টেস্ট কেন করবেন,কখন করবেন,কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন
আমেনা পোল্ট্রি কেয়ার এন্ড কন সালট্যান্সি সার্ভিস।
লেয়ার ৬হাজার।
বয়স ৩২ সপ্তাহ
মাইকোপ্লাজমা নাই তাই ডোজ করা লাগবেনা।
সালমোনেলা খুবই সামান্য মানে ডোজ করা লাগবেনা।
টাইটার ঠিক আছে ৭-১০.ভ্যাক্সিন লাগবে না।ই ডি এস দেয়ার পর এখন পর্যন্ত রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন লাগেনাই।
এই ক্ষেত্রে যদি টেস্ট না করত তাহলে সালমোনেলার জন্য প্রায় ১০হাজার এবং মাইকোপ্লাজমার জন্য ১০হাজার টাকা লাগত।
তাছাড়া ভ্যাক্সিন দিয়ে মুরগিকে রিস্কের মধ্যে ফেলা হত।ভ্যাক্সিনের জন্য লাগত প্রায় ২৫০০-৩০০০টাকা।
সব মিলিয়ে প্রায় ২২০০০টাকা খরচ হত।
অথচ টেস্টে মাত্র ৩০০০টাকা খরচ হয়েছে। এতে ২০০০০টা লাভ হয়েছে।এটা কি লাভ না?এটা নিয়ে কি খামারীর চিন্তা করার সময় এখনো আসে নাই?
একটা ফার্মে ৪২ সপ্তাহে ১ম রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন করেছিলাম যার প্রডাকশন এখনও ৯৬%.বয়স ৪৪ সপ্তাহ।
নোটঃ
কখন টাইটার টেস্ট করা উচিত।
নরমালী গ্রোয়িং পিরিয়ডে ১০ -১২ সপ্তাহের দিকে একবার।
আবার ই ডি এসের আগে।
তার পর ২৮-৩০ সপ্তাহের দিকে একবার। পরে প্রতি মাসে একবার।যদি টাইটার ৭এর নিচে আসে তখন ভ্যাক্সিন দিতে হবে।টাইটার ৭বা এর উপর থাকলে লাগবেনা।
তাছাড়া অসুস্থ হলে বা হাচি,কাশি,ডিম কমে গেলে,ডিমের কালার সাদা হলে হলে টাইটার টেস্ট করা উচিত।
সাল্মোনেলা ও মাইকোপ্লাজমার টেস্ট কখন করা উচিতঃ
প্রতি মাসেই একবার করা উচিত বা যখন ডোজ করার সময় হয় তখন টেস্ট করে ডোজ দেয়া উচিত যদি লাগে।
আর যদি সালমোনেলা/মাইকোপ্লাজমা কম বা না থাকে তাহলে দরকার হবে না।
মানে যেটার সমস্যা ধরা পড়বে সেটার চিকিৎসা দিলেই হবে।
এতে খরচ কমে যাবে মানে ১হাজার লেয়ারে সাল্মোনেলা+মাইকোপ্লাজমার জন্য প্রায়৩০০০- ৪০০০টা খরচ কমে যাবে।
তাছাড়া যদি অসুস্থ হয় তখন টেস্ট করা উচিত।কারণ বিভিন্ন কারণে অনেক সময় একই সমস্যা দেখা দেয় তখন টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিলে খরচ কমে যাবে।
যেমন কলেরা হলে সাথে এ আই আছে সন্দেহ করে অনেকেই এ আই এর জন্য এন্টিভাইরাল প্রাডাক্ট দিয়ে থাকে এতে এক হাজার লেয়ারে মিনিমাল ২০০০-৩০০০টা খরচ হয়।অথচ টেস্ট করলে ১০০০টা বা আরো কম খরচ হবে।
তাছাড়া এ আই হলে সাথে রানিক্ষেত আছে সন্দেহ করে রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন দিয়ে দেয়।এতে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।অথচ টেস্ট করে রানিক্ষেতের অবস্থা বুঝা যায়।খরচ সামান্য।
রানিক্ষেত /মাইকোপ্লাজমা / এ আই এই রোগ গুলো টেস্ট করে আলাদা করলে খরচ অর্ধেক কমে যায়।
তানাহলে ধারাবাহিকভাবে সব গুলোর আলাদা চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
টেস্ট করলে খামারীর লাভ। টেস্ট না করলে সবার লাভ।এই কথাটা খামারীকে বুঝতে হবে।
ন্যায্য ফি দিয়ে চিকিৎসা করালে খামারীর লাভ,তা না করলে সবার লাভ।
খামারীকে ডাক্তারের কাছে আসা উচিত।মানুষ চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার কি রোগীর বাড়ি আসে?।ব্যতিক্রম আলোচনার বিষয় না।
এই পরিবেশ তৈরি হতে অনেক সময় লাগবে।এখন পর্যন্ত আমি একাই এই সিস্টেমে কাজ করছি।আরো কেউ কেউ থাকতে পারে যা নগন্য।
সব কোম্পানী বিশেষ করে বড় কোম্পানী চেস্টা করলে এই সিস্টেম চালু করতে পারে।
ডাক্তার বাড়ি বাড়ি গেলে রোগ সারানোর পাশাপাশি রোগ ছড়ানোর সম্বাবনাও আছে তাই খামারীকে ভেবে দেখতে হবে রোগ ফার্মে ঢুকাবেন নাকি ডাক্তারের কাছে যাবেন।