পোল্ট্রি সেডের ডিজাইন
সেডের ডিরেকশন/দিকঃ
সেড পূর্ব পশ্চিম হবে কারণ এতে সরাসরি সূর্ষের আলো পড়বে না।সরাসরি পড়লে গরমে মারা যাবে ।তাছাড়া ঠোকরা ঠোকরি বেড়ে যাবে।
সেডের সাইজঃ
কত গুলি মুরগি পালন করবে সেটা ঠিক করে সেড করতে হবে তবে গরম কালের কথা বিবেচনা করে সেড বানাতে হবে।গরমে জায়গা বেশি লাগে।তাছাড়া কত ওজন করে বিক্রি করবেন সেটা বিবেচনা করতে হবে।
ব্রয়লারের ওজন যদি ১৫০০গ্রাম হয় তাহলে প্রতি ব্রয়লারের জন্য ১বর্গ ফুট আর ১৭০০ গ্রাম হলে ১২০০ বর্গ ফুট ১৯০০ গ্রাম হলে ১৪০০বর্গ ফুট ।
প্রতি হাজারে ১০০গ্রাম ওজনের জন্য ১০০ বর্গ ফুট বাড়াতে হবে।
লেয়ারের জন্য ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি মুরগির জন্য ১ বর্গ ফুট.১৫ সপ্তা পর্যন্ত প্রতি হাজারের জন্য ১২০০ বর্গ ফুট।
লম্বা কত ফুটঃ
লম্বায় যত ইচ্ছা করা যায় তবে পানির লাইন যদি নিপল ডিংকার হয় তাহলে ১০০ফুটের বেশি হলে পানির লাইন ঠিক থাকে না।
তাই সেড লম্বা হলেও পানির লাইন ১০০ ফুটের মধ্যে রাখতে হবে।
উচ্চতাঃ
সাইডে পিলারের উচ্চতা ৮-৯ ফুট আর মধ্যে ১৩-১৪ ফুট ।তবে লেয়ারের খাচার সিড়ি ৪টা হলে এক্টূ বেশি হলেই ভাল।মাচা হলে ফ্লোর থেকে ৬-৭ফুট করতে পারেন।
প্রস্থঃ
ট্রপিকেল রিজনে প্রস্থ ২৫ফুটের বেশি রাখা ঠিক না কারণ এতে ভেন্টিলেশন ভাল হয় না।
কন্টোল সেড হলে ৪০ফুট করা যায়।
ফ্লোরঃ
১থেকে দেড় ফুট নিচ থেকে পাকা করা উচিত,তাছাড়া ভূমি থেকে ১থেকে দেড় ফুট উচু করা উচিত।এতে ফ্লোর শুকনা থাকে।
সেডের বাহিরেও ১থেকে দেড় ফুট পাকা করা উচিত এতে ইদুর আসতে পারবেনা।
ওভার হ্যাং(ছাদের বাড়তি অংশ)
এটি ৩-সাড়ে ৩ফুট হলে ভাল এতে বৃস্টির পানি পড়ে না।লিটার ভাল থাকে।
লাইটিংঃ
ফ্লোর থেকে ৭-৮ফুট উচুতে লাইট দিতে হয়।লাল বাতি হলে ১০ফুট আর ফ্লোরোসেন্ট(এনার্জি হলে ১০-১৫ফুট দূরে দেয়া যায়)