ভি টি এস পোল্ট্রি সেবা মডেল
খামারীদের সেবা দেয়ার জন্য ২-৩থানায় একজন ভেটই যথেস্ট।এমন কি একটা জেলায়ও সম্বব।
সেটা কিভাবে সম্বব তা ই নিচে আলোচনা করা হয়েছে
১।ডিজিজ গুলো সিজন,বয়স এবং এলাকা ভিত্তিক হয়ে থাকে
তাছাড়া কিছু আছে সারা বছর ব্যাপি হয়। ফার্ম টু ফার্ম অনুযায়ীও হয়ে থাকে।
তাই থানা অনুযায়ীএকটা কমন ভ্যাক্সিন সিডিউল এবং ব্যবস্থাপনা দিয়ে দিতে হবে।
কিছু কিছু ফার্ম ব্যতিক্রম থাকতে পারে সেগুলোর জন্য আলাদা সিডিউল ও ব্যবস্থাপনা হবে।
২.এটা পরিচালনার জন্য একজন দক্ষ কনসালট্যান্ট হতে হবে।সব কিছু মনিটরিং করার জন্য।
২.একটা ল্যাব থাকবে যেখানে নরমাল কিছু টেস্ট হবে যেমন টাইটার(রানিক্ষেত,এ আই),সাল্মোনেলা,মাইকোপ্লাজমা,এ আই এর রেপিট টেস্ট এর জন্য।
একজন টেকনিশিয়ান থাকলে ভাল হবে।এটা অবস্থা অনুযায়ী হবে।
৩.গ্রাম অনুযায়ী খামারীদের ট্রেনিং দিতে হবে ধারাবাহিক ভাবে।এভাবে সব গ্রামের খামারীরাই ট্রেনিং পেয়ে যাবে।
৪.থানার খামারীদের নিয়ে ফেসবুকে একটা গ্রুপ থাকবে। প্রায় ৫০-৬০% খামারীই ফেসবুকে চালায়(বাকি যারা চালায় না তারা তাদের কাছ থেকে গ্রুপের ইনফরমেশন পেয়ে যাবে)
গ্রুপে যে কোন প্রয়োজনে সে কোন বিষয় জানার সুযোগ পাবে।
৫.ডাক্তারের একটা নির্দিস্ট চেম্বার কাম ল্যাব থাকবে।
এখানে খামারীকে মাসে একবার আসতে হবে।তাছাড়া যে কোন সময় মুরগি মারা গেলে বা অন্য সমস্যা হলে চেম্বারে মুরগি নিয়ে আসবে।পি এম করার ট্রে সহ একটা সুন্দর পরিবেশ থাকবে।
ডাক্তার পি এম করে চিকিৎসা দিয়ে দিবে।
পি এম করার পর মুরগিটা কুয়ার মধ্যে রেখে দিবে।যার উপর ঢাকনা থাকবে।
৬.ডাক্তার সব সময় চেম্বারে থাকবে।
ফার্মে ফার্মে ঘুরে বেড়াবে না
যদি দরকার হয় তাহলে খামারী ভিডিও কল দিয়ে ফার্মের অবস্থা বলতে পারবেন।প্রয়োজন মনে করলে দিনে একটা ফার্মে যাবে।আশা করি দরকার হবে না।
ডাক্তারকে এমন দক্ষ হতে হবে যাতে হিস্ট্রি নিয়ে রোগ নির্ণয় করতে পারে।তাছাড়া পি এম আর টেস্ট ত আছেই।সব মিলিয়ে ১০০% ডায়াগ্নোসিস হবে।
৭.এই সিস্টেমে ডাক্তার,খামারী,ভোক্তা সবাই লাভবান হবে।
৮.এভাবে ৬৫২থানায় ৩০০জন ভেট দিয়ে সেবা দেয়া সম্বব।সব কোম্পানী এই সিস্টেম চালু করতে পারে।এমন কি ২-৩টা থানা মিলে হলেও কোম্পানী গুলো এই সেবা দিতে পারে।
৯.এই সিস্টেমে রোগ ছড়ানোর সম্বাবনা অনেক কমে যাবে।
সবার ফার্মের পাশে একটা কুয়া থাকবে যার গভীরতা হবে ৭-১০ফুট,ভিতরের প্রস্থ হবে ৫-৭ফুট।খরচ হবে ৫০০টা বা নিজেরাও বানাতে পারে।
কুয়ার উপর একটা পাইপ থাকবে।আর একটা ঢাকনা,ঢাকনায় একটা ছিদ্র থাকবে।ছিদ্রটা আবার ছোট ঢাকনা দিয়ে বন্ধ থাকবে।নিচে ছবি দেয়া আছে।
১০.খামারীকে কিছু শর্ত দিয়ে এই সেবা নেয়ার জন্য ভর্তি করতে হবে।
যেমন ট্রেনিং,কুয়া,সেড করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়া যাবে না
১২.প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম এবং ব্যবস্থাপনাই টিকে থাকার জন্য ৮০% কাজে লাগে এই থিমের উপর ভিত্তি করে এই প্রোগ্রাম চলবে।এতে খামারীর খরচ কমবে হাজারে ৫০০০-৭০০০টাকা।
১৩.সবচেয়ে বড় সমস্যা হল খামারীরা সেড করার আগে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করেনা।
নতুন ফার্ম করার আগে ডাক্তারের অনুমতি ও পরামর্শ নিতে হবে।
১৪.এই সিস্টেমে ডাক্তারের কাছে থানার লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালীর হিসাব থাকবে।বাচ্চা ও খাবারের হিসাব থাকবে।
এভাবে সারা দেশের হিসাব চলে আসবে।
ফলে কত বাচ্চা উতপাদন করতে হবে তার হিসাব পাওয়া যাবে।
১৫.খামারীদের নিজেদের সেল সেন্টার থাকলে সেখানে লোকাল চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করে বাকিগুলো শহরে বিক্রি করতে পড়বে।
শহরে ও তাদের সেল সেন্টার থাকতে পারে।
এতে সবাই ভাল দাম পাবে।
১৬.এন্টিবায়োটিক মুক্ত বা প্রত্যাহাকাল মেনে মাংস ও ডিম তৈরি করতে পারবে।
দাম বেশি পাবে।
১৭.এই সিস্টেমে কাজ করতে যে দক্ষতার দরকার হবে।ভি টি এস সেই দক্ষতার জন্য কাজ করবে।
১৮.কাজ করতে হবে ফ্লক/হার্ড অনুযায়ী। মুরগি মারা যাবে তারপর চিকিৎসা হবে,এসব করে টেকসই উন্নয়ন সম্বব না।
এভাবে পুরান ২০% খামারী হারিয়ে যাচ্ছে আবার নতুন ২০ % খামারী আসতেছে।এভাবে আসা যাওয়া চলতেছে।
এক সময় লোকাল খামারী টিকে থাকতে পারবেনা।তখন বড় কোম্পানী গুলো মার্কেট দখল করে নিবে।নিজেরাই লাখ লাখ বাচ্চা উতপাদন করবে কম খরচে।
১৯.আমরা কাজ করি অনেক মানে এক থানায় সব কোম্পানী মিলে প্রায়২-৩জন ভেট কাজ করে।গড় করলে তাই হবে।কিন্তু সিস্টেম অনুযায়ী না হওয়ায় ভাল রিজাল্ট আসতেছে না।
কোথায় যেন দেখছিলাম,একটা লোক মাথায় বোঝা নিয়ে ঘোড়ার উপর চড়ে যাচ্ছে অথচ বোঝাটি ঘোড়ার উপর রেখেও যাওয়া যায় কস্ট ছাড়াই।
২১.একজন ডাক্তারকে মূল্যায়ন করতে হলে বা সম্মানে সহিত কাজ করতে এই সিস্টেমেই আসতে হবে।
২২.ডাক্তারের সিডিউল ছাড়া কোন মেডিসিন এবং এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।সব কিছু হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
১০ দিন ডিলারের কথা অনুযায়ী, ১০দিন ডাক্তার অনুযায়ী,বাকি ১০দিন অন্য খামারী বা মেডিসিন কোম্পানী এম আর বা কোয়াক অনুযায়ী চালানো যাবে না।
অথবা মুরগি মারা গেলে শুধু ডাক্তার বাকি সময় নিজেরা চালাবে এভাবে হবে না।
২৩.সারা পৃথিবীসহ আমাদের দেশে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট নিয়ে যে প্রোগ্রাম হচ্ছে তা বাস্তবায়িত করতে এই মডেলে অনেক উপকারে আসবে।
শুধু চিকিৎসা দিয়ে কাজ হবে না
নোটঃ
সব গুলো পয়েন্ট ১ম থেকেই শুরু করতে হবে এমন না।যেমন
সেলসেন্টার ও ল্যাব না হলেও চালানো যাবে।পরে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
ডেইরীর ক্ষেত্রেও এই মডেল কাজে লাগবে।
কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
https://www.facebook.com/groups/1171574209853231/?ref=share