Breaking News

কি কি কারণে ডিমের রং,খোসা এবং আকার পরিবর্তন হয়ঃএ টু জেট

কি কি কারণে ডিমের রং,খোসা এবং আকার পরিবর্তন হয়ঃএ টু জেট

অনেক খামারির অভিযোগ ডিমের কালার নষ্ট হয়ে গেছে,খোসা পাতলা,ছোট ডিম এবং আকাবাকা ডিম, তাই দাম কম দিচ্ছে.এভাবে প্রায় ৫%-১০% দাম কম দেয় এবং ডিম বিক্রি করতে কষ্ট হয়.

বংশগত কারণে কিছু জাত ও বর্ণের মুরগি মোটা খোলস এবং কোন কোন জাতের মুরগি পাতলা খোলস যুক্ত ডিম পাড়ে.

ডিম উৎপাণের১ম  দিকে খোলস মোটা থাকে এবং শেষের দিকে ডিম বড় হয় কিন্তু খোলস পাতলা হয়.

খোলস শক্ত হলে ডিম ২.৫ কেজি চাপ সহ্য করে কিন্তু নিম্ন মানের হলে ২.৩ কেজি চাপে ভেংগে যায়.

ডিমের কোয়ালিটি বিভিন্ন ভাবে খারাপ হতে পারে যেমন ডিমের খোসা,কুসুম,এল্বুমিনের কোয়ালিটি খারাপ হতে পারে।

বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে যেমন খাবার(ভিটামিন নিনারেলস),আলো,রোগ,স্ট্রেস,প্রডাকশোন,বয়স।

রোগ আই বি,এই ডি এস,রানিক্ষেত,সালমোনেলা,মাইকোপ্লাজমা,মাইকোটক্সিন,কৃমি নাশক,আলো,ক্যালসিয়াম,জিংক,কপার,খাবার কম খেলে,অধিক বৃস্টি ও আর্দ্রতা এন্টিবায়োটিক,তাপমাত্রা,স্টোরেজ,এমোনিয়া,বেশি প্রডাকশন,ভয়,মাছের তেল,তেল বীজ,ফিড এটিটিভ,খাবারে ম্যাগেন্সিয়াম ও ক্লোরিন বেশি হলে।

১.ডিমের রং নষ্ট হওয়ার কারণ:

বংশগত কারণ,
রোগ,রানিক্ষেত,ব্রংকাইটিস,ই ডি এস.মাইকোপ্লাজমোসিস,সাল্মোনেলোসিস
পাইপেরাজিন খেলে,

নাইকারবাজিন ও মনেনসিন খেলে
মুরগির শরীরে  তাপমাত্রা বেশি হলে,
বেশি ডিম পাড়লে,
রানিক্ষেতের টাইটার কমে গেলে.
টেট্রাসাইক্লিন বেশিদিন খেলে.

মাইকোটক্সিকোসিস

মুরগির বয়স বেশি হলে

মুরগিতে অতিরিক্ত স্টেস পড়লে

জরায়ুতে প্রদাহ থাকলে

এমোনিয়া গ্যাস শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে  ডিতরে  গেলে

২.খোসা পাতলা ও নরম হওয়ার কারণ

এটি উৎপাদক ও ভোক্তার মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে. হ্যাচিং ডিম নির্বাচনে এটি মূল নিয়ামক.

খোসায় পাঁচ ধরনের ত্রুটি হয় যেমন

##বিকৃত খোসা:(Misshapen)

এলবোমেনের মান খারাপ হলে ডিমের খোসা ভাল ভিত্তি পায় না.
ভাইরাসের কারণে এমন হয় তাছাড়া খোসা গ্রন্থগ্রন্থিতে খোসা ভেংগে গেলেও এমন হতে পারে.

আই বি ও রানিক্ষেতবিভিন্ন রকমের ডিম

মুরগি স্থানান্তর করলে

কোটেড খোসা:

অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ডিমের উপর জমা হলে এমন হয় যা স্পালাসিং ( splasing) নামে পরিচিত.
খোসা গ্রন্থিতে অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করলে এ ত্রুটি দেখা যায়.
ডিম উৎপাদনের শুরুতে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়.

অমসৃন খোসাযুক্ত ডিম:

নরম ও দুর্বল খোসাযুক্ত ডিম:(thin ,porous and soft egg)

এলকোলিস্লিওসিস(গরমে শ্বাস প্রশাস এর মাধ্যমে কার্বন ড্রাই অক্সাইড বেশি ত্যাগ করলে।

রাত্রে ভয় পেলে

স্টেস পড়লে

রানিক্ষেত

আই বি আই বি আক্রান্ত ডিম

ই ডি এস

মাইকোটক্সিন(থাইয়াম)

বয়স বেশি হলে

ডিমের গঠন অনিয়মিতভাবে হলে

খাবার কম খেলে

খাবারে ম্যাগ্নেসিয়াম ও ক্লোরিন  বেশি হলে

খাবারে  জিংক,ম্যাংগানিজ ,কপার এর ঘাটতি হলে

খাদ্যে বা পানিতে ম্যালথিওন থাকলে

ফাটল

#চুলের রেখার মত ফাটল
# তারার মত ফাটল
# ময়লা ও গ্লেজযুক্ত খোসা
# শরীরে ফাটল (body checks)

###খসখসে খোসা(Rough shell)

নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রডাকশনে আসলে

খোসা তৈরির সময় বাহিরের  কোন পদার্থ এসে গেলে

স্ট্রেস

রানিক্ষেত ,আই বি  ই ডি এস হলে

অধিক ক্যালসিয়াম ও এন্টিবায়োটিক দিলে

পানির মান ভাল না হলে

# ##দাগযুক্ত ডিমের খোসা(mottled shell)

অধিক বৃস্টি ও আর্দ্রতা

রং বিহীন বাদামী ডিম   (Depigmented shell)

অতি তাপমাত্রা ও অধিক ডিম প্রডাকশন

এন ডি ,আই বি ও ই ডি এস

পাইপেরাজিন ও নিকারবাজিন দিলে

হলুদ কালার খোসা

অধিক সময় ধরে খাদ্যে অক্সিট্রেটাসাইক্লিন দিলে

Ridged waist

স্টেস

আগেই ক্যালসিফিকেশন হলে

ঢেউ খেলানো ডিমের খোসাঃ(corrugated)

কপারের ঘাটতি

আই বি

বি এ পি এন(BAPN)

খোসা ফাটল ডিম(Cracked egg)

খাবারে ম্যাংগানিজ ,জিংক ,ক্যালসিয়াম ও কপারের ঘাটতি হলে

খাঁচার ডিজাইন যদি ভাল না হয়।

সোডিয়াম বাই কার্বোনেট ও ডি৩ এর ঘাটতি হলে

লোজ এয়ার সেলঃ

আই বি ও এন ডি

বেশি দিন ডিম স্টোর করলে।

এলবুমিন(বিটামিন বি২ এর কারণে)

সাদাটে গোলাপীঃ

ব্যাক্টেরিয়া

কটন সিড

পান্ সে সাদা

আই বি ও এন ডি

এমোনিয়া ও বেশি দিন গরমে স্টোর করলে

কুসুমের মান

হলুদ কালার নির্ভর করে মেইজ গ্লুটেন মিল,লুসার্ণ মিল,মেরিগোল্ড পেটালস,

হালকা রং

অল্প জেংথোফিল ও কফি সিড

অস্বাভাবিক রং ঃ

গসিপল বা ক্টন সিড মিল

চিজি কুসুম

হিমায়িত ডিম

তুলাবীজের তেল

চ্যাপ্টা কুসুম ডিম

নিকার্বাজিন

অধিক তাপমাত্রায় ডিম স্টোর করলে

ডিমে দাগঃ

রবেনিডিন

রেপ্ সিড মিল

খাবারে ছত্রাক

খাদ্যে মাছের তেল

ক্যাপোলিন মিল

ডিমে রক্ত ও মাংসের দাগ

ঠান্ডা আবহাওয়া

হঠাত আবহাওয়ার পরিবরতন

ভিটামিনের ঘাটতি

স্টেস

মাইকোটক্সিন

আই বি

ভয়

বংশগত ( স্টেইন) : কিছু জাতের মুরগিতে ক্যালসিয়ামের জমা হওয়ার হার বেশি ফলে খোসা পুরু হয়। গাড় বাদামি মুরগির ডিমের খোসা ভাল হয়.

বয়স:
বয়স বেশি হওয়ার সাথে সাথে খোসার পুরুত কমে যায়. বয়স্ক মুরগির ডিম বড় হয় এবং সহজে ভেংগে যায়. এ সময় মুরগি হাড় থেকে ক্যালসিয়াম অবমুক্ত করার সামর্থ্য হ্রাস পায় এবং ক্যালসিয়াম কারবোনেট উৎপাদন কমে যায়. ৪০ সপ্তাহে ক্যালসিয়াম শোষণ ও স্তানান্তর ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০% কমে যায়.

পুস্টি:
পুষ্টির অসমতা,
জিংক,মেংগানিজ ও ডি৩ এর ঘাটতি

ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাব. কাংখিত ক্যালসিয়াম ৩.৫-৪% এবং ফসফরাস ০.৩৫-.৪%)

ক্যালসিয়াম:
একটি ডিমে ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে তাই
ডিম পাড়া মুরগিকে দিনে ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ খোসা তৈরির জন্য ৫০-৬০% গ্রহণ উপযোগী থাকে. খোসা তৈরির প্রক্রিয়ায় শেষ ১৪ ঘন্টায় খোসা গ্রন্থিতে ক্যালসিয়াম ১০০-১৫০ মি গ্রাম পার ঘন্টা এ হারে জমা হয়. মূলত হাড় এবং খাদ্যই ক্যালসিয়ামের মুল উৎস. রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ২০-৩০ মিগ্রাম পার ডেসি লিটার যখন খাদ্যে ক্যালসিয়াম ৩.৫৬% বা বেশি. কিন্তু ২% হলে ৩০-৪০% আসে হাড় থেকে. তাই ডিম পাড়ার আগে ১৭-২১ সপ্তাহে খাদ্যে বেশি ক্যালসিয়াম দিতে হয় মানে প্রিলেয়ার খাবার দিতে হয় যাতে মুরগির দেহে ক্যালসিয়াম জমা থাকে. খাবার হতে প্রায় ৪০% ক্যালসিয়াম শোষিত হয় যখন খোসা গ্রন্থি নিষ্কিয় থাকে কিন্তু সক্রিয় অবস্থায় ৭২% এ উন্নিত হয়. বিকেল বা অন্ধকারে অন্ত্রে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে বিধায় হাড় ব্যতীত শুধু খাবার হতে মুরগি পেয়ে থাকে.
গ্রোয়ার খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি দিলে অন্ত্রে পি এইচ বেড়ে যায় এবং প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক গঠনে ব্যাঘাত ঘটে যার ফলে শোষণ ক্ষমতা হ্রাস পায়.

ফসফরাস:
খোসায় এর পরিমান ২০ মিগ্রাম এবং সমগ্র ডিমে ১২০ মিগ্রাম.
ফসফেট আয়ন ক্যালসিয়াম কারবোনেট রুপান্তরে বাধা দেয় এবং খোসা গঠন প্রক্রিয়ায় সমাপ্তি টানে. রক্তে উচ্চ মাত্রায় ফসফরাস থাকলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম স্তানান্তর প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়.
# ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উৎস ও গঠন:
অন্ত্রে ক্যালসিয়াম এর মাত্রা ধরে রাখার জন্য ক্যালসিয়াম এর উৎস ও পারটিকেল সাইজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. ফসফরাস যাতে সহজলভ্য এবং ডিম পাড়া মুরগির খাদ্যের সাথে ব্যবহার করা যায় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে.

# আন্ত্রিক পি এইচ :
যখন পি এইচ এর মাত্রা ৫.৫ থেকে ৬ এর মধ্যে থাকে তখন ফসফরাস শোষণ বেশি হয়  আবার পি এইচ ৬.৫ এর বেশি হলে ফসফরাসের শোষণ নাটকীয়ভাবে কমে আসে. খাদ্যে অতিরিক্ত মুক্ত ফ্যাটি এসিড থাকলে পি এইচ হ্রাস পায় এবং এ কারণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ ব্যাহত হয়.

# ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত:

অন্ত্রে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকলে এদের উভয়ের শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়. উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম অন্ত্রের পি এইচ বাড়ায় ফলে জিংক ও ম্যাংগানিজ এর সাথে ফসফরাসের শোষণ হ্রাস পায়. রক্তরসে উচ্চ মাত্রায় ফসফরাস থাকলে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড় থেকে ক্যালসিয়াম স্তানান্তর উভয়ই হ্রাস পায়. শরীরের অম্লের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ফসফরাস গুরুত্বপূর্ণ. গ্রোয়ার খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত ১.৫-২:১।

ভিটামিন ডি:
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণের জন্য ভিটামিন ডি দরকার.
ক্যালসিয়াম বাইন্ডিং প্রোটিন সংশ্লেষন এ প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে, ভিটামিন ডি৩ এর কার্যক্রমে এর মেটাবোলাইট ১,২৫ ডাইহাইড্রক্সি সম্পরক যুক্ত যা মুরগির যকৃত ও কিডনে তৈরি হয়.

খাদ্য :
খোসার ভাংগন সহনশীলতা গম বা বারলি অপেক্ষা জোয়ার জাতীয় খাদ্যে বেশি হয়.
খাদ্যে বেশি ক্যালসিয়াম ও ফাইটেট বেশি থাকলে জিংক ও মেংগানিজ এর ঘাটতি হয়.
ফাইটেজ যুক্ত এনজাইম খাদ্যে যোগ করলে খোসার মান ভাল হয়.
খাদ্যে অতিরিক্ত ক্লোরিন থাকলে রক্তে বাইকারবোনেট এর ঘনত্ব কমে আসে কন্তু ডিমের খোসার ক্যালসিয়াম সংশ্লেষনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে.
খাদ্যে নিম্ন মাত্রার ক্যাটায়নিক – আনায়নিক সাম্যতা,নন স্টাস পলিস্যাকারাইড এর উপস্তিতি,মাইকোটক্সিন এবং ভেজাল দ্রব্যের কারণে খোসার মান খারাপ হয়.

ভিটামিন সি এর ঘাটতি

পানি:
পানিতে অতিরিক্ত ক্লোরিন বা ফ্লোরিন

খাবার কম খেলে,

রোগ: রানিক্ষেত, ই ডি এস( ডিম্বনালিকে আক্রমন করে,সাথে রানিক্ষেত ও আই বি থাকতে পারে) ,ব্রংকাইটিস( নরম,অমসৃন ও বিবর্ণ ডিম)এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
বেশি তাপমাত্রা,

ধকল: ডিম তৈরির সময় ফেলোপিয়ান নালি ও জরায়ুর কোষগুলির যুগপৎ ক্রিয়ার ফলে খোলস গঠিত হয়. ধকল জনিত অবস্থায় এ কোষগুলি অম্লীয় অবস্থা ধারণ করে এবং কোষ নষ্ট হয়. ধকলজনিত কা্রণে খোলসের উপর পাউডারের মত জমা হয় যা বিকৃত ডিম তৈরি করে.
পরিস্তাপন জনিত ধকলের কারনে ক্যালসিয়াম কোটিং হয়ে চেকযুক্ত ডিম পাড়ে.

রাত্রে মুরগিকে বিরক্ত করলে,

ক্ষতিকর সালফোনেমাইড খাওয়ালে খোসার মান খারাপ হয় কিন্তু টেট্রাসাইক্লিন খাওয়ালে মান ভাল হয়

মাইকোটক্সিকোসিস বিশেষ করে টি ২ টক্সিন বা ফুসারিয়াম টক্সিন.

৩. ডিমের আকার ছোট হবার কারণ

কাংখিত ওজন আসার আগে প্রডাকশন  শুরু হলে,
পুষ্টি গ্রহণ কম হলে,
খাদ্যে মেথিওনিন কম হলে
এনার্জি ও প্রোটিন কম হলে,
খাদ্যে লিনোলেয়িক এসিড কম হলে,
তাপমাত্রা বেশি হলে,
পানি কম খেলে,
রোগ হলে( আই বি)

অল্প বয়সে আলো দ্বারা উত্তেজিত করলে

খাবারে মাইকোটক্সিন থাকলে

 ৪।ডিমের আকার বড় হবার কারণ

ব্রিড ও স্ট্রেইনের কারণে

দেরিতে প্রডাকশন শুরু হলে

ওজন বেশি হলে

বয়স বেশি হলে

মোল্ট্রিং এর পর ডিম বড় হয়।

 ৫।অতিবড় বা ২ কুসুম বিশিস্ট ডিম হবার কারণ

মুরগির ওজন খুব বেশি হলে অনিয়মত ওভুলেশন হয় ফলে অস্বাভাবিক ডিম হয়।

খুব বেশি খাবার ও পুস্টি দিলে

এক সাথে ২/৩টি ডিম্বাণূ পরিপক্ক  হলে

মুরগির শারীরিক গঠ ন অতিরিক্ত বড় হলে

 ৬।মুরগির দেহের ভিতর ডিম

ডিম তৈরির সময় খোসা পাতলা হলে  এবং চাপে ভেংগে গেলে

শরীরের ভিতর চাপে ডিম ভেংগে গেলে

জরায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হলে

ডিম পাড়ার সময় ভিতর মুখী প্রেসার  থাকলে

প্রজনন তন্ত্রের ভিতর ডিম বেশিক্ষণ অবস্থান করলে এবং প্রচুর এল বুমিন নিঃসরণ  হলে।

 ৬।গোলাকার ডিম

প্রাথমিক ব্রিডারের প্রিডিগ্রি নির্বাচনে কোন সমস্যা থাকলে

মুরগির জিন গত কারণে.

৭।চ্যাপ্টা আকারের ডিম

আই বি

খোসা তৈরির সময় জরায়ুর  উপর অধিক মাত্রায় চাপ পড়লে

ক. ডিমের খোসার গঠন সংযুক্তি ও উপাদান: আই বি আক্রান্ত ডিম
ডিমের ওজনের প্রায় ১০-১১% খোসা এবং খোসার ওজন প্রায় ৫-৬ গ্রাম.

ডিমের ভাংগন সহনশীলতা ৩০ নিউটন এবং ৩০০-৩৫০ মিলিমিটার পুরুত সম্পন্ন.

এ বিশেষ গঠনের কারণে  ডিম জীবানু ঘটিত এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে রক্ষা পায় ও পানি এবং গ্যাস বিনিময় নিয়ন্ত্রণ করে. খোসায় প্রায় ১.৭-২.৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে.

খ. খোসার গাঠনিক সংযুক্তি:
ক্যালসিয়াম কারবনেট ৯৪-৯৭%
ফসফরাস ০.৩%. ম্যাগনেসিয়াম ০.২%.
সোডিয়াম,পটাসিয়াম,মেংগানিজ,আয়রন ও কপার: সামান্য এবং জৈব উপাদান ২% এর নিচে.

জৈব উপাদান : ম্যাট্রিক্স প্রোটিন ( পলিস্যাকারাইড ও প্রোটিন) ও রঞ্জক পদার্থ

ডিমের খোসার গঠন নির্ধারনে ও ক্যালসিয়াম কারবোনেটএর আত্তীকরনে এটি মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে.
ডিমের খোসায় প্রায় ৮০০০ ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে.

##খোসার মান উন্নয়নে করনীয়##

খাদ্যে ক্যালসিয়াম:

গরমকালে বেশি ক্যালসিয়াম দিতে হবে মানে মুরগি প্রতি ১ গ্রাম বেশি দিতে হবে. ক্যলাসিয়ামের সাইজ এবং কমপক্ষে ১ মিমি হতে হবে যাতে গিজারডে বেশিক্ষন থাকতে পারে.ক্যালসিয়ামের সাথে ম্যাগ্নেসিয়াম যাতে কম হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে.

ভিটামিন সি:

ডিমের খোসার জৈব উপাদান ( অরফানিক মেট্রিক্স যা টকোকোলাজেন) সংশ্লেষনে সি অপরিহার্য.. এটি প্লাজমা করটিসনের মাত্রা কমেয়ে গরমের ধকল থেকে রক্ষা করে. এটি ভিটামিন ডি৩ কে সক্রিয় হরমোনাল মে্টাবোলাইট ক্যালসিট্রল রুপান্তরে কো ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষনে উদ্দীপনা যোগায় এবং প্লাজমায় ক্যালসিয়ামের মাত্রা এমন পরযায়ে উন্নীত করে যাতে হাড়ের মিনারেল
উৎপাদেন সাহায্য করে. প্রতি কেজি খাদ্যে ২৫০ মিগ্রাম সি দিলে ডিম উৎপাদন বাড়ে এবং খোসার মান বাড়ে.

খাদ্যে সোডিয়াম বাইকারবোনেট:

এটি দিনে ১% হারে ৩০ সপ্তাহ বয়সে ৩২ ” সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় দিলে খোসা ভাংগা কমে যায়.এটি এসিড ক্ষার সমতা,ইলেক্টোলাইট ঠিক রাখে ফলে খোসার মান ভাল হয়.

খাদ্যে এলমিনিসিলিকেট: এটি ০.৭৫ ভাগ করলে ডিমের আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪০ ভাগ বেড়ে যায় এবং খাদ্য রুপান্তর হার ২.২ ভাগ উন্নত হয়.

ব্যবস্থাপনা

তিন বার ডিম তুলতে হবে

গরমের ধকল থেকে মুক্ত রাখতে হবে

অতিরিক্ত হৈ চৈ যাতে না হয়।

লিটারে ডিম পাড়ার ক্ষেত্রে বক্স সঠিক ভাবে দিতে হবে

ডিম পাড়ার খাচায় নরম প্যাড দেয়া যায়.

নিচে এক পাশে ভাল ডিম আরেক পাশে খারাপ ডিম

 
 নরমাল ডিম
Please follow and like us:

About admin

Check Also

কোন রোগ না হলেও ডাক্তাররা কিছু প্রোডাক্টস লিখে থাকে কারণ কি

কোন রোগ না হলেও ডাক্তাররা কিছু প্রডাক্টস লিখে থাকে কারণ কি ১।খাবারের কোয়ালিটি সারা বছর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »