ টি ছোট পানির পাত্র দিতে হবে ৭ দিন পর্যন্ত।
৩. খুব বেশী ঠান্ডা পানি বাচ্চাকে দেয়া যাবে না। ঠান্ডা পানি দিলে বাচ্চা পানি খাবে না ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিবে। এক্ষেত্রে হালকা কুসুম গরম পানি দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া মটর বেশ কিছু সময় চালিয়ে ঠান্ডা পানি ফেলে দিয়ে যখন গরম পানি বের হবে সেটা দেয়া যেতে পারে। পানি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে গেলে বার বার করে পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে।
৪. পানি গ্রহনের পরিমান বাড়ানোর জন্য পানিতে গুড় (১৫-২০গ্রাম/লিটার) বা চিনি-পাউডার দুধের মিশ্রন (প্রতিটি ২০গ্রাম/লিটার) দেয়া যেতে পারে। মোট কথা পানি গ্রহনের পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে।
কোন ডিজিজ গ্রোয়িং পিরিয়ডে আক্রান্ত করে কিন্তু প্রডাকশনে আসলে ক্লিনিকেল রুপে দেখা যায়ঃ(তবে প্রডাকশনের আগেও দেখা যেতে পারে)
ই ডি এস
আই বি
মেরেক্স
লিউকোসিস