কবুতরের বাচ্চার যত্ন নিবেন যেভাবে★★
১. প্রথম ডিম পাড়ার ১৯ তম দিন
বাচ্চা ফুটে কবুতরের। ১৯ তম দিনে
সন্ধার দিকে ডিমগুলি চেক
করবেন। অনেক সময় ডিম থেকে
বাচ্চা বের হতে পারে না। সে
ক্ষেত্রে হাত দিয়ে খুব আলতো
করে ডিমটা আস্তে আস্তে
ভেংগে বাচ্চা বের করে দিবেন।
যদি রক্ত বেসি দেখা যায় তা
হলে ঐ অবস্থায় রেখে দিয়ে
পরের দিন সকালে বের করবেন।।
২. বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার
নাভিটা ডেটল বা সেভলন দিয়ে
ধুয়ে দেয়া ভাল তা হলে
ইনফেকসনের ঝুকি কমে যায়। (না
দিলেও হয় কারন ইনফেকসন হয়
খুবই কম বাচ্চার)
৩. বাচ্চা ফুটার পর পারলে
প্রতিদিন বাচ্চা যেখানে থাকে
সেখানে যা দেন ঝুট/ কাপর ম্যাট
বা খড় কুটো পরিবর্তন করবেন।
৪. চার দিন পর্যন্ত দিনে অন্তত দুই
থেকে তিনবার বাচ্চা ঠিক আছে
কিনা চেক করবেন। কারন অনেক
সময় বাচ্চা কবুতরের পায়ের নিচে
পড়ে মারা যায়।
৫. বাচ্চার পায়খানার রাস্তায়
অনেক সময় হাগু রেগে থাকে খুব
সাবধানে তা পরিস্কার করে
দিবেন।
৬. চার দিন পর্যন্ত কবুতর
বাচ্চাকে পিজিয়ন মিল্ক দেয়।
যদি কোন বাচ্চাকে না খাওয়ায়
তা হলে যেটাকে খাওয়াইছে ঐ
বাচ্চাটাকে কিছু সময়ের জন্য
সরিয়ে রাখবেন। এই সময় যেই
বাচ্চাটা কম খাবার পায় ওকে
খাওয়াবে এবং খাওয়ানোর পর
দুইটা বাচ্চা এক সাথে দিয়ে
রাখবেন।
৭. পঞ্চম দিন থেকে কবুতর
বাচ্চাকে দানাদার খাবার দেয়া
শুরু করে। এই সময় থেকে আপনি
চাইলে বাচ্চাকে এক্সট্রা খাবার
দিতে পারেন সিরিঞ্জ বা
ফিডার দিয়ে।।
৮. কবুতর যদি ঠিকমত খাবার দেয়
বাচ্চাকে তাহলে এক্সট্রা
খাবারের দরকার নাই।
৯. এক্সট্রা খাবার হিসাবে
পোলট্রি ফিড আধা ঘন্টা
পানিতে ভিজিয়ে রেখে উপর
থেকে পানিটা ফেলে দিবেন।
তারপর ভাতের মারের সাথে
ভাল করে গুলিয়ে নিবেন। চাইলে
এর সাথে ভিটামিন মিক্সড করে
দিতে পারেন।
১০. বাচ্চার প্রতি সব সময় খেয়াল
রাখবেন ধরে ওজন পরিক্ষা
করবেন।।
১১. যদি কবুতর উন্মুক্ত থাকে
তাহলে অনেক সময় অন্য কবুতর
ঠোকরিয়ে বাচ্চাকে মেরে
ফেলতে পারে। তাই যখন খাবার
দিবেন বাচ্চা একটু বড় হয়ে গেলে
নর মাদি উভয়ই খাবার খেতে
চলে আসে ঐ সময়টা আপনি নজর
রাখুন বাচ্চার প্রতি।
১২. অনেক সময় বাচ্চার পা অবশ
হয়ে যায়। মুলত ক্যালসিয়াম আর
ভিটামিন ডি এর অভাবে এটা
হয়। এরকম হলে ক্যালসিয়াম আর
ভিটামিন এডি৩ দিন ৮-১০ দিন
আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।
১৩. যদি বাচ্চা ছোট অবস্থায়
কবুতর মারা যায় বা হারিয়ে যায়
তা হলে ১-৪ দিন পর্যন্ত অল্প একটু
ডিমের সিদ্ধ কুসুম ভাতের মারের
সাথে মিসিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে
খেতে দিন। আর বাচ্চা নেকড়া
দিয়ে ভালোভাবে জড়িয়ে
রাখবেন খেয়াল রাখবেন স্বাশ
প্রশ্বাসে যেন সমস্যা না হয়। ইন
শা আল্লাহ বাচ্চা বেচে যাবে
এবং এর পর থেকে নিয়মমত
পোলট্রি ফিড দিন বাচ্চা বড়
হয়ে যাবে।
১৪. আবারও বলছি বাচ্চা যেই
পাত্রে থাকে সেই পাত্রটি
প্রতিদিন পরিস্কার করে দিবেন।
collected from ExistBD