এ সি আই কোম্পানী H9N2 (CEVAC NEW FLU H9 K,) ভ্যাকসিন আমদানি্র অনুমতি পেল।

দেশের পোল্ট্রি শিল্পে এক নতুন দিগন্তের উম্মোচন করলো এসিআই এনিমেল হেলথ্। তাদের পণ্য বহরে যুক্ত হলো বহু আকাঙ্খিত H9N2 (CEVAC NEW FLU H9 K,) ভ্যাকসিন। খামারীদের মুখে হাসি ফোটাতে সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে ইতোমধ্যে এসিআই এনিমেল হেলথ্ H9N2 ভ্যাকসিন আমদানী এবং বিপনন কার্যক্রম শুরু করেছে।

পোল্ট্রি শিল্পের বড় এক অন্তরায় হলো লোপেথোজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েনঞ্জা। এর ফলে প্রতিনিয়তই খামারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে লোপেথোজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েনঞ্জা রোগ থেকে এদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন থেকে এসিআই এনিমেল হেলথ্ গঠনমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে রোগটি নিয়ন্তণের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিনটি আমদানি অপরিহার্য্য হয়ে পড়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে H9N2 ভ্যাকসিনটি আমদানি, মাঠপর্যায়ে ও মূল্যায়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। উক্ত কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এডভান্স কেমিকেল ইন্ডাঃ লিমিটেড (ACI)-কে বিদেশ হতে H9N2 ভ্যাকসিন আমদানির সুপারিশ করে। সে প্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এসিআই লিমিটেড কে H9N2 ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পোল্ট্রি সেক্টর বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এ শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির সংক্রমণ এ শিল্পের একটি প্রধান অন্তরায়। তন্মধ্যে, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা অন্যতম। উক্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ সংক্রমণের মধ্যে H9N2 যা লো-প্যাথজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে পরিচিত। পোল্ট্রি শিল্পের নীরব ঘাতক হিসেবে এ রোগটির কারনে ডিম উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এসিআই এনিমেল হেলথ্ এর কারিগরী বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সিটিউট (BLRI), সাভার, ঢাকা-এর পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং সিডিআইএল, ডিএলএস এর সার্বিক সহযোগিতায় ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল কার্যক্রম সফল ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত ট্রায়াল প্রতিবেদন হতে জানা যায় যে, এসিআই কর্তৃক আমদানীকৃত CEVAC NEW FLU H9 K, vaccine যা মুরগিতে এ রোগের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত এন্টিবডি তৈরি করেছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরও প্রতীয়মান হয় যে, আমদানিকৃত H9N2 ভ্যাকসিনটি বর্তমানে বাংলাদেশে Circulating H9N2 ভাইরাসের সহিত যথেষ্ট মিল রয়েছে।

উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণলয় এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির আমদানির এবং মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার অনুমতি প্রদান করেছে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

৫ম বইঃসহজে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা (গরু,ছাগল,ভেড়া ও মহিষ)

বইটি সম্পর্কে ধারণা পেতে সূচীপত্র দেখতে পারেন।নিচে দেয়া হল। ক।সহজে প্র্যাক্টিস করতে যা যা লাগবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »
error: Content is protected !!