Breaking News

পোল্ট্রি_খামারের_জন্য_পরিবেশ_অধিদপ্তরের_ছাড়পত্রঃ

No photo description available.
No photo description available.
Image may contain: text
No photo description available.

#পোল্ট্রি_খামারের_জন্য_পরিবেশ_অধিদপ্তরের_ছাড়পত্রঃ
#পরিবেশ_অধিদপ্তরের_ছাড়পত্র_সংগ্রহ_প্রদ্ধতিঃ

মানুষের জীবনের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সারাবিশ্বে বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, দ্রুত নগরায়ন, মাটি, পানি ও বায়ুদূষণের কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। সরকার শহরের বায়ুর গুণগতমান উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

হাজার হাজার পোল্ট্রি ফার্ম পাওয়া যাবে যারা হয়তো ট্রেড লাইসেন্স-ই করেন নাই। অনেকেই আছেন হয়ত বিশেষ প্রয়োজনে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়েছে। অনেকেই জেনে থাকবেন; ট্রেড লাইসেন্স এর পরের পদক্ষেপ-ই হচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এর নিবন্ধন করা । আপাদত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই পর্যন্ত-ই ঠিক আছে। কিন্তু বিষয়টা তাই-কি?

আমাদের এ লাইনের এক বড় ভাই বলেছিলেন; “মূলত ছোট খামারিদের মধ্যে যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিচক্ষণ এবং বুদ্ধিমান তারাই কেবল পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে থাকেন”। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোন ফার্ম-ই চলার কথা নয়। কিন্তু যেহেতু আইনের প্রয়োগ সেভাবে এখনো কার্যকর হয়ে ওঠেনি তাই যারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেননি তাদের সমস্যা হচ্ছে না। তবে যদি প্রতিবেশী কেউ আপনার খামারের বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন; তবে আপনার কিন্তু আর রেহাই নাই। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলে আপনি সেইভ অবস্থানে থাকবেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে চাইলে আপনার ফার্ম কেউ সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে; যেন আপনার ফার্ম দ্বারা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এটি স্থাপন করতে হবে ফাঁকা অথবা কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, দুর্গন্ধ ও মাছি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, মরা মুরগির ধ্বংস করার বিষয়ে সঠিক বাবস্থাপনা, পরিষ্কার পরিছন্নতা ইত্যাদি।

চলুন তাহলে অতি সংক্ষেপে জানি কিভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে।

#পরিবেশগত_ছাড়পত্র: পুরবেই বলেছি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ব্যতিত কোন এলাকায় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান/ ফার্ম স্থাপন বা প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার এবং অবস্থান অনুযায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পসমূহ নিম্ন বর্ণিত চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা:
ক) সবুজ
খ) কমলা-ক
গ) কমলা-খ
ঘ) লাল

(বর্ণিত শ্রেণীসমূহের অন্তর্ভক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পসমূহের বিবরণ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এর তফসিল-১ এ বর্ণিত আছে।)

পোল্ট্রিশিল্প কমলা-খ এর অন্তর্ভুক্ত, এবং আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হবে পোল্ট্রিশিল্পের ছাড়পত্র বিষয়ে

কমলা-খ:
বিদ্যমান/ চালু আছে এমন সকল খামার বা প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরাসরি পরিবেশগত ছাড়পত্র নেয়া যাবে। ছাড়পত্রের জন্য উদ্যোক্তা যথাযথ ছাড়পত্র ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফরম-৩ এ উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, নিজ জেলা কার্যালয় বরাবর আবেদন করবেন (যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা অফিস নাই, সেই সকল জেলার কার্যক্রম নিকটবর্তী জেলার মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।)

#ছাড়পত্রের_প্রয়োজনীয়_কাগজপত্রের_তালিকা:
০১। নির্ধারিত ফর্মে আবেদন* (অনলাইনে আবেদন করতে: https://ecc.doe.gov.bd/login/)
০২। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (ইএমপি) প্রতিবেদন।
০৩। উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফ্লো-ডায়াগ্রাম (দূষণের উৎস উল্লেখপূর্বক)।
০৪। প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যান (বর্জ্য পরিশোধনাগারের অবস্থান নির্দেশিত দাগ, খতিয়ান উল্লেখপূর্বক মৌজাম্যাপ)।
০৫। বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) এর নকশা (প্রস্তাবিত শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের ক্ষেত্রে) অথবা বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) এর নকশাসহ উহার কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্যাদি (বিদ্যমান ক্ষেত্রে)।
০৬। নির্ধারিত ফরমেটে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র* (নির্ধারিত ছক অনুযায়ী ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যান)।
০৭। লোকেশন ম্যাপ (চৌহদ্দি এবং উল্লেখযোগ্য স্থাপনা, কারখানা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও তার লে-আউট প্ল্যান এর তথ্যাদির দূরত্বসহ অবস্থান)।
০৮। হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স
০৯। দাগ, খতিয়ান উল্লেখ পূর্বক পূর্ণাঙ্গ মৌজা ম্যাপ (দাগ নম্বর চিহ্নিতকরণসহ)।
১০। জায়গার মালিকানা দলিল (মিউটেশন পর্চা) অথবা ভাড়ার চুক্তি পত্র।
১১। ট্রেজারী চালানের কপিঃ পরিবেশগত ছাড়পত্র ফি (বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠান/ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রথম বছরের জন্য বর্তমান হারে ছাড়পত্র ফি এবং পরবর্তী প্রতি বছরের জন্য বর্তমান হারে নবায়ন ফি জমা দিতে হবে) এবং ফি-র উপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভ্যাট।

#সেবা_প্রাপ্তির_পদ্ধতি:
১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট জেলা/বিভাগ/ মহানগর কার্যালয়ে অনলাইনে আবেদন দাখিল: https://ecc.doe.gov.bd/login/;
২. সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শন;
৩. সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক আবেদন মূল্যায়নপূর্বক প্রতিবেদনসহ কমলা-খ শ্রেণীর ছাড়পত্র কমিটিতে প্রেরণ;
৪. ছাড়পত্র কমিটির সভায় আবেদনটি চূড়ান্ত মূল্যায়নপূর্বক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কমিটি কর্তৃক পুনরায় পরিদর্শনসহ) সিদ্ধান্ত গ্রহণ;
৫. সংশ্লিষ্ট কার্যালয়কে ছাড়পত্র কমিটির সিদ্ধান্ত অবহিতকরণ;
৬. ছাড়পত্র কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক ছাড়পত্র প্রদান/আবেদন খারিজ

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে হলে মোট বিনিয়গের উপর নিম্নরূপ হারে ফি দিতে হবেঃ
বিনিয়োগ (টাকা) ১ – ৫ লক্ষ,সার্টিফিকেট ফি ১,৫০০; নবায়ন ফি ৩৭৫
বিনিয়োগ (টাকা) ৫ – ১০ লক্ষ,সার্টিফিকেট ফি ৩,০০০; নবায়ন ফি ৭৫০
বিনিয়োগ (টাকা) ১০ – ৫০ লক্ষ,সার্টিফিকেট ফি ৫,০০০; নবায়ন ফি ১,২৫০

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা দেখতে পাই যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিষয়টা আসলেই জটিল প্রক্রিয়া। তবে এতে ভয় না পেয়ে নিকটস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে যোগাযোগ করলে সহায়তা পাবেন, আমার আলোচনায়/ তথ্যে থাকে পারে, সেক্ষেত্রে উনারা সঠিক তথ্যে সহকারে বিষয়টা আপনাকে আরো সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন এবং এ ধরনের কাজ করে এমন কিছু কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান ঠিকানাও পেয়ে যাবেন তাদের কাছে। তাছাড়া আজকাল অনেক কম্পিউটার দোকানেই বিভিন্ন অনলাইন সেবা পাওয়া যায়; তারাও এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

সর্বোপরি “ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে” এই পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগেই নিজেরা সতর্ক হয়ে যাই; ট্রেড লাইসেন্স, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের নিবন্ধন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকা মানে আপনি একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ খামারি এবং আদর্শ নাগরিক

chick valley page

Please follow and like us:

About admin

Check Also

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি।

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি। আগে জানতে হবে ডাক্তার কোন স্পিসিস নিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »