Breaking News

কোন রোগ না হলেও ডাক্তাররা কিছু প্রোডাক্টস লিখে থাকে কারণ কি

কোন রোগ না হলেও ডাক্তাররা কিছু প্রডাক্টস লিখে থাকে কারণ কি

১।খাবারের কোয়ালিটি সারা বছর এক থাকেনা কিন্তু সিজন অনুযায়ি মুরগির চাহিদা একেক সময় একেক রকম।বর্ষা,শীত,গরম কালের চাহিদা আলাদা।খাবারের অবস্থা থাকে ন্যাশনাল কিন্তু ফার্মের চাহিদা থাকে ফার্ম ভিত্তিক।খাবার দিয়ে কোন কোন সময় মুরগির চাহিদা পূরন হয় না তখন বাহির থেকে পানিতে বা খাবারে দিতে হয়।যা দেয়া ফরয কোম্পানী তাই দেয়,ওয়াজিব গুলো দেয়না।কোন কোন সময় ফরয ও বাদ পড়ে যায়।

কোন বছর শীত বেশি পড়ে বা গরম অনেক বেশি বা গরম অনেক সময় ধরে থাকে কিন্তু সেই অনুযায়ী ফর্মুলেশন করেনা তখন প্রেস্ক্রিপশনে সেই অনুযায়ি প্রোডাক্টস লিখতে হয়।

২।বয়স অনুযায়ী মুরগির চাহিদা আলাদা হয় যা খাবার দিয়ে সব সময় ঠিক রাখা যায় না।

৩।রোগের কারণে খাবার ও পানি কম খাওয়ায় বডিতে অনেক ঘাটতি হয় সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রেস্ক্রিপশন করতে হয়।

৪।খাবারের কোয়ালিটি সব সময় এক থাকেনা তাই মুরগির চাহিদা পুরণ করতে লিখতে হয়।

৫।তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার জন্য খাবারের কোয়ালিটি খারাপ হয়,তাছাড়া খাবারের পুস্টিমান নস্ট হয়ে যায়।তখন বাহির থেকে টক্সিন বাইন্ডার ও ভিটামিন মিনেরেলস দিতে হয়।বয়স বাড়ার সাথে লিভারের ও কিডনিতে টক্সিসিটির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি পড়ে তাই লিভারটনিক ও কিডনিটনিক দিতে হয়,তাছাড়া বয়স ৪০-৫০ পার হলেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে যায় তাই ক্যালসিয়ামের দরকার হয়।

৬।খাবার বেশিদিন স্টোর করলে বা বৃস্টিতে ভিজে গেলেও মান খারাপ বা নস্ট হয়ে যায়।তখন মেডিসিনের দরকার হয়।

৭।খাবারে এন্টিকক্সিডিয়াল এর প্রোগ্রাম যদি ভাল না হয় বা ভাল কোয়ালিটির প্রোডাক্টস না হয়,তাছাড়া অনেক প্রোডাক্টসই রেজিস্ট্যান্টস হয়ে গেছে।যার কারনে কক্সির একটা সম্বাবনা থাকে সেই প্রেক্ষিতে এন্টিক্সিডিয়াল দেয়া লাগতে পারে।

৮।কোন কোন বছর খাবারের আইটেমের ঘাটতি পড়ে,দাম অনেক বেড়ে যায়।এমন কি পাওয়া যায় না।সেই ক্ষেত্রে পানিতে মেডিসিন দিতে হয়।যেমন ২০২২ সালের অবস্থা খুব খারাপ।ডিম কমে যায়।ইমোনিটি কমে যায়,ওজন ভাল আসেনা।সেই ক্ষেত্রে প্রেস্ক্রিপশনে কিছু লিখে দিতে হয়।

৯।কিছু খামারি আছে যারা প্রেস্ক্রিপশন না করলে বা মেডিসিন না দিলে মন খারাপ করে এমন কি ডাক্তারের কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ করে সে ক্ষেত্রেও প্রেস্ক্রিপশন করতে হয়।

১০।কেউ কেউ সেই সুযোগে কমিশনের আশায় যা দরকার নাই তাও লিখে দেয় বা নিন্ম কোয়ালিটির প্রোডাক্টস লিখে যদিও তাদের সংখ্যা কম।

১১,কেউ কেউ না জেনে বা না বুঝেও লিখে ।তাই জানতে হবে,ট্রেনিং নিতে হবে দক্ষ হতে হবে,নিজের অদক্ষতার জন্য যাতে কোন খামারী বা প্রানীর ক্ষতি না হয়।ভি টি এস আপনাদের সেই পথ দেখাবে।

কাজেই অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয় যেহেতু খাবার দিয়ে ১০০% পূরণ হচ্ছে না।তবে যদি খাবারের কোয়ালিটি ভাল হয় তাহলে খুব কম পরিমান মেডিসিন লাগবে।

কি কি আইটেম প্রেস্ক্রিপশনে দরকার হতে পারেঃ

এমাইনো এসিড,ক্যালসিয়াম,মাল্টিভিটামিন্স মিনারেলস,প্রবায়োটিক,লিভারটনিক,কিডনিটনিক,এনজাইম,জিংক,ইমোনোস্টিমুলেটর,এসেন্সিয়াল অয়েল/ফাইটোজেনিক প্রোডাক্টস,প্রোটিন,তেল।

নোটঃযখন ভিটামিন মিনারেলস এর ঘাটতির কারণে ডিমের উপর প্রভাব বুঝা যায় এর মানে হল সমস্যা ১-২ মাস আগে শুরু হইছে তাই মেডিসিন ও ১-২ মাস খাওয়াতে হবে।সাথে সাথে ভাল হবেনা।বিশেষ করে ক্যালসিয়াম,টক্সিনের প্রভাব,ক্যানাবলিজম ও প্রলাপ্সের সমস্যা।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বাচ্চা মুরগিতে ১ম সপ্তাহে কেন রোগ কম হয়,২সপ্তাহের দিকে কেন বেশি হয়।

বাচ্চাতে ম্যাটার্নাল এম ডি এ নয়ে আসে যা প্রটেকশন দেয়।আবার ২ সপ্তাহে বা পরের দিকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »