ঠান্ডা_নাকি_গরম?
#জেনে_নিন_কোন_দুধ_স্বাস্থ্যের_জন্য_উপকারী?
গরম দুধের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, গরম দুধ খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে, ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী গরম দুধ।
ঠান্ডা দুধ কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
ঠান্ডা দুধেরও উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম থাকার জন্য সমস্ত অ্যাসিড শুষে নিয়ে বদহজম হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। সকালে ঠান্ডা দুধ খেলে সারাদিন শরীর হাইড্রেট থাকে।
তাহলে ঠান্ডা নাকি গরম? কোন দুধ খাবেন?
দুধ এমনিতেই সুপারফুড। ঠান্ডা হোক কিংবা গরম, দু প্রকারের দুধেই প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। তবে, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন দুধ বেশি উপকারী, তা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খান।
১. দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
২. এক ঘুমে রাত কাভার করতে চাইলে ঠাণ্ডা নয়, বেছে নিন গরম দুধ।
৩. ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
৪. ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে। তবে রাতে ভুলেও খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
#ঘুমানোর_আগে_দুধ_খেলে_কী_উপকার_পাবেন:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়:
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে লো-ফ্যাট দুধ খেলে শরীরের কোলেস্টেরল লেভেল অনেকটাই কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গরুর দুধ ভিটামিন এ, ডি এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা আমাদের হৃদযন্ত্রকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঘুম না আসা খুব কমন একটি সমস্যা এখন। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ চিকিৎসকই পরামর্শ দেন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে। দুধের যে বায়োঅ্যাক্টিভ ধর্ম স্ট্রেস কমিয়ে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
রাত্রে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে ঘুমাতে গেলে পরদিন সকালে আপনার এনার্জি লেভেল দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। যেহেতু দুধের মধ্যে প্রোটিন এবং ল্যাক্টিন রয়েছে তা আপনাকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, ফলে আপনি সকালে বেশ তরতাজাভাবে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।
অনেকেই ত্বকের কোমলতা বাড়াতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে দুধের সর মুখে মাখেন। দুধ খেলেও কিন্তু ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং তারুণ্যে ভরপুর থাকে। দুধে ভিটামিন বি১২ ও থাকে যা ত্বকের ইল্যাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে ফলে অকালে চামড়া ঝুলে যায়না এবং ত্বক নরম ও তরতাজা থাকে।
(সংগৃহীত)