Breaking News

পোল্ট্রি সেক্টরের উন্নতির জন্য যা যা করতে হবে।

পোল্ট্রি সেক্টরের(ডি ভি এম,খামারী,ভোক্তাদের জন্য) জন্য আমার কিছু ক্ষুদ্র প্রয়াস ।

১।Page:Poultry Problems and Solutions.

২।Blog: Poultry Doctors BD.

৩।Apps:Poultry Doctors BD Plus

৪।আমেনা পোল্ট্রি কেয়ার এন্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিস

৫।DVM Practical School.

৬।Training Group:

ভেটদের জন্যঃ

ভেট ট্রেনিং গ্রুপ

খামারীদের জন্যঃ

পোল্ট্রি খামারী ট্রেনিং গ্রুপ.

৭।।ভেটদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও সিলেবাস

৮।।প্রাইভেট প্র্যাক্টিসকে উতসাহিত ও সহযোগিতা করা

৯।।পোল্ট্রি ডিজিজ ও ব্যবস্থাপনার উপর বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা.

১০।প্রচলিত ডায়াগ্নোসিস ও চিকিৎসা পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন ধারার সংযোজন।

১১।মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে শট টেকনিক,মেকানিজম ও প্যাথোজেনেসিসের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা ব্যবস্থা

১২।কেন (Why) প্রশ্ন করে জানার পরিবেশ তৈরি করা।

১৩।ফিল্ডে প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর জোর দিয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

১৪।স্পিসিস অনুযায়ী দক্ষ ভেট হওয়ার দিকে মনোযোগী করা

১৫।মার্কেটিং ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে ফিরে আসার প্রবণতা বাড়ানো.মার্কেটিং করলেও তা যেন সংখ্যায় বেশি না হয় ভেটরা সব জায়গায় কাজ করবে এটা স্বাভাবিক তবে আমাদের মেইন কাজ টেকিনিকেল।,ভেটদের সম্মান বাড়ানোর ব্যবস্থা করা

বেসরকারী চাকরি করলেও চেম্বারের ব্যবস্থা করা।

১৬।ফিল্ড লেভেবে পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনায় কি কি ভুল তা আইডেন্টিফাই করা এবং ফিল্ডে কি কি ডিজিজ আছে তা সবার কাছে তুলে ধরা।

১৭।ভেটদের পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা

####

####

১।

Page: Poultry Problems and Solutions Dr Md Shuhorab Hossain

২০১৬ সালে এই পেজ দিয়েই আমার অনলাইনের কাজ শুরু হয়।।পেজের একটা সমস্যা দেখা দেয় তা হল আগের পোস্ট গুলো দেখার সুযোগ নাই।তাছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা গুলো সাজানো সম্বব না।

২।

চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করে,আমার অভিজ্ঞত ও ডকুমেন্ট গুলো নিজের ইচ্ছে মত সাজানোর জন্য ব্লগের বিকল্প পৃথিবীতে আর কিছু নাই।তাছাড়া খুব সহজে নিজের দরকারী ট্রপিকস বের করা যায়।প্রতিদিন এডিট করা যায়,নতুন কিছু লেখা যায়.২০১৭ সালের সিকে ব্লগটি চালু করি.১ম ২ বছর শুধু লিখতাম।পোস্ট খুব কম করতাম।ভাল লিখতে পারতাম না।টাইপিং ভাল না হওয়ায় অনেক ভুল ছিল,এমন কি সাজানো ও ছিল না।২০১৯ সালের দিকে কারেকশন ও সাজানো শুরু করি.২০২০ সালে প্রায় প্রতিদিন লিখতাম ও পোস্ট করতাম।বানান ও সাজানোও প্রায় শেষ হয়ে যায়.২০১৯ সালের নভেম্বরে গুগুল এডসেন্স পাই।

ব্লগ(Poultry Doctors BD).এটা প্রথমে পোল্ট্রি দিয়ে শুরু করেছিলাম কিন্তু পরে টোটাল ডি ভি এম কে অন্তভুর্ক্ত করেছি যাতে এক জায়গায় সব পাওয়া যায়।এই ব্লগে পোল্ট্রি রিলেটেড প্রায় ৯৯% আমার লেখা।বিভিন্ন সাইট,লিটারেচার,বই ও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তি হল এই ব্লগ।

এত গুলো বিষয় কে এক সাথে পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে কোন ব্লগ বা বই নাই।

এই ব্লগটাই কিছুদিন পর এপস আকারে সবার কাছে চলে আসবে তখন আরো সহজ হয়ে যাবে।

৩.

২০২০ সালের শুরুতে খামারী পরামর্শ কেন্দ্র নামে একটা গ্রুপ চালু করি যাতে খামারীদের একত্রিত করা যায়।এর আগে ২০১৯ সালের দিকে অনলাইন পোস্টি সার্ভিস নামে একটা গ্রুপ শুরু করেছিলাম।

Poultry Doctors BD Plus এপস টি চালু করার পর অনলাইন পোস্টি সার্ভিস গ্রুপটি্র কার্যকারিতা তেমন নাই।

এই এপসের থিম হল হিস্ট্রির উপর ভিত্তি করে রোগ নির্ণয়।এটা খুব ইফেকটিভ একটি এপস যা আমার জানা মতে আমার আগে কেউ করে নাই এমন কি এখনো নাই।

এক বছর লাগছে এপস টি করতে কিন্তু কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।

৪।সারা বাংলাদেশের ডাক্তারদের পোল্ট্রি ট্রেনিং এর জন্য অফার করেছিলাম ২০১৮ সালের শেষের দিকে।অনেক ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা ইন্টার্নীর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল কিন্তু টিচারা রাজি না থাকায় তারা আসতে পারেনি।ব্যক্তিগত ভাবে এটাই ১ম উদ্যোগ ছিল।

সেই সময় আমি চাকরি ছেড়ে ল্যাব দিয়ে প্র্যাক্টিস শুরু করেছিলাম।

দেশে যখন ২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হয় তখনই সারাদেশের খামারীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য Poultry Doctors BD Plus  চালু করেছিলাম।

বাংলাদেশের ডি ভি এমদের পোল্ট্রিতে দক্ষ করে তুলার জন্য জুলাই অনলাইনে ট্রেনিং চালু করি।অনলাইন ও অফলাইন ২টি অপশনই আছে যার যেভাবে সুবিধা।

ভেট ট্রেনিং গ্রুপের মাধ্যমে সারা দেশের ১০০ ভেট ট্রেনিং এর জন্য ভর্তি হয়েছে এবং এই ট্রেনিং আজীবন চলবে।প্রতি মাসে নতুন নতুন ভেট ট্রেনিং এর জন্য জয়েন করতেছে যা খুবই ভাল লক্ষণ।

এই ধরণের ট্রেনিং প্রোগ্রাম আমাদের দেশে ১ম।

মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার লাইভ ক্লাশ হয় আর শুক্রবার প্রশ্নোত্তর পর্ব হয়।এগুলোর পাশাপাশি  ভেটেদের গ্রুপে লাইভ আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব  আছে।

৫।ভেটদের পাশাপাশি খামারীদের জন্যও পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনার উপর ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করি ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে.৩৮জন খামারী গ্রুপে জয়েন করেছে।

৬.

২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে ল্যাব দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস শুরু করি ১ম দিকে ডিলারের দোকানে সময় দিতাম কিন্তু এটাও ডাক্তারের জন্য সম্মান জনক মনে হয় নি।এভাবে ১বছর চলার পর ২০২০ সালের মার্চের দিকে একদম বাসায় থেকে প্র্যাক্টিস শুরু করি যা বাংলাদেশের ভেটদের জন্য কঠিন কিন্তু অসম্বব না।খুব কঠিন কাজ ছিল কারণ ডাক্তাররা ফার্মে যাবে খামারীরা এটাই চায়।তাছাড়া আমাদের দেশের সিস্টেমই এই রকম।

সব সময় ভেবেছি কোনটা করা উচিত ঠিক তাই করেছি।কে কি করল,সমাজ কি ভাবে কি  চায় তা নিয়ে পিছুনে তাকায়নি।নিজের অনেক লস হয়েছে তবু ভাল সিস্টেম চালু হোক সেটাই করেছি।

৬।

সারা বাংলদেশে প্র্যাক্টিস করেছি যদিও এখন দূরে যায় না তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো যাচ্ছি যারা বাসা থেকে গাড়ি দিয়ে যায় এবং বাসায় দিয়ে যায়

৭।পোল্ট্রি সেক্টরের প্রায় সব জায়গায় কাজ করেছি যেমন ব্রিডার ফার্ম(জি পি,পি এস(ব্রয়লার-লেয়ার),ফিডমিল,হ্যাচারী,কমার্শিয়াল লেয়ার ব্রয়লার ফার্ম,নিজের ফার্ম,ল্যাব।

৮।প্রাইভেট প্র্যাক্টিসকে উতসাহিত ও সহযোগিতা করা,সমাজ/সমাজের লোকজন আমার থেকে বেশি বুঝে না বা আমার বিপদে/সমস্যায় আমাকে সহযোগিতায় কেউ আসেনা।এরা শুধু নিচে টানে।নিজের যোগ্যতা দিয়ে নিজেকেই উপরে তুলতে হবে।

৯।

যদি আমার সামর্থ হয় আমি ইলাইজা টেস্টের ব্যবস্থা করব।এক্টা কথা বলে রাখি আমি তাই করি যা দরকার এবং যদি আমার দ্বারা সম্বব হয়।করলে লাভ বা লস হবে কিনা তা ভাবার প্রয়োজন মনে করিনা।

আমি যে ফার্ম তা করেছি তা শুধু লাভের জন্য না অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা চালানোর জন্যও করেছি.১০লাখ টাকার প্রজেক্টের উপর পরীক্ষা চালায় যা আমাদের দেশের ব্যক্তি ত দূরের কথা সরকারই করতে হাজার বার চিন্তা করে।এমন কি অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত করে না।করলে দেশে দেশি ব্রিড,দেশি ভ্যাক্সিন,দেশি প্রযুক্তি হত।বিদেশ থেকে আমদানী করতে হত না।আমাদের দেশে যদি সরকারী প্রচেস্টায় খামারিদের প্রনোদনা /সহযোগিতা দিয়ে ভুট্রা,সয়াবিন চাষ হত তাহলে খামারীরা অনেক সস্তায় পোল্ট্রি খাবার পেত,বাহিরের অপেক্ষায় থাকতে হত না।তাছাড়া স্লটার হাউজ থাকলে এবং টেকনোলজি থাকলে স্লটার হাউজ থেকে যে মিট ও বোন মিল আসত তা নিয়ে পোল্ট্রির খাবারে ব্যবহার করা যেত।

১০।একজন ভেটের কাজ কি তা নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে এবং ভেট ট্রেনিং গ্রুপে আলোচনা করতেছি।যদিও তা মনে হবে এটা ত সবাই জানে কিন্তু বাস্তবে আসলে গ্যাপ আছে।

ভেটের কাজ হল ব্যবস্থাপনা,ডায়াগ্নোসিস,চিকিৎসা,প্রোগ্নোসিস।

আমাদের ফিল্ড লেভেবে যে ব্যবস্থাপনা দরকার তা কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসে শিখনো হচ্ছে না।যেমন ভ্যাক্সিন সিডিউল,লাইটিং,পর্দা,লিটার,বায়োসিকিউরিটি আপ টু ডেট না।

আমাদের প্রচলিত যে ডায়াগ্নোসিসের যে সিস্টেম তা দিয়ে ডায়াগ্নোসিস হবে না।সবাই মুরগি পোস্ট মর্টেম করে ডায়াগ্নোসিস করে কিন্তু সব ৫০% কেসের ক্ষেত্রে পি এম দিয়ে ডায়াগ্নোসিস সম্বব না।তাছারা আমরা যে পড়ে আসছি এই এই থাকলে এই রোগ হবে বাস্তবে এই এই বিষয় গুলো সব সময় মুরগিতে পাওয়া যায় না।ধরি রানিক্ষেতের জন্য শ্বাসতন্ত্র ট্রাকিয়া,এয়ারস্যাক,পরিপাকতন্ত্ এর প্রভেন্টিকোলাস,অন্ত্র  ও নার্ভাস সিস্টেম আক্রান্ত হবে কিন্তু বাস্তবে হয়ত শুধু নার্ভাস সিস্টেম বা শুধু পরিপাকতন্ত্র বা পরিপাক ও নার্ভাস সিস্টেম আক্রান্ত হতে পারে।তখন হিস্ট্রি,লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করতে হয়।প্রভেন্টিকোলাস শুধু রানিক্ষেতের জন্য না এ আই এর জনয় ও হতে পারে হেমোরেজ হতে পারে।তাই সব সিস্টেম দেখে আনকমন সিস্টেম আলাদা করে ডায়াগ্নসিস করতে হয়।

আমরা প্যাথোজেনেসিস জানিনা তাই সব মুখস্থ করতে হয়।কোন কোন অর্গান।সিস্টেম আক্রান্ত হয় তা জানতে হবে সেখতে হবে।

সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হবে।

চিকিৎসা দেয়ার জন্য কি কি মেডিসিন /আইটেম লাগে তা জানা থাকতে হবে।প্রেস্ক্রিপশনের জন্য কিকি মেডিসিন /বিষয় লাগবে কেন লাগবে।এন্টিবায়োটিকে সহ প্রতিটি বিষয়ের মড অফ অকশন জানা থাকা দরকার।কোন এন্টিবায়োটিক কেন,কখন দিবো তা জানতে হবে,কোন সিস্টেমে কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করে।

এন্টিবায়োটিক ছাড়া কিভাবে মুরগি পালন অরা যায় তা জানা উচিত।

প্রগ্নোসিস নিয়ে তেমন কাজ হচ্ছে না কারণ আমরা ডিজিজের এ টু জেট জানিনা ।এটা খুব দরকার।খামারির অধিকার।সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।এই প্রোগ্নোসিস নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।

১১।

আমরা কোন কিছু কেন হল তা জানার জন্য প্রশ্ন করিনা বা প্রশ্ন করেও জানার সুযোগ তেমন নাই।আমি যতটুকু পারি সব কিছুর প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেস্টা করি এবং কাজ করে যাচ্ছি।আমাদের দেশে কোন কিছু কোথাও পাওয়া যাবে এমন কোন বই বা সাইট নাই।আমি সব কিছু একত্রিত করতেছি।ছোট একটা ইনফর্মেশন পেতে আমার ১মাস ৪মাস ১বছর ,১০বছর লেগে যাচ্ছে।সবাই পাচ্ছে তা ১০ সেকেন্ডে।

১২।সিলেবাস ও শিক্ষা ব্যবস্থাঃ

আমাদের দেশে ভেট সিলেবাস হাল নাগাত করতে হবে।শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে।ফিল্ডের সাথে মিল রেখে পড়াতে হবে।প্রয়োজনে সেই অনুযায়ী বই লিখতে হবে।

ক্যাম্পাসে পোল্ট্রি সেড থাকতে হবে(লেয়ার,ব্রয়লার,কোয়েল,সোনালী,দেশী মুরগি,কবুতর)টাকা সরকার দিব্‌ না দিলে টিচার ও ছাত্ররা মিলে করবে।ছাত্র ছাত্রীরা,৩০০টাকা করে আর টিচার রা ১০০০টাকা দিলেই হবে।বছরে একবার।এইসব পালন করে বিক্রি করবে বা ডাইনিং রান্না হবে।মুরগি যদি বাচে ভাল,অসুস্থ হলে বা মারা গেলে আরো ভাল কারণ এর মধ্যেম সবাই শিখতে পারেব।এই মুরগির পালনে দায়িত্বে থাকবে ছাত্র ছাত্রীরা।

একবার শুরু হলে পরে বিক্রির টাকা দিয়ে পরের ব্যাচ পালা যাবে বা পরের ব্যাচ গুলোতে টাকা লাগলেও অল্প লাগবে।

টিচারদের অবশ্যই প্র্যাক্টিস করতে হবে যাতে ছাত্রদের আপ্ টু ডেট শিক্ষা দিতে পারে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা হল নিচের মতঃ

টিচার ছাত্রকেঃতোমার দাদার নাম কি

ছাত্রঃদাদার নাম (এ)

টিচার তোমার দাদার বাবার নাম বল।

ছাত্রঃ(বি)

টিচার তোমার দাদার খালাত ভাইয়ের নাম কি

ছাত্রঃ(সি)

টিচারঃতোমার দাদার মামত ভাইয়ের খালাত ভাই কি করত

ছাত্রঃ ব্যবসা

টিচারঃতোমার নানার ফুফাত ভাই এর বাড়ি কোথা্য

ছাত্রঃ আগরতলা

পড়াশুনা শেষ এবার ফিল্ডেঃ

খামারিঃ স্যার আপ্নার বাবার নাম কি

ডাক্তারঃমনে করতে পারছে না।

খামারীঃস্যার আপনার নাম

ডাক্তারঃমনে মনে ভাবতেছে রাত জেগে সবই পড়লাম শেষ পর্যন্ত নিজের নাম ভুলে গেলাম।

এভাবেই পড়ানো হয় আমাদের যা ফিল্ডে কাজে লাগে না।

আমার পড়াশুনার সময় হাতি মারি বাঘ মারি কিন্তু বাস্তবে ইদুর মারতে ভয় পাই।এটা রুপক অর্থে বললাম।

পোল্ট্রি সাইন্সে এত কিছু পড়ার পরও খামারীরা ফার্মে কোন স্টেইনের ব্রয়লার ও লেয়ার পালন করা হয় তা জানা থাকেনা।ব্রয়লার ডিম পাড়ে কিনা জানে না।লেয়ার কত সপ্তাহে ডিম পাড়ে কত মাস ডিম পাড়ে তা পড়ানো হয় না।প্রডাকশন কত সপ্তাহে পিকে উঠে,পিকে কতদিন থাকে তা শিখানো হয় না।কত কেজি খাবার খেয়ে কত ওজন আসে,এফ সি আর কি,১টা লেয়ার প্রডাকশনে আসতে কতদিন লাগে,ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালীতে কি কি রোগ হয়,স্পিসিস অনুযায়ী রোগ।কোন বয়সে কত খাবার খাবে,ওজন কত হবে।এসবের কিছুই হালনাগাত নলেজ দেয়া হয় না।

পোল্ট্রির ফিজিওলজি টা জানতে হবে যেমন নরমালী ডিওডেনামের আগ পর্যন্ত এসিডিক ।এসিডিক পরিবেশে ভাল জীবাণু বেচে থাকে প্যাথোজেনিক জীবানূ কমে যায়।কখন এসিডিক পরিবেশ নস্ট হয়?

উত্তর যদি স্ট্রেস পড়ে যেমন ঠোটকাটা,অতি গরম,ঠান্ডা,পরিবহন,মাইকোটক্সিন,কৃমি,অধিক ঘনত্ব,ভেজা বা শুকনা লিটার।

কোন ডিজিজ কোন কোন  সিস্টেম/ অর্গান ড্যামেজ করে,সেই অনুযায়ী ক্লিনিকেল ফাইন্ডিং হবে।চিকিতসা টাও সেই অনুযায়ী হবে।

নরমালী শেখানো হয় পি এম দেখে রোগ নির্ণয় শেখানো হয় কিন্তু অনেক ডিজিজেই একই লেসন হয়।তাছাড়া পি এম করে প্রায় ৪০% ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস করা যায় না।হিস্ট্রি,লক্ষণ ও পি এম এড করে ডায়াগ্নোসিস করতে হয় ।

অল্প কিছু আলোচনা করলাম এই রকম অনেক বিষয় আছে যার মাধ্যমে গ্যাপ টা বুঝা যায়।কোথায় কাজ করতে হবে।

টিচারদের হালনাগাত নলেজ থাকলে দিতে পারবে না থাকলে সম্বব না।

সব কিছু হালনাগাত করে যদি ১ক্টা বই হত তাহলে হয়ত সহজ হত।আশা করি হবে।

১৩।পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

ভেটদের শুধু টেকিনিকেল মানে ডি ভি এম এর সিলাবাসের উপর বিশেষ করে ফিল্ডে যা লাগবে সেটার উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা নিতে হবে।

বাংলা,ইংরেজি,গণিত,সাধারণ জ্ঞান এসবের উপর ২০% মার্ক রাখা যেতে পারে বাকি ৮০% রাখতে হবে ভেট রিলেটেড।

এখন ৯০% সিলেবাসের বাহিরের বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় যা দিয়ে ডাক্তারী করা সম্বব না।তাছারা স্পিসিস অনুযায়ী ভেট নিতে হবে যেমন পোল্ট্রি,ডেইরী,পেট এনিম্যাল,নিউট্রিশনের উপর আলাদা করে।একজন দিয়ে সব করাতে গেলে ভাল করতে পারবে না।

সব কিছু যে একবারে হয়ে যাবে তা আশা করিনা কিন্তু আগে ভুলটা বুঝতে হবে তারপর ভাবতে হবে কিভাবে করা যায়।তারপর ধীরে ধীরে আগাতে হবে।

১৪।ভেটদের এনালগ থেকে ডিজিটালে নিয়ে আসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সব করেছি।সব তথ্য ভেটদের কাছে পৌছে দিচ্ছি।

আমাদের দেশে কি কি ডিজিজ হচ্ছে তা জানানোর জন্য লিখে যাচ্ছি যেমন রিও,আই বি এইচ,এন্টারোকক্কাস,এস্ট্রো,এভিয়ান নেফ্রাইটিস,ভ্যারিয়েন্ট আই  বি, ভ্যারিয়েন্ট করাইজা ও করাইজা।আমরা শুধু ডিজিজ নিয়ে সাধারণ আলোচনা করি কিন্তু  ডিজিজের টাইপ /স্ট্রেইন অনুযায়ী প্রকারভেদ করে আলোচনা করা উচিত।

কলেরা,সালমোনলা,এ আই,আই বি,করাইজা,আই বি ডির স্ট্রেইন,মিউটেশন,ভ্যারিয়েন্ট ও ক্লাসিকেল স্টেইন,কোন ভ্যাক্সিন কখন,কেন দিতে হবে,সব ভ্যাক্সিন কেন সমান ভাবে কাজ করেনা।

আমাদের দেশে নিজেদের স্টেইন দিয়ে ভ্যাক্সিন বানানো দরকার।সরকারী ও বেসরকারী মিলে করলে হয়ত সহজ হবে।

যদি সম্বব হয় ডাক্তাদের একটা ফার্ম থাকতে হবে যার হিসাব নিকাশ দেখবে,ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা নিজে করবে যা একজন ভেটকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। একজন খামারী কিন্তু অনেক কিছু জানে তার নিজের ফার্ম থাকার কারণে যা অনেক ভেটের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যদি সব জানা না থাকে।

১৫।প্রচলিত ভুলগুলি আইডেন্টিফাই করেছি এবং করতেছি।

১৬।ডাক্তারদের চেম্বার থাকা উচিত যা কোম্পানি করে দিবে।

১৭। প্রতিদিন ৪-৬ ঘণ্টা পড়াশুনা করি এবং লিখি যার মাধ্যমেই তথ্য গুলো সংগ্রহ ও প্রচার করতে পারছি।

আমার যে লেখা আছে সেগুলোর উপর একটা বই বের করবো।কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি যদি স্পনসোর করতে চায় তাহলে করতে পারবে।

আমরা ৫ বছর পড়াশুনার পর চাকরি অবস্থায় নতুন করে আরো সময়,শ্রম,মনোযোগ ও ভাবার সময় আসলে নাই।তবু ডাক্তার হিসাবে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।এটা ব্যতিত আপ টু ডেট হওয়া যাবেনা কারণ কোন রোগ ব্যাধি,চিকিতসা,প্রযুক্তি ফিক্সড থাকে না সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।প্রতিদিন না বা প্রতি সপ্তাহে না হলেও মাসে একবার নতুন কিছু শিখা উচিত ।তাছারা পুরান গুলো ঝালাই করা উচিত।

এই সব বিষয়কে যদি এক জায়গায় পাওয়া যায় বা অল্প সময় শিখা যায় মানে রেডিমেড তাহলে কেমন হয়? ঠিক সেই সব দিকের কথা বিবেচনা করে ভেট ট্রেনিং গ্রুপটি চালু করেছি।

হাতের কাছে যদি এক্তা বই থাকে তাহলে আরো ভাল হয়।অনেকেই একটা বই চাচ্ছে।সেটা নিয়ে কাজ করছি।স্পন্সর হলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

নোটঃঅনেকেই অনেকভাবে এক এক বিষয়ের উপর কাজ করে থাকে যেমন যারা ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ করে তারা ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানে।আবার যারা মেডিসিন নিয়ে পি এম ডিতে কাজ করে তারা মেডিসিন,এন্টিবায়োটিক ভাল বুঝে,আবার যারা হ্যাচারীতে,ফিড মিলে ,ল্যাবে,ব্রিডার ফার্মে,ফিল্ডে টেকনিকেল কাজ করে তারা নিজের কাজের ব্যাপারে দক্ষ।

যারা টিচার আছে তারা আবার থিওরিতে দক্ষ।যারা ফিল্ডে কাজ করে তাদের কে সব জানা লাগে কিন্তু সবত আর এক জায়গায় পাবার সুযোগ নাই।

সব গুলোকে এক জায়াগায় নিয়ে আসার জন্য আমি আমার অল্প জ্ঞানে কাজ করে যাচ্ছি।

নতুন ভেটরা এখন অনেক আগ্রহী,শিখতে চায়,জানতে চায় কিছুটা পরিবর্তন আসতেছে।তাছাড়ার অনলানের কারণে শিখার পরিবেশটা সবার জন্য জন্য ওপেন হয়ে গেছে।

বড় লেখা ভুলত্রুটি থাকতে পারে আগেই মা্ফ চেয়ে নিচ্ছি।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত না এবং কিছু আলোচনা।

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত নাএবং কিছু আলোচনা। খামারীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে যাতে সেটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »