Breaking News

কোন কোন ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ না করার যথেস্ট কারণ আছে।

কোন কোন ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ না করার যথেস্ট কারণ আছে।এখানে শুধু ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর ভিত্তি করে ভ্যাক্সিন ফেইলরের আলোচনা করা হয়েছে।তাছাড়া ব্যবথাপনা ভাল না হলেও ভ্যাক্সিন ফেইলর হয়।

১।এইচ ৫ এন ১

আমাদের দেশে যে স্ট্রেইন আছে সেটার সাথে মিল আছে কিনা তা দেখার দরকার আছে।তাছাড়া স্ট্রেইনের মিউটেশন ঘটে দ্রুত তাই কাজ নাও করতে পারে।অনেকে দিচ্ছে কিন্তু তাতেও এ আই হচ্ছে। সরকার অনুমোদিত কোম্পানী ছাড়াও কেউ কেউ গোপনে আমদানি করে বাজারে খোলা বোতলে বিক্রি করছে যা ভাইরাস ছড়াচ্ছে।তাই সিলবিহীন কোন ভ্যাক্সিন ফার্মে দিবেন না।এসব কারণে সারা দেশে নতুন নতুন স্ট্রেইনের আমদানি হচ্ছে।ব্যক্তিগত স্বার্থ্যের জন্য এই সেক্টরের জন্য ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।এই ভ্যাক্সিন হ্যাচারীতে করলে আর দরকার নাই।ফার্মে করলে ২-৩টি ডোজ করাতে হয়।৬০% এর বেশী খামারী একটা দেয়(প্রাইমিং করে) যা দিয়ে ভাল রিজাল্ট পাওয়ার যায় না।.তবে আমাদের দেশে এইচ ৭ এন২ এই বছর ২০২১ সালে বেশি হচ্ছে মনে হয় কারণ ইন্ডিয়ায় প্রায় ৩কোটি মুরগি মারা গেছে এই স্ট্রেইন দিয়ে।

২।এইচ ৯ এন ২ঃএটা ১বছর যাবার পর বুঝা যাবে তবে যারা দিয়েছে তাদের এইচ ৫/এইচ ৭ হচ্ছে।এইচ ৯ও পাওয়া যাচ্ছে।

৩।আই বিঃএটা ২ ধরণের ক্লাসিকেল ও ভেরিয়েন্ট তাই যে ফার্মে যে স্ট্রেইন আছে সেখানে সেটা না দিলে কোন কাজ হবে না।একেক ফার্মে একেক স্ট্রেইন থাকে।তাছাড়া এটার মিউটেশন ঘটে যার কারণে ভ্যাক্সিন ফেইলর হয়।ভেরিয়েন্ট স্টেইনের ভ্যাক্সিন আই বার্ড,৪/৯১

৪।রানিক্ষেত

এটা ৪ধরণের পাওয়া যায়,লেন্টোজেনিক,মেসোজেনিক,ভেলোজেনিক ও ভেরি ভেলোজেনিক।

স্ট্রেইন অনুযায়ী দিলে ভাল কাজ হবে। তাই আগে স্ট্রেইন ডায়াগ্নোসিস করে ভ্যাক্সিন দেয়া ভাল।স্ট্রেইন অনুযায়ী ক্লোন,লেন্টোজেনিক,মেসোজেনিক ও এভিনিউ ভ্যাকসিন দিতে হবে।মেসোজেনিক ভ্যাক্সিন সরকারী আর ডি বি আর ইন্সেপ্টার মুক্তাভ্যাক্স ভ্যাক্সিনভেলোজেনিক এন ডি ভ্যাক্সিন এফ এন এফ এর এন ডি লাইভ ভ্যাক্সিন।

আমাদের দেশে জানুয়ারী -এপ্রিল মাসে ভেলোজেনি স্ট্রেইনের রানিক্ষেত যার কারণে প্রচলিত ভ্যাক্সিন দিয়ে রিজাল্ট পাওয়া না।এসব ক্ষেত্রে মেসোজেকি স্ট্রেইনের ভ্যাক্সিন দিতে হবে।

৫।করাইজাঃএটাতে ৩ধরণের স্ট্রেইন আছে( এ বি সি) বিতে আবার কয়েক টি ভেরিয়েন্ট স্ট্রেইন আছে।তাই ফিল্ডের সাথে মিল না হলে হবার সম্বাবনা আছে এবং হয়ে থাকে।

৬।কলেরাঃএটাতেও এন্টিজেনিজক ভেরিয়েশন আছে তাই রিজাল্ট ভাল পাওয়া যায় না।

।গাম্বোরু

এটাতে ৩ ধরণের আছে ভেরিয়েন্ট,ইন্টারমেডিয়েট ও ইন্টার্মেডিয়েট প্লাস।ম্যাটার্নাল এন্টিবডি ও ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর উপর ভিত্তি করে কাজ নির্ভর করে।

।সাল্মোনেলা

মুরগিতে সাল্মোনেলা মুক্ত করে এই ভ্যাক্সিন করতে হবে এবং সাল্মোনেলা কন্টোলে রাখতে হবে যা আমাদের কমার্শিয়াল খামারীদের পক্ষে অনেক কঠিন।

৯।মাইকোপ্লাজমা

এটা ব্রিডারে করা হয়।ফিল্ডে ম্যানেজ করা কঠিন।যেহেতু ব্যবস্থাপনা ভাল না।মাইকোপ্লাজমা মুক্ত করে মাইকোপ্লাজমার ভ্যাক্সিন করতে হয়।

১০।পক্সঃএটাও মাঝে মাঝে ফেইলর হয় স্ট্রেইনের মিল না থাকায়।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামারীর কৃপণতা এবং অপচয় যা ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।

খামারীর কৃপণতা যা তাকে লসে ফেলে দেয়,খামারীর অপচয় যা লসে ফেলে দেয় বা ক্ষতির কারণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »