কমার্শিয়াল লেয়ারের রোগ এবং ভ্যাক্সিন শিডিউল,সিডিউল কিসের উপর নির্ভর করে।
কমার্শিয়াল লেয়ারের রোগ এবং ভ্যাক্সিন শিডিউল
রোগ সমূহ
১।রানিক্ষেত,
২।এ আই.
৩।টাই্ফয়েড.
৪।পুলোরাম
৫।কলেরা
৬।গাম্বোরু.
৭।ই-কলাই
৮।ই ডি এস
৯।আই বি
১০।পক্স.
১১।ফেমোরাম হেড নেক্রোসিস.
১২।ব্রুডার নিউমোনিয়া
১৩।নেক্রোটিক এন্টারাইটিস
১৪।মেরেক্স
১৫।কলেরা
১৬।লিউকোসিস.
১৭।রেটিকোলএন্ডোথেলিওসিস
১৮।আমাশয়
১৯।স্টেফাইলোকক্কাস
২০।এভিয়ান এন্সেফালোমাইটিস
২১।আই এল টি
২২।ফ্যাটি লিভার সিন্ডম
২৩।করাইজা
২৪।মাইকোপ্লাজমোসিস
২৫।কৃমি
২৬।রিকেটস
২৭।এনসেফালোম্যালাসিয়া
২৮।হিট স্টোক
২৯।মাইকোটক্সিকোসিস
৩০।গ্রেংগ্রেনাস ডার্মাটাইটিস
৩১।চিকেন এনফেকশাস এনিমিয়া
৩২।আই বি এইচ
কমার্শিয়াল লেয়ারের ভ্যাক্সিন শিডিউল
দিন/সপ্তাহ মেডিসিন/টিকা/কৃমিনাশক
মেরেক্স ও এ আই টিকা দেয়া আছে এমন মুরগি নিতে পারলে ভাল,ফলে পরে আর এই টিকা না দিলে ও চলে।তবে মেরেক্সের ক্ষেত্রে ব্রুস্টার দিতে পারেন ১০-১৪দিনে।তবে হ্যচারীতে অবশ্যই দেয়া উচিত।এমনকি ডিম ফোটার ৩দিন আগে মানে ১৮তম দিনে দিতে পারলে আরো ভাল যদিও আমাদের দেশে এখনো এই সিস্টেম চালু হয় নি।
১-৫ দিন আইবি+এন ডি টিকা,আই বির লোড বেশি হলে ৪/৯১ বা আই বার্ড দেয়া যায় এক সাথে মিস্ক করে।
সি,মেগাভিট ডব্লিউ এস বা লাইসোভিট,প্রবায়োটিক(প্রটেক্সিন বা সাল্টোজ প্লাস) ,গ্লোকোজ,স্যালাইন ।প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক লাগবে যদি বাচ্চার মান খারাপ হয়।
৪-৬ দিন প্রয়োজন হলে এন্টিবায়োটিক দিতে পারেন এসিমক্স বা রেনাকুইন বা কসুমিক্স প্লাস
৭-৮ দিন এন ডি + আই বি ডি কিল্ড টিকা দিতে পারেন(যদি ঐ এলাকায় রোগের তীব্রতা বেশি হয়)
৭-১৩ দিন গাম্বোরু টিকা,পরেরদিন থেকে নিউট্রিল্যাক বা এডি৩ই।
১৫-১৭ দিন আমাশয়ের ডোজ,ই এস বি৩ বা কক্সি কে বা কক্সিকিউর ১.৫ গ্রাম ১ লিটারে সারাদিন পানিতে।(নতুন সেড হলে লাগেনা।)
১৪-২০দিন গাম্বোরু টিকা,রেনা সেল ই বা এসিভিট সি বা বিটামিউন
২২-২৪ দিন এন্টিমাইকোপ্লাজমা(টাইলোডক্সি বা টিলমাইসিন(কমিট্রিল )
২৫-২৮ দিন রানিক্ষেত টিকা,রেনা সি বা নিউট্রিল্যাক
৩০-৩২ দিন আমাশয়ের ডোজ,ই এস বি৩ বা কক্সি কে বা কক্সিকিউর সারাদিন।(কক্সির প্রাদুর্ভাব থাকলে)
৪ -৫ সপ্তাহ পক্স টিকা,সি,বিটামিউন বা লাইসোভিট
৬ সপ্তাহ আমাশয়ের ডোজ,ই এস বি৩ সারাদিন ৩ দিন,১.৫ গ্রাম ১ লিটারে
৭ সপ্তাহ করাইজা টিকা,সি ,লিভার টনিক( রেস্টোলিভ) মাংসে বা চামড়ার নিচে 0.৩ এম এল
৮ সপ্তাহ কৃমিনাশক (লিভামিসল),এভিনেক্স খাবারে বা পানিতে
৯ সপ্তাহ আই বি+এন ডি টিকা পানিতে বা চোখে,কলেরা টিকা মাংসে
১০ সপ্তা আই বার্ড বা ৪/৯১ চোখে বা পানিতে (আই বির লোড বেশি হলে)
১৩ সপ্তাহ পক্স টিকা ,সি,পক্স যদি এই ফার্মে বেশি হয় তবে খাচায় থাকলে দেয়া সম্বব না ।পাখা ভেংগে যায়।
১৪ সপ্তাহ করাইজা টিকা
১৬ সপ্তাহ কলেরা টিকা মাংসে
১৭ সপ্তাহ কৃমিনাশক ও আইবি +এন ডি + ই ডি এস টিকা চামড়ার নিচে বা বুকের বা রানের মাংসে
১৭-২০ সপ্তাহ প্রি লেয়ার খাবার দিতে হবে যদি না থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম(সানক্যাল পি,রেনাক্যাল পি)চিক টনিক বা ভাইজেস্ট পানিতে দিতে হবে।
সাথে গ্রোয়ার এবং লেয়ার খাবার মিক্স করে দিতে হবে ৭-১০দিন।
তারপর মাসিক ১টা সিডিউল করা যায় যা মুরগি বিক্রির আগ পর্যন্ত চলবে তবে আবহাওয়ার ,ধকল এবং বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
যদি এলাকায় টাইফয়েড এর প্রাদুর্ভাব থাকে তাহলে ৭ ও ১৫ সপ্তাহে টাইফয়েডের ২টি টিকা দেয়া যায় তবে ভ্যাক্সিন দেয়ার পর ও সমস্যা দেখা যায়।
১দিনের বাচ্চায় যদি এ আই টিকা না দেয়া থাকে তাহলে ৩-৯-১৭ সপ্তাহে ৩টি টিকা দিতে হবে চামড়ার নিচে।
নোটঃ
মেরেক্স হ্যাচারীতে বা ১ম দিনে ফার্মে
হ্যাচারীতে রানিক্ষেত+মেরেক্স,গাম্বোরু +মেরেক্স,এ আই +মেরেক্স দেয়া যায়
আই বি +এন ডি ১-৭দিনের মধ্যে দেয়া যায়
রানিক্ষেতেঢ় ব্রুস্টারিং ২০-২৫দিন বয়সে।পরবর্তীতে ৩০-৪৫দিন পর পর রানিক্ষেত্রে লাইভ টিকা ই ডি এস ভ্যাক্সিন পর্যন্ত,(লাসোটা বা ক্লোন টিকা, কিন্তু ১ম টিকা কোন ভাবেই লাসোটা দেয়া যাবে না,ব্রুস্টারিং যা ইচ্ছা তা দিয়ে করা যায়।
রানিক্ষেত টিকা ২৯-৩০ সপ্তাহের আগে আর লাগবে না।২৯ বা ৩০ সপ্তাহে রানিক্ষেতের টিকা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ৪৫-৬০দিন পর পর ক্লোন বা লাসোটা টিকা দিলেই হবে,টাইটার দেখে নিলে ভাল বেশি।অনেকে শুধু ৪-৫ মাস পর রানিক্ষেতের টিকা দেয়।
ই ডি এস টিকা ১৬-১৯ সপ্তাহে,ডিম পাড়ার ২-৩ সপ্তাহ আগে দিতে হবে
গাম্বোরু এটা ৭-১৪দিনের মধ্যে ১ম টিকা আর ২য় টিকা ৭দিন পর।
পক্স ৪-৫ সপ্তাহে
সাল্মোনেলা ও করাইজা ৬-৮সপ্তাহের মধ্যে ১ম টিকা আবার ব্রুস্টারিং করতে হবে ৫-৬ সপ্তাহের পর
কলেরা ৭-৯ সপ্তাহের মধ্যে ১ম টিকা ।ব্রুস্টারিং করতে হবে ৫-৬ সপ্তা পর
এইচ ৯ এন ২.৩-৪ সপ্তাহে ১ম টিকা
৭-৮ দপ্তাহে ২য় টিকা
১৪ সপ্তাহে ৩য় টিকা
এইচ ৫ এন ১ টিকা এইচ ৯ এর সাথে সাথে দেয়া যায়.৭দিন গ্যাপ দিয়ে।
ঠোট ছেকাঃ ১-২০দিনের মধ্যে,ঠোটকাটা ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যে।
ভ্যাক্সিন সিডিউল কিসের উপর নির্ভর করে।
১।লোকাল ডিজিজ;যে এলাকায় যে রোগ হয় সেসব ভ্যাক্সিন দিতে হবে কিন্তু আমাদের দেশের খামারীরা ভ্যাক্সিনের নাম শুনলেই দিতে চায় এবং দিয়ে থাকে।খামারীরা ডাক্তারকে জিজ্ঞেস না করে ভ্যাক্সিন ম্যানদের কাছে জানতে চায়,তাছাড়া বেশি ভ্যাক্সিন দেয়ার সুবিধার জন্য তারা সব ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য প্ররোচিত করে।.
২।দেশের অবস্থা মানে দেশে কি কি রোগ হচ্ছেঃ
৩।কোন ভ্যাক্সিন কখন দেয়া যাবে বা যাবেনা তা জানতে হবে যেমন মেরেক্স টিকা হ্যাচারীতে দিতে হবে না দিলে পরে দিয়ে লাভ হবে না।কিন্তু আমাদের দেশে ৮০-৯০% খামারী ১০-১৪দিনে করে থাকে।.
৪।বাজারে প্রচলিত ভ্যাক্সিন সমূহ এবং স্ট্রেইন
৫।আগে নিজের ফার্মে কি কি রোগ হয় তা বিবেচনা করে ভ্যাক্সিন দিতে হবে।
৬।আশপাশের ফার্মের অবস্থাঃ
৭।সিজন বিবেচনা করতে হবেঃসব সিজনে সব রোগ সব ভাবে হয় না যেমন এ আই,রানিক্ষে্ত,আই বি শীতে বেশি হয় তাই শীতে গুরুত্ব দিতে হবে।
৮।মার্কেটের ভ্যাক্সিনের সাথে ফার্মের জীবাণু/স্ট্রেইনের মিল আছে কিনাঃ
ভ্যাক্সিন দিলেই হবে না ফার্মে যে জীবাণূ আছে সেগুলোর সাথে মিল থাকতে হবে।
৯।একেক জেলায় বা একেক দেশে বা একেক মহাদেশে একেক রোগ হয়ঃ
রোগ থাকতে টিকা দিতে হবে না থাকলে যদি টিকা দেয়া হয় তাহলে নতুন রোগের আমদানি হবে।পরে সব সময় সেই ভ্যাক্সিন দেয়া লাগতে পারে।
১০।ব্রিডার,লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালি/কক,কালার বার্ড অনুযায়ী রোগ হয়।সবার ভ্যাক্সিন এক হবে নাঃ
জাত অনুযায়ী রোগ আবার রোগ অনুযায়ী ভ্যাক্সিন হয়।তাই এসব বিবেচনা করে টিকা দিতে হবে।তাছাড়া ব্যবস্থাপনাও আলাদা হয়।
ব্রিডারে সবচেয়ে বেশি দেয়া হয় কারণ তাদের ব্যবস্থাপনা ভাল ।তাছাড়া বাচ্চাতে যাতে ম্যাটার্নাল এন্টিবডি আসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
১১।হ্যাচারীতে কি কি টিকা দেয়া আছে তা জানতে হবেঃ
ব্রিডার কোম্পানীকে তাদের বাচ্চার ম্যাটার্নাল এন্টিবডি কত তা জানিয়ে দিতে হবে এবং কবে শেষ হবে তা বলে দিতে হবে।সেই অনুযায়ী ভ্যাক্সিন হবে তখন গাম্বোরু বা রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন ফেইল হবার সম্বাবনা কমে যাবে।
নোটঃ
অনেক দেশেই এন্টিজেন এন্টিবডি কমপ্লেক্স বা ভেক্টর মিউন ভ্যাক্সিন হ্যাচারীতে দিয়ে দেয় ফলে ফার্মে আর গাম্বোরুর টিকা দিতে হয় না।
সাল্মোনেলা,মাইকোপ্লাজমা ভ্যাক্সিন কেন ১দিনে/১ম সপ্তাহে দেয়া হয়না
কারণ ১ম সপ্তাহে মেরেক্স,আই বি,রানিক্ষেত,আই বি ডি,এই ৪টি ভ্যাক্সিন করতে হয় ফলে ভ্যাক্সিন দেয়ার মত সময় পাওয়া যায় না,এসবের টাইটার উঠার জন্য অনেক প্রোটিন দরকার হয়।আরো ভ্যাক্সিন দিলে তা খুব ভাল কাজ করবে না।তাছাড়া ধক্ল বেশি পড়বে।
তাছাড়া বাচ্চাতে সাম্লমোনেলা ও মাইকোপ্লাজমার লোড থাকায় ভ্যাক্সিন দিলেও তেমন কাজ হবে না।তাই প্রতি মাসে সাম্লোনেলা ও মাইকোপ্লাজমার ডোজ করে জীবাণূর লোড কমিয়ে তারপর সাল্মোনেলা বা মাইকোপ্লাজমার ডোজ করতে হয়।
আমাদের দেশে খামারীরা সব টিকা দিতে চায় দরকার আছে কিনা তা জানতে চায় না।
গাম্বোরু ভ্যাক্সিন কখন দিতে হবে তা কিসের উপর নির্ভর করেঃ
১।বাচ্চা কোম্পানী বাচ্চার ম্যাটার্নাল এন্টিবডি জানাতে হবে বা তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে,এমন কি কোম্পানী যদি না দেয় তাহলে বাচ্চা নেয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
.২।ফার্ম মতুন না পুরান।ফার্মের গাম্বোরুর ইতিহাস।
৩।ভ্যাক্সিন কোম্পানীর ভ্যাক্সিনের ধরণ ও সিডিউল।প্রতি কোম্পানীর ভ্যাক্সিনের টেকনোলজি একেক রকম তাই সিডিউল ও একেক রকম তাই কোম্পানীর সিডিউল মেনে দেয়া উচিত।তবে কোম্পাণির দায়িত্বশীল ব্যাক্তির কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।ভ্যাক্সিন বিক্রির জন্য বা না জানার কারণে কেউ কেউ ভুল বলতে পারে।
এন্টিবডি জানা না থাকলে ইন্টার্মেডিয়েট প্লাস ভ্যাক্সিন আগে দেয়া উচিত,ম্যাটার্নাল এন্টিবডি কবে শেষ হবেতা যদি জানা থাকে তাহলে ইন্টার্মেডিয়েট ভ্যাক্সিন।ইন্টার্মেডিয়েট ভ্যাক্সিন গুলো নরমালী দেরিতে দেয়া হয় আর ইন্টার্মেডিয়েট ভ্যাক্সিন গুলো আগে দেয়া হয়।
নরমালি ইন্টার্মেডিয়েট ভ্যাক্সিন ১০-১২দিনের পর হয় কারণ তখন এম ডি এ ১০০-২০০ হয়।(কোন টা আবার ৫০০-৭০০তে আসলে দিতে হয়)