Breaking News

প্র্যাক্টিস শুরু করার সময় কিভাবে ভয় দূর করবেন এবং কিভাবে শুরু করতে হবে

প্র্যাক্টিস শুরু করার সময় কিভাবে ভয় দূর করবেন এবং কিভাবে শুরু করতে হবে।

ভেট হিসাবে আমরা সবাই সমান কেউ একটু চেস্ট করে বেশি শিখছে কেউ একটু কম তবে চেস্টা করলে সবাই কাছাকাছি চলে আসবে।কিন্তু যারা চেস্টা করে না তারা আগাতে পারবে না।পিছনে পড়ে যাবে।

১।ডাক্তারের কাজ হল ব্যবস্থাপনা,ডায়াগ্নোসিস,চিকিৎসা এবং প্রোগ্নোসিস করা.১ম দিকে সব শিখা হয়ে যাবে এমন না।মুরগি ভাল হল, না মারা গেল সেটা মূখ্য বিষয় না মরা নির্ভর করে মেইনলি ডিজিজের ধরণ,মিক্স ইনফেকশন,স্ট্রেস এর উপর।তবে ডিজিজ ডায়াগ্নোসিসের ও চিকিৎসার উপরও প্রভাব পড়ে তবে কম।তাই মুরগি মরা,সুস্থ হওয়া না হওয়া নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই/

২।যদি ১০০০ মুরগি থাকে দিনে ৩-১০টা মুরগি মারা যায় এবং অসুস্থ থাকে তাহলে মেজর কোন ডিজিজ হবে।

ব্যাক্টেরিয়াল বা ভাইরাল (ডায়াগ্নোসিস ভুল বা শুদ্ধ যাই হোক না কেন আপাতত লেভো বা এনরো বা ফোরফেনিকল বা সালফার ড্রাগ দিয়ে দিবেন ৫-৭দিন।পরে কয়েক দিন যাবত খবর নিবেন কি অবস্থা প্রয়োজনে আবার পি এম করবেন।এই কয়েক দিনে কারো সাথে আলোচনা করবেন কি হতে পারে, নিজেও পি এম করে মিলাবেন।যদি মর্টালিটি থাকে বা অসুস্থ থাকে তাহলে আবার ৪-৫দিন এন্টিবায়টীক দিতে পারেন।

ইতিমধ্যে আপনি ডায়াগ্নোসিস করে ফেলবেন।যদি ভাইরাল ডিজিজের জন্য মর্টালিটি হয় ভি ভি এন ডি বা এইচ ৭ বা এইচ ৫ হয় তাহলে প্রগ্নোসিস করে দিবেন ।এত পার্সেন্ট মারা যেতে পারে।শিউর দেয়া যাচ্ছে না।যখন এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তখন কনফার্ম বলতে পারবেন।.৩।নরমালী কোন বড় সমস্যা না থাকলে লিভা্র টনিক,কিডনি টনিক,এঞ্জাইম,জিংক,প্রবায়োটিক,এমানো এসিড দিতে পারেন।

৩।এক্টা প্রেস্ক্রিপশনে কি কি থাকতে পারে তার লিস্ট আছে সেটা দেখতে পারেন। ভি টি এস গ্রুপে আছে।

৫।আমাদের দেশে কিছু কিছু ভেট আছে যারা এত দক্ষ না কিন্তু তাদের অনেক খামারী আছে,অন্ধ ভক্ত আছে,সেসব ভেটরা সংখায় কম কিন্তু প্রচুর খামারী এবং মেডিসিন কোম্পানী গুলো তাদের দিয়ে প্রচুর ব্যবসা করতেছে।তাই সেসব ভেটের দিকে তাকিয়ে আপনি সাহস নিয়ে কাজ করে যান।উনি যদি পারে তাহলে আপনি ও পারবেন কারণ আপনি তাদের চেয়ে বেশি জানেন এবং জানার সুযোগ আছে।উনার কিন্তু নাই।

তথাকথিত জন প্রিয় ভেট নির্দিস্ট কিছু কোম্পানীর নির্ধারিত প্রোডাক্ট লিখে দিচ্ছে,ভ্যাক্সি দিয়ে দিচ্ছে,কি হচ্ছে না হচ্ছে কেউ জানে না।সাপ্তাহিক ভাবে খাতায় লিখে দিচ্ছে।

এন্টিবায়োটিকের মোড অফ একশন এবং কম্বেনশনও অনেক সময় ঠিক থাকে না,ভ্যাক্সিন সিডিউল ও ঠিক থাকে না,ডায়াগ্নোসিস ঠিক নাই।তারা যদি পারে তাহলে আপনিও পারবেন ইনশাল্লাহ।

৬।যে কোন বিষয়ে ভি টি এসে পোস্ট দিতে পারেন,আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।্তাই ভয় পাবার কিছু নাই।

৭।কয়েকজন ভেট আছে যারা আমার সাথে পরামর্শ করে এবং গ্রুপে থেকে শিখে এক্সাপার্ট হয়ে ফিল্ডে কাজ করতেছে।

৮।যেই এলাকায় কাজ করবেন সেই এলাকার রোগের ডাটা নিবেন তাহলে ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস সহজ হবে।

৯।সিজনাল ডিজিজ গুলো মনে রাখবেন,তাছাড়া বয়স অনুযায়ী ডিজিজের ধারণা রাখবেন,অর্গানিজম ছাড়াও অন্য কারণে সমস্যা হতে পারে যেমন ফ্যা্টি লিভার,এসাইটিস,স্ট্রেস,গরম,ভয়,এক্সিডেন্টাল ডেথীগুলো একটু খেয়াল রাখবেন।

১০।কিছু সিংগেল এন্টিবায়োটিক ও কম্বাইন্ড এন্টিবায়োটিকের লিস্ট করবেন।ভাল কোম্পানীর ভাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

এন্টিবায়োটিক ছাড়াও ভাল প্রোডাক্ট আছে যেগুলোও এন্টিবায়টীকের মত কাজ করে সেগুলো দিতে হবে।

যেমন রেজিও,গ্রোল্যাক,গ্যালিবায়োটিক,এভিকেয়ার,ডিজি ম্যক্স ই ই,,প্রটেক্সিন,প্রম্যাক্স

১১,ভ্যাক্সিন শিডিউল টা মনে রাখবেন

১২ ব্যবস্থাপনার মূল বিষয় গুলো যেগুলো সহজ করে আলোচনা করেছি সেগুলো হলেই হবে।

১৩।যে এলাকায় প্র্যাক্টিস করবেন সেই এলাকায় কি কি ডিজিজ হয় তার একটা ডাটা নিবেন তাহলে অনেক সহজ হয়ে যাবে।

১৪।প্রতিটা চিকিৎসা দেয়ার ফলো আপ করবেন সেটা ভাল হয়েছে কিনা বা কত দিন লেগেছে,কত গুলি মারা গেছে,কত % অসুস্থ হয়েছে,ডিম কত কমেছে,কিকি চিকিৎসা দিয়েছেন,ডায়াগ্নোসিস কি ছিল।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত না এবং কিছু আলোচনা।

খামারীদের কেমন পরামর্শ দেয়া উচিত,কোনটা উচিত নাএবং কিছু আলোচনা। খামারীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে যাতে সেটা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »