Breaking News

টিপস ১৭।ফার্মে কোন ভুল গুলো করলে কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা ক্ষতি হতে পারে।

১।ফার্মে ঢুকার আগে জুতায় স্প্রে করার চেয়ে ভিতরে জুতা রাখা উচিত যাতে জুতা বদল করে ভিতরে যাওয়া যায় অথচ ৯০% ফার্মের ভিতরে জুতা থাকে না।আমাদের দেশে খামারীরা যেভাবে স্প্রে করে এতে  জীবানূ মরে না।

স্প্রে করে সাথে সাথে ফার্মে ঢুকে যায় এতে লাভ নেয় কারণ জীবাণূ মরতে একটু সময় লাগে যাকে কন্টাক টাইম বলে।নরমালী কন্টাক টাইম ১-১০মিনিট । জীবাণুনাশক  দিয়ে  স্প্রে করার পর ১-১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ফার্মে ঢুকতে হবে।

মুরগি যখন অসুস্থ হয় তখন খামারীরা স্প্রে করে এবং কাউকে ফার্মে সহজে ঢুকতে দেয়না অথচ ফার্ম আক্রান্ত হবার পর স্প্রে করে লাভ নেই।

২। লাইভ ভ্যাক্সিনের আগেরদিন,ভ্যাক্সিনের দিন এবং পরের দিন জীবাণূনাশক স্প্রে করলে ভ্যাক্সিন মারা যেতে পারে।

৩।সালফার ড্রাগের সাথে পি এইচ দিলে পানিতে এন্টিবায়োটিকের তলানী পড়ে।

৪।সিপ্রো এবং পেনিসিলিন(এমোক্সিসিলিন) সাথে ইরাইথ্রোমাইস এবং ট্রেট্রাইসাইক্লিন দিলে কার্যকারিতা কমে যায়।

৫।টাইটার না জেনে ভ্যাক্সিন দিলে,প্রতি মাসেই ভ্যাক্সিন দেয়া ঠিক না।আমাদের দেশে খামারী ভ্যাক্সিন অভার দিয়ে থাকে যা দরকার নাই তাও দেয়

৬।রোগ নির্ণয় না করে চিকিৎসা দিলে খরচ বেশি হবে এবং কোন লাভ হবে না

৭।গড় গড় শব্দ,হাঁচি ,কাশি বা ঠান্ডা লাগলে সেটার কারণ না জেনে   চিকিৎসা করা হয়।

৮।ব্রয়লারকে বা লে্যার গ্রোয়ারকে টিয়ামোলিন (ডেনাগার্ড,রেনাগার্ড,মেগাগার্ড,টিয়াভেট,স্টিয়াজেন,টাইওজেন,মাইকোগার্ড,টিয়ামুল,টায়ালিন)জাতীয় এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।

৯।কিল্ড ভ্যাক্সিন নরলাম তাপমাত্রায় আসার আগে টিকা দেয়া যাবেনা।

১০।মেরেক্স,পক্স ও আই বি ভ্যাক্সিন খুবই সেন্সেটি্টিভ তাই ১ ঘন্টার মধ্যেই টিকা দে্যার চেস্টা করতে হবে।

১১।গ্রোয়িং পিরিয়ডে লাইট বেশি দিলে প্রডাকশন পিরিয়ডে ক্যানাবলিজম বেশি হয়।

১২।গ্রোয়িং পিরিয়ডে ভুল করলে প্রডাকশনের সময় ডিম কম পাড়বে এবং বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

১৩।তাপের ব্যবস্থা না করে পর্দা দিয়ে তাপ দেয়ার ব্যবস্থা করা।এতে পেঠে পানি জমা হয়।ব্রুডিং এ তাপ আর আলোকে এক সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়।কখনো আলোর ঘাটতি হয় না,সমস্যা হয় তাপ নিয়ে গরমের বেশি তাপ দিয়ে দেয় আর শীতের সময় তাপের অভাব হয়।

আমরা যে এনার্জি বা এল ই ডি বাল্ব ব্যবহার করি তা দিয়ে আলো হয় তাপ হয় না।তাপের জন্য টিনের কৌটার সাথে কয়লা,কাঠের গুড়া,কাঠের আগুন বা তুষ ।স্টোভের উপরে বালি দিয়ে তাপ দেয়া যায়।তাছাড়া মাটির কলসি ছুদ্র করে সেখানে কাঠের আগুন দিয়ে তাপ দেয়া যায়।গ্যাসের চুলা ব্রুডারে নিচে দিয়ে গ্যাস ব্রুডার হিসাবে ব্যব হার করা যায়।ইচ্ছে করলে গ্যাস ব্রুডার কিনতে পাওয়া যায়।লাল বাতি দিয়ে কিছুটা তাপ হয়।

১৪।অনেক সময় এক সাথে ৪-৭টি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে।এতে ডিসব্যাক্টেরিওসিস হয় ,রুচি কমে যায়।ডিমের কালার পরিবর্তন হয়।

১৫।ডাবল ডোজে ভ্যাক্সিন দেয়ার দরকার নাই।এতে অপচয় হয়।যদি পানির লাইনে সমস্যা হয় বা মুরগি অসুস্থ থাকে তখনই শুধু  দেড় গূণ বা  ডাবল ডোজ দেয়া উচিত।অন্যথায় দেয়া উচিত না।কিছু কিছু ফার্মের খাচার সেটিং ভাল থাকে না ফলে সব লাইনে পানি পেতে গেলে দ্বিগুণ পানি লাগে।

মুরগি যদি আক্রান্ত থাকে সে ক্ষেত্রে এন্টিজেন এন্টিবডি কমপ্লেক্স হয়ে কিছু ভ্যাক্সিন খরচ হয়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে বলা হয় ডাবল ডোজ ।

১৬।দক্ষ এবং সচেতন ভ্যাক্সিন ম্যান দিয়ে ভ্যাক্সিন দেয়া উচিত।ভ্যাক্সিন ম্যানের মাধ্যমে ফার্মে জীবাণূ ঢুকার সম্বাবনা থাকে।আমাদের দেশে প্রতি বছর অনেক ফার্মে ভুল ভ্যাক্সিনেশনের জন্য মুরগি মারা যায়,অসুস্থ হয় ।

১৭।আমাশয় হলে ৫দিন ডোজ দিতে হবে এবং সব সময় দিতে হবে।আমাশয় না হলে প্রিবেন্টিভ ডোজ হিসাবে ৩দিন দেয়া যেতে পারে।।

১৮।সিপ্রোফ্লক্সাসিনের সাথে পি এইচ দিলে কার্যকারিতা বাড়ে আর এনরুফ্লক্সাসিলিনের সাথে পি এইচ দিলে কার্যকারিতা কমে।

১৯।এমিকাসিনের পি এইচ ৫-৬ ।জেন্টা্মাইসিনের পি এইচ ৪,ক্লোরফেনিকলের পি এইচ নিউট্রাল।

২০।খাবারে বি কমপ্লেক্স দিলে ভিটামিনের নস্ট হয়ে যায় তাই পানিতে ভিটামিন দেয়া উচিত।ক্লোলিন অন্য ভিটামিন ও মিনারেলস এর সাথে মিক্স করলে নস্ট হয়ে যায়।

২১.টাইলোসিনের সাথে পি এইচ দিলে টিউট্রালাইজ হয়ে যায়।

২২। ফার্মে ডাক্তার না ঢুকলে খামারীর মন ভরে না,যদি  বাহির থেকে মুরগি দেখার সুযোগ থাকে সে ক্ষেত্রে বাহির থেকে মুরগি দেখা ভাল।

যদি সুযোগ থাকে ডাক্তারের কাছে মুরগি নিয়ে যাওয়া ভাল।

২৩।আই বি ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ডাইলোয়েন্ট ও ফ্রিজে রাখা উচিত মানে সমান তাপমাত্রায় রাখতে হবে তানাহলে ভাল কাজ করবে না।

৩৪।একজন দক্ষ ডাক্তারের আন্ডারে থেকে প্রতি সপ্তাহে যোগাযোগ করে খামারীকে ফার্ম পরিচালনা করতে হবে।মুরগি অসুস্থ হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে ৫০% রিজাল্ট পাবে।প্রতি সপ্তাহে যোগাযোগ করলে ১০০% রিজাল্ট পাবেন।মাঝে মাঝে যোগাযোগ করলে ৭০% রিজাল্ট পাবেন।যোগাযোগ না করলে ৫বছরে যা আয় করবেন ১বছরে সব হারাবেন (আল্লাহ যদি নিজে বাচিয়ে দেয় সেটা আলাদা ব্যাপার)

অবশ্যই দক্ষ ডাক্তার হতে হবে।ট্রেনিং প্রাপ্ত হতে হবে।.

২৫.৯০% ফার্মের পর্দা ঠিক নাই।পর্দা নিচ থেকে ইচ্ছে অনুযায়ী উপরের তোলার সিস্টেম থাকতে হবে।অথবা পর্দার ২টি পাট থাকবে নিচে ৪ফুট আর বাকিটা উপরের অংশ,প্রয়োজন অনুযায়ী আপ ডাউন করতে হবে।

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিপস ৩৪(মেডিসিনের হিসাব)

ভি টি এস টিপসঃ ১০০০ প্রডাকশন লেয়ারের এক বেলার পানি মানে ১০০লিটার পানি।(২০ সপ্তাহের পর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »