ফিড ফর্মুলেশন করতে কিকি বিষয় জানা দরকার এবং কিভাবে করা যায়ঃ
১।বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের নাম ও তাদের ইঙ্কলোশন লেভেল জানা দরকার
ভুট্রা,সয়াবিন,রাইস পালিশ,তেল,পাথর
২।খাদ্য উপাদানের মধ্যে এনার্জি,প্রোটিন,ফাইবার,ফ্যাট,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস সহ অন্যান্য ভিটামিন মিনারলস কত% আছে তা জানতে হবে
৩।কোন উপাদানে লাইসিন ও মেথিওনিন বেশি আছে এবং কোন টাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকে তা জানতে হবে।
সয়াবিনে লাইসিন আর ভুটায় মেথিওনিন বেশি থাকে।
৪।কোন খাবারে এন্টিনিউট্রিশনাল ফ্যাক্টর ও এন এস পি কত তা জানা দরকার।
সয়াবিনে টিপসিন ইনহিবিটর থাকে।
৫।খাদ্য উপাদানের স্পেশাল বৈশিস্ট্য কোন টায় ফসফরাস থাকে না তাও জানতে হবে।ফিশমিলে সালমোনেলা,ই কলিয়া,ক্লোস্টিডিয়াম বেশি থাকতে পারে।তাছাড়া জিংক থাকে অতিরিক্ত যক্সা এন্টারাইটিস করে।কিন্তু ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে অনেক বেশি।
ঝিনুকে ফসফরাস থাকে না তাই ঝিনুক দিলে ফসফরাসের সোর্স দিতে হবে।
৬।কোন উপাদান গুলি এনার্জি সোর্স আবার কোন গুলি প্রোটীন সোর্স,কোন্টাতে আবার ফ্যাট সোর্স তাও জানতে হবে
৭।কোন টাতে আবার অল্প এনার্জি আবার কিছুতে আছে হাই এনার্জি
৭। এনার্জি ও প্রোটিন কম বেশি হলে ৫% হারে এনার্জি ও প্রোটিন সোর্স কম বেশি করে ফর্মুলা ঠিক করতে হয়।
৮।খাদ্য উপাদানের এনার্জি ও প্রোটিন % বের করার সুত্র জানতে হবে
৯।বর্ষা,শীত ও গরম কালের সাথে মিল রেখে ফর্মুলা বানাতে হবে।সিজনের ক্ষেত্রে পার্থক্য হয় এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,টক্সিন বাইন্ডার,ভিটামিন্স মিনারেলস,কক্সিডিওস্ট্যাস্ট।
১০।মুরগির স্পিসিস অনুযায়ী ফর্মুলেশন আলাদা হবে(ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালী,কোয়েল,হাস) তাছাড়া বয়স অনুযায়ী ফর্মুলা আলাদা হয়(স্টাটার,গ্রোয়ার,ফিনিশার)।
বয়স বা স্পিসিসের ক্ষেত্রে মেইন পার্থক্য হল এনার্জি ও প্রোটিন আর বয়সের ক্ষেত্রে পার্থক্য হল এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,লাইসিন মেথিওনিন।
১১।ফিড এডিটিভস এর ব্যাপারে ধারণা থাকতে হবে ,তাছাড়া এদের ডোজ জানা লাগবে।
ফাইটেজ এঞ্জাইম,নরমাল এঞ্জাইম,এন্টি অক্সিডেন্ট,ইমালসিফায়ার,ক্লোলিন,
১২।কোন আইটেমের সাথে কোন টা দেয়া যায় আবার কোন টা দেয়া যায় না,কত ক্ষন মিক্সার করতে হয়
ক্লোলিনের সাথে অন্য ভিটামিন মিনারেলস মিক্স করা যাবে না।ক্লোলিন সব শেষে মিক্স করতে হবে।
১৩।ফিডের কারণে কি কি সমস্যা বা ডিজিজ হতে পারে তা জানতে হবে
যেমন কক্সি,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,মাইকোটক্সিন,সালমোনেলা,ইকলাই
১৪।কোন উপাদান ব্যবহার করলে কোন টা দিতে হয় না বা কম লাগেতাও জানতে হবে।
১৫।কোন সিজেন কোন আইটেম কত দামে পাওয়া যায়,লোকালি কি কি উপাদান পাওয়া যায়।কত দিন কিভাবে স্টোর করে রাখা যায়।
১৬।নিজে ফিড বানালে কত লাভ হয়।
যেমন নিজে ফিড বানালে বস্তায় প্রায় ২০০-৪০০টাকা কম লাগে।
১৭।লোজ ফিড ও রেডি ফিডের মধ্যে পার্থক্য জানা লাগবে।
১৮।খাবারে কারণে প্রডাকশনে কি ধরণের প্রভাব পড়ে,ফিসিসে কি পরিবর্তন হয়।
১৯।খাবারের ধরণ ও প্রকারভেদ
প্রিস্টাট্রার,স্টাটার,গ্রোয়ার,প্রিলেয়ার,লেয়ার ১,লেয়ার ২০.একই উপাদান যেমন সয়াবিন,ভুট্রা বিভিন্ন মানের হয় যেখানে প্রোটিন ও এনার্জি ১-২%, ৫০-১৫০কিলোক্যালরি কম বেশি হয়।সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
লোজ ফিড ,রেডি ফিড,পিলেট ফিড।
গোটা দানা,ভাংগা দানা,গোটা ও ভাংগা মিক্স করে।
২০।খাবার বানানোর মেশিনের ধরণ,দাম,মেশিন চালানোর টেকনিক।
কিভাবে ফর্মুলা করা যায়
১,ইঙ্কলোশন লেভেল দিয়ে
২।এনার্জি ও প্রোটিন% বের করে
৩।ফিড ফর্মুলেশন এপ্স দিয়ে
৪।উপরের সব কিছুকে সমন্বয় করে।
১।বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের নাম ও তাদের ইঙ্কলোশন লেভেল জানা দরকার
ভুট্রা,সয়াবিন,রাইস পালিশ,তেল,পাথর
২।খাদ্য উপাদানের মধ্যে এনার্জি,প্রোটিন,ফাইবার,ফ্যাট,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস সহ অন্যান্য ভিটামিন মিনারলস কত% আছে তা জানতে হবে
৩।কোন উপাদানে লাইসিন ও মেথিওনিন বেশি আছে এবং কোন টাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকে তা জানতে হবে।
সয়াবিনে লাইসিন আর ভুটায় মেথিওনিন বেশি থাকে।
৪।কোন খাবারে এন্টিনিউট্রিশনাল ফ্যাক্টর ও এন এস পি কত তা জানা দরকার।
সয়াবিনে টিপসিন ইনহিবিটর থাকে।
৫।খাদ্য উপাদানের স্পেশাল বৈশিস্ট্য কোন টায় ফসফরাস থাকে না তাও জানতে হবে।ফিশমিলে সালমোনেলা,ই কলিয়া,ক্লোস্টিডিয়াম বেশি থাকতে পারে।তাছাড়া জিংক থাকে অতিরিক্ত যক্সা এন্টারাইটিস করে।কিন্তু ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে অনেক বেশি।
ঝিনুকে ফসফরাস থাকে না তাই ঝিনুক দিলে ফসফরাসের সোর্স দিতে হবে।
৬।কোন উপাদান গুলি এনার্জি সোর্স আবার কোন গুলি প্রোটীন সোর্স,কোন্টাতে আবার ফ্যাট সোর্স তাও জানতে হবে
৭।কোন টাতে আবার অল্প এনার্জি আবার কিছুতে আছে হাই এনার্জি
৭। এনার্জি ও প্রোটিন কম বেশি হলে ৫% হারে এনার্জি ও প্রোটিন সোর্স কম বেশি করে ফর্মুলা ঠিক করতে হয়।
৮।খাদ্য উপাদানের এনার্জি ও প্রোটিন % বের করার সুত্র জানতে হবে
৯।বর্ষা,শীত ও গরম কালের সাথে মিল রেখে ফর্মুলা বানাতে হবে।সিজনের ক্ষেত্রে পার্থক্য হয় এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,টক্সিন বাইন্ডার,ভিটামিন্স মিনারেলস,কক্সিডিওস্ট্যাস্ট।
১০।মুরগির স্পিসিস অনুযায়ী ফর্মুলেশন আলাদা হবে(ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালী,কোয়েল,হাস) তাছাড়া বয়স অনুযায়ী ফর্মুলা আলাদা হয়(স্টাটার,গ্রোয়ার,ফিনিশার)।
বয়স বা স্পিসিসের ক্ষেত্রে মেইন পার্থক্য হল এনার্জি ও প্রোটিন আর বয়সের ক্ষেত্রে পার্থক্য হল এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,লাইসিন মেথিওনিন।
১১।ফিড এডিটিভস এর ব্যাপারে ধারণা থাকতে হবে ,তাছাড়া এদের ডোজ জানা লাগবে।
ফাইটেজ এঞ্জাইম,নরমাল এঞ্জাইম,এন্টি অক্সিডেন্ট,ইমালসিফায়ার,ক্লোলিন,
১২।কোন আইটেমের সাথে কোন টা দেয়া যায় আবার কোন টা দেয়া যায় না,কত ক্ষন মিক্সার করতে হয়
ক্লোলিনের সাথে অন্য ভিটামিন মিনারেলস মিক্স করা যাবে না।ক্লোলিন সব শেষে মিক্স করতে হবে।
১৩।ফিডের কারণে কি কি সমস্যা বা ডিজিজ হতে পারে তা জানতে হবে
যেমন কক্সি,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,মাইকোটক্সিন,সালমোনেলা,ইকলাই
১৪।কোন উপাদান ব্যবহার করলে কোন টা দিতে হয় না বা কম লাগেতাও জানতে হবে।
১৫।কোন সিজেন কোন আইটেম কত দামে পাওয়া যায়,লোকালি কি কি উপাদান পাওয়া যায়।কত দিন কিভাবে স্টোর করে রাখা যায়।
১৬।নিজে ফিড বানালে কত লাভ হয়।
যেমন নিজে ফিড বানালে বস্তায় প্রায় ২০০-৪০০টাকা কম লাগে।
১৭।লোজ ফিড ও রেডি ফিডের মধ্যে পার্থক্য জানা লাগবে।
১৮।খাবারে কারণে প্রডাকশনে কি ধরণের প্রভাব পড়ে,ফিসিসে কি পরিবর্তন হয়।
১৯।খাবারের ধরণ ও প্রকারভেদ
প্রিস্টাট্রার,স্টাটার,গ্রোয়ার,প্রিলেয়ার,লেয়ার ১,লেয়ার ২০.একই উপাদান যেমন সয়াবিন,ভুট্রা বিভিন্ন মানের হয় যেখানে প্রোটিন ও এনার্জি ১-২%, ৫০-১৫০কিলোক্যালরি কম বেশি হয়।সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
লোজ ফিড,রেডি ফিড,পিলেট ফিড।
গোটা দানা,ভাংগা দানা,গোটা ও ভাংগা মিক্স করে।
২০।
বয়স অনুযায়ী খাবারের এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,ফ্যাট কত তা জানতে হবে।
লেয়ার মুরগি
টাইপ এনার্জি প্রোটিন ক্যালসিয়াম ফ্যাট লাইসিন মেথিওনিন ফাইবার
স্টাটার ২৮০০-২৯০০ ১৮-২১ ১ 2.5-3 1 -0.55 3.5-4
গ্রোয়ার ২৮০০-২৮৫০ ১৬-১৭ ১.২ 4 1.1
প্রিলেয়ার ২৭০০-২৭৫০ ১৭-১৮ ২-২.৫ 4.50
লেয়ার ১ ২৬০০-২৮৫০ ১৬-১৮ ৩.৫-৪
লেয়ার ২ ২৬০০-২৭০০ ১৬-১৭ ৪-৪.৫
ব্রয়লার খাবার
স্টাটার ২৯৫০-৩০০০ ২১-২৩ ১ ৫ 1 0.56 4
গ্রোয়ার ৩১০০-৩২০০ ২১-২২ ১ ৬ 1.2 0. 55 5
ফিনিশার ৩১০০-৩৩০০ ১৯-২০ ১ ৭ 1.2 0.56 6
(ফসফরাস ০.৬-০.৭৫%)
নোটঃযদি ডাইজেস্টিবল এনার্জি বা প্রোটিন বেশি হয়,কোয়ালিটী ভাল হয় তাহলে কম দিলেও হয়ে যায় কিন্তু যদি ডাইজেস্টীবিলিটী কম হয়,কোয়ালিটী ভাল না হয় তাহলে বেশী দিতে হয়(ইঙ্কোশন লেভেল বেশী হয়),সিজনের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হবে।
২০।খাবার বানানোর মেশিনের ধরণ,দাম,মেশিন চালানোর টেকনিক।
কিভাবে ফর্মুলা করা যায়
১,ইঙ্কলোশন লেভেল দিয়ে
২।এনার্জি ও প্রোটিন% বের করে
৩।ফিড ফর্মুলেশন এপ্স দিয়ে
৪।উপরের সব কিছুকে সমন্বয় করে।
৫।কিছু কিছু কোম্পানির ভিটামিন ও মিনারেলের প্রিমিক্স পাওয়া যায় যার সাথে ভুটা ও সয়াবিন মিক্স করে দিলেই খাবার হয়ে যায় যেমন ইন্টা এগ্রো,ইয়ন।
নোটঃ
খাবারে ফিশ্মিল দিলে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট কম লাগে
খাবারে ফিস মিল ,সানফ্লাওয়ার মিল,সিসাম মিল দিলে মেথিওনিন কম লাগে
সয়ামিল দিলে লাইসিন কম লাগে
ব্রান বা ডি অয়েল কেক দিলে মিনারেল সাপ্লিমেন্ট কম লাগে
রাইস পালিশ দিলে ফসফরাস সাপ্লিমেন্ট কম লাগে।
Please follow and like us: