দেশে ঝুঁকিতে সোনালী ব্রিডার এবং সোনালী বানিজ্যিক খামার-
(অপরিকল্পিত পোল্ট্রি খামার পরিচালনা ঝুঁকি বাড়ায়)
বিগত বছরগুলোতে সোনালী মুরগীর ভোক্তা পর্যায়ে উত্তোরত্তর চাহিদা বাড়ার কারনে যে যাঁর মত করে আইন কানুন এবং পোল্ট্রি প্র্যাক্টিসের সাধারণ নীতিমালা অনুসরন না করে যত্রতত্র সোনালী ব্রিডার খামার গড়ে তুলছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রমাগত ঝুঁকি বাড়ছে-
১. ইন ব্রিডিং ডিপ্রেশনঃ
এর প্রভাবে কমার্শিয়াল পর্যায়ে আগের মত ওজন আসছে না, সোনালি মুরগী চাহিদার প্রায় কাছাকাছি পরিমান এখন সোনালি মুরগী উৎপাদন হওয়ার কারনে খামারী উৎপাদন খরচ থেকে কম দামে রেডি মুরগী বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বর্তমানে একদিকে কম দাম এবং ঠিক মত ওজন না আসায় সোনালী খামারিরা লোকসান দিয়ে সোনালী মুরগী উৎপাদন করছেন।
২. ব্রিডারে ম্যারেক্স ঝুঁকি-এ রোগের ফলে ১২ সপ্তাহ থেকে এই সমস্যায় পতিত হয়ে উৎপাদনের শুরুতেই ব্রিডার ফ্লক বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
৩. এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ঝুঁকি- একদিকে শীতের প্রভাব অন্য দিকে ভ্যাক্সিনের অপর্যাপ্ততা সোনালী ব্রিডারে এ রোগের ঝুঁকির রেড জোনে অবস্থান করছে।
কমার্শিয়াল সোনালী পালন করা হয় প্রায় ৭০ দিন বয়স পর্যন্ত কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রানীক্ষেত লাইভ এবং গামবোরো লাইভ ভ্যাক্সিন দিয়েই ফ্লক শেষ করা হয়।
এমন ভাবে ভ্যাক্সিন সিডিউল অনুসরণ করলে এই শীতের মৌসুমে বাড়বে বার্ড ফ্লু ঝুঁকি।
একবার এ রোগ কোন কমার্শিয়াল খামার আক্রান্ত করলে আশেপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে যা থেকে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এছাড়া শীতে মাইকোপ্লাজমা, ই কোলাই, রানীক্ষেত রোগের ঝুঁকি তো আছেই।
সার্বিক বিবেচনায় এখন সোনালী মুরগী পালন অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে।
এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় খামারী পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
#বায়োসিকিউরিটি #বায়ো টেকনোলজিস #ভ্যাক্সিন #ফিড #পোল্ট্রি ম্যানেজমেন্ট।
প্রধান সমস্যা
ইনব্রিডিং।
নিন্মমানের হ্যাচারী।
অদক্ষ লোক দিয়ে হ্যাচারী চালানো।
প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী তেমন নাই সবই লোকাল
ব্রিডারের ব্যবস্থাপনা ভাল না।
ফলে বর্তমানে বেশি যে সমস্যা হচ্ছে
ওজন ভাল আসেনা
বেশি মারা যায়
( মেরেক্স,এ আই বেশি দেখা যাচ্ছে)
কোন সময় বাচ্চা ভাল আসে আবার কোন সময় খারাপ আসে ফলে রিক্স বেড়ে যাচ্ছে।
অঞ্জন মজুমদার (পিপিবি) এবং ডা সোহরাব হুসাইন