লেয়ার আর সোনালি/কক এর ক্ষেত্রে প্রায় সব একই হবে
লেয়ার/সোনালী/কক কোন বয়সে কতটুকু খাবার খায়
১ম সপ্তাহে ১১গ্রাম( বাচ্চার ওজনের ৪০-৫০% পানি খাবে আর ২০-২৫% খাবার খাবে।
প্রতি সপ্তাহে ৫ গ্রাম করে বাড়াতে হবে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত।মানে যা খাবে তাই দিতে হবে শুধু জানার জন্য এই হিসাব করা হয়।
৬ সপ্তাহ থেকে ১ টি সূত্র অনুসরণ করলে সহজে মনে রাখা যায়.
সপ্তাহ * ৪+২০ = খাবার(বাদামী মুরগি)
সপ্তাহ * ৪+১০ সমান খাবার (সাদা মুরগি)
৬সপ্তাহে খাবার খাবে
৬*৪+২০ :৪৪গ্রাম
৭সপ্তাহে
৭*৪+২০:৪৮গ্রাম
সাদা মুরগি হলে
৭*৪+১০:৩৮ গ্রাম
১২ সপ্তাহে ১২*৪+২০=৬৮গ্রাম
১৩ সপ্তাহে ১৩*৪+২০ঃ৭২গ্রাম
১৪ সপ্তাহে ৭৬গ্রাম
১৫ সপ্তাহে ১৫*৪+২০ঃ৮০ গ্রাম
১৬-১৯ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় একই পরিমাণ খাবার খায় মানে ৮০ -৮৫গ্রাম ( ১৬,১৭,১৮ ,১৯ সপ্তাহে হরমোনাল পরিবর্তন হয় তাই কম খামার খায় যেমন মেয়েরা প্যাগন্যান্ট অবস্থায় খাবার কম খায় ,বমি করে।অনেক খামারী এই সময় খাবার কম খেলে মন খারাপ করে অথচ এটা খুশির খবর মানে ৭-১৪দিন পর ডিম পাড়বে )
২০ সপ্তাহে ২০*৪+২০=১০০গ্রাম
এভাবে ২৫ সপ্তাহ পর্যন্ত
২৫সপ্তাহে খাবার খাবে
২৫*৪+২০:১২০ গ্রাম
পিক প্রডাকশনের সময় ১১০-১২০গ্রাম খাবার খাবে.
১৯-২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত কত সপ্তাহে কত গ্রাম খাবার খাবে তা প্রডাকশনের উপর নির্ভর করে।প্রডাকশন বেশি হলে খাবার বেশি খাবে,কম হলে কম খায়।কোন কোন সময় প্রডাকশন কম হলেও খাবার নরমাল খায় কিন্তু এটা মাঝে মাঝে।
প্রডাকশনের সময় খাবার কতটুকু খাবে তা নির্ভর করে কাল(শীত,গীষ্ম),খাবারের মান ও মুরগির ব্যবস্থাপনা বা অন্য কোন সমস্যার উপর।তাছাড়া খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি দিলে খাবার কম খায়।
খাবারের মান যদি ভাল হয় তাহলে ১১০ খেয়েই ভাল ডিম দিবে আবার খাবারের মান খারাপ হলে মানে প্রোটিন ও এনার্জি যদি কম হয় তাহলে বেশি খাবার খাবে ১২৫-১৩০ গ্রাম খেতে পারে।
ব্যবস্থাপনা ভাল হলেও কম খাবার খেয়ে মানে ১১০ গ্রাম খেয়ে ভাল ডিম দিবে।
অধিকাংশ সময় ১৬-২০ সপ্তাহে মুরগি কম খায় কারণ এই সময় তাদের প্রজননতন্ত্রের দ্রুত উন্নতি ঘটে এবং হরমোনাল পরিবরতন হয় ।তাই কম খাবার খেলে চিন্তার কোন কারণ নাই, পরে ঠিকই খাবার খাবে এবং ভাল ডিম পাড়বে.
তবে বাচ্চা অবস্থায় যদি লেয়ারকে ব্রয়লার খাবার মানে হাই এনার্জি খাবার বেশি খাওয়ানো হয় তাহলে ১৬ সপ্তাহের পর মুরগি কম খাবার খাবে।কারণ হাই এনার্জি খাবার দিলে ইন্টেসস্টাইনের ডেভেলপমেন্ট কম হয়,ভিলাই এর গ্রোথ ভাল হয় না।
কতবার খাবার দিতে হবে
বাচ্চা আনার পর ১ম দিন পেপারে.২-৩ ঘন্টা পর পর শব্দ করে খাবার দিতে হবে যাতে বুঝতে পারে। সব সময় যাতে চোখের সামনে খাবার থাকে।
২য় দিন ৪ ঘন্টা পর পর
৩-১৪ দিন থেকে খাবার পাত্রে ৬ ঘন্টা পর পর ।
৩ -৭ সপ্তাহ দিনে ৩ বার
৮ সপ্তাহ থেকে মুরগি বিক্রি করার আগ পর্যন্ত দিনে ২ বার খাবার দিতে হবে।
দুপুরবেলা ১২-২ টা পর্যন্ত খাবার পাত্র খালি রাখতে হবে যাতে খাবার তাড়াতাড়ি খায় এবং গুড়া না থাকে।
এতে মুরগি ছোট -বড় হবেনা এবং এদের ক্রপ ও গিজার্ড বড় হবে ।
দুপুরের খাবার টা ভএল হজম হয় কারণ এই সময় অন্ত্রের পি এইচ এসিডিক কন্ডিশনে থাক
খাবার পাত্র ও পানির পা্ত্রঃ
১হাজার মুরগির জন্য পানির পাত্র ৪০টা আর খাবার পাত্র ৫০-৫৮টা এটা বয়সের উপর নির্ভর করে কমে বেশি হতে পারে তবে ১০-১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই হিসাবেই দিলেই হবে।কিভাবে দিতে হবে নিচে দেয়া হল।
১ম সপ্তাহে ১০০ বাচ্চার জন্য ১ টা করে খাবার পাত্র ও পানির পাত্র দিতে হবে
পরে প্রতি সপ্তাহে ১০০ পাখির জন্য ১০ দিন পর পর ১ টা করে খাবার পাত্র বাড়াতে হবে মানে
১০ দিন পর্যন্ত ১০টা
২০ দিনে ৩৩ টার ১টা ১০০০এর জন্য ২০টা
৩০ দিনে ২৫ টার জন্য ১টা ১০০০ এর জন্য ৩০টা
৪০ দিনে ২০ টার জন্য ১টা ১০০০ এর জন্য ৪০টা
৫০ দিনে ১৭ টার জন্য ১টার হলে ১০০০ এর জন্য ৫০টা
কয়টা মুরগির জন্য কয়টা পাত্র দিতে হবে তা নির্ভর করে পাত্রের সাইজের উপর ও মুরগির বয়সের উপর।যারা খাচায় পালার জন্য পালে তারা ১হাআজ্র মুরগির জন্য ৫০-৫৮টা খাবার পাত্র দিলেই হবে।
আর কেউ যদি ফ্লোরে বা মাচায় মুরগি পালে
৬০ দিনে ১৪ টার জন্য ১টা এবং তা বিক্রির আগ পর্যন্ত থাকবে তাহলে হাজারে লাগবে ৬০টি যদি ফ্লোরে ডিমা পাড়ার জন্য পালে
তবে
৭০ দিনে ১২ টার জন্য ১টা দিলে ভাল হয়।
পানির পাত্র
১ম সপ্তাহ ১০০ জন্য ১টা হলে ১০০০ এর জন্য ১০টা
১৫ দিনে ৫০ টার ১টা ১০০০ এর জন্য ২০টা
৩০ দিনে ৩৩ টার জন্য ১টা হলে ১০০০ এর জন্য ৩০টা
৪৫ দিনে ২৫ টার জন্য ১টা হলে ১০০০ এর জন্য ৪০টা
তাহলে ১হাজার মুরগির জন্য ৪০টা পানির পাত্র হলেই হবে।
মাচায় বা ফ্লোরে পাললে
৬০ দিনে ২০ টার জন্য ১টা হলে ১০০০ এর জন্য ৫০টা