শুধু পোস্ট মর্টেম করে কেন ডায়াগ্নোসিস করা যায় না,শুধু হিস্ট্রি দিয়েও রোগ নির্ণোয় করা যায়,শুধু একটা অর্গান দেখে রোগ নির্ণয় করা যায় না।পি এম নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য।
কিভাবে কনফার্ম ডায়াগ্নোসিস করবো তার একটা নমুনা নিচে দেয়া হলঃ
পোল্ট্রি ডায়াগ্নোসিস কে আমি মহা সাগর,সাগর,নদী,পুকুর,কুয়া এই ৫টি ধাপে ভাগ করেছি যাতে বুঝতে সহজ হয়।প্রথমে রোগ টি মহাসাগরে থাকে তাকে কুয়াতে নিয়ে আসতে হবে।পুকুরে যখন অনেক পানি থাকে তখন সেখান থেকে মাছ ধরা যায় না কিন্তু পানি সেচ দেয়ার পর তলানিতে অল্প পানি থাকে বা থাকে না তখন সেখান থেকে মাছ ধরা সহজ হয়।
পোল্ট্রি ডায়াগ্নোসিস মহা সাগর থেকে সাগরে,সাগর থেকে নদীতে,নদী থেকে বিলে,বিল থেকে খালে,খাল থেকে পুকুরে,পুকুর থেকে কুয়াতে নিয়ে আসতে হবে।।কুয়া থেকে পরে সিংগেল বা মিক্স ইনফেকশন ডায়াগ্নোসিস করতে হয়।আমাদের দেশে ৫০% এর বেশি কেসে মিক্স ইনফেকশন হয়ে থাকে।
যেমন খামারীর কাছ থেকে হিস্ট্রি নিয়ে মহা সাগর থেকে সাগরে আসতে হবে(৪০টি রোগ/সমস্যা থেকে ৬টি রোগে চলে আসতে হবে,লক্ষণ শুনে ৫টীতে মানে সাগর থেকে নদীতে আসতে হবে, সিজন অনুযায়ী তথ্য থেকে নদী থেকে বিলে আসতে হবে(৫টা থেকে ৪টাতে),ফার্মে গিয়ে মুরগি/ফার্ম দেখে বিল থেকে পুকুরে আসতে হবে ৪টা থেকে ৩টিতে),পি এম করে পুকুর থেকে কুয়াতে( এখানেই পি এম করা হয়) আসতে হবে ৩টা থেকে ২টীতে), তারপর কমন অর্গান বাদ দিয়ে আন কমন অর্গান দেখে চূড়ান্ত ডায়াগ্নোসিস করতে হবে ২টা থেকে ১টাতে আসতে হবে।( পি এম এর ২টা অংশ)
যে যত বেশি রোগের এ টূ জেট( ইপি্মিডিওলজি(এজেন্ট,পরিবেশ,হোস্ট),প্যাথোজেনেসিস) জানবে সে তত আগে মানে মহা সাগর থেকে লাফ দিয়ে(স্কিপ করে) কুয়াতে/চূড়ান্ত ডায়াগ্নোসিসসে চলে আসতে পারবে।
অধিকাংশ ভেট সব কিছু কুয়াতে( শুধু পি এম করে জানতে চায়) খুজে যা ঠিক না।এমন ডিজিজ আছে যা কুয়াতে পাওয়া যায় না তখন হিস্ট্রির বা উপরের বিষয় গুলির সহযোগিতা নিতে হয়।কুয়াতে/পি এম করতে গেলে ৩০-৪০টি ডিজিজ নিয়ে কাজ করতে হবে যা কঠিন (মহাসাগরে সুই খোজার মত)।তাই ধাপে ধাপে আগানো উচিত।
নোটঃকিছু কিছু ক্ষেত্রে পি এম করে ডায়াগ্নোসিস করা যায় তবে তা সংখায় কম এবং ভুল ডায়াগ্নোসিস হবার সম্বাবনা থাকে।
পোস্ট মর্টেম করেও যখন ডায়াগ্নোসিস করা যায় না তখন হিস্ট্রিই ভরসা
অধিকাংশ সময় ডিজিজের ক্ষেত্রে সব গুলো অর্গানে এক সাথে লেশন পাওয়া যায় না.১ বা ২টা অর্গানে লেশন থাকে তখন হিস্ট্রি নিয়ে ডায়াগ্নোসিস করতে হয়।
যেমন রানিক্ষেতের ক্ষেত্রে প্রভেন্টিকোলাস হেমোরেজ,টাকিয়া্য হেমোরেজ,,সিকামে হেমোরেজ।অন্ত্রে বাটোন লাইক আলসার থাকার কথা কিন্তু বাস্তবে আমরা সব গুলো লেশন এক সাথে পাই না কোন সময় হয়ত শুধু প্রভেন্টিকোলাসে হেমোরেজ পাব অন্য কোঠাও কিছু পাবনা।কোণ আসময় শুধু অন্ত্রে আলসার পাব অন্য কোথাও কিছু পাব না।অথবা শুধু ট্রাকিয়ায় হেমোরেজ পাব।কোন সব ২ বা ৩টা অর্গানে পাওয়া যেতে পারে।তাছাড়া রানিক্ষেতের স্টেইন অনুযায়ী লেশন পাওয়া যায়।একেক স্ট্রেইনের একেক লেশন।পি এম করার সময় বেশি মুরগি কাটতে হবে কারণ সব মুরগিতে সব লেশন থাকে না,কোন টায় অন্ত্রে,কোন টায় প্রভেন্টীকোলাসে ।কোন্টায় ট্রাকিয়ায়।তাই যা পড়ে আসছি তাই পাব এমন মনে করা যাবে না।এমন কি অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও একই অর্গানে লেশন থাকতে পারে তখন হিস্টি,লক্ষণ,পি এম, কমন অর্গান বাদ দিয়ে আনকমন অর্গানের সাহায্য নিতে হবে।
১।পোস্ট মর্টেম করে দেখলাম এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ তখন কি ডায়াগ্নোসিস করবো? অনেকে বলবে কলেরা,কেউ আবার এ আই।মাইকোটক্সিন বা গরমের কারণেও হতে পারে।এই ক্ষেত্রে শুধু পি এম করে কাজ হচ্ছে না। সি এফ ও হিস্ট্রি নিতে হবে।যদি আক্রান্ত না থাকে এবং পরে আর বেশি মারা না যায় তাহলে এটা মাইকোটক্সিন।কলেরার ক্ষেত্রেও হতে কিন্তু কলেরা হলে আরো আক্রান্ত হবে,বেশী মারা যাবে।এ আই(এইচ ৫) হলে এক জায়গায় মারা যায়,প্রডাকশন ও খাবার ঠিক থাকে।
২। পি এম করে হার্টে হেমোরেজ পেলেন কি বলবেন?
কিছু বলার সুযোগ নাই,হিস্ট্রি নিতে হবে।যদি গরম কাল হয় এবং দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে মানে বসে থাকে,দাড়াতে পারে না।সে সব মুরগি যদি পানিতে ভিজিয়ে দেয়ার পর মারা না যায় তাহলে বুঝতে হবে হিট স্টোক।কলেরা বা এ আই(এইচ ৫/৭ হতে পারে।
৩।বার্সায় হেমোরেজ/বড় পেলেন,কি বলবেন
গাম্বোরু বলবেন? একটু দাড়ান।বার্সায় হেমোরেজ ৩টি কারণে হতে পারে যেমন গাম্বোরু,মাইকোটক্সিন,লিউকোসিস।এই প্যাচ কিভাবে ভাংবেন?
হিস্ট্রি তে যেতে হবে।গাম্বোরু হলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫-১০০% হতে পারে,খাবার পানি কমে যাবে।হাজারে দিনে ৫-৫০টা করে মারা যেতে পারে।মাকোটক্সিন হলে আক্রান্তের সংখ্যা তেমন থাকবে না বা থাকলেও এত বেশি মারা যাবে না।লিউকোসিস ১৬ সপ্তাহের পরে হয়।
নোটঃ হাজারে অল্প কয়েকটা মুরগি মরেও গাম্বোরু হতে পারে।
৪
৫।হার্টে ও এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ কি বলবেন?
কলেরা বা এ এইচ ৫/৭
পি এম করে আলাদা করা যাবে না কারণ ২কারণেই হতে পারে( যদিও মাসলে বা শ্যাংকে হেমোরেজ দেখে এইচ ৫ বুঝা যায় কিন্তু অনেক সময় নাসলে বা শ্যাংকে হেমোরেজ থাকে না তখন হিস্ট্রি নিতে হবে)এইচ ৫ এর ক্ষেতে সেডের একটা নির্ধারিত জায়গায় মারা যায় এবং সেখান থেকে বাড়তে থাকে,খাবার ও ডিম ঠিক থাকে,প্রডাকশনের মুরগিতে বেশী হয় বিশেষ করে যাদের প্রডাকশন ৯০% এর বেশী থাকে)
কলেরার ক্ষেত্রে একটা জায়গায় বা বিভিন্ন জায়গায় শুরু হলেও পরে বিভিন্ন জায়গায় মারা যায়,খাবার ও ডিম কমে যাবে। এইচ ৫ এর মত এত বেশি মারা যায় না।হাজারে ৫-২০টা মারা যেতে পারে ১দিনে অথচ এইচ ৫ এর ক্ষেত্রে হাজারে ২০-২০০ মারা এক্সেতে পারে ১দিনে।
৬.লিভার বড়,নেক্রোটিক ফোকাই কি ডায়াগ্নোসিস করবেন
কলেরা বা টাইফয়েড ২টি হতে পারে তাই হিস্ট্রি ছাড়া উপায় নাই।কলেরা হলে হঠাত মারা যেতে পারে ,নরমালি এক জায়গায় শুরু হয় তবে বিভিন্ন জায়গায় ও হতে পারে।আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হয়,ডিম কমে যায়।টাইফয়েড এর ক্ষেত্রে হাজারে ১ম দিন ১টা ,পরের দিন বা ১দিন পর ২টা,পরে আবার পরের দিন ৩ টা,চিকিতসা বা করলে পরে ৫টা এভাবে বাড়তে থাকে।আক্রান্তের হাঢ় কম থাকে এবং মর্টালিটি তুলনা মূলকভাবে কম থাকে।ডিম ও খাবার অল্প কমে।
হিস্ট্রি দিয়েও রোগ নির্ণয় করা যায়(হিস্টি না নিলে রোগ নির্ণয়ে ভুল হবে)
১।মাথা বা পা প্যারালাইসিস
মেরেক্স বা রানিক্ষেত বা ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেরেক্স এবং রানিক্ষেত পি এম করে আলাদা করা যায় না যেমন শুধু প্যারালাইসিস ভিতরে কোন লেশন নাই।তখন হিস্ট্রি নিতে হয়।রানিক্ষেত হাচি কাশি থাকে,ভ্যাক্সিন দিলে ঠিক হয়ে যায়
মেরেক্সের ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন দিলেও ঠিক হয় না,অনেক দিন ধরে শুকিয়ে মারা যায়,রানিক্ষেতের ক্ষেত্রে এতদিন ধরে সমস্যা থাকে না।মেরেক্সের ক্ষেত্রে ১ম থেকেই প্যারালাইসিস হতে পারে কিন্তু রানিক্ষেতের ক্ষেত্রে ১ম দিকে বেশি মারা যায় পরের দিকে প্যারালাইসিস হয়।বাচ্চা মুরগিতে প্যারালাইসিস নরমালি ভিটামিনের ঘাটতি হতে হয় বা ব্রুডার নিউমোনিয়া(মাইকোটস্কিন)
২।হঠাত মুরগি মারা গেছে পি এম করে কিছু পাওয়া যায় নি কি হতে পারে।এ ক্ষেত্রে টাইপয়েড,এ আই ,কলেরা
৩।মুরগি শুকিয়ে যায়।কি ডায়াগ্নোসিস করবেন?
শুধু মেরেক্স বলবেন ,ভুল হবে।মেরেক্স,কৃমি,কলিব্যাসিলোসিস বা ৭গ্রামের নিচে মুরগি খাচায় তুললেও খাবার পানি আ খেয়ে মারা যেতে পারে।পি এম ছাড়াও এগুলি ডায়াগ্নোসিস করা যাবে।
মেরেক্স হলে এক নাগারে মরতে থাকবে ১৫দিন থেকে কয়েক মাস,প্যারালাইসিস হতে পারে আবার নাও পারে,শুকিয়ে যাবে,অন্য কোন সমস্যা পাওয়া যাবে না।খাবার মোটামুটী ঠিক থাকবে।কৃমি হলে মাঝে মাঝে ১ টা করে মারা যেতে পারে,নরমালি মারা যায়না।আগে অন্য কোন রোগ হলে পরে ইক্লাই হবার সম্বাবনা থাকে,মাঝে মাঝে হাজারে একটা বা ২টা করে মারা যেতে পারে।প্যারালাইসি হবে না।পেট বড় হয়ে যায় যদি পানি জমা হয় বা ডীম জমা হয়।মুরগি সব কিছু ঠিক থাকে।পি এম করলেও বুঝা যায়।
৩।মুরগি ২টা মারা গেছে কি হতে পারে।
আগে জানতে হবে মুরগি কত গুলি যদি ৫০০০ মুরগি হয় তাহলে তেমন সমস্যা না,যদি ১০০০ হয় তাহলে পি এম করে দেখতে হবে।
৪।মুরগি শুকিয়ে মারা যাচ্ছে,কি হতে পারেঃ সবাই মেরেক্স বলবে কিন্তু আরো কারণ থাকতে পারে।
কৃমি।মেরেক্স
কিউকোসিস।ইক্লাই
এন্টারাইটিস।রানিক্ষেত
মাইকোটক্সিন
১০ মুরগি মারা গেছে কি সমস্যা?ভাবছেন বড় সমস্যা।থামুন আগে প্রশ্ন করেন মুরগি কত গুলি।
যদি বলে ৪০-৫০হাজার তাহলে তেমন কিছু না।।যদি বলে ১০হাজার ভাবতে হবে।
যদি বলে ২০০০ তাহলে বিপদ আছে।আর যদি ১০০০ হয় তাহলে মহাবিপদ।মর্টালিটি% বা সংখার উপর রোগের ধরণ নির্ভর করে যা টোটাল মুরগি না জানলে বুঝা যাবে না।
###
মর্বিডীটি দিয়েও কিছু ডিজিজ নির্ণয় করা যায় যেমন করাইজা, গাম্বোরু, এ আই,রানিক্ষেত,মেরেক্স।লিউকোসিস।মেরেক্স ও লিউকোসিসে মর্টালিটী আর মর্বিডীটী সমান হয়।তাছাড়া মর্বিডীটি কম থাকে।করাইজা ও এ আই,গাম্বোরুতে মর্বিডীটি বেশী হয়।
###
খামা্রী বলল স্যার ১০টা মারা গেছে
আপনি বলে দিলেন গাম্বোরু হয়েছে অথচ গাম্বোরু হয়ে হাস মারা যাবার সুযোগ নাই।তাই আগে স্পিসিস কিতা জিজ্ঞাসা করুন।একেক স্পিসিসের একেক রোগ হয়।বা মর্টালিটী কম বেশি হয়।
###
এক ফার্মের ৫টি মুরগি মারা গেল আপনি কলেরা ডায়াগ্নোসিস করে চিকিৎসা দিলেনঃঅথচ ১২ সপ্তাহের আগে লেয়ারে কলেরা হয় না তাই বয়স কত তা জানতে হবে।একেক বয়সের একেক রোগ হয় বা হয় না বা কম বেশি হয়।
###
সিজনের গুরুত্বঃ
শীতের শুরুতে ভা শেষে এ আই এবং রানিক্ষেত বেশি হয়।তাছাড়া যখন কোন এলাকায় একটা ডিজিজ ব্যাপকহারে হয় তখন এমনিতেই বুঝা যায় বা ধারণা করা যায় সেটা কোন ডিজিজ।শীতের শুরুতে গাউট,আই বি এইচ বেশি হয়,নতুন ভুট্রা আসলে মাইকোটক্সিন,আই বি এইচ বেশি হয়।
###
প্রডাকশন % জেনেও রোগ নির্ণয় করা যায় যেমন আই বি,এ আই,ই ডি এস।মোল্টিং,স্টেস।তাই হিস্ট্রি নিতে হবে
###
খাবার কেমন খাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে কিছু রোগের ধারণা করা যায়।
আই বি,ই ডি এস (প্রডাকশঅনের ক্ষেত্রে,) আই বি এইচ,মেরেক্স।লিউকোসিস,স্পোরাডিক ইক্লাই,সাল্মোনেলা( প্রডাকশনের ক্ষেত্রে্)গাউট খাবার তেমন কমে না।রানিক্ষেত,গাম্বোরু,এ আই(এইচ ৯),করাইজা,আমাশয় এর ক্ষেত্রে খাবার অনেক কমে যায়।তাই খাবারের তথ্য জানতে হবে।
সি এফ/লক্ষণ দেখেও রোগ নির্ণয় করতে হবে( কোন কোন ক্ষেত্রে)
১।চোখ ফোলে গেছে কি নির্ণয় করবেন?
এ আই,রানিক্ষেত,করাইজা এর যে কোন এক্টী হতে পারে,পি এম না করেও ডায়গ্নোসিস করা যায়।চোখ যদি নিচের দিকে এবং বেশী ফোলে তাহলে করাইজা,আক্রান্ত বেশী হবে ,খাবার ও ডীম কমে যাবে।লেন্টোজেনিক রানিক্ষেত হলে কোন কিছুতে ভাল হবে না।ভ্যাক্সিনের হিস্ট্রি নিয়ে ভ্যাক্সিন দিলে ঠিক হয়ে যাবে।এ আই হলে মারা তেমন যাবে না,চোখ অল্প ফুলবে।এক সাইড থেকে শুরু হয়ে সব জায়গায় যাবে।ভাল হতে ১০-২০দিন লাগে।মেডিসিনে তেমন কাজ হয় না।খাবার ও ডইম কমে যাবে।প
২।গড় গড়,হাচি কাশি,চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। কি হতে পারে।
মাকোপ্লাজমা,আই বি ,রানিক্ষেত(লেন্টোজেনিক)
পি এম না করে ও বলা যায় যেমন আই বি হলে ডিম পাড়া মুরগিতে ডীম কমে যাবে,আকাবাকা হবে,সাদা হবে।খোসাপাতলা হবে,এলবুমিন পানির মত হবে।অনেক দিন ধরে ডীম কম পাড়বে.১ম দিকে হাচি কাশি হতে পারে।মারা যাবে না।লেন্টোজেনিক এন ডি হলে মারা তেমন যাবে না,হাচিকাশি হবে,ভ্যাক্সিন দিলে ঠিক হবে যাবে,কোন এন্টীবায়োটিকে কাজ হবে না।মাকোপ্লাজমা হলে নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে,মারা তেমন যায় না,তবে যদি ইক্লাই ইম্ফেকশন হপ্য তাহলে অল্প মারা যেতে পারে।ডিম পাড়া মুরগিতে হলে ডিম কমে যায়,ডিমের কালার কিছুটা সাদা হয়,ডিমের চোখা অংশ নরম হয়ে যায়।এ আই হলে চোখ অল্প ফোলে যেতে পারে।প্রায় সব মুরগি আক্রান্ত হবে,এক্টা জায়গা থেকে শুরু সব সেডে ছড়িয়ে যায়।
মাঝে মাজে ভিটামিন এ বা ইক্লাই এর জন্য চোখ ফোলে যায় তবে তা হাজারে কয়েক টা বেশী হবে না।সব মুরগি সুস্থ থাকবে।আশপাশে কারো হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।তাছাড়া কোন কোন সিজেন কোন কোণ রোগ বেশী হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।এসব রোগে মারা তেমন যায় না তাই হিস্ট্রি নিয়ে ডায়াগ্নোসিস করতে হয়।
শুধু একটা অর্গান দেখে রোগ নির্ণয় করা যায় না।
মাংসে হেমোরেজ কি হতে পারে?এটাও কয়েক টি কারণে হতে পারে তাই হিস্ট্রি নিতে হবে।মাইকোটক্সিন,আই বি এইচ,এ আই,আই বি ডির জন্য হতে পারে।
আই বি এইচ হলে হার্টে হেমোরেজ,লিভার ,কিডনি ফুলে যাবে,মাংসে হেমোরেজ থাকতে পারে।শীতের শুরুতে এবং নতুন ভুট্রা আসলে বেশি দেখা যায়।এ আই হলে মাংসে হেমোরেজ,অনেক মারা যাবে,হার্টে ও এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ,ট্রাকিয়ায় হেমোরেজ ,রেক্টামে হেমোরেজ থাকতে পারে।আই বি ডি হলে বার্সায় হেমোরেজ,অনেক আক্রান্ত ও মারা যেতে পারে।মাইকোটক্সিন হলে লিভার,কিডনি বড় হবে,গিজার্ডে ইরোশন হবে।অল্প করে মারা যায়,খাবার কম খেতে পারে,ওজন কম আসে।অনেক রোগের কমন অর্গান একই যেমন মাইকোটক্সিন,কলেরা,টাইফয়েড,আই বি এচ,এইচ ৫,মেরেক্স,লিউকোসিস,গাউট,কলিব্যাসিলোসিস এসবের ক্ষেত্রে লিভার বড,নরম ও কালার পরিবর্তন হয়।আই বি এইচ,এইচ ৫,টাইফয়েড,আই বি ডি ,নেফোজেনিক আই বি,মাইকোটক্সিন,ইক্লাই,মেরেক্স,লিউকোসিস।
হার্ট ওএবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ এ আই,কলেরা
এয়ারস্যাকে পরিবর্তন ব্রুডার নিউমোনিয়া,ইক্লাই,মাইকোপ্লাজমা,আই বি,রানিখেত,করাইজা
বার্সায় পরিবর্তন বি ডি,লিউকোসিস,মাইকোটক্সিন
মাংসে হেমোরেজ মাইকোটক্সিন,এ আই এইচ ৫,আই বি এইচ
এগপেরিটোনাইটীস কলিব্যাসিলোসিস,কলেরা, এ আই,সালমোনেলা
ট্রাকিয়ায় মিউকাস/হেমোরেজ রানিক্ষেত,এ আই,আই বি,আই এল টি ,মাইকোপ্লাজম্
ফুসফুস কঞ্জেস্টেড সাল্মোনেলা,পাইলিং,এ আই,মাইকোপ্লাজমা
প্রভেন্টীকোলাসে পরিবর্তন রানিক্ষেত,মাইকোটক্সিন,এ আই,মেরেক্স
গিজার্ডে পরিবর্তন মাইকোটক্সিন
অন্ত্রে পরিবর্তন কলেরা,মাইকোটক্সিন,আমাশয়,নেক্রোটিক এন্টাসিটিস,রানিক্ষেত,ক্ররমি,ইক্লাই,সাল্মোনেলা,মেরেক্স