গরমে কবুতরের যত্ন
যেকোন ঋতুর শুরুর সময় কবুতরের শরীর আবওহাওয়া মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়।তাই শীত কিংবা গ্রীষ্ম বা বর্ষার শুরুতে নানান রকম অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
☑ গরমের শুরুতেই লফটের পরিবেশ খোলামেলা করুন।বাহিরের আলো-বাতাস ঢুকার ব্যবস্থা করেন।ব্রিডিং রুম বা থরের ভিতর যেন গ্যাস না আটকে থাকে,বৃষ্টির পানি যেন না ঢুকে সেই ব্যবস্থা করেন।
☑ সকাল-বিকাল দুই বেলা খাবার পানি পাল্টে দিবেন।ব্রিডার সজ সহ সকল কবুতরকে সপ্তাহে দুই দিন স্যালাইন বা লেবু পানি দিবেন।তাপমাত্রা বেশী থাকলে এক দুই দিন পরপর দিবেন।
☑ কবুতরকে গোসলের ব্যবস্থা করে দিন। থরের কবুতরকে পানি স্প্রে করে গোসল দিবেন।ছেড়ে পালা কবুতর যেন বাহিরের নোংরা পানিতে গোসল না করে,সেই ব্যবস্থা করবেন।
☑ যাদের কবুতরের ঘরের উচ্চতা কম এবং টিনের চাল,তারা টিনের নিচে ফোম বা রাবারের পাটি লাগান।হার্ডওয়ারের দোকানে এগুলি কিনতে পারবেন,বার্মিজ নামে পরিচিত।এতে রৌদ্রের তাপ আটকাবে।
☑ সম্ভব হলে টেবিল ফ্যান বা জালি ফ্যান লাগাতে পারেন। দুপুরের সময়টাতে কম স্পিডে ফ্যান চালাতে পারেন।
☑ লফটে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র লাগাতে পারেন।দাম ২ শত টাকা থেকে ১ হাজার এর মধ্যে পাবেন।তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সরাসরি দেখতে পারবেন।এছাড়া পোল্ট্রি ফার্মে ব্যবহৃত থার্মোমিটার লাগাতে পারেন,দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু।লফটে তাপমাত্রা যেন ৩০ ডিগ্রি সে. থেকে ৩৩ ডিগ্রি সে. বজায় রাখার চেষ্টা করবেন।আপনার পার্শ্ববর্তী দোকান বা বিভিন্ন অনলাইন শপ যেমন দারাজ ডট কম থেকে কিনতে পারেন।
☑ সপ্তাহে দুইদিন ময়লা ও ট্রে এবং পানির পাত্র পরিষ্কার করবেন।
❒ উড়ানোর কবুতর খুব সকালে বা বিকালে ছাড়বেন।উড়ে নামার পরে যথাসম্ভব ছেড়ে না রেখে দাপড়িতে তুলে ফেলুন।
❒ খাবার আইটেম এ তৈলাক্ত আইটেম কমিয়ে দেন।
❒ ভ্যাকসিন বা কৃমির কোর্স করাতে হলে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা দিন বেছে নিন।
❒ মাল্টি-ভিটামিন ও অন্যান্য কোর্স সঠিক সময়ে চালিয়ে যাবেন।
❒ যেকোন অসুখ যেকোন সময় আপনাকে আগাম বার্তা না জানিয়ে আসতে পারে।সেই জন্য আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।
❒ কোন কবুতর অসুস্থ হওয়া মাত্র তাকে আলাদা করে ফেলতে হবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত।
❒ আপনার কবুতরের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ঔষধ ও ভিটামিন সংগ্রহে রাখুন।
❒ পরিচিত ভাই-ব্রাদার্সদের ফোন নাম্বার সংগ্রহে রাখুন। যেকোন সমস্যা কিংবা প্রয়োজনে ফোনে জেনে নিবেন।
মো:জিল্লুর রহমান-হিমেল