কবুতরের সুষম খাদ্য তালিকা★
কবুতর কে বেশী পরিমান প্রোটিন যুক্ত খাবার দিলে যেমন পাতলা পানির মত পায়খানা করবে। তেমনই এর অভাব হলে ও পাতলা পায়খানা সহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিবে। তাই কতটুকু ও কি পরিমান খাবার দিলে আপনার কবুতরের সুষম খাবারের অভাব পূরণ হবে এবং আপনার কবুতরের ফিটনেস বজায় থাকবে। অধিকন্ত আপনার জন্য সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা যায়। আসুন জেনে নিনঃ
ক) ফেন্সি – তরুন, পরিণত ও ব্রীডিং পেয়ারঃ (প্রতি ১০ কেজি হিসাবে)
০১) পপ কর্ণ – ০২ কেজি =২০%
০২) লাল/সাদা গম – ০২ কেজি =২০% (যেটা আপনার কবুতর খেতে অভস্থ বা পছন্দ করে।)
০৩) সাদা ডাবলি – ০২ কেজি =২০%
০৪) তিসি -১/২ কেজি =০৫%
০৫) চাল -০১ কেজি =১০% (ঢেকী ছাটা লাল চাল হলে ভালো।)
০৬) কুসুম ফুলের বীজ -১/২ কেজি =০৫%
০৭) সাদা বাজরা -১/২ কেজি =০৫%
০৮) সবুজ মটর/এঙ্কার -০১ কেজি =১০%
০৯) সরিষা -১/২ কেজি =০৫%
বিঃদ্রঃ- ব্রীডিং পেয়ার বা যাদের বাচ্চা আছে তাদের জন্য সব সময় বা কমপক্ষে দিনে ২ বার করে পরিমান মত খাবার পানি ও গ্রিট সরবরাহ করা দরকার। যাদের বাচ্চা আছে তাদের কে মাঝে মাঝে বয়লার গ্রয়ার ফিড হালকা গরম করে দিতে পারেন।
খ) রেসার -তরুন ও পরিণত অনুশীলন কালীনঃ (প্রতি ১০ কেজি হিসাবে)
০১) বড় হলুদ ভুট্টা – ০১ কেজি =১০%
০২) লাল/সাদা গম – ০২ কেজি =২০% (যেটা আপনার কবুতর খেতে অভস্থ বা পছন্দ করে।)
০৩) জব অথবা সাগু -০১ কেজি =১০%
০৪) সূর্যমুখী বীজ -০১ কেজি =১০%
০৫) সাদা ডাবলি/এঙ্কার -০২ কেজি =২০%
০৬) ছোলাবুট -০১ কেজি =১০%
০৭) চিনা বাদাম -০১ কেজি =১০%
০৮) তিসি -১/২ কেজি =০৫%
০৯) চাল -১/২ কেজি =০৫% (ঢেকী ছাটা লাল চাল হলে ভালো।)
বিঃদ্রঃ- যারা নিয়মিত অনুশীলন করান তাদের কে অবশ্যই ১২ ঘণ্টা পর পর পরিমান মত খাবার, পানি ও দিতে হবে। যারা মনে করেন যে ২ বেলা খাবার দিলে কবুতর রেজাল্ট করবে না, তারা এই ছক অনুসরণ করেন না দয়া করে। রেসার কবুতরের ফলাফল করা না করা শুধুমাত্র খাবারের উপর নির্ভর করে না। আরও অনেক কিছুই জরিত থাকে এর সাথে।
গ) রেসার – ব্রীডিং পেয়ারঃ (প্রতি ১০ কেজি হিসাবে)
০১) বড় হলুদ ভুট্টা – ০১ কেজি =১০%
০২) লাল/সাদা গম – ০২ কেজি =২০% (যেটা আপনার কবুতর খেতে অভস্থ বা পছন্দ করে।)
০৩) সূর্যমুখী বীজ -১/২ কেজি =০৫%
০৪) সাদা ডাবলি -০১ কেজি =১০%
০৫) ছোলাবুট -০১ কেজি =১০%
০৬) চিনা বাদাম -১ কেজি =১০%
০৭) তিসি -১/২ কেজি =০৫%
০৮) চাল -০১ কেজি =১০% (ঢেকী ছাটা লাল চাল হলে ভালো।)
০৯) কুসুম ফুলের বীজ -১/২ কেজি =০৫%
১০) সাদা বাজরা -১/২ কেজি =০৫%
১২) সবুজ মটর//এঙ্কার -১/২ কেজি =০৫%
১৩) সরিষা -১/২ কেজি =০৫%
বিঃদ্রঃ- রেসার ব্রিডিং পেয়ার বিশেষ করে যাদের বাচ্চা আছে তাদের ৬-৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিমান মত খাবার পানি ও গ্রিট সরবরাহ করা দরকার।
ঘ) গিরিবাজ -তরুন, পরিণত ও ব্রীডিং পেয়ারঃ (প্রতি ১০ কেজি হিসাবে)
০১) লাল/সাদা গম – ০৩ কেজি =৩০% (যেটা আপনার কবুতর খেতে অভস্থ বা পছন্দ করে।)
০২) সাদা ডাবলি -০২ কেজি =২০%
০৩) চাল -০২ কেজি =২০% (ঢেকী ছাটা লাল চাল হলে ভালো।)
০৪) সাদা বাজরা -০১ কেজি =১০%
০৫) সবুজ মটর/এঙ্কার -০১ কেজি =১০%
০৬) সরিষা -০১ কেজি =১০%
বিঃদ্রঃ- অনেকেই আছেন যারা তাদের গিরিবাজ কবুতর কে এক বেলা খাবার দেন ও সারাদিন আটকে রাখেন। সারাদিনে একঘণ্টার জন্য ছাড়েন এর পর আবার বন্ধ করে দেন। এরকম কবুতর প্রেমীদের কে অনুরোধ এভাবে কবুতর পালার থেকে না পালা ভাল। কারন আপনি বা আপনারা সে ধারনা পোষণ করেন তা সম্পূর্ণ রূপে ভুল ও ভ্রান্ত। আপনি যদি সঠিক ভাবে তাদের ক্যালোরি বার্ন করান তাহলে আপনার ২ বেলা পরিমান মত খাবার ও পানি দেয়া সঠিক আছে।
Moulting এর সময় ব্রীডিং পেয়ার দের যে ধরনের খাবার সরবরাহ করা হয় সে রকমই সরবরাহ করবেন সাথে রেস্ট এ রাখবেন। আলাদা ভাবে ক্যালসিয়াম ও মিনারেলস দিবেন। এই সময় কোন ধরনের ব্রীডিং বা অনুশীলন না করানই উত্তম।
এ ছাড়াও আপনার সব ধরনের কবুতর কে সপ্তাহে ১ দিন বা মাঝে মাঝে বা কমপক্ষে মাসে আপনি যদি কালজিরা+মেথি+মউরি+জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০%+৩০%+১৫%+১৫%) উপাদানগুলো এই আনুপাতিক হারে মিক্স করে খেতে দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে
COLLECTED FROM EXID DB Group