Breaking News

কিভাবে সহজে রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা করা যায়।

কিভাবে সহজে রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা করা যায়ঃ

রোগ নির্ণিয়ের পদ্ধতিঃ

২টি বিষয় মনে রাখতে হবে ১।পোল্ট্রিতে প্যাথোগ্নোমিনিক লেশন নাই ২।পোস্ট মর্টেমে বিভিন্ন ধরণের লেশন পাওয়া যায় কিন্তু সব গুলো এক সাথে পাওয়া যাবে না।তাছাড়া এমন তেমন লেসন বা লক্ষণ গুলো পাওয়া যাবে এসব আশা করা যাবে না।মনে করতে হবে যেতে পারে(may be).পাওয়া যাবে এমন বলা বা ভাবা যাবে না।যেমন রানিক্ষেতে প্রভেন্টিকোলাসে লেসন পাওয়া যেতে পারে কিন্তু পাওয়া যাবে এমন না।তাছারা অন্ত্রে বাটন লাইক আলসার পাওয়া যেতে পারে ,শিউর পাওয়া যাবে তা কিন্তু না।

পোল্ট্রিতে ডিজিজ আছে প্রায় ৪০টি।৪টি পন্থায় রোগ

১।হিস্ট্রি.

২।লক্ষণ

৩।পোস্ট মর্টেম.

৪।টেস্ট( আইচ আই টেস্ট,এলাইজা,পি সি আর,আর টি পি সি আর,আগারজেল প্রিসিপিটেশন টেস্ট,ব্যাক্টেরিয়াল কালসার,ফ্লোরসেন্ট এন্টবডি টেকনিক,নিউট্রালাইজেশন টেস্ট,কমপ্লিমেন্ট ফিক্সেশন টেস্ট)

৫।সময়

1.হিস্ট্রিঃ

রোগ নির্ণয় করতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে হয়।
মুরগিতে রোগ আছে প্রায় ৪০টি।

হিস্ট্রি নিলে রোগের সংখ্যা কমে যায় এতে ডায়াগ্নোসিস অনেক সহজ হয়.৪০টি রোগ থেকে ১টা রোগ বের করা কঠিন কিন্তু ৫টা বা ৩টা থেকে ১টা বের করা অনেক সহজ কারণ বয়স,সংখ্যা,অসুস্থতা,মৃত্যহার অনুযায়ী রোগ বিভিন্ন হয়।কিছু রোগ আছে ১৬ সপ্তাহের পরে হয় তাই বয়স ১৬ সপ্তাহের কম হলে আমরা সেসব রোগ বাদ দিয়ে দিবো।বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়,এতে আমরা ৪০টা থেকে ৪-৫টাতে নিয়ে আসতে পারি।বয়স অনুযায়ী রোগের লিস্ট দিয়ে দিয়েছি।

আমরা মারা যাবার হার দেখেও রোগের সংখ্যা কমাতে পারি যেমন যদি অনেক বেশি মারা যায় তাহলে অল্প কয়েকটা রোগ হতে পারে কলেরা, ,রানিক্ষেত,এ আই ,টাইফয়েড.৪০টা রোগ থেকে ৩-৪টাতে চলে আসল।এভাবে হিস্ট্রি আমাদেরকে অনেক সহজ করে

।টাইপ(লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালী,টার্কি,কোয়েল,হাস)

সব প্রজাতির এক রোগ হয় না।যেমন ব্রয়লারের গাউট,আই বি এইচ,রিও,সাডেন ডেথ সিন্ড্রম হয় কিন্তু লেয়ারের তেমন হয় না।তাই ব্রয়লার না হলে আমরা এসব মাথা থেকে বের করে দিবো।তাই যদি প্রজাতি উল্লেখ না করা হয় তাহলে রোগ নির্ণয়ে ভুল হবে।

২।সংখ্যা

অনেকে বলে আজকে ১০টা মুরগি মারা গেছে।কি হইছে কি চিকিৎসা দিবো।যদি টোটাল মুরগি উল্লেখ না করে তাহলে রোগ বুঝা যাবে না।কারণ ১০০থেকে ১০টা মুরগি মারা যাওয়া মানে বার্ড ফ্লু/কলেরা/রানিক্ষেত কিন্তু ৩০০০ থেকে ১০টা মারা যাওয়া মানে এত ভয়ের কিছু নাই মানে টাইটার করে যেতে পারে,ফায়টি লিভার হতে পারে,কলিব্যাসিলোসিস বা সালমনেলোসিস হতে পারে।।তাই সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।

৩।বয়স

একেক বয়সে একেক রোগ হয় যেমন লিউকোসিস এবং কলেরা ১৫ সপ্তাহে আগে হয় না,আবার কিছু আছে ২-৪ সপ্তাহে বেশি হয় যেমন,আমাশয়, গাম্বোরু,মাইকোটক্সিন।বাচ্চার মুরগিতে নাভিকাচা,নিউমোনিয়া হয়শাসে আবার ৪ সপ্তাহে কলেরা হতে পারে।
৪।কতগুলি অসুস্থ

অসুস্থতার উপর ভিত্তি করে রোগের ধরণ বিভিন্ন হয় যেমন যদি ৫০%-১০০% অসস্থ হয় তাহলে করাইজা বা এইচ ৯,আবার যদি মারা যায় কিন্তু অসুস্থ মুরগি দেখা যায় না তাহলে বুঝতে হবে জটিল সমস্যা কলেরা বা এ আই বা টাইফয়েড।

৫।কতগুলো মারা গেছে

যদি ১০০০ মুরগির মধ্যে ১০০-২০০ মারা যায় তাহলে এইচ ৫,যদি ১০-২০ মারা যায় তাহলে কলেরা।
৬।কতদিন ধরে অসুস্থ:
যদি ১ মাস ধরে মারা যায় তাহলে মেরেক্স ।
৭।রানিক্ষেতের টিকা ও কৃমিনাশক কবে দেয়া হয়েছে 

যদি ডিম পাড়া মুরগি হাচি কাশি দেয় এবং ৩মাসের মধ্যে টিকা না দেয়া হয়,তাছাড়া মাইকোপ্লাজমার ডোজ করার পর ও ভাল না হয় তাহলে ধরে নেয়া যায় টাইটার কমে গেছে।
৮।লিটারঃ
লিটারের উচ্চতা,ভেজা।শুকনা,ধূলা আচজে কিনা,তুষ,কাঠের গুড়ু নাকি মিক্সার।

০।সেডের দিক,উচ্চতা,পর্দা

সেড পূর্ব পশ্চিম হলে  রোদ কম লাগে হিট স্টোক কম হয়,যদি উত্তর দক্ষিণ মুখী হয় তাহলে এবং উচ্চতা কম হলে,প্রস্থ ৩০ফুটের বেশি হলে অসুস্থ হবে মারা যাবে।।শীতে পলিথিনের পর্দা বেশিক্ষণ রাখলে ভিতরে গ্যাস হয়ে এসাইটিস হয়।

১১।ডিম কত কমছে বা ডিমের কালার,সাইজ,আকাবাক কিনা,খোসা পাতলা বা ছোট কিনা

ডিমের প্রডাকশন যদি ২০-৪০% কমে যায়,ডিমের কালার সাদা,আকাবাকা,ছোট হয় তাহলে আই বি।বা আগে যদি এ আই হয়ে থাকে তাহলে ও হতে পারে।
২।খাবার কত কমছে,কোন কোম্পানীর খাবার,পানি কত কমছে নাকি বেশি খাচ্ছে।

খাবার এবং ডিম যদি ২০-৫০% কমে যায়,চোখ ফুলে যায় তাহলে করাইজা।
১৩।

১৪।ওজন কেমন,কম/ভাল,বিভিন্ন সাইজের নাকি সমান

যদি ডিম পাড়ার মুরগি বিভিন্ন সাউজের হয় তাহলে ক্যানাবলিজম হয়,প্রলাপ্স হয়।কিছু কিছু মুরগির ফ্যাটি লিভার হয়।

৫।মুরগি খাচা্‌,মাচায়,না ফ্লোরে।মাচায় হলে শীতে ঠান্ডা লাগে।

মাচায় হলে আমাশয় কম হবে এবং ওজন ভাল আসে।
৬।একই ফার্মে বিভিন্ন বয়সের মুরগি নাকি একই বয়সের

একই ফার্মে বিভিন্ন বয়সের মুরগি থাকলে মাইকোপ্লাজমোসিস এবং করাইজা বেশি হয়।

১৭।ফার্ম নতুন না পুরাতন:পুরান ফার্মে রোগ ব্যাধি হয়।
১৮। খাবার প্রজাতি অনুযায়ী দিচ্ছে নাকি লেয়ার কে ব্রয়লার খাবার নাকি সোনালীকে ব্রয়লার খাবার দিচ্ছে।

লেয়ারকে ব্রয়লার খাবার দিলে আমাশয়/সাবক্লিনিকেল আমাশয়,এন্টাইটিস হবে,গাম্বোরু হয়,ইমোনিটি কমে যায়,বিভিন্ন রোগ বেশি হয় কারণ লিভার ও কিডনির ক্ষতি হয়।

১৯।ব্রয়লার ও সোনালী কতদিন গ্যাপ দিয়ে তুলা হয়।

এক ব্যাচ থেকে আরেক ব্যাচের মাঝে ব্রয়লার হলে মিনিমাম ১৪দিনের গ্যাপ দিকে রোগ কম হয় ।
২০ কি কি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে

যদি কলেরার মত লেশন পাওয়া যায় আর যদি এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেয়ার পর ও ভাল না হয় তাহলে বুঝতে হবে এ আই হইছে।পায়ে সমস্যা বা প্যারালাইসিস হলে যদি মাইকোপ্লাজমার ডোজ করা হয় তাহলে যদি ভাল হয় বুঝতে হবে মাইকোপ্লাজমার সমস্যা ছিল,তেমনি যদি ভিটামিনের দেয়ার পর প্যারালাইসিস বা চোখের সমস্যা ভাল হয় তাহলে বুঝা যায় ভিটামিনের ঘাটতি ছিল।

২১।আশে পাশে বা এই থানায় কোন সমস্যা আছে কিনা

আশপাশ এলাকায় যদি কলেরা/রানিক্ষতে/এ আই হয় তাহলে কোন খামারী যদি বলে মুরগি মারা যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে একই রোগ।অন্য রোগ ও হতে তবে একই হবার সমবাবনা বেশি।
২২।অনেক দিন ধরে মুরগি শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা

যদি অনেক দিন ধরে শুকিয়ে যায় এবং প্যারালাইসিস হয় তাহলে মেরেক্সর সম্বাবনা।
২৩।মুরগি কি হঠাত মারা যায় নাকি অসুস্থ হয়ে মারা যায়

যদি হঠাত মারা যায় আগে কোন লক্ষণ দেখা যায় না তাহলে বুঝতে হবে একিউট,পার একিউট।এতে অনেক মারা যেতে পারে।
২৪।বাচ্চা কোন কোম্পানীর,বাচ্চা বাসি কিনা।

যদি একই কোম্পানীর বাচ্চায় বিভিন্ন এলাকায় একই সমস্যা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে ব্রিডারে সমস্যা।

৫।ভয় পাইছে কিনা বা ভয় পায় কিনা

যদি ফার্মে শিয়াল,বেজি আসে এবং রাতে ভয় তাতে এগ পেরিটোনাইটিস হতে পারে এম্ন কি ডিম কমে যেতে পারে।

৬।আগে বড় কোন রোগ হয়েছিল কিনা(কলেরা,এ আই ,রানিক্ষেত,আই বি)

অনেক খামারী আছে যারা বলবে ডিমে ২০% কম পাড়ে কিন্তু আগে যে ফার্মে এ আই বা মেরেক্স বা আই বি হয়েছিল তা বলবে না তাই প্রশ্ন করতে হবে আগে এই ধরনের রোগ হয়েছিল কিনা যদি হয়ে থাকে তাহলে তা মেডিসিনে তেমন কাজ হবে না।আই বি টিকা ,এ ডিই,ক্যালসিয়াম দেয়া যায়।কিন্তু সব সময় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যাবে না।

২৭.১৫দিনের মধ্যে কি কি ভ্যাক্সিন করা হয়েছে।

অনেক সময় খামারী বলবে চোখ ফুলে গেছে,আমাকে প্রশ্ন করতে হবে চোখের কোন দিকে কতটুকু ফুলছে এবং ১৫দিনের মধ্যে অন্য কোন টিকা দিয়েছিল কিনা যদি করাইজা দিয়ে থাকে তাহলে চোখের চারদিকে এমন কি মাথার কাছাকাছি অনেক বেশি অনেক বেশি ফুলে যাবে যা ভ্যাক্সিনের জন্য।

২৮।হঠাত খাবার পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা.

যদি খাবার হঠাত পরিবর্তন করে এবং মিক্সার  ছাড়াই খাওয়ায় তাহলে আমাশয় হবে আর ডিম পাড়ার মুরগির ক্ষেত্রে ডিম কমে যায়।

২৯।মাস খানেকের মধ্যে পালক পড়েছে কিনা

খামারী বলবে অনেক দিন ধরে ৫-৭%ডিম কমে গেছে খাবার ও কম খায়,মেডিসিন দিয়েছি কাজ হয় না।তখন প্রশ্ন করতে হবে পালক পড়েছে কিনা মাস খানের মধ্যে বা একনো পড়তেছে কিনঞ।পালক বদলালে ্ডিম কমে যায়।

৩০।মুরগি কি সেডের বিভিন্ন জায়গায় মারা যাচ্ছে নাকি সেডের এক যায়গায় মারা যাচ্ছে।

মুরগি যদি বিভিন্ন জায়গায় মারা যায় তাহলে স্পোরাডিক মাইকোটক্সিনের জন্য,ই কলাই আর যদি এক জায়গায় মারা যায় তাহলে এইচ কলেরা,টাইফয়েড।

৩১।লোকেশন

একেক এলাকায় একেক রোগ বেশি হয় তা জেনে নিতে হবে

৩২।আবহাওয়া(খুব ঠান্ডা বা খুব গরম কিনা)

শীতের সময় রানিক্ষতে,মাইকোপ্লাজমা,এ আই বেশি হয় আর গরম কালে কলেরা,মাইকোটক্সিন,আমাশয় বেশি হয়।

৩৩।রাতে খাবার ও পানির পাত্র পরিস্কার করে কিনা

যারা রাত্রে খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার না করে তাদের মাইকোটক্সিন,সালমোনেলা বেশি হয়

৪।নতুন ভু্ট্রা নাকি পুরান ভুট্রা

ভুট্রার সিজেনে নতুন ভুট্রায় যদি আর্দ্রতা বেশি থাকে তাহলে মাইকোটজসিনের জন্য ডিম কমে যায় এবং মারা যায়।

৩৫।হ্যাচারী থেকে কি কি ভ্যাক্সিন করে দিয়েছে,সে অনুযায়ী ভ্যাক্সিন সিডিউল হবে।বাচ্চা কোন কোম্পানীর তা জানতে হবে।অনেক সময় ব্রিডার থেকে লিউকোসিস,রিও নিয়ে আসে ।তাছাড়া ব্রিডারে মেরেক্স থাকলে বাচ্চাতে হবার সম্বাবনা থাকে।

৩৬।কি খাবার দেয়া হয় প্রিস্টাস্টার,স্টাস্টার,গ্রোয়ার,প্রিলেয়ার,লেয়ার ১,লেয়ার ২।

2.লক্ষণঃ

১।পায়খানা(সাদা,লাল।কালো,সবুজ,নীল,ফেনা,পাতলা)

বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন কালার অনেক ক্ষেত্রেই একই কালার হয় তবু কিছু ধারণা পাওয়া যায়।যেমন পানির মত পাতলা,সাদা ভাতের মাড়ের মত হয় তাহলে গাম্বোরু।

পায়খানা যদি কমলা কালার।ফেনা,বুদবুদ হয় তাহলে নেক্রোটিক এন্টারাইটিস

বিস্টার কিনারায় যদি গাজর কালার হয় তাহলে বুঝতে হবে সাবক্লিনিকেল আমাশয়

কালো পায়খানা হলে খাবারে প্রোটিন বেশি বা টক্সিসিটি
২।শাসকষ্ট (হাচি, কাশি,কফ,গড়্গড়)দিনে,রাতে,নাকি দিনে ও রাতে

গড় গড় দিনে ও রাতে হলে আই বি,ই -কলাই ও মাইকোপ্লাজমার মিক্স ইনফেকশন

শুধু রাতে হলে ই কলাই ও মাইকোপ্লাজমা।

শ্বাস কিভাবে নেয় হা করে,জোরে জোরে,মাথা উচু করে,শ্বাস নেবার সময় বডি আপ ডাউন করে কিনা

নাক দিয়ে সর্দি বা পানিপড়ে কিনা

৩।প্যারালাইসিস আছে নাকি নাই

প্যারালাইসিস যদি দিনের পর দিন হতে থাকে এবং রানিক্ষেতের টাইটার ভাল থাকে তাহলে সেটা মেরেক্স.

৪।চোখে সমস্যা(ফোলা নিচে,নাকি চারদিকে,অল্প না বেশি।

চোখের নিচের দিকে বেশি ফুল্বে কিন্তু মারা যাবে না করাইজা,চারদিকে ফুললে রানিক্ষেত তবে মর্টালিটি থাকবে।

৫।মুরগি জমা হয় কিনা

৬।জ্বর আসে কিনা(ইনফেকশাস ডিজিজ হলে জ্বর আসে বিশেষ করে আই বি ডি,কলেরা ,টাইফয়েড)

৭।পানি বেশি খায় কিনা(কলেরা,এ আই্,ইকোটক্সিন,টাইফয়েড হলে পানি বেশি খায়)

৮।ঝুটি ও শ্যাংকের কালার( এইচ ৫ হলে ঝুটি ও শ্যাংক লালচে ও কালচে হবে)

৯।পাখা ঝুলে পড়ে কিনা(নেক্রোটি এন্টারাইটিস,কক্সি ও রানিক্ষেত হলে পাখা ঝুলে পড়ে)

3.পোস্ট মর্টেমঃ

প্রতিটা অর্গান দেখতে হবে,আমাদের অবশ্যই আগে সব অর্গানের নরমাল কালার,সাইজ,লোকেশন,সফটনেস জানতে হবে।

যেমন মেরেক্সে সব গুলো সিস্টেম(৮টি) আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু বাস্তবে আমরা পি এম করলে ২-৩টা সিস্টেম আক্রান্ত পেতে পারি ,আবার সব ও পেতে পারি।।

রানিখেতের ক্ষেত্রেও নার্ভাস,পরিপাক,শ্বাসনালী আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু আমরা হয়ত শুধু শ্বাসনালীতে লেশন পাবো বা নার্ভাস ও পরিপাক নালীতে লেশন পাব।

আবার একটা সিস্টেমের সব গুলো অর্গানে লেশন এক সাথে নাও পেতে পারি।তাই এসব আশা করা যাবে না।যেমন অন্ত্রে প্লাগ/আলসার না পেয়ে শুধু প্রভেন্টীকোলাসে লেস্ন পাবো।

কোন একটা বা ২টা অর্গান দিয়ে রোগ ডায়াগ্নোসিস করা যায় না যেমন মেরেক্স,টাইফয়েড,কলেরায় লিভারে প্রায় একই লেশন দেখা যায় বা সব সময় লেশন পাওয়া যায় না তাই সব গুলো অর্গান দেখে রোগ নির্ণয় করতে হবে।

নোটঃআগে হিস্টি ও লক্ষণ দেখে ধারণা করতে হবে কি ডিজিজ হবে সেই অনুযায়ী অর্গান দেখতে হবে যদি পেয়ে যায় তাহলে অন্যান্য অর্গান না দেখলেও হবে।এতে সময় কম লাগবে।

4.টেস্টঃ

যদি মিক্স ইনফেকশন হয়  বা এ আই/কলেরা/রানিক্ষেত বা রানিক্ষেত/মেরেক্স  বা এই রকম কোন সমস্যায় ডায়াগ্নোসিস করতে সমস্যা হয় তাহলে টেস্ট করা যেতে পারে তবে তেস্ট করতে গেলেও আগের কাজ গুলো করতে হবে।

5।সময়

ডায়াগ্নোসিস করতে গেলে ২-৩দিন দেখতে হয় কারণ কিছু স্পোরাডিক ডিজিজ আছে যা জটিল ডিজিজের মত লেসন দেখা যায় ।যেমন কলেরা/এ আই এর মত মাইকোটক্সিন বা গরমের কারণে হতে পারে এতে যদি ২দিন সময় দিয়ে দেখা যায় তাহলে ডায়াগ্নোসিস হয়ে যায়।

6.চিকিৎসা করে ডায়াগ্নোসিস

কলেরা আর এ আই অনেক সময় একই রক্ম হয়ে থাকে এসব ক্ষেত্রে যদি এন্টিবায়োটিক পাউডার বা ইঞ্জেকশন দেয়া যায় তাহলে রোগ নির্ণয় হয়ে যায়।যদি কলেরা হয় তাহলে ভাল হবে আর যদি এ আই হয় তাহলে ভাল হবে না।

ডিফারেন্সিয়াল ডায়াগ্নোসিসঃ

হিস্ট্রি দিয়ে দেখতে হবে রোগ নির্ণয় করা যায় কিনা,যদি না যায় তাহলে লক্ষণ দেখতে হবে,যদি তাতেও সম্বব না হয় তাহলে পোস্ট মর্টেম করতে হবে।

যদি তাও সম্বব না হয় তাহলে টেস্ট করতে হবে তবে ৩টা ধাপে ৯৯% ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস হয়ে যায়।

পোস্ট মর্টেমে সময় বিভিন্ন ডিজিজের ক্ষেত্রে কিছু অর্গানে প্রায় কাছাকাছি লেসন থাকে তখন আন কমন লেসন দেখতে হবে যেমন কলেরা ও টাইফয়েডের ক্ষেত্রে লিভারে লেসন থাকে তাই বিকল্প হিসাবে আমরা এবডোমিনাল ফ্যাট ও হার্টে হেমোরেজ দেখবো কারণ টাইফয়েডের ক্ষেত্রে হার্ট ও ফ্যাটে হেমোরেজ থাকবে না।এভাবে আমরা আনকমন অর্গান দেখবো।

অবশ্যই আমাদের আগে প্যাথোজেনেসিস জানতে হবে,কোন রোগে কোন অর্গান আক্রান্ত  হয় তা জানতে হবে।প্যাথোজেনেসিস জানলে লক্ষণ জা্না হয়ে যায়।

রোগ নির্ণয় করতে হলে ৩টি পয়েন্ট লাগবে যেমন হিস্ট্রি,লক্ষণ/ক্লিনিকেল ফাইল্ডিং এবং পোস্ট মর্টেম।

অন্তত ২টি পয়েন্ট লাগবেই।

অনেকে গড় গড় শব্দ করে,হাচি দেয় কাশি দেয়,এই বলে রোগ নির্ণয় করতে চায় অথচ এই রকম কয়েকটি রোগের ক্ষেত্রে হতে পারে যেমন মাইকোপ্লাজমা,আই বি,এ আই,আই এল টি,রানিক্ষেত তাই আমাদের ৩টি পয়েন্ট লাগবে মিনিমাল ২টি পয়েন্ট।

অনেকে ডিমের কালার দেখে রোগ নির্ণয় করতে চায় কিন্তু ডিমের কালার আইবি,এ আই ই ,ডি এস,রানিক্ষেতের জন্য হতে পারে তাই পয়েন্ট গুলো মাথায় রেখে প্রশ্ন করা উচিত।

কিভাবে ভাল প্রেস্ক্রিপশন বা চিকিৎসা করা যায়ঃ

যদি ভাইরাল ডিজিজ হয় তাহলে সেকেন্ডারী ইনফেকশন দূর করে মর্টালিটি কমানোর জন্য কোইনোলন গ্রুপ বা এমোক্সিসিলিন দেয়া যায়।

অনেক ভাইরাল ডিজিজ সিস্টেমিকভাবে আক্রামণ করে তখন সিস্টেমিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।কিছু কিছু ভাইরাল ডিজিজে এন্টিবায়োটিক দেয়া লাগে না যেমন( আই বি এইচ,এস্টো,নেফ্রাইটিস ও আই বি) দিয়ে গাউট হলে,প্রডাকশন পিরিয়ডে আই বি হলে,মারেক্স ও লিউকোসিস।নরমালী রানিক্ষেত ও আই বি ডিতে এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়।

ভাইরাস যদি লোকাল ইনফেকশন বিশেষ করে গাটে আক্রমণ করে তাহলে গাট এক্টিভ এন্টিবায়োটিক দেয়া হয় যেমন কলিস্টিন,নিওমাইসিন,সালফার ড্রাগ।যেমন রিও এর জন্য।

ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ হলে দেখতে হবে এটা কি গ্রাম পজিটিভ নাকি গ্রাম নেগেটিভ।গ্রাম পজিটিভ হলে এমোক্সিসিলিন।

গ্রাম নেগেটিভ হলে নিওমাইসিন,কলিস্টিন।

আবার কিছু এন্টিবায়োটিক আছে গ্রাম নেগেটিভ ও পজিটিভ ২ ক্ষেত্রেই কাজ করে।কোইনোলন গ্রুপ।

আবার কিছু এন্টীবায়োটিক আছে লোকাল বা সিস্টেমিক কাজ করে।

সিস্টেমিক ডিজিজ যেমন কলেরা,টাইফয়েড,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস এর ক্ষেত্রে সিস্টেমিক এন্টিবায়োটিক

লোকাল ইনফেকশন করে যেমন ইক্লাই

কিছু অর্গানিজম আছে যারা সিস্টেমিক ও লোকাল ইনফেকশন ২ভাবেই আক্রামণ করে সেক্ষেত্রে ডায়াগ্নোসিস করে দেখে চিকিৎসা দিতে হবে।

ইকলাই লোকাল ও সিস্টেমিক ২ভাবেই করে থাকে।

লোকাল এন্টিবায়োটিক হল নিওমাইসিন,কলিস্টিন,ফ্লো্রফেনিকল।

কিছু এন্টিবায়োটিক আছে যা লোকাল ও সিস্টেমিক ২ভাবেই কাজ করে যেমন সালফার ড্রাগ।

আরো কিছু এন্টিবায়োটিক আছে যেগুলো কক্সি,মাইকো ও সালমোনেলার বিরুদ্ধে অল্প করে কাজ করে।যেমন অক্সিটেট্রাসাইক্লিন।

আমাদের দেশে অধিকাংশ মিক্স ইনফেকশন হয় কারণ আমাদের দেশের সেডের ঘনত্ব বেশি,বায়োসিকিউরিটি ভাল না,ব্যবস্থাপনা ভাল না।

যেমন মাইকোপ্লাজমা হলে ইকলাই আসে,আই বি,রানিক্ষেত আসে।এমন কি আই এল টি আসতে পারে।

করাইজা হলেও আই বি,এ আই,ই কলাই বা রানিক্ষেত চলে আসে।

ব্রয়লারে প্রায় ই মাইকোপ্লাজমা,ইকলাই,আই বির মিক্স ইনফেকশন হয়।এমন কি এ আই বা রানিক্ষেত চলে আসতে পারে।

এসব ক্ষেত্রে যখন ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসসের মিক্স ইনফেকশন হয় তখন চিকিৎসা করার মত কিছু থাকে না কারণ ভাইরাসের কোন চিকিৎসা হয় না।

তবে এসব ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড ড্রাগ দেয়া হয়ে থাকে যেমন মাইক্রোনিড বা ফিরম্যাক প্লাস।

এন্টিবায়োটিকের বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে যেমন মোড অফ একশন,এন্টাগনিজম,সিনার্জেস্টিক,এসিড্ডিক,ব্যাসিক,কোন টাতে পি এইচ দেয়া যাবে বা যাবে না।প্রবায়োটিক দেয়া যাবে কিনা।

মেডিসিনের দাম মানে চিকিৎসা খরচের ব্যাপারটা ও দেখতে হবে।অনেক সময় দেখা যায় বেশি দামি বা কম দামি মেডিসিন দিলেও একই রিজাল্ট।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে মেডিসিন ছাড়াও সময় দিতে হয় মানে প্রেস্ক্রিপশনে আমরা লিখতে পারি সময়,ভাল হতে ১০দিন বা ২১দিন লাগবে।

ভাল হতে কতদিন লাগবে সে অনুযায়ী মেডিসিন দিতে হবে যেমন করাইজা ভাল হতে ২-৪ সপ্তাহ লাগে সেক্ষেত্রে এমন এন্টিবায়োটিক দিতে যেটার খরচ কম এবং অনেক দিন কাজ করে।

খাবার ও পানি যদি কম খায় তাহলে এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেয়া লাগতে পারে যেমন এ আই,কলেরা,টাইফয়েড,রানিক্ষেত,করাইজার ক্ষেত্রে আমরা এন্টিবায়োটিক ইনঞ্জেকশন দেয়া লাগতে পারে।

প্রেস্ক্রিপশন করতে কি কি আইটেম/মেডিসিন লাগবে তার বিস্তর ধারণা থাকতে হবে এবং মেডসিনির ডোজ,সময়,কন্টা ইন্ডিকেশন ও একশন জানতে হবে।

পয়েন্ট ফর প্রেস্ক্রিপশনে বিস্তারিত আছে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

মেজর ভুল ডায়াগ্নোসিস গুলো কি কি

১.৬-৭দিনের বাচ্চার ক্ষেত্রে কোন মর্টালিটি হলে সাল্মোনেলা বলা হয় যা ৯৯%ই ভুল। কারণ বাচ্চার লিভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »