জৈবনিরাপত্তা হলো এমন একটি যৌথ ব্যবস্থাপনা যা বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি খামারের ভিতর অথবা এক স্থান হতে অন্য স্থানে রোগ সৃস্টিকারি জীবানূ অনুপ্রবেশ ও বিস্তারে বাধা প্রদান করে.
বিভিন্ন বিষয়কে স্কোরিং করে আমরা বায়োসিকিউরিটি সমন্ধে ভালভাবে বুঝতে পারি,
স্কোর বেশি মানে বায়োসিকিউরিটি ভাল,যেটা সরাসরি রোগ বিস্তারে সাহায্য করে তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে স্কোর তৈরি করা হয়েছে.
৮০% এর বেশি মানে খুব ভাল.
৬০-৭৯ ভাল
৫০-৫৯। দুর্বল
৫০% এর কম খারাপ.
বাংলাদেশের ৯০% ফারম ৮০ স্কোরের নিচে,।
বায়োসিকিউরিটির উদ্দেশ্যঃ
রোগের বিস্তার কম হয়।
ঝুকি কমায়।
রোগ দূরে রাখে।
ফার্ম লাভজনক হয়।
ফারমকে জীবানুর হাত থেকে রক্ষা করা।
মৃত্যহার কমানো।
উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
জীবানূমুক্ত ডিম এবং মাংস উৎপাদন করা।
জীবানুমুক্ত ডিম এবং মাংস রপ্তানি করা।
বায়োসিকিউরিটিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়.
ক.কনসেপ্সুয়াল(Conceptual)
খ.স্টাকসারাল(Structual)
গ.অপারেসনাল(Operational)
ক.কনসেপসুয়াল ( ধারণাগত)
এটি মূলত পরিকল্পনা এবং প্রাথমিক ধারণা.এটা ভুল হলে আর ঠিক করার সুযোগ থাকেনা.
সেড তৈরি, লোকেশন এবং পরিববন ব্যবস্থাএর অন্তভুক্ত
অনেক রোগ যা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় তা রোধ করতে নির্দিষ্ট দূরত্বে ফারম করতে হয় যেমন রানিক্ষেত,এ আই,মাইকোপ্লাজমা এবং আই এল টি, এই রোগ গুলি কাছাকাছি ফার্ম গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে তাইনির্দিষ্ট দূরত্বে ফার্ম করা উচিত.
ইন্ডিকেটর স্কোর
১.মেইন রোড থেকে দূরত্ব
মেইন রোড থেকে ১০০ মিটার দূরে ৫
১০০ মিটারের মধ্যে ০
২.বসত বাড়ি
বসতি নেই১০০ মিটারের মধ্যে ১০
১০০ মি দূরে (মি=মিটার) ৫
১০০ মি: মধ্যে ০
৩.পোল্ট্রি ফার্ম
২০০মি: মধ্যে ফার্ম নেই ১০
২০০মি দূরে ফার্ম ৫
২০০ মি এর মধ্যে ০
৪.দেশি মুরগি,কবুতর,হাস
২০০মি: এর মধ্যে নেই ১০
১০০ মি: মধ্যে মুরগি ৫
১০০মি মধ্যে মুরগি,কবুতর,হাস। ০
৫. পানির উৎস এবং গাছ
নাই ৫
আছে ০
৬.সেডের পজিশন
পূর্ব -পরশ্রিম ৫
উত্তর – দক্ষিণ ০
৭.স্কুল,বাজার,ব্রীজ
২০০ মি: মধ্যে নাই ৫
২০০ মি এর মধ্যে ০
খ.স্টাকসারাল( গঠনগত)
যা সরাসরি রোগ নিয়ে আসে তা রোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা
ফার্ম মডানাইজেশন,বিল্ডিং এবং অবকাঠামো,প্লানিং এবং ডিজাইন এর অন্তভুক্ত
যেমন অসুস্থ প্রাণী ,কেরিয়ার,রিজরভার,মেকানিকেল এবং বায়োলজিকেল ভেক্টর,মানুষ,বন্য বা গৃহ পালিত প্রাণী,যন্তপাতি এবং যানবাহন ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি রোগ ফারমে চলে আসে.
ফলে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং সহজে মুরগি অসুস্থহয়.
ইন্ডিকেটর স্কোর
১.ব্যবস্থাপনা
ওয়াল ৫
এন্টি (প্রবেশ) ১
গোসলখানা ৫
জোনিং ১
২.স্টাফ রোম সেডের ভিতর। ২
বাহিরে ০
৩.সেড
স্পেস
দুটি সেডের মাঝে দূরত সঠিক ২
সঠিক না ০
প্রস্থ
সঠিক ৩০ফিটের কম। ১
বেশি ০
ফ্লোর
কংক্লিট ৫
ইটের। ৩
মাটি ০
৪.গেটে পরিস্কার করার ব্যবস্থা
আছে ৫
অল্প ৪
শুধু ফূট বাথ ১
নাই। ০
৫ ফিড ব্যবস্থাপনা
ভাল। ২
ভালনা ১
সেডে রাখে ০
৬.পানি ব্যবস্থাপনা
নিপলডিংকার ২
প্লাস্টিক ১
ডেইনেজ
ভাল। ১
ভালনা ০
৭.লিটার ব্যবস্থাপনা
বায়োগ্যাস প্লান্টের জন্য। ৪
পরিবেশ বান্ধব। ৪
গর্তে রাখা ২
সিল্ডবেগে রাখা ১
ডাইরেক বিক্রি ০
৮.মৃত মুরগি ব্যবস্থাপনা
গর্তে রাখা ৪
এখানে সেখানে ০
৯.অসুস্থ মুরগি ব্যবস্থাপনা
অন্য রোমে ৪
একই রোমে ১
কিছুই করেনা ০
১০.যানবাহন ব্যবস্থাপনা
আছে ৩
অল্প ১
নাই। ০
১১.রিয়ারিং সিস্টেম
সহজে পরিস্কার করা যায় ৩
করা যায় ১
করা যায় না ০
১২.সেডের বাহিরের পরিবেশ
৩মি দূরে বাগান। ১
কাছাকাছি ০
গ.অপারেসনাল( রুটিন কাজ)
এটা প্রতিদিনের কাজ এবং রুটিন অনুযায়ী করা হয়
যেমন
ট্রাফিক কন্টোল(মানুষ,যানবাহন,যন্তপাতি)
সেনিটেশন এবং ডিশইনফেকশন
রোডেন্ট এবং বন্য প্রানী কোণ্টোল
হেলৎ মনিটরিং,টিকা,রেকড কিপিং এবং মেডিকেশন
এটি খুব গুরুত্ব পুন্ন রোগ নিয়ন্তনের জন্য.
ইন্ডিকেটর। স্কোর
১.ফিডের উৎস
ভাল কোম্পানি ৩
নিজের তৈরি ভাল মানের। ২
হাতে মিক্সিং ১
বাহিরে তৈরি ০
২.পানির উৎস
মাটির নিচের ঠান্ডা পানি ৩
বৃষ্টি,ঝরনার পানি পরিস্কার। ২
পুকুরের পানি পরিস্কার। ১
পুকুরের পানি ০
৩.বাচ্চা
ভাল কোম্পানি চেক বাই ডা ৩
চেক বাই ডা ২
চেক নরমালি ১
নো চেক। ০
৪.যানবাহন
নো যানবাহন ইন ফারম। ৩
পরিস্কার যানবাহন। ২
নোংড়া যানবাহন। ০
যানবাহন পরিস্কার করার পর
জায়গা পরিস্কার করা হয় ৩
পরিস্কার করা হয়না ০
৫.ভিজিটরের জীবানুমুক্তকরন
ফারমের মেইন গেটে
ভালভাবে ৩
ভালভাবেনা ২
করা হয়না ০
৬.সেডের গেটে ভিজিটরের জীবাণূমুক্তকরণ
পরিস্কার ও জীবাণূমুক্তকরণ। ৩
করে কিন্তু সব না ২
অল্প করে ১
করেনা ০
৭.স্টাফের বসবাস
ভিতরে স্থায়ীভাবে ৩
স্থায়ী নয় কিন্তু সি ডি মানে ২ সি মানে ক্লি্নিং ডি মানে ডিসইনফেকশন
সবসময় মানে না ১
সব সময় আসা যাওয়া করে ০
৮.সি ডি ফারমের আংগিনায় ৩
৯.সি ডি সেড এবং যন্তপাতি ৩
১০.ডিমের ট্রে পরিস্কার ৩
১১.ইদুর,ছুচু,পাখি দমন। ৩
১২.হেলথ ব্যবস্থাপনা (টিকা) ৩
১৩.লিটার ব্যবস্থাপনা ৩
১৪.বায়োসিকিউরিটি সমন্ধে ধারনা ৩
১৫.মনিটরিং
বাই নিজে ডাঃ এবং সরকারি লোক। ৩
বাই কোম্পানি ডাঃ ২
বাই সরকারি লোক। ১
নো মনিটরিং বাই ডা ০
নোট: মি: মানে মিটার এবং সি ডি মানে ক্লিনিং এবং ডিশইনফেকটেন্ট(জীবানূনাশক)
মুরগির ফার্মে কিভাবে রোগ আসে:
১.জীব জন্তু,পাখির (কবুতর,কাক,বিদেশি পাখি)মাধ্যমে : A I,ND,Coccidiosis, Fowl cholera,Ticks& mites.
২.বাতাসের মাধমে : ND,ILT,mycoplasma,A I.
৩.টিকার মাধমে :Adenovirus,Reo &Reticuloendo.
৪.Feed :Salmonella,Mycotoxin. ND
৫. By egg :Mycoplasma,Salmonella( S pullorum,enteritis,Typhoid,paratyphoid),E coli,Adeno, Reo & Avian Leucosis.
৬.গোবরে পোকা :Fowl cholera,Mareks,Coccidiosis,IBD,Salmonellosis.
৭.মশা : Pox & Parvo virus,
৮.মাছি: Campylobactoriosis,Salmonella & ND, Tapeworm ,Coccidiosis.
৯.ছুছু,ইদুর :Salmonella,Cholera,Lice,Mite.
১০.পানি :E coli,Cholera,Coccidiosis.ND
১১.লিটার(Litter) Coccidiosis.Mycotoxin । পুরাতন লিটার যদি জমা থাকে তাহলে.ND,IBD,LPAI
১২ যানবাহন এবং যন্তপাতি: A I,E D S, ND.
১৩. যে কোন রোগ.
মুরগির ফার্মে জীবাণূ কতদিন বেঁচে থাকে?
মুরগি বিক্রির পর ফার্মে জীবাণূ কতদিন বেঁচে থাকে তা নিন্মে দেয়া হল
১.গাম্বোরু কয়েক মাস
২।কক্সিডিওসিস। কয়েক মাস
৩।মেরেক্সস কয়েক মাস থেকে বছর
৪।এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ৩ মাস
৫।কলেরা কয়েক সপ্তাহ
৬।সালমোনেলা কয়েক সপ্তাহ
৭।রানিক্ষেত। কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ
৮।ডাক প্লেগ। কয়েকদিন
৯।করাইজা কয়েক ঘন্টা থেকে দিন
১০.মাইকোপ্লাজমা -কয়েক ঘন্টা থেকে দিন
এই জন্য ডাউন টাইম মেনে চলতে হয়,
ডাউন টাইম হল ফার্মে পরিস্কার করার পর ফার্মে মুরগি তোলার মধ্যবর্তী সময়.
পুলেটের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ
লেয়ারের ক্ষেত্রে ৬ সপ্তাহ
ব্রয়লারের ক্ষেত্রে ২ সপ্তাহ
তাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ডাউন টাইম দিয়ে ফার্মে মুরগি তুলতে হয়.