ভেটদের দক্ষতার ধারাবাহিকতা
১।কেউ জেনে বা না জেনে ডি ভি এমে ভর্তি হয়
২।কেউ আবার সার্টিফিকেটের জন্য ভর্তি হয়।
৩।পাশ করার পর কেউ আবার পেশা পরিবর্তন করে
৪।পরীক্ষা পদ্ধতি বিষয় ভিত্তিক না হওয়ায় অনেকেই পাশা করার আগেই জেনারেল বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করে দেয়।এতে মূল বিষয় ডি ভি এমের প্রতি ঘাটতি দেখা যায়।
৫।ক্যাম্পাসে সুযোগ সুবিধা না থাকায় অনেক কিছু জানার বাকি থাকে।
৬।ফিল্ডে প্র্যাক্টিস করতে অনেকেই সাহস পায় না।
৭।স্পিসিস অনুযায়ী আমরা দক্ষ হতে পারিনি।
৮।সবচেয়ে সহজ প্র্যাক্টিস হল বি সি এস ক্যাডার হবার পর প্র্যাক্টিস করা কারণ আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাটাই এমন ।
তাই সবাই ক্যাডার হবার চেস্টা করে।
৯।তারপর সহজ হল কোম্পানীর চাকরি করা।কোম্পানীর টার্গেট হল আমার কোম্পানীর ডাক্তার আছে এটা খামারীকে দেখাতে পারলেই হল।
১০।সবচেয়ে কঠিন প্র্যাক্টিস হল পাইভেট প্র্যাক্টিস কারণ এখানে দক্ষতা, পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাঢ় প্রতিকূলে গিয়ে কাজ করতে হয়।
খামারি্লে লাভ দেখাতে হবে ও খুশি রাখতে হবে।তবে আমাদের দেশের খামারীরা শিক্ষিত না হবার কারণে নিজেরাই অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
১১।শিখার স্তর
সব বিষয় ভাসা ভাসা কোন কিছু ক্লিয়ার না।
মুখস্ত বিদ্যা
একটা উদাহরণ যেমন
পড়ে আসছি রানিক্ষেত হলে মুরগি মারা যাবে আসলে তা না এটার মর্টালিটি ০-১০০।
রানিক্ষেতের লক্ষণ,পি এম,মর্টালিটি,মর্বিডিটি পড়ে আসছি।আসলে এগুলো দিয়ে কিছু হবে না আমাকে জাওন্তে হবে স্ট্রেইন অনুযায়ী।
লেন্টোজেনিক,মেসোজেনিক,ভেলোজেনি,ভেরি ভিরুলেন্ট এন ডি।
স্টেইন অনুযায়ী লক্ষণ,পি এম ও চিকিৎসা হবে।
এই ভাবে সব গুলো ডিজিজের স্ট্রেইন অনুযায়ী লক্ষণ,পি এম,মর্টালিটি,মর্বিডিটি,চিকিতসা করতে হবে।
এন্টিবায়োটিকঃ
যে কোন চিকিৎসায় এন্টিবায়োটক দিয়ে দিচ্ছি।
প্রতিটা এন্টিবায়োটিকের মোড অফ একশন,সিনার্জেস্টিক ও এন্টাগনিজম,গ্রুপ,পি এইচ,প্রবায়োটিক অনুযায়ী ভাগ,কোন ডিজিজের কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া ভাল,কোন টা রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে।কোন এন্টিবায়টিকের সাথে কোন টা দেয়া যাবে,কেন যাবে না তার ব্যাখ্যা জানতে হবে।
প্রতিটি মেডিসিনের মোড অফ একশন কি জানা আছে।
ডিজিজঃ
কোন ডিজিজ কখন হয়,কেন হয়,কেন মর্টালিটি,মর্বিডিটি হয়।কেন মারা যায় না।
ভ্যাক্সিনেশনঃ
কোন বয়সে রোগ ভ্যাক্সিন দেয়া হয়,কেন দেয়া,কিভাবে কাজ করে,কি কি স্টেইনের ভ্যাক্সিন মার্কেটে আছে,কোন স্ট্রেইনের ভ্যাক্সিন কখন দেব।ভ্যাক্সিন সিডিউল কিসের উপর নির্ভর করে।
খামারী সিডিউল চাইলে প্রতিটি খামারীর চাহিদা অনুযায়ী দেই নাকি কমন একটা দেই?
লাইটিং সিডিউলের লাক্স,কোন বাল্ব দেব,কেন গেবো।এল ই ডি,লাল বাল্ব,এনার্জি বাল্ব,কোন টা দিলে কয়টা দিবো।খামারির জানতে চাইলে আমি কি সাথে সাথে বাল্বের হিসাব দিতে পারি।
হিস্ট্রির উপর ভিত্তি করে ৮০% ডিজিজ/কেস ডায়াগ্নোসিস করা যায়,এটা কি জানিমসেই অনুযায়ী হিস্ট্রি নিয়ে ডায়াগ্নোসিস করি?
ফার্মে যাবার আগেই কি আমি ৯০%ডায়াগ্নোসিস করতে পারি
ডায়াগ্নোসিসের ক্ষেত্রে হিস্ট্রি,লক্ষণ,পি এমের কম্বিনেশন করতে হয় আমি করি।হিস্ট্রি,লক্ষণ ও পি এম দিয়ে ৯৯%ডিজিজ/কেস ডায়াগ্নোসিস করা যায় সেটা কি পারি।
৯০% কেসের ক্ষেত্রে ফিল্ডে আমরা হিস্ট্রি,লক্ষণ ও পি এমের কম্বিনেশন করিনা।
শুধু হিস্ট্রি নিলেই হবে না,হিস্ট্রির প্রেক্ষিতে কিকি ডিজিজ হতে পারে তা জানতে হবে।সেটা কি জানা আছে।
পোল্ট্রিতে প্যাথোগ্নোমিক লেসন নাই সেটা কি জানা আছে।
আমি কি নিজের দক্ষতাকে ফিল্ডে কাজে লাগাতে পারছি নাকি ডিলার বা খামারই যা বলে তাই করি।
সব কিছু শুরুতেই হবে না।আস্তে আস্ত্রে হয়ে যাবে।তবে শুরুতে হওয়া উচিত ছিল।
আমি কি নিজে নিজে একটা ফার্ম পরিচালনা করতে পারব বা করি।
আমি কি শুধু চিকিৎসা করি নাকি ব্যবস্থাপনা,ফিড ফর্মুলেশন,নিউট্রিশনের উপর বিস্তর ধারণা আছে? আমি কি খামারীর ভুল গুলো ধগরতে পারি।
৮০% খামারির ব্যবস্থাপনা ঠিক নাই।
লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালির বয়স অনুযায়ী সাপ্তাহিক ওজন,খাবার,পানি,প্রডাকশন।জায়গা,পানির ও খাবার পাত্র আমি কি সাথে সাথে বলতে পারি নাকি লিস্ট বা এপস দেখতে হয়।
ফিল্ডে কাজকরতে গিয়ে যদি খামারী ও ডিলারের সাথে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় মিল না পাই বা পার্থক্য দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে আমি ঠিক লাইনে আছি।কারণ ফিল্ডে যা হচ্ছে তার প্রায় ৮০% ঠিক নাই।১০% আছে যা জানলেও আমাদের মানার সুযোগ নাই।বাকি ১০% ঠিক আছে।
খামারি কি আমার কাছে আসে নাকি আমি খামারীর কাছে যাই।
সম্মানের/যোগ্যতার সর্বোচ্চ স্তর হল খামারী ডাক্তারের কাছে আসবে।কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে।
নোটঃ
আমি কি প্র্যাক্টিকেল বিষয় গুলো শিখতে চাই,অজানা জিনিস গুলো জানতে আগ্রহী,ডাক্তারী পেশা হল আজীবন প্র্যাক্টিস ও শিখার বিষয় ।(কন্টিনিউ এডুকেশন)
পাশ করার পর নবীন ভেটদের ফিল্ডের অনেক কিছুই জানা থাকেনা,ফিল্ড ওরিয়েন্ট বিষয় গুলো জানা থাকেনা,ফিল্ডের খামারী ও ডিলার ধরণ,ব্যবস্থপনা জানার সুযোগ থাকে না।
১০-১৫ বছরের ফিল্ডে কাজ করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় তা যদি কয়েক মাসে জানা যায় তাহলে কতই সহজ হয় প্যাক্টিস করতে ।
উপরের আলোচ্য বিষয় গুলো কি আমার সব জানা আছে?যদি না থাকে অবশ্যই ভি টি এস থেকে একটা ট্রেনিং নেয়া উচিত,এমন কি আজীবন মেম্বারশীপের সুযোগ আছে।
জি ঠিক তাই,এমনই এক সুযোগ করে দিয়েছে ভেট ট্রেনিং স্কুল(ভি টি এস)(পোল্ট্রি ও ডেইরী)
ডা মো সোহরাব হুসাইন
ফ্রি ল্যান্স পোল্ট্রি কনসালট্যান্ট