এসিডিফায়ার :

পোল্ট্রি শেডে যে ওয়াটার সাপ্লাই থাকে এবং যারা পানির পাত্র, পাইপ, নিপল সহ অন্যান্য ড্রিংকার নিয়মিত পরিষ্কার করেন না বা সিস্টেমিক জটিলতার কারণে করা সম্ভব হয়না সেক্ষেত্রে দেখা যায় সাপ্লাই লাইনসহ, ড্রিংকার চেইনের ভিতরে এই প্যাথোজেন গুলো একধরণের বায়োফিল্ম তৈরি করে ব্লকেজ করে ফেলে, যাকে স্কেল প্রবলেম বলা হয়।
৪টা উৎস থেকে পানি ব্যবহার করা হয়।
১। রিভার ওয়াটার
২। পন্ড/লেক ওয়াটার
৩। ওয়েল/কূপ
৪। বোর ওয়েল/ গভীর নলকূপ
সোর্স হিসেবে বেটার কোয়ালিটি পানি পাবেন বোর ওয়েল থেকে। অন্যান্য গুলোর অবস্থা আপনারাই ভাল বুঝবেন!
পানির কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার গুলো কি কি


এরপর পানির মধ্যে থাকা টোটাল ব্যাকটেরিয়ার স্ট্যান্ডার্ড লেভেল 0-100 কলোনী ফর্মিং ইউনিট (cfu) প্রতি মিলিতে। কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রা ৫০সিএফইউ মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড। তবে না থাকাটাই ভাল।
পানিতে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট থাকে। যেটারও একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল থাকবে। তবে নাইট্রেটের চেয়ে ১০গুণ বেশি টক্সিক নাইট্রাইট।
এরপর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরিন, ফসফরাস, ক্যাডমিয়াম, লেড, কপার, আয়রণ সহ অন্যান্য মিনারেল গুলো সম্পর্কে তো আপনারা জানেনই। এদের একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল থাকবে পানিতে। এর বেশি থাকলে, বা কম থাকলে বার্ডের পারফরমেন্সসহ, নিউট্রিয়েন্টস এব্জর্বশন, এগ শেল কোয়ালিটি এবং ভাইটাল অর্গান সমূহের ড্যামেজিং/ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই পানির এই প্যারামিটার ২টি মাথায় রেখে এবং আবশ্যিক অর্থে পানির পরীক্ষা করে বিজনেস ওরিয়েন্টেড ফার্ম গুলোর যাত্রা শুরু করা উচিত। না হলে ইকোনোমিক্যালি আপনি নীচের ক্ষতিগুলো পুষিয়ে উঠতে হাঁপিয়ে যাবেন।
১। এই গুড কোয়ালিটি পানির অভাবের জন্যই কিন্তু ফ্লকে ২% মর্টালিটি খুবই স্বাভাবিক।
২। এফসিআর 0.175% বেড়ে যায়।
৩। ৪২ দিনে ২০০ গ্রাম করে বার্ড তার ওজন হারায়।
৪। ব্রয়লারে ২কেজি ওজন আসতে ৪৫ দিন লেগে যায়।
৫।পানিঘটিত রোগে একদিকে মর্টালিটি বাড়ে, অন্যদিকে মেডিসিন কস্টও বাড়ে।
##
১। ক্লোরাইডস এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এর মত ওয়াটার স্যানিটাইজার কেবল মাত্র হাইয়ার ডোজে কার্যকরী। তবে প্রোডাকশন পিরিওডে মোটেও ইউজ করা ঠিক হবে না এগুলো।
২। যখন পিএইচ খুবই হাই তখন ক্লোরাইডস কাজ করবে না। ক্লোরিন শুধুমাত্র তখনই ভাল কাজ করে যখন পানির পিএইচ 6.0 থেকে 6.8 এ মধ্যে থাকে।
৩। ওয়াটার স্যানিটাইজারগুলো পানিতে উপস্থিত অর্গানিক ম্যাটারের সাথে রিয়্যাক্ট করে তাদের কার্যকারিতা নষ্ট করে। এছাড়া এটা বার্ডে টক্সিক ডোজও সৃষ্টি করতে পারে।
ভাল এসিডিফায়ার এক্ষেত্রে আপনাকে টেনশন ফ্রি রাখবে। এজন্য আপনাকে পানিতে এমন একটি এসিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে যেটাতে অর্গানিক এসিড, এসেনশিয়াল অয়েল এবং অক্সাইন কপার এইসব উপাদান পাওয়া যায়। যেটা সিনারজিস্টিক একশনের মাধ্যমে শেডে সরবরাহকৃত পানি এবং বার্ডের গাট পিএইচকে কমিয়ে প্যাথোজেন লোডকে কন্ট্রোল করবে।
কারণ সুস্থ পানি মানেই কিন্তু সুস্থ মুরগী। কিভাবে? মর্টালিটি রিডিউস থেকে শুরু করে ভাল FCR, কাঙ্ক্ষিত ওজন অর্জন এবং ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি সবই সম্ভব যদি পানিতে রেগুলার এইরকম কম্পজিশনের একটি ব্লেন্ড এসিডিফায়ার ইউজ করা যায়।



ডাঃ পবিত্র মোহন্ত
TSO, Elanco BD Ltd.
Please follow and like us: