নিম_দিয়ে_বালাইনাশক_বা_কীটনাশক_তৈরি
নিম গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরি জৈব বালাইনাশক বা কিটনাশক বেশ কিছু রোগ ও পোকার উপর বিভিন্নভাবে কাজ করে। যেমন- এই বালাইনাশক বিকর্ষক, কীটনাশক, ব্যাকটেরিয়ারোধী, ছত্রাকরোধী, পোকার ডিম বিনাশকারী, পোকার বংশ বৃদ্ধিরোধকারী এবং জীবাণু থেকে শস্য ও শস্যদানা রক্ষাকারী হিসেবে কার্যকর। মাটিতে অবস্থানকারী ছত্রাকের উপর এই বালাইনাশক কার্যকর, তাই স্প্রের সময় মাটিও যদি ভালভাবে ভিজিয়ে দেয়া যায় তাহলে মাটিবাহিত রোগের প্রকোপ কমে। মাত্র ১০ থেকে ১২ কেজি নিমপাতার বালাইনাশক দিয়ে ০.৪ হেক্টর (প্রায় ১ একর) জমিতে সেপ্র করা যায়। নিমের নির্যাস তৈরি সময় লক্ষ্য রাখতে হয় এটি দেখতে দুধের মত সাদা, কখনোই বাদামি রঙয়ের নয় ।
⚗️⚗️ ১ থেকে ২ কেজি থেঁতলানো বা বাটা নিমপাতা একটি মাটির পাত্রে নিয়ে তাতে ২ থেকে ৪ লিটার পানি দিতে হয়। এরপর কাপড় দিয়ে পাত্রের মুখ ভালভাবে বেঁধে ৩ দিন রাখতে হয়। ৩ দিন পর মিশ্রণটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে দ্রবণটি একটি পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিতে হয়। ছেঁকে নেয়া দ্রবণ থেকে ১ লিটার পরিমাণ নির্যাস ৯ লিটার পানির সাথে মেশাতে হয়। মিশ্রিত দ্রবণে ১০ গ্রাম গুঁড়া সাবান বা তরল সাবান ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যায় নিমের বালাইনাশক। এই মিশ্রণের সাথে সাবান গুঁড়া বা তরল সাবান মেশানোর সময় ১০ গ্রাম পরিমাণ তুঁতে একটি পাতলা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে নেড়েচেড়ে মেশালে এটি ছত্রাকের উপরও একই সাথে কার্যকরী হয়। তৈরি নিমজাত বালাইনাশক আক্রান্ত অংশসহ পুরো গাছেই ভালভাবে স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হয়।
🔔🔔 নিমের সাথে যদি রসুন ও পেস্ট করে দেওয়া যায় তবে আরো বেশি কার্যক্ষম হয়,,,।।
🐛🐛🐌🐌 মাটির নিচে অবস্থানকারী কাটুইপোকা, উরচুঙা ও সাদাকীড়া, পাতার রস শোষনকারী জাব পোকা, থ্রিপস, ছাতরা পোকা, স্কেল পোকা, পাতা সুরঙ্গকারী পোকা, গাছ ফড়িং, পাতা ফড়িং ও সাদা মাছি, পাতা মোড়ানো পোকা, ফল ছিদ্রকারী পোকা, বিছা পোকা, ফ্লি বিটল, চ্যাপার বিটল, কপির সরুই পোকা (ডায়মন্ড ব্যাক মথ) এবং শামুক ইত্যাদি নিমজাত বালাইনাশকের প্রভাবে গাছকে আক্রমণ করে না বা নিজেদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কোনো কোনো পোকা ক্ষুধামন্দায় ভুগে মরে যায়। কিছু পোকা প্রয়োগ করা স্থান থেকে দূরে সরে যায়। নিমজাত বালাইনাশক তৈরির পরপরই প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। তৈরির পর যত দেরি হয় এর কার্যকারিতাও তত কমতে থাকে। খুব সকালে বা শেষ বিকালে নিমজাত বালাইনাশক স্প্রে করতে হয়। কখনোই কড়া রোদে বা বৃষ্টির আগে স্প্রে করা ঠিক নয়।
⚠️⚠️ সতর্কীকরণ⚠️⚠️
পরাগায়নের জন্য উপকারী প্রজাপতি, মৌমাছি, বোলতা, লেডি বার্ড বিটল-এর জন্য নিজজাত বালাইনাশক ক্ষতিকর নয়। মানুষ, পশু-পাখি এবং পরিবেশের জন্য নিমজাত বালাইনাশক মোটেই ক্ষতিকর নয়। মাটিতে অবস্থানকারী কেঁচোর কোনো ক্ষতি করে না। তবে ফুল ফোটার পর নিমজাত বালাইনাশক স্প্রে করা উচিত নয়।
🌱🌱🌱Accept nature’s gift ,, be and keep healthy🕊️🕊️🕊️🕊️🦋🦋🦋
Compiled and originated by
Joya K Ahmed