ফার্মে ব্যবস্থাপনায় অনেক ভুল:
১।অপ্রয়োজনীয় টিকা দেয়াঃ বিশেষ করে নরসিংদীতে কমার্শিয়াল লেয়ারে রিও ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে।আগে জানতে হবে এই রোগ লেয়ারে হয় কিনা।না জেনে দেয়া যাবে না। অনুমান করে ভ্যাক্সিন সিডিউল করা উচিত না।
নরসিংদীতে লাখ লাখ ডোজ রিও ভ্যাক্সিন ব্যবহার হচ্ছে ,এর পরিণতি পোল্ট্রি সেক্টরের জন্য খুব খারাপ হবে।
দেশের কোন জেলায় এই ভ্যাক্সিন দিচ্ছে না,এমন কি পৃথিবীর কোন দেশে এই রিও ভ্যাক্সিন কমার্শিয়াল লেয়ারে ব্যবহার হয় না।
অথচ নরসিংদীতে ব্যবহার হচ্ছে,খুবই দুঃখজনক এবং অজ্ঞতা। বাংলাদেশ তাই সম্ভব।
শুধু রিও কেন ,বোতলের মধ্যে পানি দিয়ে কয়েক ধরনের ভ্যাক্সিন বিক্রি হচ্ছে এবং খামারীরা এগুলো ব্যবহার করছে।
এগুলো দেখার কি কেউ নাই নাকি সিস্টেম করা হয়েছে।
রিও মেইনলি ব্রয়লারের রোগ।
বাংলাদেশের কোন কোন লেয়ার ব্রিডারে এই ভ্যাক্সিন দেয়া হয় না কারণ এটা লেয়ারে হয়না।
তাছাড়া ব্রয়লারের রিও ভাইরাসের ইলাইজা টেস্ট হয় কিন্তু লেয়ারের হয় না।কারণ লেয়ারে রিও হয় না ,তাই ভ্যাক্সিনও লেয়ার ব্রিডারে দেয় না।
আর কমার্শিয়াল ব্রয়লার আর লেয়ারের রিও ভ্যাক্সিন তেমন কাজ করে না তাই ভ্যাক্সিন যদি দিতেও হয় দিতে হবে ব্রিডারে।
ভার্টিকেল রোগের টিকা ব্রিডারে দেয়াই উচিত কারণ আক্রান্ত বাচ্চাকে চিকিৎসা বা ভ্যাক্সিন দিয়ে লাভ হয় না।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম লেয়ারে রিও হচ্ছে ,তাহলে টেস্ট করে আগে জানতে হবে।আর যদি হয়ে থাকেও তাহলেও ভ্যাক্সিনের ইফিকেসি নাই,বরং ভ্যাক্সিন দিতে হবে লেয়ার ব্রিডারে।
এতএব কমার্শিয়াল লেয়ারে রিও ভ্যাক্সিন দেয়ার কোন যুক্তি নাই।
এই ভ্যাক্সিন লেয়ারে দেয়ার ফলে কমার্শিয়াল ব্রয়লারে রিওর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবার সম্বাবনা থাকে।এমন কি তা হচ্ছেও।
এতে ফিল্ডে ভাইরাস ছড়াবে এবংব্রয়লারের জন্য ক্ষতিকর হবে ।
আরো কিছু ভ্যাক্সিন আছে যারা বিভিন্ন ভাবে মনের খুশিতে দিয়ে যাচ্ছে।
খামারীর কথা হলো সব ভ্যাক্সিন দিয়ে দিবো।কোনটা যাতে বাকি না থাকে।সব ভ্যাক্সিন দিলে মুরগি ভাল থাকবে। এটা ভুল ধারণা।
খামারীদের ত এই ভ্যাক্সিন সম্পর্কে ধারনা থাকার কথা না ,কেউ না কেউ এগুলোর প্রচলন করেছে।এখন থেকে আর না দেয়াই মংগল হবে।
অন্য জেলায় এই ভুল বার্তা যাবার আগেই সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত।
এভাবে ফিল্ডের অবস্থা শোচনীয় করে তোলা হচ্ছে।
সবাইকে সাবধান হতে হবে।ছোট একটা ভুল ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়।
নিচের লিংকে বিস্তারিত আছে,তাছাড়া নিচের দিকে অনেক স্কিনশট দেয়া আছে।
https//www.hester.in
https//thepoultrysite.com
২।আলো:
অনেকে ১ম ১-২ মাস ২৪ ঘন্টা আলো দেয়া
ফলাফল:
খাবার বেশি খাবে ও ওজন বেশি হবে,ফ্যাটি হবে।
এসব মুরগি গরমে ডিম পাড়ার সময় হার্ট এটাকে মারা যায়।
১০০০ লেয়ার গ্রোয়িং পিরিয়ডে ২৪ঘন্টা বা বেশি আলো দিলে প্রতিদিন প্রায় ১০ কেজি খাবার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেতে পারে,তাহলে যদি ২ মাস ধরি তাহলে
১২ বস্তা খাবার বেশি খেতে পারে।প্রায় ১০০০০টাকা বেশি খরচ,পাশাপাশি অন্যান্য
সমস্যা যেমন ক্যানাবলিজম,ডিম পাড়ার সময় ডিম খায়,যা পরে ঠিক করা যায় না।
৩।খাবার:
লেয়ারকে অনেকে ব্রয়লার খাবার দেয়।
দিলেও ৭-১০দিনের বেশি দেয়া ঠিক না।অনেকে ১-৩ মাস পর্যন্ত দেয়।
১ম থেকেই লেয়ার খাবার দিতে হবে।
ব্রয়লার খাবার খরচ বেশি হয়।
লেয়ার খাবারের দাম বস্তা ১৯০০-১৭৫০
আর ব্রয়লারের খাবার ২২০০-২০০০টাকা।
মানে বস্তায় ৩০০টাকা বেশি।হাজারে ১টন খাওয়ালেও ৬০০০টাকা বেশি লাগে।
সমস্যা:ব্রয়লার খাবার দিলে নেক্রোটিক এন্টারাইটিস বেশি হবে।
ফ্যাটি হবে।ওজন বেশি হবে।লিভার নষ্ট হবে।
প্রিলেয়ার খাবার:
১৮-২০ সপ্তাহে প্রিলেয়ার খাবার দিতে হয়।
অনেকে জানে না তাই দেয়না।
যদি না দেয়া হয় তাহলে লেয়ারের হাড়ের ক্যালসিয়াম তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।প্রডাকশন পিক পিরিয়ড বেশি দিন থাকেনা।
কতবার খাবার দিবোঃ
১্ম সপ্তাহে বারবার খাবার দেয়া ভাল,৮সপ্তাহের পর দিনে ২বার খাবার দিতে হবে।
শীতকালে ৩বার দেয়া যায় তবে গরমকালে ২বার দেয়া ভাল।
দুপুরে ২ ঘন্টা খাবার অফ দিতে হবে যাতে খাবারের গুড়া শেষ হয়ে যায়।
অফ দিয়ে খাবার দিলে মুরগি তাড়াতাড়ি খাবার খায়।এতে মুরগির ক্রপ ও ইন্টেস্টাইনেযন বৃদ্ধি ভাল হয়।গুড়া খাবারে ভিটামিন মিনারেল,এমাইনো এসিড বেশি থাকে ।যদি খাবার পাত্রে সব সময় থাকে তাহলে মুরগি বড় বড় দানা বেশি খায়,গুড়া পড়ে থাকে,ফলে মুরগি ছোট বড় হয়।
৪।ওজন:
প্রতি সপ্তাহে মুরগির ওজন নিতে হবে।সে অনুযায়ী খাবার দিতে হবে।
ওজন বেশি হবে খাবার বাড়ানোর দরকার নাই।ওজন কম হলে কারণ খুজে সমাধান বের করতে হবে।
২০ সপ্তাহের আগে প্রতি সপ্তাহেই ওজন স্ট্যান্ডাড হলে মুরগির হাড়,মাংস,প্রজননতন্ত্র সঠিক হবে যাতে প্রডাকশন ভাল হয়।
পরে ওজন ঠিক করা যায় না।
২০ সপ্তাহের পর ৫০ সপ্তাহ পযন্ত১৫-২০দিন পর পর ওজন নেয়া ভাল।৫০ সপ্তাহের পর মাসে একবার।
অনেক ফার্মে দেখেছি মাঝে মাঝে মুরগি মারা যায়।ওজন নিয়ে দেখা যায় ওজন ২২০০-২৬০০ ওজনের মুরগি আছে।
৫।লাইট,বালব,নেট,মাকড়সা:
অনেক ফারমে দেখা যায় বালব,নেট, খাচা,
মাকড়সা ও ময়লায় ঘিরে আছে।
ফলাফল:
বাতাস চলাচল কম হবে ফলে ভিতরে গ্যাস বেশি হবে।ভিতরের জীবানু বের হতে পারবেনা।ফলে
রোগ বেশি হবে ফার্মের জন্য যে বালব দেয়া হয়েছে তার ৩০-৪০% আলো মাকড়সা ও ময়লার কারণে শোষণ করে নিচ্ছে।ফলে আলো কমে প্রডাকশন কমে যায়। সবাই মেডিসিন দিচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছেনা।
৬।খাবার পাত্র:
অনেকে কাজের লোক দিয়ে কাজ করায় ও কোন হিসেব রাখেনা।
অনেক ফার্মে দেখেছি ১০০০ লেয়ার মুরগিতে সকালে পাত্রে প্রায় ৫-১৫কেজি খাবার থাকে।পরের দিন সকালে এই খাবারের উপর খাবার দেয়।
এর মানে হলো মুরগি যা খায় তার চেয়ে বেশি খাবার দিচ্ছে।মুরগি প্রতিদিন আগের নষ্ট খাবার খাচ্ছে।যে খাবারে মাইকোটক্সিন থাকে।
এইভাবে ফার্ম চলতে থাকে মাসের পর পর মাস।
ফলাফল:
এই বাসি খাবার সব সময় খাওয়ার কারণে মুরগির ইমোনিটি নষ্ট হয়,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,খাবারের ভিটামিন কোন কাজে লাগেনা।
লিভার নষ্ট হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে মুরগি মারা যায়।এন্টিবায়োটিক দিয়েও কাজ হয়না।খরচ বেড়ে যায়।
পাত্রে খাবার থাকার কারণে রাত্রে ইদুরের পার্টি হয়।ফলে সালমোনেলা,ইকলাই বেড়ে যায়।
রোগ বেশি হবার কারণে খরচ বেশি হয়।
সমাধান:
প্রতিদিন রাত্রে খাবার পাত্র তুতে মিশ্রিত নেকড়া দিয়ে মুছে দিতে হবে।
৭।বাচ্চা সেডে পারটিশন:
পারটিশন না দিলে মুরগি এক জায়গায় এক পাশে জমা হয় ফলে এসব জায়গার লিটার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় ,পানি ও খাবারের জন্য প্রতিযোগিতা করে ফলে পানি পড়ে লিটার ভিজে যায়,এমোনিয়া গ্যাস হয়,খাবার তাড়াতাড়ি শেষ হয় অন্যদিকে অন্য জায়গায় খাবার শেষ হয় না,খাবার নষ্ট হয়,খাবারের ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়।মুরগি ছোট বড় হয়।
৮।টিকাঃ
অনেকে টিকা দেয় কিন্তু টিকার সিডিউল ঠিক নাই,দেয়ার পদ্ধতি ঠিক নায়।
অনেকে ব্রুস্টার ডোজ দেয় না।টিকা কিভাবে মিক্সার করবে তা জানেনা।
যাকে দিয়ে করায় সে সঠিকভাবে দিতে পারেনা।
৫০%টিকা কাজ করেনা সঠিক সিস্টেম না জানার জন্য।
৯।ফ্লক খাতাঃ
ফ্লক খাতা ফারমে নেই বললেই চলে।
প্রতিদিন খাবার,পানি,মেডিসিন,টিকা,প্রডাকশন ,মরবিডিটি,মর্টালি টি লিখে রাখতে হবে,তাহলে বুঝা যাবে কোন সমস্যা আছে কিনা।
যেমন যদি খাবার ,পানি বা ডিম কমে যায় তাহলে বুঝা যায় ফার্মে সমস্যা আছে,
কতদিন পর টিক আবা কৃমিনাশক দিতে হবে তা সহজে বের করা যায়।
মাস শেষে লাভ ক্ষতি বের করা যায়।
১০।ওজন নেয়াঃ
প্রতি সপ্তাহে ওজন নিলে মুরগির ভাল মন্দ বুঝা যায়,সমস্যা বের করে সমাধান করা যায়।
ওজন কম বা বেশি হলে তা সংশোধন করা যায়।
১১।খামারী অনেক সময় নিজের মত করে ভিটামিন বা এন্টিবায়োটিক,পি এইচ বা ক্যালসিয়াম,কফের ওষধ এক্টার সাথে আরেক টা মিলিয়ে দেয়,এতে অনেক সমস্যা হয় যদি জানা না থাকে কোনটার সাথে কোন টা দিলে দিতে হবে।
একটা উদাহরণ দিলাম ,টাইলোসিনের সাথে পি এইচ দিলে কোন ভাল কাজ করবে না।
১২।কাজের লোক
অনেক সময় কাজের লোক বিভিন্ন ভুল করে থাকে যেমন
মেডিসিন ৩বেলার জায়গায় ২বেলা দেয়
ডোজ কম বেশি করে
ফার্ম নোংরা করে রাখে
হিসেব ঠিক মত করে না,
ওজন নিতে বললে অল্প কয়েকটা মুরগির ওজন নিয়ে হিসেব করে যেখানে মিনিমাম ২-৫% মুরগির ওজন নেয়া দরকার
আলো সকাল ৫-৬টায় দেয়ার কথা থাকলে দেয় ৭-৮টায়,রাতে নিভানোর সময়েও কম বেশি করে।
রাত্রে খাবার ও পানির পাত্র পরিস্কার করেনা।
১৩।ডিম চুরিঃ অনেক সময় তারা ডিম চুরি করে,এটা প্রমান করা যায় যদি তাদের ছুটিতে পাঠানো হয় তাহলে দেখা যায় প্রডাকশন ২-৫% এমন কি ১০% ডিম বেড়ে যায়।
ঠিক মত স্প্রে করে না।
১৪।ভ্যাক্সিন ম্যানঃ
এরা ফার্মে অনেক রোগ ছড়ায়,একই দিনে বিভিন্ন ফার্মে যায় ফলে নতুন ফার্ম আক্রান্ত হয়।
তাছাড়া যেভাবে টিকা দেয়ার দরকার সেভাবে দিতে পারেনা,অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা জানে না।
অনেকে বেশি ফার্মে কাজ করার জন্য তাড়াতাড়ি টিকা দেয়।
পোশাক বদলায় না এবং ভ্যাক্সিন গান ও পরিস্কার করেনা।
কিল্ড টিকা নরমাল তাপমাত্রায় আসার পর টিকা দিতে হয় এবং মাঝে মাঝে ঝাকিয়ে নিতে হয় ,অনেকে তা করেনা।
ঠোটকাটার সময় তারা ব্লেড যত টুকু তাপমাত্রা থাকা দরকার তা থাকেনা,পুরান ব্লেড দিয়ে কাজ করে।
তাড়াতাড়ি কাজ করার জন্য ঠোট কটারাইজ করে না্ মানে ব্লেডের সাথে চেপে ধরা যাতে ব্লিডিং না হয়।
১৫।ফার্মে ঢুকার আগে স্প্রে করে না বা ফার্মে জুতা থাকে না।
স্প্রে করলেও নাম মাত্র অল্প স্প্রে করে ভেতরে ঢুকে যায় বা ঢুকতে দেয়।অথচ জীবাণূনাশকের কন্টাক টাইম ১০ মিনিট মানে জীবাণূ মরতে ১০মিনিট লাগে।তাই স্প্রে করার ১০মিনিটি পরে ফার্মে ঢুকা উচিত।
মেইন কথা হলো স্প্রে টা ঠিক মত করে না।
পায়ের মাধ্যমে বেশি জীবাণু ফার্মে ঢুকে।তারপর হাত।
মানুষ ছাড়া ইদুর,পোকা, বিভিন্ন পাখি(চড়ুই ,শালিক,কাক) যা মোটামোটি সব ফার্মে দেখা যায়.৮০% জীবাণু এসবের মাধ্যমে ঢুকে।
১৬।টেস্ট ছাড়া আন্দাজে এন্টিবায়োটিক এবং টিকা দেয়।এতে ফার্মের ৪০-৫০% খরচ বেশি হয়।
১৭।যখন যা করার দরকার তখন তা করেনা আর যা দরকার নাই তা করে।
বিশেষ করে ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে,আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়,মোট কথা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া পোল্ট্রির ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
শুধু অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাবে অন্য সময় দেখাবে না।মুরগি সুস্থ কালীন মানে অল টাইম ডাক্তারের অব্জারবেশনে রাখতে হবে এবং টেস্ট করে সব কিছু মনিটরিং করতে হবে।রোগ প্রবেশ করার আগে বলেই আসে।টেস্ট করলে বুঝা যায়।
ঘূর্ণি ঝড় আসার আগে যেমন টিভি ,রেডিওতে পূর্বাভাস পাওয়া যায় তেমনি মুরগির রোগের ক্ষেত্রেও বুঝা যায় ।
মুরগি অসুস্থ হলে ৫০% রোগের ক্ষেত্রে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায় না এবং ২৫% রোগের ক্ষেত্রে খামারী নিঃস্ব হয়ে যায়।
তাই আগে থেকেই জানার চেস্টা করুন।
১৮.১-২টা সমস্যা বলেই সমাধানের চেস্টা চায়।যেমন মরগি মারা যাচ্ছে বা ডিম কমে যাচ্ছে কি চিকিৎসা হবে?
বিস্তারিত হিস্ট্রি দিতে হবে।তা না হলে রোগ নির্ণয় করা যায় না।হিস্ট্রি দিয়ে রোগ নির্ণয় নামে ১টা লেখা আছে সেটা দিয়েই বুঝা যায় তথ্য কত গুরুত্বপূর্ণ।