#ছাগলের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা কখন তৈরি হয় ঃ
পুরুষ ছাগলঃ
১.পুরুষ ছাগলের যৌন উত্তেজনা খুব বেশি,ব্যতিক্রম শুধুমাত্র ইউরোপিয়ান সানেন।
একটি সুস্থ সুদেহী পাঁঠাকে প্রথম বছরে ৬ মাস বয়সে একটি ছাগীর(ডো)এর সঙ্গে মিলন ঘটানো যায়। যদিও ঐ বয়সের পাঁঠার বীর্য এর গুণগত মান নির্ভর করে বয়সের উপর।৪ থেকে ৫ মাসের পাঁঠার যৌনকামনা প্রবল হলেও তার বীর্য বংশবৃদ্ধি করণে অক্ষম। যে কোন একটি ১৮ থেকে ২৪ মাসের বয়সের পাঁঠা ২৫ থেকে ৩০টি ডো-র সঙ্গে মিলন ঘটায়। সেখানে একটি সদ্য যৌবন প্রাপ্ত পাঁঠা ৫০থেকে৬০টি ডো-র সঙ্গে মিলন ঘটায়।যৌবন প্রাপ্তি নির্ভর করে আবহাওয়া, খাবারের মান এবং হরমোনের পরিমানের ওপর।ঠিকমত খাবার পেলে একটি পাঁঠা ৮ থেকে ১০ বছর বংশবৃদ্ধি করণে সক্ষম থাকে। শীত ও বসন্ত ঋতুতে এরা যৌন কামনায় বেশি কাতর থাকে এবং ঐ সময়কালে তাদের দেহ থেকে এক ধরণের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ বা #ফেরোমোম# নির্গত হয় যা স্ত্রী-ছাগলকে আকৃষ্ট করে।
২.ছাগীর (ডো-র) ক্ষেত্রেঃ ইসস্ট্রাস্ যা আসলে হ’ল মাদী প্রাণীর কাম উত্তেজনা, জাতভেদে তার স্থায়িত্ব ২৮ থেকে ৪৮ ঘন্টা। ভারতের বিটলের ক্ষেত্রে ১৮ ঘন্টা মাত্র। যদি গাভীন না হয় তাহলে ইসস্ট্রাস্ চক্র ১৮ থেকে ২১ দিন অন্তর থাকে।মাতৃগর্ভে বাচ্চা ১৪৫ দিন থেকে ১৫৩ দিন থাকে। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল বছরে ২ বার সবচেয়ে বেশী বাচ্চা প্রসব করে।অন্যান্য অধিকাংশ জাতের ছাগল ২ বছরে ৩ বার বাচ্চা প্রসব করে।
ছাগীর বংশবৃদ্ধিকরন নিভর্র করে মুলতday length-এর ওপর। সাধারণত ইসস্ট্রাস বেশী দেখা যায় মে থেকে অক্টোবর মাসে। মাত্র ১৪ সপ্তাহ বয়সেই ছাগীর যৌনবাসনা জাগে। আবহাওয়া, খাবারের গুনগত মান এমনকি পাঁঠার উপস্থিতি যৌনপ্রাপ্তি নিয়ন্ত্রন করে। যৌনকামনার নিদর্শন হিসাবে যৌনাঙ্গের দ্বারে লাল ভাব দেখা যায়।বাচ্চা প্রসবকালীন ঋতুতে প্রতিদিন সকালে পাঁঠাকে যদি ডো-র সংস্পর্শ আনা হয় অন্তত অল্প সময়ের জন্যও তাহলে ছাগলের কাম লিপ্সা জাগে।
অনেক সময় গাভীন অবস্থাতেও ছাগী পাঁঠার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। এই অস্বাভাবিক বৈচিত্র শুধুমাত্র ছাগলের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তার কারণ এখনও অজানা এবং এটি বির্তকিত বিষয়।(ডা.স্বপন সুর,ভারত)
এম এ ইসলাম