Breaking News

একজন সচেতন খামারীকে কেমন হতে হবে।খামারীর চাহিদা এবং ডাক্তারের ভূমিকা।

খামারীর যে বৈশিস্ট্য থাকা উচিত।(আমার খামারীকে সেই বৈশিস্ট্য থাকতে হয়),খামারীর চাওয়া এবং ডাক্তারের ভূমিকা।

একজন সচেতন/শিক্ষিত খামারীর যেসব বৈশিস্ট্য থাকা উচিত/থাকেঃ

১.খামারী যাকে দেখাবে সেই ডা সব বুঝে এমন বিশ্বাস থাকতে হবে।কোন সন্দেহ রাখা যাবে না।
অবশ্য ডাক্তারকেও এমন দক্ষ হতে হবে।

২.ডা যা লিখবে তাই দিতে হবে।পাওয়া না গেলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে দিতে হবে।

৩.মুরগির সমস্যা হলে ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা দিতে হবে।অধৈর্য্য হলে ফার্ম করা ঠিক না।রিক্স নিয়েই ফার্ম করতে হবে। ৬লাখ টাকার মুরগি ৬দিনে মারা যাতে পারে বা ডিম কমে লস প্রজেক্ট হতে পারে তা জেনেই ব্যবসা শুরু করা উচিত।।ব্যবসা মানে লাভ লস।সব সময় লাভ হবে এবং মুরগির সমস্যা হবে না।এমন ভাবা যাবে না।
তবে খামারী যাতে ১০০% সঠিক ডায়াগ্নোসিস করে চিকিৎসা পায় এবং প্রোগ্নোসিস পায়।

৪.ডাক্তারের আন্ডারে আসার পর এতদিন খামারী যা করেছে এখন হয়ত অনেক কিছুই মিল পাবে না।অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে কারণ এতদিন খামারী ভুল করেছিল।এটা মাথায় রাখতে হবে।

৫.১০০০টাকা থেকে ৫লাখ টাকা বেশি এই কথা টা খামারীকে দিনে ৫বার মনে মনে বলতে হবে কারণ খামারী বেশির ভাগ সময় ১০০০টাকা বাচাতে গিয়ে ৫লাখ টাকা লস করে।

৬.আগে এমন চিকিৎসা করেছি।এই চিকিৎসা দিয়েছি,ভাল হয়েছিল এইসব বলা যাবে না।অনেক বছর ধরে মুরগি পালি এইসব কথা বলা যাবে না।কারণ অনেক দিন/বছর দিয়ে কোন সত্য মিথ্যা হয় না বা ভুল শুদ্ধ হয়ে যায় না।
সব বিজ্ঞান/সঠিক হতে হবে।

আমরা দেখেছি শত শত বছর ধরে অনেক ভুল ধারণা/বিশ্বাস কিভাবে টিকে থাকে।তাই সময় এখানে কোন ফ্যাক্টর না।

৭.আগে যা করেছেন তার ৪০-৫০% ভুল করেছেন তাও বিশ্বাস করতে হবে যা সংশোধনের মাধ্যমে মেনে নিতে হবে।

৮.মেডিসিন/ভ্যাক্সিন যেভাবে বলবো যত দিন বলবো সেই নিয়ম অনুযায়ী চালাতে হবে।কারো কথায় পরিবর্তন করা যাবে না।প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার যে কোন সময় প্রেস্ক্রিপশন পরিবর্তন/কারেকশন করতে পারে।

৯.আজকে যা ডায়াগ্নোসিস হয়েছে কয়েকদিন পর আরো অন্য রোগ এড হতে পারে,প্রয়োজনে আরো ১-২বার পি এম করে ডায়াগ্নোসিস করা লাগতে পারে।এটাই সিস্টেম তা বুঝতে হবে।

১০.প্রয়োজন অনুযায়ী টেস্ট লাগতে পারে।

১১.রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে।আন্দাজে চিকিৎসা দেয়া যাবে না।

১২.চিকিৎসা দেয়ার ২-৩দিন পর বলা যাবে না স্যার মুরগি ভাল হয়নি।
প্রতিটি রোগ একটা নির্দিস্ট সময় পর ভাল হয় যা ৫দিন থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে।

১৩.একজন দক্ষ ভেট দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে এবং ডাক্তার পরিবর্তন করা যাবে না।ডাক্তার যদি নিজে প্রয়োজন মনে করে তাহলে রেফার করলে তা মেনে নিতে হবে।
দক্ষ ডাক্তার বলতে খামারী কাকে বুঝবে।এটা বলা কঠিন। তবে আমাকে কেউ প্রশ্ন করলে আমি বলবো ভি টি এস গ্রুপের মেম্বাররাই দক্ষ ডাক্তার। তবে এখানে ভর্তি হলেেই হবে না। রীতিমত পোস্ট গুলো পড়তে হবে।জানতে হবে।

১৪.স্যার এই মেডিসিন/এন্টিবায়োটিক দেয়ার পর মুরগি মারা যাচ্ছে বা ডিম কমে যাচ্ছে এমন বলা যাবেনা কারণ এমন কিছুই নাই যা দিলে মারা যাবে বা ডিম কমে যাবে।বলতে পারেন কয়দিন ধরে মারা যাচ্ছে বা ডিম কমে যাচ্ছে

নোটঃকে কত বছর ধরে প্র‍্যাক্টিস করে এবং কতগুলি খামারী ডাক্তারের কাছে যায় তা দ্বারা দক্ষ ডাক্তার নির্ণয় করা যাবে না কারণ আমাদের দেশের খামারীরা এত শিক্ষিত/সচেতন না।
কে কতটুকু জানে এবং ফিল্ডে প্র‍্যাক্টিস করে,ভি টি এস থেকে ট্রেনিং নিয়েছে কিনা তার দ্বারা দক্ষতা যাচাই করতে হবে।

রোগ নির্ণয় করতে কত সময় লাগেঃ

৫মিনিট থেকে ১ মাস লাগতে পারে যা রোগের উপর নির্ভর করে।৮০% রোগের ডায়াগ্নোসিস ১মবার পোস্ট মর্টেম ও হিস্ট্রি দিয়েই করা যায়।
তবে ১ম দিন ১টা মুরগি মারা গেলে আরো কয়েকদিন দেখতে হবে এবং পি এম করতে হবে।

খামারীর চাওয়াঃ
ডাক্তার মুরগি সুস্থ করে দিবে।এটা ১০০% ভুল।

মুরগি সুস্থ হবে রোগের ধরণ অনুযায়ী।

ডাক্তারের কাজ/ভূমিকাঃ

সঠিক ব্যবস্থাপনা,রোগ নির্ণয়,চিকিৎসা,প্রোগ্নোসিস।প্রোগ্নোসিস হল মুরগি ভাল হতে কত দিন লাগবে,কত গুলি মারা যাবে,ডিম কত কমবে,কয়দিন পর কত %ডিম উঠবে,সুস্থ হলে লাভ জনক ডিম পাড়বে কিনা।চিকিৎসা চালিয়ে যাবে নাকি বিক্রি করে দিবে। চিকিৎসা খরচ কেমন হবে এসব খামারীকে জানিয়ে দেয়া।

মেইন বিষয় হল ভুলের কারণে যাতে খামারীর কোন ক্ষতি/লস না হয় সেটাই একজন দক্ষ ডাক্তারের কাজ।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত না এবং কিছু আলোচনা।

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত নাএবং কিছু আলোচনা। খামারীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে যাতে সেটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »